শ্টযামা-সঙ্গীত-সং শ্রীরামরেণু মুখোপাধ্যায় বি-এ- (অনার্স ) বিদ্যা ভূষণ, কাব্যপুরাপতীর্থ প্রথম প্রকাশ £ মহালয়] ১৩৬৭ ২০ সেন্টেম্বর ১৯৬০ প্রকাশক ঃ রখীত্রকুমার পালিত,পারিকেশন্স্‌ অফিসার, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় মৃদ্রক 2 বিমল ভাুড়ী, বি. বি. কোঃ, ৪, রামরতন বোস লেন, কলিকাতা-৭০০০০9৪ উৎসর্গ মা তোর কোলে ম! ধরায় আসি চিনেছি মা এলোকেশী । পূজার স্কুল তার চরণে দিতে শিল্পে পড়ে মলে তোর প্রেরশ। সবার আগে করেছে মোর মন-উদাসী। তুই শেখাজি মায়ের পুজা তাই তোডাকি দশভুজা মোর জীবনের অর্খ্য সেরা? চরণে ভোর দিইমা বসি । নাম/প্রথম পংজি উমার জন্ম মুখবন্ধ মা এসেছে গিরির ঘরে পূরব গগনে দিক প্রকাশিল উমার বাল্যলীলা ও বিবাহু-_ মুখবন্ধ হলে ছাড়! উমাধনে মুখশশী পড়ে মনে আকাশের চাদ মাখ! মসী কোথায় ঘুমে রইলি উমা সোনার অঙ্গ ভরেছে ধুলায় আয় মা! উমা আয় না কোলে কোথায় বেড়াস্‌ সখীর সঙ্গে ধরে দে মা টাদের কলা কেন মা তুই হলি অপর্ণা কপালে কলঙ্কী-কলা কণ্ঠেতে হাড়ের মালা আগমনী মুখবন্ধ ওহে গিরি আন গোরী ভিক্ষা মাগি চরণ ধরি স্বপনের ঘোরে উম] ডেকে ফেরে দেখবি যদি বঙ্গবাসী বড় আনন্দে থাকি উম! বোধনের ডাক কেঁদে ফেরে তুই ছিলিস্‌ মা ঘুমঘোরে স্চীপত্র পৃষ্ঠা নাম/প্রথম পংক্তি ও মাউমাতোর তরে ওহে গিরি গৌরী বিনে ৩ কোথায় ঘুমে রইলি উমে এনে দে মোর উমাধনে উম আমার এল কই ৪8 মা আসেরে মা আসেরে যণ্ঠীতে মা ফোধন সারি ৫& যাও হে গিরি কৈলাসপুরী ” কোন্‌ অভিমানে হরের ঘরে ” শুনি মেনকার কথা ৬ আজি কি আনন্দ ধরণীতে হিমাচল আলে। করে উমা তব এল ঘরে চে বিজয়? মৃখবন্ধ গিৰি তুমি পাষাণ বাপ দেখ নাই গো গিরিপুরী আধার করি তুই কিযাৰি জামাই এলে ভোরে নিতে », আজ বিজয়া ওঠ মা জয়। ১১ ওঠ্‌ মা জয়া ও বিজয়! ১৭ ৯৮ ১৪১ ০0 রী আজ যে আমার উমা যাবে 2 ॥» ওরে বঙ্গবাসী শোকে ভাসি ১২ ব্রবি ভোমার হবে উদয় চি ১ নাম/প্রথম পংক্তি পৃষ্ঠ। “ওমা” বলে কাঁদে উম তাও কি মন ২১ বেদন। কত মায়ের প্রাণে ২২ গিরি তুমি পাষাণ বাপ দেখ নাই গে ঞ নবমীর নিশি তুমি গেলে জামাই আমার আস্বে চলে "” নবমীর নিশি তুমি যেও না ২৩ ওহে গিরি রাখ ধরি তনয়ারে আদর করি শে।ন হে পাষাণ শিরি ২৪ যেও ন। যেও না যেও না হে যেও ন। নবমীর নিশি ্ শোন্গেো মা বিজয় জয়া ২৫ যেও না যেও ন। নবমী রজনী সাথে লয়ে ওঠ মা জয়া ও বিজয়া আজকে যাবে মোর অভয়া ০ শোন গিরি আর ত গৌরী পাঠাব না! শিবের ঘরে ২৬ রবি তুমি উদয় হ'লে কেন আজি গগনপটে ঠ নবমীর ট।দ যেও না চলে মারে রাখি ২৭ মায়ের রূপ মুখবদ্ধ ২৮ কেমন ক'রে জান্লিরে মন ৩০ ভুবনমোহন রূপটি কোথায় পেলি ” দিগ্বসনা লোলরসন। ভেবে তোরে ৩১ কাজ কি আমার নয়ন মুদে টা নাম/প্রথম পংক্তি কালে মেয়ের রূপ দেখে যা ওরে তোরা! ধ্যানে মায়ের রূপ চিনেছি ভীষণ! ভয়ঙ্করী ভীম! নৃত্যতালে চলে বামা কে পরাল মৃণ্ডমালা বর্ম রূপে সৃষ্টি কর অরূপ তোমার রূপের লীলায় নয়ন মুদে দপ দেখিগো। কে বলে মা দিগন্বরী শবাসন' ও যে আমার নয়ন-তার৷। মুণ্ড কাদের গলায় দিয়ে কালে মেয়ের রূপ দেখে যা ওরে তোরা নয়ন মেলে মা কেমন মুখবন্ধ (মাগে) একলা আমার অর্ধরাতে অভয় বিলান মা অভয় শ্যামল ধরায় চরণ ফেলে অবিশ্বাসী দ্যাখরে চেয়ে অরূপ তুমি রূপের নাটে দেখলে কেমল মায়ের বরণ কি রূপ দেখালি'ম। কৈবল্যদায়িনী কালী কেউ বলে তুই দেশের মাটি ফন্দী এ*টে বন্দী কর হাড় জ্বালানি তুই মা মেয়ে আমার মায়ের স্ব্ূপধযেকি তার! তে!রে চিনিতে নারি মা মা বলে ডেকে ডেকে পৃষ্ঠা ৩২ ৩৬ ৩৭ ন[ম/প্রথম পংক্তি কালো মেয়ের দ্ূপের আলোয় 'কে জানে মোর মা-টি কেমন আমার মনের অন্তরালে মাগো আমি তোমাক্স চিনিতে নারি মনোদীক্ষা মুখবন্ধ বল্‌ দেখি মন সত্যি করে মন আমার জানে ভালো (আমার) মন মজেছে ফল পেকেছে মনে আমার ডাক এসেছে কি জানি মোর কেমন করে আয়রে মন পাতৃবি খেলা ওরে আমার মন করেছি জবার মালা আমি তোমায় ডাকিনি মা স্বর্গের তুমি নও ম1 দেবী মায়ের হাতে বীণাখানি সত্যশুদ্ছি হয়রে মনের অক্তরে রাখি মাকে পুজি চোদ্দ পোয়া! জমিখানি মায়ের বর্ণ শুনিস্‌ কালি কেনরে মন ভবে এসে আমি মা তোর চরণতলে কলুর গরু কর্লি মাগে! মন তুই বেড়াস্‌ ঘুরে কোথায় গেলে শাস্তি পাবে আপন ভুলে পরাণ খুলে €কান্‌ সাধে তুই মনরে আমার পৃষ্ঠা ৪৫ চে ৯১ ৪৬ ৫২ ?) &৩ চ নাম/প্রথম পংক্কি কেমন মেয়ে মাগে। তুমি ভক্তের আরুতি মুখবন্ধ পৃষ্ঠা ৫৯১ ৬০ এমন শুভদিন আমার কবে বা হবে ৬২ ম1 ম] বলে ডাকৃলে পরে কোথায় আছিস্‌ বল্‌ না শ্যাম! কাল হল মোর কালী বলে নেচে নেচে আয় মা শ্যাম অভয় দেগে] ম] অভয়া সেই ভয়ে মুদিনে আখি কালীর চরণ নেব চিনে আমার চোখে কালী মুখে কালী কালী কালী বলে মাগো কোন্‌ ফ্কুলে মা তোরে পৃজি ধুলাখেলা খেল্তে মাগো ফুলশুদ্ধি, জলশুদ্ছি হদয়-শ্মশানে মম আয় মা শ্যামা কোথায় থাকো মাগো! কালী আল্তা রাঙা পরিয়ে দেব রাড মা তোর চরপতলে ভবের খাতায় নাম লিখিয়ে শেষ নিবেদন শোন্‌ মা আমার (আমি) গান শোনাবে। নিরজনে রসনা যদি যায় মা ভুলে আমি ইতিহাস পড়বো বলে মন করেছি (আমি) গান গাই ষে আপন মনে কি দিয়ে সাজাব মা ও রাঙ্গ। চরণতল বিশ্বে তোমার কতই কাজে চা ৬৩ চু ৭৩ ঠা নাম/প্রথম পংক্তি নৃতন ঘরে পাত্‌বো খেলা চোদ্দ পোয়] জমিখানি গুরুদত্ত বীজ বুনি বুক পেতে কি শিবের মত আমিকিমা তোমার সভায় পাইনি ঠাই জবার মাল কণ্ঠে পরাই নেচে নেচে আয় মা শ্যামা একবার কালী বল মন-রসন। মন্ত্র প'ড়ে দিবানিশি তোরে ডাকি বজ্ে বাজে তোমার ভেরী তোমার সভায় পাইনি ঠাঁই দাড়িয়েছিলাম দুয়ার পাশে দিন কাটে যে আশায় আশায় এই কি মাগো তোমার রীতি আমার তমা ভয় ভাঙ্গে না টুরাশী লক্ষ জন্ম ঘুরে দেখতে পাইনে জবা তুই আপন গুণে এবার আমি মনের সুখে গ1ইবে। গান আয় মা শ্যাম] নেচে নেচে তোর নাচে যে বিশ্ব নাচে শিখি নাই মা তোমার পুজা ওগো আমার মা-জননী (মাগে) পারখ্খীরে শিখালে গান ওঙ্কারে মা তোর যে স্থিতি সাধন ভজন জাঁনিনে ম। তোরে ডাকি মা মা বলে 52 ৮২ ৮৩ 78 নাম/প্রথম পংজ্ি পৃষ্ঠা সব অহঙ্কার এবার মাগে। দিলাম তুলে ৮৪ সবই আমার কেড়ে নিলি ৮৫ কালীদহে ডুব দিয়ে মা রর তুই কি রবি অজানা মাচিরদিন ৮৬ পৃজ্‌তে চাই চরণ ছুটি সুযোগ দে মা » কোন্‌ স্বরে মা গাইবো গান ৮৭ ছ'জনায় মোরে পথ দেখায় মা রি গান গাই আমি নিরজনে মা দাড়িয়ে আড়ালে শোনে ৮৮ এই ভবনের ঘরে ঘরে তোর পৃজা মা ঘরে ঘরে ৮৯ আশায় আশায় বাস] বেধে দিন কি যাবে শিয়রে শমন দাড়াবে যখন ৯০ 55 তোর রঙ্গ দেখে ভঙ্গ দিলাম যেদিন আমি রইব না মা এই ভবে ৯১ শেষ বাসন। সপে দিলাম ্ ওরে মন তুই কেমন করে পাবি ৯২ আমি তোমায় গান শোনাবো রং শোন্‌ গো মা শবাসনা শেষ নিবেদন ৯৩ ধনের কাঙাল নই মা শ্যাম] কার ঘরে আজ গান শোনাবে! ৯৪ কোন্‌ সে মন্ত্রে পূজ্‌বো চরণ বারে বারে আপি ফিরে ৯৫ ভবের সুখ দুখের বোঝা বাঙা পায়ে রাজ জবা ৯৬ ভজন পুজন আরাাধন! নাম/প্রথম পংক্তি নেচে নেচে আয় মা শ্যামা নেচে আয় ম৷ ৯৭ ডাক দেখি মন কালী বলে-_- ্ কে বলে মোর কালী কালো রর পৃষ্ঠা জয় কালী জয় কালী বলে ৯৮ হাসিমাখা মুখটি হেরে রি অনেক ভক্ত তোর চরণে ৯৯ মুক্তি দে মা মুক্তকেশী এ ধনজন সংসারে আমায় বেধে রাখবে তারা ১০০ কেন মা তোর পাইনে দেখ! রর আমি যখন গেয়েছি গান ১০১ কি মন্ত্রেমা পৃজি চরণ ই (আমি) মন-কৃসুমে পূজবো শ্যামা ১০২ ব্রক্মময়ী তুই মা শ্যাম। রর পাষাণী বে মা-টি আমার ১০৩ ঘটে-পটে পৃজ্‌বো না আর র্‌ আধারে তোর ষাওয়। আসা ১০৪ রাজার মেয়ে পূজ্‌বো চরণ ৬ মোর সাধনা শবাসনা দোষ কারও নয়গে শ্যামা রি সাধন-ভজন নেইক জান ১০৬ তোরে যদি ভুল বুঝে মা রা তুই যদি মা দাঁড়াস্‌ পাশে ১০৭ কেনরে মন ভাবিস্‌ বসে 2 পূজায় বসে ডাকি তার! ১০৮ শ্যাম! তুই আছিস্‌ ব্যাপে র্‌ রঙ্গময়শ রঙ্গে নাচ খেলায় মেতে ১০৯ ব্রঙ্গাময়ী এই কি তোর বিচার বটে * আমি কি গাইতে জানিগান ১১০ নাম/প্রথম পংক্তি দিন ত মোর এগিয়ে এল কালী কালী বলে মাগো ভাসি আমি জনম ভরে খুঁজি তোরে কালী কল্প-তরুমূলে বাধ্‌বে। বাস (তোর) বাশীর স্বরে মন না! জাগে জন্ম নিলাম ধরার কোলে নিত্য নুতন গাই মা গান রাজার মেয়ে তুই মা শ্যামা চিন্তে তোরে জনম গেল বিষয়-মদে মত্ত হয়ে সুখ চেয়ে মা করেছি ভূল রাজ] চরণ পুজ্‌বো। বলে সাড়। দিবি বল্‌ ম। কবে আমি কি তোর শনের মুড়ি ভয় করিনে তোর বাধনে একৃল1 গরু নাই মণ জুড়ি নয়নে নয়ন রখ ও যে আমার নয়ন-তার। (কবে) মোর গানের ডালি তোর চরণে পথে এসে মা পথ না পাই কি দিয়ে সাজাব শ্যাম! ও রাঙ্গা চরণ দুখ দিয়ে মা পরখ কর কে বাদ্িজ চণ্ডাল মা বুঝতে নারি নাম/প্রথম পংক্তি পৃষ্ঠা মনে মনে ডাকি শ্যাম! জানে না কেউ ১২১ আমি দেখি নয়ন মেলে নিত্য উষ্ণ সন্ধ্যাকালে ১২২ রাঙ। রবি অন্তকালে তোর চরণে ১, মাহার। দুখ দেখে আমার ১২৩ মুক্তি চাই না ভবে আমি মুক্তি নিয়ে করবে৷ কি মন ১২৪ যখন আমি রব না! শিবে রী ভরসা যদি নাই বা থাকে ১২৫ করুণাময়ী তোর করুণায় পাষাণেরও রঃ ইচ্ছাময়ী মা মুখবন্ধ ১২৬ তোরই ইচ্ছাতে সবই ঘটে ১২৭ ইচ্ছাময়ী তার! তুমি ্ ইচ্ছাতে তোর বিশ্বগড়। ১২৮ ইচ্ছাময়ী মাগো তারা রঃ ইচ্ছাময়ী বলে জানি মাগো তোরে ১২৯ ইচ্ছ! করে ভবে এনে ঃ ইচ্ছাময়ী মাগে। তুমি ১৩০ চিন্তামণি তার। মুখবন্ধ ১৩৯১ কেন আমার হয় ন। চিন্তা ১৩৩ তার নামের স্বর পানে ডঃ সবার চিস্তা করছে৷ নিতি ১৩৪ করুণারূপিণী মা বা করুণাময়ী ম! মুখবন্ধ ১৩৫ মা) ভোমার করুণা কত বুঝেছি মা ১৩৭ নাম/প্রথম পংক্তি বারে বারে ভবে এনে শুনেছি ম! ভবদার। রাঙা] জবা! এ চরণে করুণামাখা নামটি তোর ( করুণামক্সী মাগো আমার ) তোর করুণা করুণাময়ী মাগো তার] মায়ের আমার করুণ। কত বাদল ধারায় তোর করুণা কালভয়হারিণী মা মুখবন্ধ সম্ভানে তরায়ে মাগো কালভয়ে কি কালী ডাকি কালী বলে কাল ফ্কুরাবে পথের কথা যখন ভাবি ভূবনভোলা রূপ নিয়ে তোর আনন্দময়ী মা মুখবন্ধ আনন্দময়ী তুই মা শ্যাম। ফিরে চল মন আনন্দমক়ী মা যে আমার ভবের খেল সাঙ্গ ক'রে আনন্দময়ী তুই'ম! শ্যাম! আনন্দময়ী তোর আনন্দে শিবের বুকে চরণ দিয়ে আনন্দময়ী মাগে! তারা ( মোর ) মূলাধারে বীণার স্বরে একৃলা৷ কেন মরি ঘুরে স্বপনচারিণী ম। মৃখবন্ধ ১৫১ ১৫২ নাম/প্রথম পংক্তি স্বপনে-যার গতিবিধি মা! আসে মোর রাত গভীরে দিন কাটে ম। দিন-তারিপী মাকে আমার মিছে ডাকি মনে মননে পৃজে শ্যামা মুক্তি নিয়ে কর্বি কি মন স্বপনে দেখ দিয়ে কেন মাগো স্বপনে তোর লুকোচুরি মন্ত্র আমার নেই মা জানা স্বপন ঘোরে রাঙ। জবা নিশীথ রাতে অন্ধকারে অস্তরবাসিনী মা মৃখবন্ধ জগং জননী মাকে আমার তারা দেখে গগনতলে মাগো আমি কারে ডাকি কোন্‌ করুণায় কর্লি মাগো! মা তোমার করুণ কত আমি কেন কাশীবাসী হব ( আমি ) নয়ন মেলে গগনতলে দ্বিজ রেণুর এই মিনতি করুণা তোর জানিনে শ্যামা তোরে ডাকি তারা তারা দীন-তারিণী তারা যখন আমি গাইতেছিলাম (আমি ) মনে মনে ডাকি তোরে লক্ষ জনম সাধন ক'রে মার করুণার ফস্তধারা কোথায় আলো কোথায় আলো নয়ন তোমারে পায়নি খুঁজে নাম/প্রথম পংক্তি শুন্য আমার হৃদয়মাঝে যেথা সবাই পথটি হারায় অভেদরূপিণী মা মুখবন্ধ কে আবার বাজায় বাশি শ্যামা তোরে শ্যাম সাজায়ে দেখি আয় কি রূপ হেরিনু মাগো কাঙাল দুটি নয়ন ভ'রে মন কেনরে ভিন্ন ভাব কালা আর তারা!.কলী মন-পাখী তুই দিস্নে ফাকি বৈষ্ণব কি মা আমি শাক্ত এশ্বর্ধময়ী মা মুখবন্ধ শ্যামা মায়ের নৃত্য দেখে বিশ্ব জুড়ে তোর পুজ। ম] মাগো আমি দেখি তোরে রাঙা চরণ তোর মা দেখি জগন্ম।তা তুই যে শ্যাম। আমার মায়ের স্েছের ধারা বিশ্বরূপা মা মুখবন্ধ নয়ন মুদে দেখি তারা ফুলেও তুমি ফলেও তুমি মৃতিতে মা নারায়পী রূপ দেখে তোর নয়ন ভরে ফুলগুলি মা ফোটে বনে ভাগ্যে আমায় আন্লি ভবে ফুলের গাছের পাতায় পাতায় ১৭৪ ১5৩ ১৮৩ নাম/প্রথম পংক্তি দেশ-বিদেশে বৃথা ঘুরি সন্মস্ী তুই জগদ্ধাত্রী মন কেনরে মাকে পুজিস্‌ একৃল। বসি গাছের পাত। পড়ে খ'সে আমার মায়ের রূপ দেখেছিস্‌ বিশ্বরূপা মায়ের আসন লীলাময়ী ম। মুখবন্ধ অবিরাম তোর চল্‌্ছে খেলা ও ভাই দ্যাখ সংসারে এক বসেছে বিরাট মেল! সাড়। তুমি দাও না তারা নিদ্‌-হারা মোর আখি নিয়ে যতই আমি পলাতে চাই কত রঙ্গ রঙ্গময়ী অঙ্গনে তোর লীলাময়ী বল্‌ মা শিবে মন্ত্র-তন্ত্র পাইনে শ্যামা কোন্‌ ভাবে তুই আছিস্‌ ভবে সখের খেল্না তৈরী করে অভিনয় মোর চল্ছে মাগে! এই ভবেরই রঙ্গমঞ্চে কত রঙ্গ দেখ1ও কালী এ ধরার ফুলে ফলে মাটির পুতুল আমি মা তোর বিশ্বজড়ে খেলাঘরে তুই আছিস্‌ মা জাল কেটে মা পলাতে চ।ই ব্রক্মময়ী মা মুখবন্ধ নাম/প্রথম পংক্তি প্রলয়ে মা দেবৃতার1 সব নিগুণে তুই সগুণ শ্যামা ত্রক্মরন্ধ্ধে সহম্রারে কারে ডাকিস্‌ মন কালী বলে শান্ত্রকথ। শুনে হাসি পরমার্থ পরম কারণ লীলামক্সী তুমি মাগে। (আমি) সকল ভূলে নয়ন মেলে বেদে যা বলিতে নারে আমি জয় কালী জয় কাল বলে মন্ত্রে তার যন্ত্রে তারা ব্রক্মময়ী শ্যামা! আমার তোর রূপে মা ভূবন ভরা মানস পৃজ। মুখবন্ধ পৃষ্ঠা ২০৯ ২০৮ আমার হৃদি-পন্লাসনে বিরজ। মা ২১১ আমি মা! ভোর চরণতলে বন্ধ নয়ন খুলে দে মা দেখি চরণ নয়ন ভরে রন্ধে রন্ধে কালীর দাগ বসনভূষণ নেই ম! বলে বন্দি তোরে মাগো শ্যামা মন্ত্র আমি পাইনে তার ভবের ঘরে জন্ম নিলাম লোক দেখানো মায়ের পৃজায় হদয়-আসন পেতে রাখি আমার হৃদয়-বীপার তাতে কাজ কি আমার সন্ধ্যা পৃজা যখন আমি পূজায় বসি যখন পুজি ফুলে ফলে $? ২১২ নাম/প্রথম পংজি €আমি) মনের পাতায় কালির দাগে আমার মায়ের চরণ ছুটি মনে মনে পূজ্‌বো শ্যামা চিন্তে তোরে জনম গেল মায়ের নামে নয়ন ঝরে নন্দনেরই গন্ধ ঘ্রাণে মন জাগে মোর (আমি) ধন পেয়েছি মনের মতন নয়ন মেলে দেখবো! তোরে (আমি) মনে পৃজবো শ্যামা তোর পুজার আসনে বসি বনের ফুলে পৃজ্‌তে গিয়ে ঘর-ছাড়1 মোর মনটারে মন্দিরে আর কাজ কি আছে স্বপন ঘোরে রাঙ? জব নিত্য আমি আনি তুলে সাধন-শক্তি মুখবন্ধ মা মা বলে তোরে ডাকি বেল- শেষে (ওরে শমন).কণ্ঠ চেপে ধর্বি ব'লে আমি যখন থাকি বসে ঠীই করে মা ভক্তি দিয়ে পুজ্‌বে) না মা পুঁজ! পেয়ে লোভ বেড়েছে ভবের খেলা শেষ করেছি আমি চরণ-ধনের অধিকারী মার আদি-অন্ত খুঁজতে গিয়ে ২২৫ ২২৭ নাম/প্রথম পংজি কোন্‌ সুযোগে লুকিয়ে মাগো নেংটা মায়ের ছেলে হয়ে নাম মহিম! মৃখবন্ধ নয়ন-ভরে দেখি মাকে পরাণ ভ'রেডাকি তার। কালী ব'লে কাল কাটে মোর এমন মধুর নামটি কোথায় বল্‌ মা পেলি দুর্গা নামে দুর্গতি যায় যখন ডাকি তারা তার। দুখ দিয়েছ তাই কি শ্যামা কালী লাম সুধারাশি এত ডাকি ম! মা বলি স্বপন ঘোরে নাম পেয়েছি কালী ব'লে কাল কাটে মোর কালী ব'লে মাকে ডেকে তোরে যদি না পাই শ্যাম! আনন্দে আজ ধরি তান চরণ তীর্ঘ মুখবন্ধ স্ুখদুখ জানিনে শ্যামা আর কোন সাধ নাই ম! আমার কালী মায়ের পদতলে অজপা মোর (আমার) মন্ত্রে তারা যক্ত্রেতারা মন আমারজানে না মা তোর কামন] মোর শেষ করেছি কাজ কি আমার শিয়ে কাশী পৃষ্টা ২৩১৯ ২৪৩ ২৪৪ ২৪৫ ২৪৬ নাম/প্রথম পংক্তি পরিশিষ্ট ফুলরা মা তারাপীঠের তাঁরা ম। নন্দিকেশ্বরী মা পৃষ্ঠা ২৪৭ ত্ঞ টি ২৪৮ নাম/প্রথম পংক্তি কঙ্কালী মা বক্তেশ্বর ললাটেশ্বরী মা পৃষ্ঠা! ২৪৮ ২৪৯ ২৫০ উমার জন্ম পরমপুরুষ বা ঈশ্বর ব৷ ব্রন্ম সৃষ্টিলীলামানসে প্রকৃতি বা মহাশক্তির সৃষ্থি করিলেন । তিনি ব্রক্মশক্তি, প্রকৃতিরূপা মহামায়া_মাতৃকারূপিনী । ইহাকেই আদ্যাশক্তি বল। হুইয়। থাকে । এক কথায় ইহাকে মাতৃদেবী বা শক্তিদেবী বলা যায় । ভারতে ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই শক্তি বা মাতৃদেবীর পরিকল্পনা ও পৃজাবিধি পরিলক্ষিত হয়। প্রাচীন ভারতবর্ষে সিন্ধু সভ্যতায় ও বৈদিক সাহিত্যেও এই মাতৃদেবীর পরিকল্পন৷ রহিয়াছে । খণ্বেদের দেবীসুক্ত ও রাত্রিসৃক্তে এবং সামবেদের রাত্রিস্ৃক্তে শক্তিবাদের পরিচয় মেলে । খণ্েদে ভুবনেশ্বরী দেবীর মন্ত্র আছে। দেবীর বিভিন্ন মতি । বেদ-পুরাণ, উপনিষদ ও বিভিন্ন তস্ত্রে শক্তিদেবী বিভিন্ন নামে অভিহিতা। কোথাও তিনি ভবনেশ্বরী, কোথাও পৃথিবী দেবী, কোথাও সাবিত্রী, কোথাও ভদ্রকালী, কোথাও তিনি চণ্ডী, পার্বতী-উমা-দর্গা-কালশ ইত্যাদি । সকল মাতৃদেবীই এক মহাশক্তির বিব্তিত রূপ । আর সৃষ্টি- স্থিতি-প্রলয়রূপিনী আদিভৃতা বিশ্বজননী ব্রন্মশক্তি কিন্ত ব্রচ্মা হইতে পৃথক নহেন--অভিন্ন । কালবিশেষে তিনি ভিন্ন ভিন্ন মৃতি পরিগ্রহ করিয়া দেবতাগণের ও জীবকুলের মঙ্গলার্থে লীলা প্রকটিভ করিয়। বন্দিত ও পৃজিতা হইয়াছেন। ডঃ শশিভূষণ দাশগুপ্ত মহাশয় তাহার “ভারতের শক্তি-সাধনা ও শাক্ত সাহিত্য” গ্রন্থে এই শক্তিদেবীর আলোচন। প্রসঙ্গে বলিয়াছেন-__ “এই মাতৃদেবী ব! শক্তিদেবীর প্রাচীন ধারা লক্ষ্য করিলে মনে হয় দেবীর প্রাচীন ধারা মুখ্যভাবে দুইটি £--একটি হইল শস্য গ্রজননী এবং ভূতধারিণী পৃথিবী দেবীর ধারা; অপরটি হইল এক পবতবাসিনী. সিংহবাহিনী দেবীর ধারা, যিনি পরবর্তীকালে পার্বতী, শিরিজ।, অদ্রিজ। বা অদ্রিকুমারী, শৈলতনয়! নামে খ্যাতা। এই পাবতীই হইলেন উমা । মহাভারতে পাওয়া যায়__“প্রথমে দেবী বিন্ধ্যাচলের অরণ্যবাসিগণ কর্তৃক কুমারী রূপে পৃজিতা। শীঘ্রই তিনি শিবসঙ্গিনী রূপে পরিগণিতা এবং উম] রূপে পরিচিতা হন।” (ত্রীশ্রীণ্ডীর ভূমিকা-_জগদীশ্বরানন্ন )। পণ্ডিতগণ “উমা; শবের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়াছেন। কেহ বলেন “উ*' শব্দের অর্থ শিব আর “মা, শব্দের অর্থ স্ত্রী । তাই “উম” হরজায়1, শিবানী ॥ তিনি আবার শিবের 'মননকারী” মো শব্ষের মননকারী অর্থে) বা “পরিষাপক, ব. বি./শ্যামা-সঙ্গীত।৩২-১ (মা শব্দে মাপ করপার্থে)। কেছ বলে পার্বতীর জন্মকালে 'উম1 উম, শব্ধ হওয়ায় তাহার নাম হয় উমা । কালিদাসের কাব্যে পাওয়। যায় বনছজনের কাছে হিমালয়-সুতা “পার্বতী, নামে কথিত। ছিলেন, পরে মাত! মেনকা হর-প্রিয়। পার্বতীর কঠোর তপশ্চর্যা জনিত রেশ দর্শনে স্পেহভাজনা কম্যার তপ-সাধনা নিষিদ্ধ করেন-_-'উ-মা-_-তপস্যা করিও না। তখন হইতে তাহার নাম হয় উমা-- “উ মেতি মাত্রা তপসে' নিষিদ্ধা পশ্চাং উমাখ্যাং সুমুখী জগাম ।” দক্ষকন্যা সভ্ভী প্রজাপতি দক্ষের ষজ্ঞকালে শিবনিন্দ শ্রবণে যোগবলে দেহত্যাগ করেন। পরে হিমালয় গৃহে মেনকা গর্ভে পার্বতী ব1 উমা রূপে জন্মগ্রহণ করেন। উম] মা মেনকা'র স্বেহের ুলালী। তীাহাঁর জন্য মেনকার স্সেহের অস্ত নাই। দেবকুলও প্রসন্ন এই উমার আবির্ভাবে। হিমালয়-গৃহে আনন্দের বন্যা প্রবাহিত। মেনকা-ক্রোড়ে দুহিতা উমার আবির্ভাবে তাই শঙ্খধবনি হইল, পুরনারীরা জয়ধ্বনি দিলেন, দেবোদ্েশ্য সাধিত হইবে বলিয়া দেবতাগণ হর্ষোৎফুল্প হইলেন । এই উমা! ব্রন্মবিদ্যা-দূপিনী আদিশক্তি ব্রন্মজ্যোতিরূপিনী, সুবর্ণকান্তি হৈমবতী । বাঙ্গালীর জাতীয় মানসে আদ্যাশক্তি স্বরূপিনী উম কিন্তু দেবী হইয়াও গৃহাঙ্গনের ধুলিমাথা কন্তাতে রূপান্তরিত হইয়াছে । আমাদের পারিবারিক জীবনে কন্যার জন্মলগ্নে যেমন আমরা আনন্দিত হই, তাহাতে একটি বাৎসল্য রসের স্রেহ সম্পর্কের পরিচয় পাওয়া যায় ;উমার জন্মও সেইরূপ ভাবেই সাধক ও কবিকুল বর্ণনা করিয়া তৃপ্তিলাভ করিয়াছেন। এই পদাবলীতে সেই হর্ষোৎফুল্ল মনের প্রকাশ দেখিতে পাওয়া যায় । ২ হ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ মা! এসেছে গিরির ঘরে শুন্যহৃদয় পূর্ণ করে জগন্মাতায় শিশুরূপে লালন কর বক্ষে ধরে। অকলঙ্ক পূর্ণ শশী মুখে মাখা নেইরে মসী কল্যাণে পরকাশি নাও মেনকা। আদর ভরে । ্র্গমত্য অ্রিভূবনে নাই তুলনা এই রতনে সফল জনম এতদিনে পেয়ে তারে আপন ঘরে । পৃরব গগণে জগত জননী এল আজি এ অচল ভূধর দেখে ভরে মন মেনকা ভাগ্যে দেবের আরাধ্য উমার জন্ম দিক প্রকাশিল। গৌরী রূপে মা জনম লভিল ॥ জননীর কোলে লীলার ছলে আনন্দে মুখর গিরি-রাজঘর সকলে ধাইল অরূপরতন পেয়েছে সে ধন রাতুল চরণ নয়নে নয়ন রেণু তাই স্থাপিল উমার বাল্যলীল। ও বিবাহ দক্ষতনয়! সতী হিমালয়ের গৃহে মা মেনকার গর্ভে কন্যা) উমাবূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন । মায়ের কোল ভরিয়াছে, রাজপুরী আনন্দে হাসিয়1 উঠিয়াছে, পুরনারীর। শঙ্গখধ্বনি ও ছলুধ্বনি দিয়াঃউমার আবির্ভাবকে স্বাগত জানাইয়াছে। সেই উম! ধীরে ধীরে, আদরে স্সেহে, বড় হইয়া উঠিতেছেন। যতই তিনি বড় হইতেছেন, ততই তাহার আবদারের অন্ত নাই, খেলাধুলার বিরতি নাই-_- মী মেনকা উমাকে লইয়া সর্বদ। ব্যস্ত । তাহার বন্ত্রাঞ্চল ধূলিমাখা, ক্রীড়াচঞ্চল উমাকে লইয়৷ ধুলিধূসরিত হইয়াছে । উমাকে খাঁওয়াইতে, পরাইতে, শোয়াইতে, সাজাইতে তাহার মান অভিমান ভাঙ্গীইতে মেনকার সময় চলিয়া যায় । তাহাতেই কিন্ত মায়ের অ।নন্দ ও সাস্তবনা। কন্যার সখী জয়া-বিজয়? আনন্দে খেল] করিতে মত্ত । উমার বাল্যলীলার মধ্যে তাই আমর! বঙ্গজননীর স্েহ-কোমল চির-পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনিতে পাই । কন্যার প্রতি জননীর বাংসল্য রসই বাণীরূপ লাভ করিয়াছে । বৈষ্ণব পদাবলীতে শ্রীকৃঞফ্ণের বাল্যলীলা বা শোষ্ঠলীলার সঙ্গে শাক্ত- পদাবলীর উমার বাল্যলীলার এখানে অদ্ভূত সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায় । গিরিরাঁজ ও নন্দরাজ এবং গিরিরাণী ও নন্দরাণী, শ্রীকৃষ্ণ ও উমা একাকার হইয়া গিয়াছে । উভয়ক্ষেত্রে একই মায়ের “স্পেহের দুলাল” বা দ্ল।লীর জন্য গভীর স্্রেহ উৎসারিত হইয়াছে । আর এ সবই যেন শস্যশ্যামল বঙ্গ প্রকৃথ্তির তরুচ্ছায়াচ্ছন্ন গৃহাজনেই সংঘটিত হইতেছে। শাক্তপদাবলীতে আমর। শিব-জায়া জগজ্জননী উমার কন্তারূপ দেখিতে অভ্যস্ত। তিনি কুমারী কন্য।। এই কুমারী পৃজার বিধিও ভারতে পরিদৃষ্ট হয়। সাধক রামপ্রসাদের গ।নেও কালীর সেই কন্যা! রূপই দেখিতে পাই। আমাদের দেশে প্রাচীনকালে অষ্টম বধে কন্যার 1ববাহ দিবার রীতি ছিল । ইহাকে “গৌরী দান” বলা হয়। উমার অপর নাম “গৌরী” । উমার গৌর- অঙ্গকাস্তি ইহার এক কারণ । উমার বাল্যলীল। তাই শেষ হইয়াছে অষ্টম বর্ষে পদার্পণে হরের ঘরণী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে । অফ্টম বর্ষেই তিনি শিবপৃজা করিয়া পতি লাভ করিয়াছেন এবং স্বামীর ঘর করিতে শিয়াছেন টৈলাসে । এখানে শাক্তপদাবলীতে সুন্দর ভাষায় সেই বাল্যলীলা অপরূপ চমৎকারিত্ব লাভ করিয়াছে । রী হ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ হলে ছাড়! উমাধনে যুখশশী পড়ে মনে চেয়ে থাকি পথের পানে ফুটবে কাটা মা'র চরণে । মত্ত আছে মা কিসের খেলায় বিশ্বভৃবন পায়ের তলায় ঘর ছেড়ে কে মাকে কাদায় দেখি নাই মা সারাদিনে । মনে হয় ম1 বক্ষ পাতি ধরার ধূল। লুকিয়ে রাখি আখি মুদে রেণুর আখি আগলে রাখে এ চরণে । আকাশের ঠাদ মাখা মসী উম যখন কোলে আসি অকলঙ্ক সে মবখশশী চাইতে নারি হর্ষলাজে । শতচন্দ্র চরণতলে করছে মেল খেলার ছলে সঙ্গীসাথী নিয়ে চলে ধর্তে চাই বুকের মাঝে ॥ দ্বিজরামের ভাগ/যফলে পদলনখে মা'র চন্দ্র স্বলে মনের আধার যাক গো চলে মায়ের প্রকাশ লকল কাজে । কোথায় ঘুমে রইলি উমা ওমা আমার দুর্গা ক্ষমা কোন্‌ খেলাতে মত মাগো দিন বয়েযায় দেখনা গো মা। পাষাণ বাপের পাষাণী মেয়ে চোদ্দ ভূবন বেড়াস্‌ ধেয়ে আমি হেথ! চরণ চেয়ে মনে কি তোর মা পড়ে ন।। এবার তোরে বক্ষে ধরে ছাড়বে! না আর নিশি ভোরে সদাই মায়ের আখি ঝরে কেদে কেদে শবাসন! । উমার বালাযলল? ও বিবাহ আর্ন মা উম! বিশ্ব পাগল মার প্রাণে কি আর কতকাল সোনার অঙ্গ ভরেছে ধুলায় বিশ্বভুবন পায়ের তলায় হয়ত কাট] ফুটবে পায় রক্ত তাজ পড়বে ঝরে । মায়ের প্রাণে শঙ্কা কত কুশান্কুর বেঁধে শত বক্ষ পেতে ঢাকৃতে পথ সাধ যায় মা দিনটি ধরে। লক্ষ জনের তুই আরাধ্য ওমা শক্তি ওম বিদ্যা কেউ বা ডাকে মা যোগাদ্যা কন্যা আমার ব্রন্দাবরে ॥ আয় না কোলে সারাদিন তুই বেড়াস্‌ ভুলে । যত সব সখীর সঙ্গে চল্ছে খেল" নানা রঙ্গে তারই ভঙ্গে আয় না মাগো এবার ফেলে । নেচে বেড়াস্‌ তালে তালে আপন খুসী আপন চালে শাস্তি মেলে আসবে নিশা! আধার কোলে। তখন যে মা ভাবনা হবে কালিতে কালী মিশায়ে রবে থাকবো ভবে ধরাদেমা . শেষের কালে । কোথায় বেড়াস্‌ সখীর সঙ্গে বিশ্বস্বুবন মাতে রঙ্গে ধুলা মেখে সোনার অঙ্গে মায়ের কথা রয় না মনে। স্যামা-সল্লীত-সংগ্রহ বেল যে ম৷ ফুরিয়ে এল দিনের শেষে সন্ধ্যা হল এবার উমা ঘরে চল ধারা বয় ম দুনয়নে । বক্ষে তোমায় আগলে ধরে উঠবো না আর শধ্যা ছেড়ে কাতর আখি পড়বে ঝরে নয়ন ছাড়া! কি ত্বিনয়নে। ধরে দেমা চাদের কল। এই বলে মোর কাদে বালা। তাইত দেখি আডালে বসি অকলঙ্ক মুখ শশী পূর্ণচন্দ্ মাখা মসী শতচন্দ্র চরণে খেল]। মায়ের মনের সকল ভ্রান্তি দিয়ে মুকুর হল শাস্তি দূরে গেল সবরলান্তি মুখে মায়ের চন্দ্র ঢাল।। উমার বাল্যলীলা ও বিবাহ উমার তপ্ত! কেন মাতুই হলি অপর্ণা আমার কন্যা কাহার আশে তপোমগ্ন চিন্তালগ্ন কাহার রূপে চিদাকাশে। রাজার মেয়ে রাজার ঘরে রাখবো তোরে আড়ম্বরে পাল্বে। রাজ-উপচারে থাকবি বসে ভোগবিলাসে । কত ইন্দ্র বরণ পুজ্তে চায় চন্দ্রসূ্য চরণে লুটায় পূর্ণ করি তোর কামনায় রাখবো তোরে ম্বখে পাশে । পাগল হলি কোন্‌ পাগল তরে বল্‌ মা আমায় গোপন করে তারে আমি আন্বোধরে তুষ্ট করি আশুতোষে। ৮ শিপিপ পি লগ এপ সত অপ অপ কপালে কলঙ্কীকলা কণগ্ঠেতে হাড়ের মালা এমন জামাই বিশ্ব খুঁজে আন্লে তুমি পাগলা ভোলা । ভাঙ্গ- খেয়ে ভাঙ্গর সাজে ভূত প্রেত সঙ্গে রাজে বেড়ায় বুঝি ঘরে ঘরে ভিক্ষার ঝুলি কাধে তোল।। অহিভূষা হাড়মাল ববম্‌ ববম্‌ বাজে গাল ভস্ম মাখা অঙ্গ তার পরনেতে বাঘ ছালা। এমন ঘরে " মেয়ে দিতে শঙ্কা হয়না তবচিতে সুকিয়ে হদে রাখবো মাকে ফিরিয়ে দেব চতুর্দোল1। শ্য।মা-সঙ্গীত-সংগ্রহ আগমনী সাধককবি রামপ্রসাদ, কমলাকান্ত, রাম বন্থ হইতে আরস্ত করিয়া! মধুসৃদন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম পর্যস্ত বু কবি শ্যামাসঙ্গীত রচন। করিয়? ও গাহিয়। শ্যামা জননীর স্ততিগানে বাংলার আকাশ বাতাসকে মুখরিত করিয়াছেন। আমাদের দেশে দেব-দেবী আমাদের গৃহের পিতামাতা কন্যাবন্ধুর রূপ লাভ করিয়। পপ্রিয়জন' হইয়। গিয়ছেন। একট মানব সম্পর্ক গড়িয়া উঠিয়াছে। উক্ত কবি-কুলের পদে সেই গভীর আত্মীয়তার সুর ধ্বনিত হইতে দেখি । তাই রামপ্রসাদ, কমলাকান্ত প্রমুখ পদকতার গানে উমা ও মা মেনকার মাঁন- অভিমান ও স্লেহবিহবল ভাঁবটি সুন্দরভাবে প্রকাশিত । উমা বিবাহের পর হরের ঘরণী । শিব শ্মশানে মশানে ঘ্ৃরিয়। বেড়ান, তিনি দিগন্বর, নেশা ভাঙ্গে মত্ৃ--ঘরকন্নায় তেমন মন নাই। এহেন বরের হাতে পড়িয়া বালিক1 উমার কি যে কষ্ট ও হেনস্তা তাহা স্রেহাতুরা জননী মেনকা ভাবিয়া পান না। তাই মায়ের মনে কন্যা! উমার জন্য নানা আশঙ্কা ও উদ্বেগ । ( চিত্রে মেনকা'র হৃদয়াতির মধ্যে ফুটিয়া উঠে । উমাও মায়ের প্রতি অভিমান প্রকাশ করে । আগমনীর গানে পদকর্তী সেই জাতীয় মানসের আবেগ সঞ্চিত বেদনানৃভূতিকে অপূর্বভাবে বিধৃত করিয়। তুলিয়াছেন। ) বংসরাস্তে একবার কন্যাকে পিতৃগ্ৃহে আনিবার জন্য মায়ের গভীর ইচ্ছা । শয়নে স্বপনে মাতা কন্যার চিস্তায় বিভোর । স্বামী গিরিরাজকে ত্বরায় কন্যা উমাঁকে আনিবার জন্য অনুরোধ উপরোধ করেন। গিরিরাজ গিরিরাণীর কথা উপেক্ষা করিতে পারেন ন! অথচ টকৈলাসে যাতায়াত হয় না, নিত্য নান! অজ্বহাত দেখান । পিতা অপেক্ষা মায়ের মন দ্রবময়ী। কন্যা শরতে তিন- দিনের করারে কৈলাস হইতে আসিতেছেন হিমলয়-গুহে-__তাহার জন্য কত আয়োজন । কন্যার আগমনের সংবাদে মেনকা। বকিদ্বারে দণ্ডায়মান! । ছুই বাহু প্রসারিত করিয়। স্লেহবন্ধনে কন্যাকে বক্ষে জড়াইয়া আলিঙ্গন করিয়! গ্রহে তৃলিয়াছেন। সপ্তমী, অফ্টমী, নবমী ছর্গাপূজার তিন দিন আনন্দের সঙ্গে জননীর সাহচর্ষে কাটিয়া! গেল । এই তিন দিন বাঙ্গালীর ঘরে আনন্দময়ীর আগমনে কলরব মুখরিত হয়. ঘরে ঘরে বাঙ্গালী কন্যা শ্বশুরালয় হইতে পিতৃগ্রতে আগমন করে । স্েহব্যাকুল মাতৃহদয়ের আবেগমথিত আনন্দলহরী তরঙ্গায়িত হইয়া উঠে। অগ্রাপ্তবয়স্কা আগমনী ১ বালিকা! কন্যার স্বামীগৃহে লাঞ্চনার জাতীয় চিত্র মেনকার হৃদয়শতির মধ্যে ফুটিয়া! উঠে | উমাও মায়ের প্রতি অভিমান প্রকাশ করে । আগমনীর গানে পদকর্তাগণ সেই জাতীক্স মানসের আবেগসঞ্চিত বেদনানুভাতিকে অপূর্বভাবে বিবৃত করিয়! তুলিয়াছেন। ওহে গিরি আন গৌরী নিশাশেষে স্বপনে হেরি মানাকি গো শ্মশান বাসী দুর্গাতার। যুগল হাতে মৃণ্ডমাল। রণাঙ্গনে স্বপনের ঘোরে উমা ডেকে ফেরে কবে দেবে এনে মোর প্রাণধনে সাজায়েছি মঙ্জল ঘট মাত্র তিনটি দিনের তরে ফুল ফল ছয়ট। বলি অধ্্য সাজাই মোর ভকতি ভিক্ষা) মাগি চরণ ধরি দুঃখ মার বলিতে নারি । যোগিণী বেশে শিবের পাশে এলো কেশে চোদ্দ ভবন বেড়ায় ঘুরি । বরাভয় কণ্ঠে রয় কালীরূপে নৃত্য সাজে মাকে হেরি । মা মাডাকে পাই চেতন ও গিরি তুমি ভাই বলনা! গৃহদারে আনি ভরে হবে যে মাকে ঘরে আনা । নানা জাতি মোর শকতি পাই যদি মা শবাসনা। শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ দেখবি যদি বঙ্গবাসী অকলঙ্ক উমাশশী আয় না আমার অঙ্গনে। কত আলো ঝলমল চারিদিক সমৃজ্বল অমল কিরণ প্লাবনে ॥ মসীমাথা পূর্ণশশী ল্াজে নভে আছে মিশি শত চন্দ্র মার চরণে। বাসনা রামের মনে ধাধ্‌বো বাসা এ চরণে বসিয়ে হৃদি পদ্মাসনে ॥ শি শাশপাপাদ শপ শাাপাশীপীপাদাদ শি বড় আনন্দে থাকি উম! তুই এলি মা! আমার ঘরে সারা বছর আশ। করে পেলাম তিনটি দিনের তরে । আড়ম্বরে হয় আয়োজন কত করি বাদ্যি বাজন কামনা! মোর রাঙা চরণ পেতে চাই মা বক্ষে ধরে। বোধনের ডাক কেঁদেফেয়ে ঘুমায় নাকি মা টৈলাসে করছে মানা দত্যি দানা অসুর পলায় সেই তরাসে। পাষাণবাপ মায় নেই তারে করে অর্পণ এমন বরে অপমানে লাজে ভরে আপন ভাই পরাশ নাশে। আন্তে গৌরী যাবে গিরি তাইত প্রাণ আছি ধরি চিস্তামণি মা আমারই হদে ধরি রাখবে পাশে । পপ সপ আপস ত ১ পপ আজ আগমনী ১১ ৯২ তুই ছিলিস্‌ মা ঘুমছোরে বোধন ক'রে ডাকি তোরে তবু তোর মা হয়ন দয়া মহামায়। আয় মাজ্রঞোড়ে। মায়ের পরে নেই মা মায়া তিনটি দিন পাব ছায়া সেই আশাতে ও অভয়। বসে আছি পথের দোবরে । সদাই মা মা বলেডাকি দিস্নে মা আমায় ফাঁকি ঘুম নেইগো জেগে থাকি দেখি স্বপন নিশি ভোরে। ও মা উমা তোর তরে মায়ের যুগল আখি ঝরে বুড়ে! এক শিব নাকি মায়ের প্রাণে বেদনা কত ভাই বিবাগী রয়না ঘরে বাপ যে পাষাণ মুতি ধরে। ষাড়ে চড়ে ভিক্ষা! করে জানাই কারে লাজে ডরে। তোরই আগ-মনের লাশি নিশিদিন মা রইনু জাগি শিবের কাছে ভিক্ষা মাশি আয় মা তিনটি দিনের তরে। শিবের ঘরে কত্াল। শুনে কান ঝালাপালা ভাঙ্গ- খেয়ে ভাক্ষর ভোল' তোর চরণই বক্ষে ধরে। ওহে গিরি গৌরীবিনে শান্তিরয়কি মায়ের প্রাণে তার কথ! আর জানাই কারে যুদ্ধ ক'রে রাত্রি দিনে। পাষাণ বাপের পাঁষাণী মেয়ে কেন মা তুই বেড়াস্‌ ধ্্‌ মায়ের বুকে থাক্‌ ন! শুয়ে বছরে এই তিনটি দিনে । শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ কখন মা! অন্নপূর্ণা দশমহাবিদ্যাধন্! উমা আমার সাধের বন্থা প্রাণ ধাচে না সে মা বিনে। রইলি উমে কেদে কেদে হলেম সার। কোথায় ঘুমে মায়ের পরে নেই মমতা পাষাণী তোর এই কি ধার!1। বছরে মাত্র তিনটি দিনে পাই যে মোর উমাধনে পূজ্‌তে তোরে নিশিদিনে উপচার মোর হৃদয় ভর।। স্বর্গমুখ মা মা বোলে সেই সুখে মোর পরান ভোলে আয় মা এবার আমার কোলে ঘটেপটে রূপে তারা । এনে দে মোর উমা ধনে প্রাণ ধাচে না মেয়ে বিনে শুনছি নাকি মা ষাাড়ে চড়ে হরের সাথে ভিক্ষে ক'রে অন্নদ' রূপ কত ধরে অন্ন বিলান লক্ষজনে জামাই ভোলা দিগম্বর ভস্মভূষণ ফণিধর ভালে অধচন্দ্র কল? অশ্িচাল' ত্রিনয়নে সভা মায়ের পতি শিরে হরের সনে পাবতীরে হেরে-সদাই রোষ ভরে ঈর্ষার কত জাল বোনে। এবার তবে উম এলে রাখবে তারে বসিয়ে কোলে ভূলিয়ে দেব ভোলানাথে ভাঙ্গের বাটি হাতে এনে । আশমনী ৯৩ উমা আমার এল কই সে ত আমার কোলের মেয়ে জানে না আর আমা বই আমি ত আর সইতে নারি ওহে শিরি আন গৌরী এ প্রণণ বা কিসে ধরি এ দুখ বা কারে কই। বিল্বমূলে বোধন করি ডাকি আমার উমা গৌরী মা বুঝবি গো গোসা কৰি রাতে বলেন হেথায় শুই । জয় তোর! যাবি প্রাতে হয় হত্তী নিয়ে সাথে আন্বি না হয় স্বর্ণরথে তোর ত তাঁর প্রাণের সই। তিনটি দিন রাখবো বলে বাখুবি মায়ে কোন ছলে ৯৪ দিবানিশি উমা শশী উদয় হ'লে সুখে রই । মাআসেরে মা আসেরে শোন্রে তোরা পাড়াপডশী বারে বারে অস্ত্রধ'রে মায়ের বর্ণ হ'ল মসী। দেষতারা সব পিছন হ'তে অন্ত্রযোগান মায়ের হাতে দৈত্য নিধন দিনেরণখতে কালী হ'ল উমাশশী । অকালবোধন বিল্বমূলে যোগনিভ্রা ভাঙ্গবে বলে তিনটি দিন মাকে পেলে ধন্য হবে বঙ্গবাসী। ঘরে ঘরে মেনক! রাণী পাষাণ বাপ তুই পাষাণী কাতর ক্ঠে ডাকৃছে শুনি তুইবিনেমা সব উদাসী। ক্ঠামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ ষ্ঠীতে মা বোধন সারি আছি মাগো উম? স্মরি আস্বিকবে শিরির ব।ড়ী দয়া তোর মা কবে হবে। সেই রাতে মা বিল্রমূলে থাকৃতে কি হয় মাকে ফেলে আস্বি ষখন মায়ের কোলে তিন দিনঘে পেরিয়ে যাবে জয়। তুই যাবি ভোরে মাকে আমার আন্বি ধরে রাখবে তারে বক্ষে ধরে শান্তি পাই না শিবকে ভেবে । নাহি কোন কলার ক্ষয় দেখবো পূর্ণ: চক্ত্রোদয় অকলঙ্ক শুধু ভয় আবার কি হায় ডুবে ষাবে। যাও হে শিরি কৈলাসপুরী মা বিনে আর প্রাণ বাচে লা ও পাষাণ স্বামী কিবা করি আমি মায়ের বেদন তুমি বোঝ না। মেয়ে আমার ভল্কম ভূষ তথা সেথা গোৌরবর্ণ কালী নামে মায়ের আমার ভিক্ষার ঝুলি ত্রিভুবন কি আছে কি সোনার অঙ্ে মেখে বঙ্গে হরের সঙ্গে বেড়ায় তুমি তাও জান না। হ'ল মসী ডাকৃলে খুশী হাতে অসি দিগ্‌বসন! বসন বিনা । স্কন্ধে ধরে বেড়ায় ঘুরে নাই ঘরে জামাই তার খেশক্জ রাখে না। কোন্‌ অভিমানে হরের ঘরে রইলি উমা বছরতরে তিনটি দিন পাবার আশায় আছি মাগে। প্রাণটি ধরে। আস্বি বলে শিবের সাথে চুয়াচন্দন ছড়াই পথে মঙ্গল ঘট আঙ্গিনাতে আয় মা গণেশ সাথে ক'রে । ভাঙ্গ খেয়ে মা নেশার ঘোরে , জামাই বেড়ায় পথে ঘৃরে সেই ত ভোলা ভিক্ষা করে শুনে প্রাণ কেঁদে মরে। এবার পেলে ছাড়্‌ৰে। না আর রাখবে মায়ে লুকিয়ে ঘরে রেগ্র বলে এ চরণে বেধে রাখ মন পরাণ ভরে । শুনি মেনকাঁর কথা আনিতে কন্যার বাঁরত। দ্রুত গেল হিমালয় কন্ত। তার রয়েছে যথা । আনন্দে কৈলাসপুরী যেথা আছে ত্রিপুরারী চলে গেল ত্বরা করি হরষ মনে না সরে কথা । মাত্র তিনটি দিনের তরে মারে নিতে হবে ঘরে যদি মত না করে হরে না বুঝে মার কি মমতা । কন্যা আসি নমিতে চায় বারণ তরে ধায় তরায় দেবগণ যার নমে পায় তার সাজে না নীচু মাথা । আজি কি আনন্দ ধরণীতে মা এসেছে আঙ্গিনাতে বরণ করে নাওরে মন আজিকার শুভগ্রাতে মার নামেতে পুর্ণ কর! মঙ্গলঘট হল ভরা শ্যাম1-সঙ্গীত-সংগ্রহ আত্ম পল্লব রাশি রাশি গন্ধপুষ্প দেব এবার ঘয় সাজাতে বারবার আরও যত উপচার আন্‌ গো তোর করি ত্বরা পূজার বেলা যায় নাষাতে। বস্বে। এবার নিরজনে চল্বে পৃজা অর্থ্য দেব হৃদয় রাজ্য হিমাচল গিরিরাণী আলো! করে ত্র করে যুগল শিশু নিশিদিনে খনে মনে মার পৃজাতে । উম] তব এল ঘরে মঙ্গলঘট আন ভরে। লয়ে কোলে ডাকে তোমায় মাম বলে ভাগ্যবতী যতনে রেখ তোমার এই নাহি জ্ঞানে দ্বিজরেণু হের মায়ে পালিয়ে যেতে পাবেনা সে রাণী তুমি ভোল। যেন আগমনী ব. বি./শ্যামা-সজীত/৩২-২ হেন মেয়ে ধর উদরে। হৃদি কোশে উম ধনে বাধ তারে প্রহরী সে অনিমিষে ভক্তি বাধন ছিন্ন করে। স্নেহ ডোরে। ৯৭ বিজয়া শাক্ত পদাবলীতে আগমনী ও বিজয়। বিষয়ক গানগুলি যেন এক স্বরে, এক সূত্রে গাথা হইয়াছে। উমার শরতের তিন দিন হিমালয়-গৃহে আগমন উপলক্ষে উমা ও মেনক1 এবং গিরিরাজের যে মনোভাব ব্যক্ত হইয়াছে সেইগুলিই আগমনী নামে পরিচিত। এবার পুনরায় হরজায়ার হরের সহিত কৈলাসে ফিরিবার পাঁল1। মেনকার মন কল্াকে ছাড়িয়! দিতে চাহে না, কন্যাও পিতৃগৃহ হইতে চলিয়া যাইতে হইবে বলিয়] কাদিয়! কাটিয়া আকুল- আহার পরিত্যাগ করিয়। শয্যাগ্রহণ করিয়াছেন । জননী ভাবিতেছেন 'নয়নের মণি, বালিক1 উমাকে ছাড়িয়1 কিভাবে প্রাণে বাচিবেন। কৈলাসে উমার কত ন। কষ্ট । তাই মেনকা জয়া-বিজয়াকে বলিয়াছেন নিদ্রিত উমাকে ন৷ জাগাইতে । হিমালয় গৃহ হইতে উমার বিদায় পর্বের গানগুলি লইয়! বিজয়ার গান রচিত। এইগুলি মাতৃ-হদয়ের মম্নবেদনার রসে অভিসিঞ্চিত । দশমীতে মায়ের বিসর্জন, উমার কৈলাসে প্রত্যাবর্তন । নবমীতে শেষ- দিনের মত উমার অবস্থান । বিদায় আসন্ন ভাবিয়। স্লেহমক্ষী জননীর হৃদয় বিচলিত হইয়। পড়িয়াছে। নবমীর নিশি যেন আর না পোহায়। তাহা হইলে কল্তাকে আর পাঠাইতে হয় না। এই হইতেছে মায়ের বেদনাতুর মনের অভিব্যক্তি । কবির গাঁনে মাতৃহৃদয়ের সেই গভীর ইচ্ছা! অভিব্যক্তি লাভ করিয়াছে বিজয়ার পদে-_ “নধমীর নিশি তুমি যেও না। তুমি গেলে মোর উম যাবে সে ব্যথা প্রাণে কেমনে স+বে আর ত তারে রাখা যাবে না। আস্বে হর তারে নিতে-_কার্তিক গণেশ যাবে সাথে দশমীতে বিজয়] ভুলবে ন1।” মানবধমমী হৃদয়াবেগের নিবিড়, গভীর পরিচয় বাৎসঙ্যরসের চিত্রের মধ্যে উদঘাটিত হইয়াছে । মেনক1 বৃুঝিতেছেন উমা আর তাহার ন।ই। ছিভুজ! আজ চতুর্ভুজ1 হইয়াছেন, দশভুজ1 হইয়াছেন । কন্যা আজ দেবীত্ে পর্যবসিত হইয়াছেন, কিন্ত তাহাকে ঘরের কন্তারূপে পাইতেই কবিকুল আকুল। বঙ্গজননীর অন্তরের স্তেহবিহ্বল বিরহাতুরতা তাই বিজয়ার গানে রসনিবিড় বাঙ্মূতি লাভ করিয়াছে । ১৮ ম্যামা-সঙ্গীত-সংশ্রুহ গিরি তৃমি পাষাণ বাপ দেখ লাই গো নয়ন মেলে কি ছথে মার দিন যেষায় থাকৃতে নারে আমায় ভুলে । জগতে তোর আস্তে হবে জগং ছাড়! ম1] আমি কবে অসুর দলন করতে কেন রং করেছিস্‌ কালি গুলে। গিরিপুরী আধার করি তুই কি যাবি ও মা গৌরী তিনটি দিন থাকৃবি কাছে আশায় থাকি বর্ষ ধরি। জগন্মাত। তুই যে তারা আমি কি মা জগৎ ছাড়। তবে কেন এমন ধারা ছেড়ে যাও মা শঙ্করী ৷ অন্নপূর্ণা কাশীধামে অন্ন্(টে তোমার লামে শিব কেন যেভিক্ষা করে পাইনে দিশা চিত্ত! করি । কেন বেড়াও রাজ-বিয়ারী সাথে নিয়ে শিব-ভিখারী হৃদমন্দিরে যতন করি গৌরী হরে রাখবে! পৃরি । জামাই এলে তোরে নিতে প্লারুবেো না আর ছেড়ে দিতে অকলঙ্ক উমাশশী দেখবে উদয় দিনে রাতে । ঘর বাধে সে দুঃখ সয়ে আমার সাধের ছোট্র মেয়ে কেমন করে রব জিয়ে পাঠিয়ে তোরে কৈলাসেতে । শব সেজে আছেন ভূলে ঘর দেখে না চোখটি মেলে ক্ষ্যাপার হাতে দিয়ে তুলে পারি না আর দুখ সহিতে । ৯৯১ আজ বিজয়া ওঠ মা জয়া দিস্‌ নে ছেড়ে মা অভয় কৈলাসেতে আর পাঠাস্‌নে শিবের বুকে নেইক মায়? কত চেস্টা যতন করি মেয়ে আনি শিবকে ধরি বিদায় দিতে প্রাণে মরি মেয়ের ম1! কি অসহায়া | জবার মাল! এ চরণে দিয়ে ভক্তি সচন্দনে পূজ। ভোগ অর বলিদানে রাখতে চাই ম] হরজায়া। শক্তি নেই মা রাখতে ধরে তাইত পলায় শিবের ঘরে মায়ের আদর হেল করে যায় সে চলে নেইক মায়া । ওঠ মা জয়। ও বিজয় আজ যে আমার উম] যাবে । শূন্য করি গিরিপুরী উমা যাবে হরের বাড়ী কেমনে রব মাকে ছাড়ি মা ডেকে আর কে শোনাবে । নবমীর শুভনিশি মোর ঘরে থাক বসি হেরি উমা মুখশশী * তুমিও যে আনন্দ পাবে । ওরে বঙ্গবাসী শোকে ভাসি বিদায় দাবি চোখের জলে । টি তিন দিনেতে মেটে না আশ বিচ্ছেদ স্মরি হা? হুতাঁশ দৃঢ় কর্নারে ভক্তি-পাশ মা যে তোদের যাবে চলে । পূজা ভোগ আর আরতিতে রইলি শুধু আপনি মেতে শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ বসিয়ে কেন হৃদাসনে দিলি না মন চরণতলে | পুরোহিতের মুখে শুনি পুনরাগমনের বাণী মার কাছে কি সেই ধ্বনি দেবে অভয় ভক্ত দলে। রবি তোমার হবে উদয় তাইত আমার প্রাণে ভয় অভয়ার পাই নে অভয় আমায় ছেড়ে যাবে চলে। দশমীতে মার বিজয়! আয় দেখি মা ওগো জয় রাখে না সে মায়ের মায়া যদি কথায় থাকে ভুলে । এ আসে এ পাগল! ভোল। নন্দী ভূঙ্গী সঙ্গে চেল তাকে আমার মিছে বল! থাকৃতে নারে উমা ফেলে । “ওম বলে এবার এখন বুকে ধরে ফিরিয়ে দেব শিব নাকি ভূত নাচায়ে শান্তি নাই তাই ভন্ম মেখে শ্বাশান মশান বিশ্বভুবন বিজয়! কাদে উমা তাও কি মন তুই জানিস্‌না। মাকাদে যদি বাঁখবে। নিধি শিব আদি জামাই বলে মানবো না। ভিক্ষা ক'রে ফেরে দোরে তোমার তরে মায়ের কথা ভেবে দ্যাখ মা। লারা অঙ্গে ক্ষ্যাপার সঙ্গে বেড়াস্‌ রঙ্গে এবার কাছে থাক্‌ মা শ্যামা । ১ ৬ বেদনা কত তুমি ত ছে দিতে হয় সে দশমশতে রবে ছাড়ি গিরি তৃমি কি দুখে মার অসুর দলন বিশ্ব ধাচে কেমন করে ননমীর নিশি জয়া তুই ম! মায়ের প্রাণে পাষাণ স্বামী মেয়ে ধরে রাখতে নারি পরের ঘরে বধ পরে মাত্র তিনটি বিদায় ক'রে শোন ওহে জামাই এলে কৈলাস ভূমি পাষাণ বাপ দিন যেষায় জগতে তোরে জগাং ছাড় মা করতে কেন মা বেড়ায় যে রাখতে নারি তারে পূজে তিনটি দিন দিতে চায় মা তারে রাখি তুমি গেলে যাবি দূরে জামাই যদি শুধায় আমার বুঝবে শিরি বুঝবে না দুখ বুকের প'রে আপন করে বেদনা তার এল ঘরে দিনের তরে কোথায় রব রাজা স্বামী বলে তুমি হরগোরী দেখ নাই গে থাকতে নারে আস্তে হবে আমি কবে রং করেছিস্‌ রণ সাজে হাদয় মাঝে তাঁইত যাচে মাত্র থাকি আমায় ফাকি মায়ের কথ)' জামাই আমার রাখবি মায়ে আসে হেথ! মায়ের কথা তুমি কেমনে মায়ের মলে। সয় কি প্রাণে । কিসের টানে। হেরি নয়নে। নয়ন মেলে আমায় ভূলে । কালি গুলে। চরণ তলে। দেবে ঠেলে । আস্বে চলে কোনও ছলে। শ্যামাসঙ্গীত-সংগ্রহ গোপন করে সেইবারতা বুক ভাসাবে। নয়নজলে । যষোড়শোপচারে বরণ করে মেয়ে জামাই রাখবে ধরে হয়ত ভোলা আমার ঘরে থাকৃবে আমার কথায় ভুলে । হৃদাসন পেতে বাখি হরগোরী মিলন দেখি জুড়াবেরে মনের আখি সেইআশায় হৃদয় দোলে। বিজয়! সপ শিপ পর নবমীর নিশি তুমি যেও ন। তুমি গেলে মোর উমা যাবে সে ব্যথা প্রাণে কেমন সগবে আর ত তারে রাখা যাবে ন! আস্বে হর যে তারে নিতে কান্তিক গণেশ যাবে সাথে দশমী বিজয়! ভুলবে না। তাই ভেবে মা আগের নিশি মা'র শিয়রে ছিলাম বসি নিশাশেষে না পায় চেতনা । তোরা ভুলিয়ে রাখুবি ছলে তাতে যদি কউ মন্দ বলে তবু মেয়ে আমি পাঠাব না। সমস ওহে পিরি রাখ ধরি তনয়ারে আদর করি দেখ যেন মা চলে যায়না । দশমীর ভর পরাতে আসে হর তারে নিতে কেমনে রাখি করি ছলনা । তুমি ত পাষাণ পতি না বোঝ আমার মতি মা গেলে মোর যায় চেতনা । জামাই পাগলা ভোল। ভূত প্রেত আছে চেল! মেয়ে ভাবে কি তাই দেখ না। ২৩ ০] শোন হে পাষাণ গিরি আশা করি আন গৌরী তিনদিন প্রাণে ধরি ছাড়িতে মন চাক্স ন।। হর এলে দিও বলে থাকৃবে মা মোর কোলে ছাড়ব না৷ তারে যেতে আভরণ দেব নানা। নন্দীভূঙ্গী লয়ে সঙ্গী জামাইএর কত ভঙ্গী সেই রঙ্গে মা যেরঙ্গী তাও কি তুমি জাননা । যদি তার ফেরে মতি হৃদাসন দিব পাতি হরশোরী দিবারাতি মিলন-ছাড়! রাখবো না। যেও না যেও না যেও নাহে যেও না নবমীর নিশি তুমি গেলে অস্তাচলে যাঁবে মোর উমাশশী । সম্ভান হার!য়ে জ্বালা সহিতেছি ছুটি বেলা আধার নয়নে মোর দেখি চেয়ে দশদিশি । হেরিয়ে মা উমাম্বখ ভরে উঠে মোর বুক উমা গেলে হিমালয় ঢাকা রবে গাঢ় মসী। উদয়েতে দিনমণি আসে শিব গুণমণি শোনে না আমার কথা উম! নিতে রবে বসি। স্যাঁমা-সঙ্গীত-সংগ্রহ বিজয় শোন শো মা বিজয়া জয়া আর জাগাস্‌ নে মোর অভয়! জাশগিলে সে যাবে চলে দশমীতে মার বিজয়া! | নন্দীভূঙ্গী লয়ে সাথে আস্বে হর তারে নিতে বুক ফেটে যায় আচস্থিতে পাব না যেমায়ের মায়া । বিল্বপত্র চরণে ধরে আশুতোষে ফেরাও ঘরে সতার কাছে পাঠিয়ে ভরে শাস্তি পায় না আমার কায়া। পাস পা যেও ন। যেও না নবমী রজনী সাথে লয়ে এ তারাদলে তুমি গেলে হই তারা-হারা নয়নতার! ভাসে জলে । প্রাতে শুনি পার্খীর গাঁন আনচান করে প্রাণ মা হারা দুখে কেমনে সুখে রইব আমি এই অচলে । দ্বিজরেণ কহে বাণী শুনগে! মা গিরিরাণ্ণী লুকায়ে মারে রাখ হাদে শূলপানি না জানে ভুলে । ওঠ মা] জয়া ও বিজয়! আজকে যাবে মোর অভয়! । বিল্বপত্র চরণ ধরে ভাঙ্গ দিও মা হাতে করে যদি মত মা করে হরে পাব তখন মায়ের মায়া । রবি যবে ভোরে উঠে নন্দীভূঙ্গী মাথা! কুটে ২৫ ১৬০ মাকে মোর আসে নিতে পাব না আর শ্লেহের ছায়া । হৃদ্গগনে উমাশশী যদি থাকে দিবানিশি অন্তরেতে দেখে হাসি শেষ হবে এ আসা-যাওয়। । শোন গিরি আর ত গৌরী পাঠাব না শিবের ঘরে নন্দীভৃঙ্গী ক'রে সঙ্গী আসে যদি ফেরাও হরে । সোনার বর্ণ হল কালি আমার উম! কেন কালী দুর্গারূপে বেড়ায় ছলি কত কথ। বলে পরে । শিব নাচে গো কত রঙ্গে নন্দীভূঙ্গী ভূতের সঙ্গে ছাই মেখে মা আপন অঙ্গে তারই সাথে সদাই ফেরে। এবার আমি যতন করে রাখবে মায়ে বক্ষে ধরে পাষাণ বাপ কেমন তুমি প্রাণ কাদে না মেয়ের তরে । রবি তুমি উদয় হ'লে কেন আজি গগনপটে ত্বমি এলে উম] ষাবে বুদ্ধি নাই কি একটু ঘটে । লুকিয়ে হদিন থাক যদি উম? পাব নিরবধি বুকে রেখে দেখবো! নিধি বলি তোমায় অকপটে । নবমীর সারা নিশি হিল গোরী কত হাসি জয়া মায়ে ধর্‌ মা আসি সখীহারা ছখ তোরও বটে । স্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ বিজয়! নবমীর চাদ যেও না চলে মারে রাখি কোন ছলে ভাঙ্গ খেয়ে ভাঙ্গর ভোলা! আছেন গৃহ-কম ভূলে । নেশার ঘোরে বেড়ান দ্বরে জাখি যে তার পড়ে দুলে ॥ সদাই গতি ভূতের সঙ্গে প্রলয্প নাচন নাচেন রঙ্গে গৌরী আমার সোনার অঙজে মাখেন ছাই হাতে তুলে। মায়ের প্রাণে কি বেদনা জেনেও গিরি তাও জান ন৷ শিব-শিরে অন্যজন! কেমনে তা বলি খুলে । ২৭ মায়ের রূপ মহাশক্তি বা আদ্যাশক্তি জগন্মাতা দক্ষতনয়! সতী হইতে বিবতিতরূপে পার্বতী-__ উম], চণ্তী ও শেষ পর্যন্ত কালী বা শ্যামাতে বূপাস্তরিত হইয়াছেন । তাই সাধকের চোখে শিবজায়। উমাই পরবর্তীকালে কালীরূপে বিধৃত হইয়াছেন । মহাশক্তি মহামায়া মহালক্্ী, মহাসরস্বতী ও মহাকালী এই ত্রিবিধ দূপ পরিগ্রহ করিয়াছেন । মহাঁকালী তামসী ও খণ্বেদরূপ1। তিনি সাধকের চোখে অপরূপ রূপে সজ্জিত1। এই কালী সম্পর্কে বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্ন কাহিনী শোনা যায়। তাহাতে ইহাই প্রতিপন্ন হয় যে সতী- হিমালয়-গৃহে পার্বতী প্রথমে কালীরূপে জন্ম গ্রহণ কয়েন এবং পরে কঠোর তপফ্যার পর গোৌরীবূপ ধারণ করেন। "চণ্তী”তে পাওয়া যায় শুস্ভ-নিশুভ্ভ বধের সময় পার্বতীর দেহকোষ হইতে কালী নিঃসৃত! হয়ে চণুমুণ্তকে বধ করেন। আবার অন্য রূপও দেখা যায় যে অন্বিকার ক্রোধের কালে “তাহার ভ্রকুটি কুটিল ললাট- ফলক হইতে দ্রুত অসিপাশধারিণী করালবদন] কালী বিনিক্রাস্ত হইলেন। “জকুটি কুটিলাং তস্য! ললাট ফলকাদ্‌ দ্রুতম্‌ কালী করালবদন] বিনিজ্ঞান্তাসিপাশিনী ।” বিনিজ্ঞান্তা কালী মহ! অসুরগণকে বিনাশ করিতে ও সৈন্যগণকে ভক্ষণ করিতে লাগিলেন। এই কালীর উল্লেখ বেদের মধ্যে, মহাভারতের মধ্যে, কালিদাসের কুমার- সম্ভবের মধ্যেও পাওয়া! যায়। তাহা ছাড়! বিভিন্ন পুরাণ-তন্ত্রের মধ্যেও কালীৰ বিভিন্ন বর্ণন। পাওয়1 যায় । প্রায় সবত্রই কালী কৃষ্ণবর্ণ1, রক্তলোলুপা, ভয়ঙ্করী রূপেই দেখ! যায়। তিনি শব ব' শিবারূঢা_-শিবের হদয়োপরি সংস্থিতা। এই শিবই মহাকাল । তিনি সব প্রাপীকে কলস বা গ্রাস করেন, কিন্তু দেবী মহাঁকালকেও গ্রাস করেন বলিয়া তিনি আদ্য! মহাকাঁলিকা--তিনি কালী। তিনি আদিভূতা সনাতনী । বর্তমানকালে কালীমায়ের যে রূপ আমাদের দেশে মাতৃপুজায় দেখা যায় তাহা কৃষ্ণানন্দের তন্ত্রসারে (কালী তন্ত্র) কালীর ধ্যান হইতে গৃহীত। দেবী করালবদন1, ঘোরা, মুক্তকেশী, চতুর্তৃজা, দক্ষিণা, দিব্যা, মুণ্ডমাল1 বিভৃষিতা, বামহস্তযুগলের অধোহস্তে সদ্যশ্ছিন্ন শির আর উধ্বহস্তে খড়গ, দক্ষিণের অধোহস্তে অভয়, উধ্বহন্তে বর । দেবী মহামেঘের বর্ণের হ্যায় শ্বামবর্ণী (এইজন্াই কালীদেবী শ্যাম! নামে খ্যাতা ) ২৮ শ্যামা-সজীত-সংগ্রহ এবং দিগন্বরী ; তাহার কণ্ঠলগ্ন মুণ্ডমাল। হইতে ক্ষরিত রুধিয়ের ধারায় দেবীর দেহচচিত আর দুইটি শবশিশু তাহার কর্ণভৃষণ। তিনি ঘোরভ্রংঙ্টী, করালস্যা, পীনোন্নত পয়োধর।, শবসমূহের কর ছারা নিশ্িত কাঞ্চী পরিহিত। হইয়া দেবী হসম্ুখী। ওষ্লের প্রান্তদ্ধয় হইতে গলিত রক্তধারা দ্বারা দেবী বিস্ফুরিতাননা, তিনি ঘোরনাদিনী, মহারোদ্রী,_ম্মশান-গৃহ-বাসিনী । বাল- সৃ্যমণ্ডলের ন্যায় দেবীর ত্রিনেত্র ; তিনি উন্নত দস্তা, তাহার কেশদাম দক্ষিণ- ব্যাপী ও আলুলায়িত। তিনি শবদূপ মহাদেবের হদয়োপরি সংস্থিতা, তিনি চতুর্দিকে ঘোর রবকারী শিবাকুলের দ্বারা সমস্থিতা । তিনি মহাকালের সহিত “বিপরীত রতাতুরা”, সুখপ্রসন্নবদন এবং স্মেরানন 'সরোরুহা? | কিন্তু এই ভয়ঙ্করী কৃষ্ণবর্ণ কালীর রূপ সাধক ভক্তের কাছে পরম মনোরমা। তাই রামপ্রসাদ প্রভৃতি কবিকুল এই কালীমায়ের রূপাঙ্কনে উল্লসিত । এখানে লেখক ভক্তকবি রামরেণু তাহার পদগুলিতে মায়ের সেই রূপ বর্ণন! করিয়। মায়ের শ্রীচরণে ভক্তিপুষ্পাঞ্জলি প্রদান করিয়াছেন-__ কার মুণ্ড গলায় দিয়ে তুই সেজেছিস্‌ মুণ্ডমালী প্রলয়কালে শয়ন ছিলে মুণ্ড তথন কোথায় পেলি। শত্রু তোর শবাসন। রক্তে তার কি শেষ কামনা তাই সেজেছিস্‌ লোলরসন৷ আদ্যাশক্তি বল্‌ মা কালী । কেন মা তুই দিগন্বরী উধ্বহাতে খড়গ ধরি নরকর কাঞ্চি ভরি ওরূপে কেন বেড়াও ছলি। আসল তোর রূপটি জানি ভবানী তুই ও জননী রেণূর তাই ভয় ভেঙ্গেছে আনন্দে দেয় করতালি । আর এ 'গরব করা মাতৃরূপে বিমুগ্ধ কবিমন সানন্দে ঘোষণা করে যে, তাহার "নয়ন তারা'র রূপের আলোয় বিশ্ব উজল, কোটি চন্দ্র চরণতলে । মায়ের দপ ৯ কেমন করে জান্লিরে মন মা! আমার হয় করালী নয়ন মেলে দেখলি চেয়ে রূপটি মায়ের মুণ্ডমালী । লোলরসনায় রক্ত ঝরে উধ্ব হাতে খড়গ ধরে শ্মশান মশান বেড়ায় ঘুরে দিগন্বরী বেশে কালী শব শিব চরণে পড়ে দেখে নাই মা পিছন ফিরে কাটা মুণ্ড হাতে ধরে তাখৈ থিয়ে নাচে খালি। চরণতলে কিরণ ছটা এলোকেশীর কেশের ঘট দেখে রেণু নয়ন ভরে ভক্তি অধ্য দেয় মা ডালি। নরকর কাঞ্চি মালা কর্ণে শব-শিশু দোলা বরাভয় হন্তে ধরি বিশ্ব রাখেন রক্ষাকালী। ভুবনমোহন রূপটি কোথায় পেলি মাগে। বল মা শ্যামা রূপে পাগল বিশ্বভূবন দেব দানব করে 'মা' মা | চরণে তোর সোনার নৃপুর | বাজে রুণু ঝুমৃর ঝুমুর সাধ যায় মা ছ্বিজ রেপুর হাদে ধরে মা হরের বামা। কণ্ঠে মা তোর মণির খেলা রেণুর হৃদি করে আলা শ্যাম।-সঙ্গীত-সংগ্রহ মায়ের রূপ রত্ু মুকুট শিরে ধরি রাজরার্ণী তুই শিরির উম1। নয়নে তোর কনককিরণ উজলে এই তিনটি ত্ববন হাদি পদ্ম বিকাশ করে ঈাড়াও দেখি মনোরমা। শুভ অগ্রহায়ণ দিগ্বসন। লোঙলরসনা ভেবে তোরে পাই নে মনে হ্যামারূপে দিগম্বরী জেগে আছ নয়ন কোণে । আশ্থিনে তুই দশতৃজা দীপান্বিতায় কালীপৃজা অন্ন দিতে অন্নদ1 গো জগগ্ধাত্রী পাই মা ধ্যানে । বেদমন্ত্রে বীণাপাঁণি ওকঙ্কারে তার উঠছে ধ্বনি আমি শুনি অভয় বাণী মা অভয়! দেয় মা চিনে মহামায়ার মায়! বশে রেণ আছে মা গৃহবাসে মা দেখে তাই লুকিয়ে হাসে ডাকৃবে তারে দিন্টি গণে। কাজ কি আমার নয়ন মুদে একুল। বসে কালী কালী নয়ন-পথে দাড়িয়ে আছে সামনে দেখি মৃণ্ডমালীী। মুণ্ডমালা. কণ্ঠে দোলে শবশিশু কর্ণমূলে জবার মাল। চরণ তলে আনন্দেতে মা মা বলি । কেউ বলে মা শবাসনা মন জাগে মোর ছন্দে নান! হদয়দলে করি স্থাপন! দেখি তারে নয়ন মেলি । ৩৯ ভ্বল করে রেণু এতদিনে ছিলিস্‌ কোথ। আপন মনে অভয়! মা মোর সামনে তাই দেখি মা! নয় করালী । ১৪ অগ্রহায়ণ ক!লো মেয়ের রূপ দেখে যা ওরে তোর নয়ন মেলি একৃলা ঘরে কোথায় বসে ডাকিস্‌ তুই কালী কালী । কাল মেঘ উড়ে হেসে ঘুরে বেড়ান দেশে দেশে এঁ ত মায়ের এলোকেশে কেশগুলি যায় আপনি ছলি। রাঙা রবির রাঙা করে রাখে মায়ের চরণ ধরে শশিকল। রাতের বেলা পদ নখে পড়ে ঢলি। গিরিচুড়ায় রত্তরাজি মার মেখল! আছে সাজি তারার মালায় মুণ্ডমাল| ডাক ছাড়ে এ মাভৈঃ বলি । তারই হাতে মরণ ধাচন ফুলের দোলায় মায়ের নাচন রেণুর মনে দ্যাথ্‌রে মাতন আনন্দে দেয় করতালি । ১৮ অগ্রহায়ণ ধ্যানে মায়ের রূপ চিনেছি শিল্পী পাবে কেমন ক"রে খড়-মাটিতে মৃতি বানান রং তুলি তার হাতে ধ'রে। কোটি চন্দ্র চরণতলে শত সূর্য কিরীটে ত্বলে তারার মালায় মৃণ্ডমাল। কঠশোভা আছে ভ'রে । শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ শিল্পী দেয় কেমনে জাকি মিটবে কি তায় মনের ফাকি রেপুকে নাও সাথে ডাকি মনে মনে রাখে গড়ে । সৌরজগং কিরণ মাগি ভ্রিনয়নীর নয়নে জাগি ধ্যানে মগন চরণ লাগি ঘ্বরে বেড়ায় গগন পরে । ২৮ অগ্রহায়ণ ' ভীষণ ভয়ঙ্করী ভীম নৃত্যতালে চলে বাম লোলরসনায় রক্ত ঝরে । কর্ণে শবশিশু তোলা কণ্ঠে দোলে মৃণ্ডমালা কাঞ্চি তব নর করে ॥ রাঙা পায়ে আলতা মাখ! নখের কোণে শত রাকা পাগ্‌ল। ভো।ল। চরণে পড়ে । উধর্ব হাতে নিয়ে অসি রণচণ্তী এলোকেশী স্বরাসুর কাপে ডরে ॥ অষ্ট হাসে বিশ্ব জাগে জননীর কৃপা মাগে তবু অভয় বিলায় করে । অবাক হ'য়ে মৃতি দেখে ছ্িজ রেপুর ছুটি চোখে প্রেমানন্দে অশ্রু ঝরে ॥ কে পরাল মুণ্ডমালা আমার ম্যাম! মায়ের গলে সেই আনন্দে মা যে নাচে সাম্নে আমার হৃতুতালে । রাজার মেয়ের এই কি ত্ৃষণ গৌরী আমার কালি বরণ নাম পেয়েছে মা ষে কালী মহাকালের বক্ষদলে । মায়ের কপ ব. বি-/স্যামা-সঙ্লীত/৩২-৩ ৩৪ দশভূজা সেই কি কালী উধ্ব হাতে খড়গ তুলি নর কর-কাঞ্চি ধর] নরমুণ্ড করতলে । যুগল হাতে বরাভয় কাটে রেণুর সংশয় কণ্ঠে উঠে মা মা ধ্বনি আনন্দে তাঁর চিত্ত দোলে । ২৫ আষাঢ় ব্রন্মা রূপে সৃষ্টি কর বিঞু্রূপে পাল্তে ধর! প্রলয়ে কবে দেখবো মাশে। ধরাঁর ধ্বংসে ম1 তোরে তারা । ব্রন্মা সেদিন অণু হয়ে তোরই উদর নেবে চেয়ে দেবতার সব ছুটবে ধেয়ে তোর চরণে হবে হারা । আমি তখন নয়ন মেলি দেখবো কেমন শত্তৃশূলী যদি পাই চরণতলই শিবের সাথে মা রব পড়া । মোর জীবনের শেষের সাঁধ। কেউ ত” আমার হয় না বাধা ব্লাউ। দুটি চরণপদ্ম বক্ষে আমার রবে ধরা । ২৮ আষাঢ় অবূপ তোমার রূপের লীলায় মন আমার পড়েছে ধরা নয়ন মদে তাই মা দেখি ডাকি তোরে তারা তারা । নি্৭ণ তোরে শাস্ত্রে বোঝে তোর গুণে মা আছি মজে সরূপা তুই তোরই রূপে হৃদয় আমার আছে ভরা! শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ য। দেখি মা নয়ন মেলে সবাই তোমার রূপটি নিলে আমি তোমার পাগল ছেলে সেই রূপে মন মুগ্ধ করা । নিরাকারার ভাবনাতে মন ত আমার নাহি মাতে আমার মায়ের রূপটি নিয়ে সমুখে তুই এসে দীড়া। নয়ন মুদে রূপ দেখিগো জগৎ জুড়ে তোর ম' তারা এত রূপ কি সম্ভবে মা কোটি চন্দ্র হয় মাহারা। চোদ্দ ভূবন চরণতলে নিত্য দেখি আজও দোলে শব সেজে শিব চরণ পেয়ে তাই রেখেছে বক্ষে ধরা । শুনি নুপুর পদকমলে বাজে মধুর মা তালে তালে মুণ্ডমাল! কণ্ঠে দোলে শিরো ভূষণ স্বর্ণচূড়া । যুগল হাতে মা বরাভয় বামে খড়গ মুণ্ড রন দেখে রেপুর ম! সংশয়, দূর করে দে ভবদারা। ১৪ আষাঢ় কে বলে মা দিগন্বরী শবাসনা এলোকেশী রূপে পাগল বিশ্বভুবন আমার ত মা মন-উদাসী। মা রয়েছেন জলেস্থলে ভূধর সাগর গগনতলে অরুপরাঙ চরণ মেলে দেখা মা তোর মুখের হাসি। মায়ের রূপ নয়নে মা”র মৃতি আকা এ হৃদয় মা নয়রে ফাকা রাঙা চরণ রেখেছি ধরে তাই পৃজিতে ভালবাসি । ম] যে রাজ-রাজেশ্বরী হৃদয় রাজ্য দিব ছাড়ি রাখবে! ছুটি চরণ ধরি পৃজ্‌বে। বসে মা দিবানিশি । ১০ বৈশাখ ও যে আমার নয়ন-তারা নয়ন মেলে দ্যাখরে আজি মায়ের মৃতি নয়ন ভর] 1 লক্ষ কোট তারার আখি তাই মেলে ম৷ নেয় নিরখি রাঙা জবায় চরণ রাখি বূপ যে মায়ের গরব কর]। উদার নীল গগনতলে কাজল কালো মেঘের কোলে এলোকেশীর কেশ যে দোলে চাদ সূরযে চরণে পড়া । জবার মাল। কণ্ঠে দোলে রাঙা কমল পদতলে রূপে রেণ্রর মন যে ভোলে এ চরণে আছে ধরা । 8৬1 ভাদ্র মুণ্ড কাদের গলায় দিয়ে তুই সেজেছিস্‌ মুণ্ডমালী প্রলয়কালে সবই সুপ্ত মুণ্ড তখন কোথায় পেলি ! শত্র, কে তোর শবাসনা তারও রক্তে ভোর কামন। তাই সেজেছিস্‌ লোল রসন! আদ্যাশক্তি বল্‌ মা কালী । ৩৬ স্যামা-সঙ্জী ত-সংগ্র- কেন মা তুই দিগন্থরী উধ্বহাতে খড়গ ধরি নর-কর কাঞ্চি পরি ভয়ঙ্করী কেন মা হলি। আসল তোর রূপটি জানি ভবানী তুই ও জননী রেণুর তাই ভয় ভেঙ্গেছে আনন্দে দেয় করতালি । কালো! মেয়ের দপ দেখে যা ওরে তোর নয়ন মেলে কূপের আলোয় বিশ্ব উজল কোটি চক্র চরণতলে । মায়ের মুখে অষ্টহাসি ভয়শভয় সে করে অসি সব ভাবনা যায়রে মিশি ভবদারার নাগাল পেলে । উধধ্ব হাতে কৃপাণ দোলে সব যোগিনী পাছে চলে মহাকাল সে পদতলে কালের ডঙ্কা মিশায় কালে। হর হা" মায়ের রূপ ৩৭ মা কেমন “কালিকা বঙ্গদেশে চ”। মহাশক্তি দেবী বঙ্গদেশে কালিকা রূপে পূজিত! । বঙ্গদেশের সাধক কবির কাছে ভীষণা রূপে বণিত]। কিন্তু মহাশক্তিবূপিণী প্রকৃতি হইতেই সমগ্র বিশ্ব উৎপন্ন হইয়াছে--তিনি সর্বশক্িমতী বিশ্বপ্রসবিনী “মাতা-__তিনিই বিশ্বপ্রপঞ্চের সারভূতা পরামগা11” (শ্রীশ্রীচপ্তীর ভূমিকা__ স্বামী জগদীশ্বরানন্দ )। তিনিই সর্বভূতে বিরাজমানা- তাহার অনস্তিত্বে প্রাণীমাত্রেই শবের ন্যায় নিজ্ক্রিয় । তিনিই সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের অধীশ্বরী দেবী । ত্রক্ম ও ব্রন্মশক্তি অভিন্ন । সমস্ত দেবকুলও ত্রন্মশক্তি স্বর্ূপিণী বিশ্বপ্রসবিনী আদ্যাশক্তি হইতেই উত্তৃত ও প্রতিপালিত। সেই পরাশক্তি অরূপা হইয়াও ভক্তগণকে কৃপা করিবার নিমিত্ত রূপ পরিগ্রহ করেন । রবীন্দ্রনাথের কথায় বল। যাইতে পারে--“ভাব হতে রূপে অবিরাম যাওয়। আস11” তন্ত্রে বল। হইয়ীছে, শক্তি সাধনের মূলে রহিয়াছে কালী । তিনিই সর্যমুূলাধার । তাই চণ্তীতে বলা হইয়াছে, তিনি অনিবার্চ্য, অচিস্ত্যস্থরূপা, সমগ্র জগতের হেতু, বিস্ুশিবাদিরও অজ্ঞাত। তিনি সকলের আশ্রয়ভূতা, বিকাররহিত। পরম] প্রকৃতি । হেতুঃ সমস্তজগতাং ব্রিগুণাপি দৌধেরজ্ঞায়সে হরিহরাদিভিরপ্যপারা। সর্বাশ্রয়াখিলমিদং জগদংশভূতমব্যাকৃতা হি পরমা প্রকৃতিস্তমাদ্যা । সাধকবর্গ সেই আদিভূতা জগজ্জননী পরমেশ্বরীর রূপ বর্ণনা করিয়াও ক্ষান্ত নহেন। জননীও সন্তানদের পারস্পরিক পাথিব সম্পর্ক-স্বাপনে তৎপর । মাটির কুটিরে মায়ের চরণচিহ্ ধরিয়। মায়ের সাকার মৃত্তির সহিত মান অভিমানের খেলা খেলিয়!ছেন। গর্ভধারিণী মা যেমন সম্ভানের “প্রিয়জন? ; করালবদনা, অচিস্ত্যমক্সী মাও তেমনি দেবী হইয়। সাধকের “প্রিয়জনে' পরিণত হইয়াছেন । তাই মাকে পাইবার জন্য-তাতহার ককণ! লাভের জন্য ভক্ত যখন কাদিয়া আকুল, তাহার বিশ্বজোড়! রূপে অবাক, আবার কথন মায়ের প্রতি ভক্তের অভিমান । তাই কবির শ্যামামায়ের কাছে জিজ্ঞাসা তারা তোরে চিন্তে নারি পুরুষ কিন্ব! তুই মা নারী সৃষ্টি কর মাতৃবেশে পালন কর ধাত্রী হেসে ৩৮ শ্যামা-সঙ্জীত-সংগ্রাহ প্রলয়ে তোর রূপটি কেমন জানতে চাই, মা শঙ্করী । ব্রন্দাময়ী নিরাকার তাই শুনেছি ভবদার' তাই কি চরণ হয় না ধরা একলা বসে কেদে মরি। (মাগে) একুলা আমায় অধধরাতে ডাক দিলি যে নূতন পথে মা কেমন তোর সাহসে মনটি আমার পথের নেশায় উঠল মেতে । তোরই দেওয়া এই নিদেশে মন চলে যায় দেশ-বিদেশে ঘৃরে বেড়ায় পুলক ভরে কোন্‌ সুদূরে দিবসরাতে । তোর নামের পৃতচিহ অঙ্গে এবার করে ধারণ মনের সুখে রয়েছি মা নূতন গানের ছন্দে মেতে । নুতন ছাদে নূতন ভাবে পুজাটি তোর শিখিয়ে দিলি সেই থেকে মা চল্ছে পুজা আমার হৃদি-মন্দিরেতে । অভয় বিলান মা! অভয় য় না তাই ভয়ের ছায়া আধার কালে নয়রে ধরা কোল পেতে এঁ মহামায়া ৷ আমার মায়ের কালো বরণ আধার নিশা করলো হরণ তাই তমাগেরাঙা চরণ পেয়েছে সে মায়ের মায়া । আধার ধরার কালো কোলে সৃষ্টি প্রলয় নিত্য দেখলে রেণু দেখে নয়ন মেলে, খেলা করে হরের জায়া। সস ৯ ৩৯ ৪০ শ্যামল ধরায় চরণ ফেলে শ্যামা মাগো সামনে এলে শাওন ঘন মেদের কোলে এলোকেশীর কেশ যে দোনেে। ভুঙ্কারে তার বজ্রধ্বনি কর্ণে আমি নিত্য শুনি বিদ্যুতে মা'র মুখের হাসি মিলিয়ে যায় গগনতলে । কেউ বলে মা! হয় সাকার। অপরে কয় নয় আকারা ভক্ত-মনের তৃপ্তি ভর। মৃত্তি ধরে বেড়ান খেলে । মায়ের রূপে নয়ন মজে রেণু মায়ের চরণ ভজে আর কিছু সে চায়না কু মায়ের দুটি চরণ পেলে। লেহন অবিশ্বাসী দ্যাখরে চেয়ে মা ত নয়রে মাটির মেয়ে হাসি হাসি মুখটি করে মা যে আমায় দেখছে চেয়ে । মা'র চরণে নৃপুর ধ্বনি কানে আমার বাজছে শুনি চেয়ে দেখি নাচের তালে বিশ্বময্প সে বেড়ায় ধেয়ে । ম! বলে তায় ডাকৃলে পরে সকল দুঃখ যায় যে দূরে ডাকি আমি আকুলম্বরে মায়ের গান যাইগো গেয়ে । বৈতরণী নদীর কুলে চরণতর্ী আছেন মেলে রেণু বলে সময় হলে পার কর্বে সে নিপুণ নেয়ে । অরূপ তুমি রূপের নাটে কর্ছে। লীল1 বারেবারে আমি তোমার পাইনে দেখা হয়ত আছ চোখের পরে । কেউ বলে ম। নিরাকার। মৃতি ধরি হও সাকারা সুন্দর এই সৃষ্টি তোমার স্বরূপটি মা প্রকাশ ক'রে । শ্যামা-সঙীত-সংগ্রহ বিশ্বমক্নীর আপন কোলে সৃষ্টি স্থিতি নিত্য দোলে তারই সাথে প্রলয় খেলে দোলান তিনি লীলা ভ'রে। তত্ব তোমার গভীর অতি রামরেণু ষে স্বল্প মতি অবোধে বোধ দাও জননী কৃপ। তোমার পড়ুক ঝরে । দেখলে কেমন মায়ের বরণ ধর্লো। এসে কতই বেশ বিশ্বজুড়ে মৃতি হেরি পাইনি মায়ের কপের শেষ । মৃন্মক্নী ম] নয়ন ভোলায় চিন্ময়ী মা হৃদয় দোলায় তত্বটি তার বৃঝে কজন সবিশেষে নিবিশেষ । জ্ঞানীর! কয় নিরাকার মন চিনেছে সেই সাকারা সগুপ। মা ত্রিগুণ-হার। কৃপায় যে তার নেইক শেষ । ৮ ভাদ্র! কি রূপ দেখালি মা কাঙাল আমার নয়ন ভরি শৃন্যহৃদয় পূর্ণ হ'ল মাঁগে! তোমার চরণ ধরি । সাধ মিটেছে ভবে এসে ঠাই পেয়েছি পদ-পাশে সব ছেড়েছি কেদে হেসে এখন আমি নামটি ম্মরি । দিবানিশি ডাকি ভারা নয়নে বয় অশ্রু ধারা নয়ন যুদে তোরে হেরি নয়ন মন সফল করি। মা কেমন ৪১ কৈবল্যদায়িনী কালী সে কি শুধু মুণ্ডমালী ভুল বুঝে তুই ভাবিস্‌ মনে মা! আমার হয় করালী। খড়গ শুধু নেইরে হাতে মুক্তি আছে তারই সাথে বরাভয় যে মার কৃপাতে ভক্ত-মনের ঘুচায় কালি । কগ্ঠ শোভা জবার মলা চরণতলে মহেশ ভোলা রেপুর প্রাণে দেয় যে দোল। ডাকে কালী কালী বলি । আবার যেদিন দিন ফুরাবে চলে যাবার ডাক আসিবে মায়ের কোলে রাখব মাথা বল্বে। মুখে কালী কালী । কেউ বলে মা তুই দেশের মাটি আমি জানি তোর রূপটি খাঁটি (আমি) নয়ন মেলে দেখি যে তোর রাঙা চরণ পরিপাটি । শ্যামা তুই যে শ্যামল রূপে ঈাড়িয়ে আছিস্‌ ধরার বুকে চিনতে আমি পারি নে মা জীবনটি তাই হুল মাটি। গগনে তোর নয়ন জ্বলে চক্দ্রসূ্য চরণতলে দে'খে রেণুর ভাগ্য বলে মনের আধার গেল কাটি । এমন দিন কি হবে তার ভক্তি ফাদে পড়্‌বি ধরা হৃদয় মাঝে দ্বাদশ দলে পাতা ষে তোর আসন খাট! & আশ্বিন হ্যামা-সঙ্ীত-সংগ্রহ মা কেমন ফল্দী এটে বন্দী কর আমায় ভবের কারাগারে যতই আমি পলাই ছুটে ধরে আন বারে বারে। শুনেছি তুমি মুক্তকেশী , মুক্তি বিলাও মুচকি হাসি আমার বেল অপর খেল! কাদাও মোরে হাহাকারে । নয়ন মদে ভাবি যখন দেখি আমার নয় সে বাধন মুক্তিদাত্রী বেড়াও ঘুরে রেণুর ছোট সংসারে । হাড় জ্বালানি তুই মা মেয়ে আমি মলুম তোরে নিয়ে হাড়ের মালা কণ্ঠে দিয়ে নাচিস্‌ তাখৈ তাখেৈ থিয়ে । কোথা মা তোর বসন ভূষণ কোথায় গেল সোনার বরণ তুই বুঝি মা রং করেছিস্‌ আমার মনের কালি দিয়ে । (আমার) চোখে ক'লী মুখে কালী অন্তরে মা'র মৃত্তি কালী জপ করি মা কালীর বীজে কালি বরণ দেখি চেয়ে । ভয় করিনে ও দূপহেরি ভালই জানি রূপ মায়েরই হৃদয় মাঝে পৃজবো মায়ে ভক্তির সাথে হাত মিলিয়ে । আমার মায়ের স্বরূপ যে কি জানবি রে মন বল্‌ কেমনে শিব ধরেছে বুকের পরে রাঙা চরণ সার যেজেনে। বিচ আছেন পাল্তে ধর। কাজের সময় ডাকেন ভার ব্রক্মার সৃষ্টি-_হয় না সাধন আমার মায়ের চরণ বিনে। ৪৪ ম1 নয় মোর নিরাকার! তারি যে রূপ নিখিল ধরা তিনিই সৃষ্টি ভ্রষ্টা তিনিই জানে কেবল ভক্তজনে। করেন তিনি কৃপা যারে স্বরূপটি তার জান্তে পারে রেণূর মনে সদাই আশা মিল্বে কৃপা চরণ ধ্যানে । তার! তোরে চিনিতে নারি পুরুষ কিংবা তুই মা নারী। সৃষ্টি করিস্‌ তুই ব্রন্মাণী পালন করিস্‌ নারায়ণী প্রলয়ে তুই হুস্‌ রুদ্রাণী সবাই জানে মা শঙ্করী। ব্র্দরূপী নিরাকার আর শুনেছি ভবদারা তাই ত হয়ে দিশেহারা একলা বসে কেদে মরি । নয়ন মেলে চেয়ে থাকি তোর রূপেতে ভরে আখি রূপ যে তোর বিশ্বজোড়া অবাক্‌ হয়ে আমি হেরি। মা মা বলে ডেকে ডেকে পাইনি সাড়া ওম তারা মায়ের তরে দ্িনরজনী নয়নে মোর বইছে ধারা । কোথায় আমার মায়ের আসন কেমন মায়ের ধরণ ধারণ সত্যি কি মা ব্রল্গময়ী সাকার কিংবা নিরাকার ! সত্যই কি মাজ্গন্মাতা কালভয়ে কি তিনিই ত্রা!ত' তিনিই কিগো। করালী কালী তিনিই কি গে! ভবঙগার]। স্যাম।-সঙ্গীত-সংগ্রহ আমার কি মা পাশে এসে শেষের দিনে বস্বে হেসে কোলে আমায় নেবে তুলে ভবেরু খেল হলে সারা । ২১ আশ্বিন কালে মেয়ের পের আলোয় মন উঠেছে আপনি ছলে অমানিশার আধার ঘিরে সেই আলোর মানিক ম্বলে। দশদিকে যার বসন লুটায় সে মা যে মোর দিগন্থরী হায় শ্মশান গেলে চিন্বে গো তায় রেখে! যেন নয়ন মেলে । শত চক্র নখের কোপে কিরণ বিলায় ত্রিভবনে চন্দ্র লাজে নীল গগনে মুখ ঢেকেছে কালি ঢেলে । নয়নে যার দিবারাতি টাদ সূরযের যুগলবাতি প্রদীপ স্বেলে আরতি রেণু সাজায় বুঝি মনের ভুলে । মা কেমন ২৫ অগ্রহায়ণ (প্রথম গাল) কে জানে মোর মা-টি কেমন নিরাকার ব্রল্পরূপ।| সাকারে হয়েছে গোপন । নিতা সত্য সনাতনী বিশ্বরূপ! বলে জানি সবজীবের ধাত্রী তিনি যে দিকে চাই হয় দরশন। প্রণবে প্রকৃতি রূপা ভ্রিশক্তি ত্রিগুপাত্মিক। চিন্ময়ী মা আদিভূতা! আর্দাশক্তি করেন পালন । মন চিনেছে মা ম! বলে তাই ত ভাসি নয়ন জলে এই চাই মা চরণতলে উদয় হও মোর মাটি যেমন । ৪৫ ৪৩৬ আমার মনের অন্তরালে কে রয়েছে চরণ মেলে শুনি তারই নূপুরধ্বনি বঙ্কারে মোর হৃদয় দোলে । রাঙ। চরণ হৃদয় রাঙায় সেই রঙে মোর মনকে ভুলায় দিবানিশি রঙ্গ দেখি রক্ষময়ীর নৃত্যতালে। ষট্চক্তে রাখি ঘিরে তবু যে মা পলায় দূরে লুকোচুরি বারেবারে রেণুর সাথে যায় মা খেলে । ভ্বল করেছি ভবে এসে এবার রব মায়ের পাশে দেখবে! কেমন লুকিয়ে হাসে হাস্যময়ী আমায় ফেলে। ১০ আষাঢ় মাগে! আমি তোমায় চিনিতে নারি কোন রূপে তোর কেমন বরণ কি রূপ ধরন বেড়াও ধরি অসুর দলন তোমার খেল। কালী রূপে করছে লীলা আমার ত মা গেল বেলা কাল ভয়ে তাই তোমায় ন্মরি। ছুর্গা ূপে দশ দিকে দশতুজে আছ ব্যাপে অভয় তুই ভয়-হার। (তবু) পাই নে কেন চরণ ধরি। জগন্মাতা ওম! গৌরী রেণুর হৃদে আসন পাড়ি বস্‌ মা এসে কৃপা করি মুছিয়ে দিতে নয়ন বারি । ১৫ শ্রাবণ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ মনোদীক্ষা তন্ত্রে গুরুবাদ স্বীকৃত। বিশেষ করিয়া সাধনার ক্ষেত্রে মোক্ষলাভের উপায়" স্বরূপ গুরুপ্রদশিত পথে তাস্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ও আচারের প্রতিপালনে তস্ত্র- সাধককে “ষটডক্র” ভেদ করিতে হয় । এই 'গুরূপদেশং বিন ক্রমজ্ঞানং ন ভবতি'--গুরুর উপদেশ ছাড়া তাকন্ত্রিক-সাধনক্রম অন্য কোনভাবে জানা যায় না। তাই অনেকেই অনুমান করেন- রামপ্রসাদের শ্রীনাথ' নামে কোন ব্যক্তি গুরু ছিলেন না। তিনি মহাসাধক। তাহার ইহ্টদেবতা' স্বয়ং তাহার সম্মুখে গুরুরূপে আবির্ভূত হইয়া! তাহাকে দীক্ষ1 দিয়াছিলেন। প্রসাদের ইফ্ট- দেবত। স্বয়ং ব্রন্মময়ী কালী মাতা । জগজ্জননী স্বয়ং আসিয়! প্রসাদের উপর কৃপা বর্ষণ করিয়াছিলেন । “রামপ্রসাদ পরমেশ্বরী কালীকেই আপনার গুরুরূপে গ্রহণ করিয়া! শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত হইয়1 সাধনা করিয়। গিয়'ছেন ।” (সাধক কবি রামপ্রসাদ--যোগেক্সনাথ গুপ্ত ।) তন্ত্রসাধক রামপ্রসাদের কালীর নিকট এই দীক্ষালাভ জাগতিক ব্যাপার না হইয়! আধ্যাত্মিক ঘটনা হইতে পারে । সাধকের মনোজগতেই এই দীক্ষা সম্ভব। তাই এই দীক্ষার নাম দেওয়া যাইতে পারে মনোদীক্ষা। কিন্ত রামপ্রসাদের পক্ষে যাহ! সম্ভব তাহ! যেকোন কবির পক্ষে সম্ভব নহে । তাই বলিয়া! মনোজগতে অবশ্য কবিরও মাতৃর্ূপে অনুধ্যান অসম্ভব নহে । মনে মনে জগন্মাতার নিকট দেহ-মন সমর্পণ পুবক ভজন করিয়া সিদ্ধিলাভ না করিলেও ভক্তিভরে মায়ের চরণে প্রণত হইয়া আত্মনিবেদনের আকাজ্জা জাগিতে পারে। রামপ্রসাদের পরবর্তীকালে বনু কবি শাক্ত-পদাবলী রচন। করিতে গিয়। সভক্তি আত্মনিবেদনের ক্ষেত্রে মায়ের নিকট মনোদীক্ষার বাসন! প্রকাশ করিয়া বহু-পদ রচনা করিয্লাছেন। এই পদাবলীতেও সেই একই প্রকার মনোভাবের পরিচয় মেলে । পদক! সাধক হিসাবে জনসমাজে পরিচিত নহেন। কিন্ত তাহার রচিত পদের মধ্যে মায়ের শ্রীচরণ সার জানিয়! জাগতিক কামনা বাসনার উধের্ব উঠিতে চাহিয়াছেন । ষড়রিপুর তাড়না হইতে মুক্ত হইয়া সংসারের মায়ার বন্ধন ছিন্ন করিয়া মোক্ষধামে সুখে বিরাজ করিতে চান । তাই ষটচক্র প্রক্রিয়ায় “তার। নামের তরণী' ধরিয়া হৃদয় মনে মায়ের রাঙা চরণ ভরসা করিতে চাছেন। এই ভবরঙ্গ মঞ্চতলে' কবির 'নাটের গুরু? হইতেছেন স্বয়ং করুপাময়ী পরমেশ্থরী কালী । তাই তাহার মুখে শুধু মা? “মা” ডাক শোন! যায় । মন মায়ের পুজায় বিভোর-__ মনোদীক্ষ! ৪৭ (আমি) সকঙগ ছেড়ে আনি ধরে তারা নামের তরণী ভরে সেথায় ছিল রাঙা চরণ তাই নিয়েছি বক্ষে তুলে । এবার) মনের সাথে মুক্তি সারি ষটচক্রে রাখবো ঘেরি হৃদয়দলে আসন করি পৃজবো জয় কালী বলে। এখানে 'মনোদীক্ষ।' বিষয়ক পদগুলিতে শক্তিসাধনার পথের পথিক হইয়া মন মাতৃসকাশে দীক্ষা গ্রহণ করিয়াছেন ভক্তিভরে । মনোদীক্ষার ভাবটি এই ভাবে ব্যক্ত করা যায় শাক্ত পদাবলীর সংগীতে ॥ ৪৮ স্ঠামা-সজীত-সংগ্রহ বল্‌ দেখি মন সত্যি করে রাঙা চরণ নাগাল পেলি কেমনে তুই বক্ষে ধরে । (আমি) পুজি যখন ফুলে ফলে মুচকি হেসে যায় মা চলে বুক ভাসিলে নয়ন জলে মা দাড়িয়ে দেখে দূরে | আমার সাথে লুকোচুরি আর ত আমি সইতে নারি কেমন করে মনকে আমার বশ করে মা ছেলে ছেড়ে। এবার হবে বোঝা -পড়া দেখবো কেমন আমান তারা মনকে নিয়ে টান ছেঁড়া করেন কেন লুকিয়ে ঘরে। ৩ আষাট় মন আমার জানে ভালো শ্যাম! যে মোর নয়রে কালো আধার কালো হৃদয়পটে উজল করে বিলায় আলো । শ্যামল ধরায় শ্যামার চরণ নীল গগনে নীলার বরণ করছে মোর মনোহরশ তাই দেখে মন পাগল হলো । জগৎ জুড়ে মৃতিখানি সেরূপ আর কি বাখানি নয়ন মাঝে নয়নমণি ভিতর বাহির কিরণ ঢালে । আধার কালে! হিয়ার মাঝে তোমার চরণ-ধ্বনি বাজে সেথায় তোমার গরব করা পরশমণির দীপটি জ্বালো। ৩০ জাোষ্ঠ মনোদীক্ষা ৪৯ ব. বি./শ্যাম1-সজীত/৩২-৪ ( আমার ) মন মজেছে ফল পেকেছে কালী কলপ-তরুমূলে একল! বসে মন দেখে তাই হর্ষে ভাসে নয়নজলে । অন্য ফলে না হয় রুচি ফল পেয়ে মন হল শুচি ক্ষুধা তৃষ্ণা সব গিয়েছে দেখি এখন কি ফল ফলে । সব ভুলে আজ আপন হাতে নয়ন মন রসনাতে স্বাদ নিতে তাই গেছে ছুটে তাইতো রেণু সাথে চলে । ১৮ জ্যেষ্ঠ মনে আমার ডাক এসেছে তাইতে। থাকি আপন ভুলি মনের মাঝে মন মানে না গোপনভাঁবে ডাকে কালা । আমি যখন ব্যস্ত কাজে মায়ের নুপুর-ধ্বনি বাজে আমার সুপ্ত হিয়ার মাঝে দেখি আমি নয়ন মেলি । নিশীথ রাতে ঘুমের ঘোরে ডাঁক দেয় মা আদর করে হাত বুলাতে মোর শিয়রে অভয়। মা মুগণ্ডমালী । রেণূর বিলীস শযা,পরে বসে রয় ম হাতটি ধরে মন দেখে “মা”, নয়ন ভরে আনন্দে দেয় করতালি । 9 পৌষ: ০ শ্ামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ কি জানি মোর কেমন করে দিন চলে যায় ভবের ঘরে কাজের চাপে পড়ে থাকি সেই হছুখে মোর নয়ন ঝরে। ব্যস্ত হয়ে ধরার কাঞছ্জে যখন থাকি সবার মাঝে মন চলে যায় মায়ের খোজে একলা আমায় রেখে দুরে । ভক্তিপুস্প করে চয়ন মন খোজে মা'র রাঙা চরণ দ্বাদশদলে পেতে আসন ডাকে তারা তারা ম্মরে । মন যদি তোর হয় গো চেনা স্বরগলোকের শবাসনা রেণুরে দিস্‌ তার ঠিকান। রাখবে এবার যতন করে । ৩ আষাঢ় আয়রে মন পাতি খেল! তাসের খেলায় মন ভ'রে দ্বিজ রেশু মার চরণে গোলাম হ'ল ইচ্ছে ক'রে। কালী নামের টেক্কা! মেরে ইন্তক বিস্তী কাবার ক'রে রঙের খেলা পাত্‌বি ঘরে ছয় রিপুকে ছক ধরে। শমন যদি কাছে আসে পঞ্চেজ্ত্িয় পঞ্জ] কসে হাতের খেলা! শেষ করিস্‌ ভাই হাতের পাঁচ হাতে সেরে । রং বেরংএর ইন্দ্রিয় দশ থাকে যেন এবার বশ খেলায় তবে হবে যশ ধন্য ধন্য কর্বে তোরে । ২৩ বৈশাখ মনোদীক্ষা ৫১ ওরে আমার মন করেছি জবার মালা ভক্তিসৃতোয় গেঁথে নিয়ে সাজাই চরণ দুটিবেল।। মায়ের নামে রাঙিয়ে উঠে মায়ের পায়ে পড়ে লুটে (আবার) বাসি হয়ে শুকিয়ে পড়ে মা যখনি করে হেলা । আনন্দে সে নৃত্যতালে মায়ের কগ্ঠে আপনি দোলে ভক্তি-চন্দন অঙ্গে মেখে নিত্য চলে এম্নি খেলা । ঘুম ভাঙ্গে তার ভোরে উঠে সবার আগে আপনি ফুটে দলগুলি যে মায়ের পদে মনের সুখে থাকে মেলা । আমি তোমায় ডাকিনি মা লুকোচুরি মন যে করে আমি থাকি রঙ্গরসে মন চলে যায় আপনি ভেসে লুকিয়ে কখন হেসে হেসে আনে ছুটি চরণ ধ'রে। সাজিয়ে আমি অর্ধ্ডালা আনি রাঙ। জবার মালা পূজায় বসে কাটে বেল! জানে না কেউ ঘরে পরে । একুল রেণু কাশীবাসী গৃহবাসে মন-উদাসী পরম শিবের মিলন হেতু সহম্রারে সুধা ঝরে । 6 আশ্বিন স্যামা-সঙ্ীত-সংগ্রহ স্বর্গের তুমি রূপে রসে রূপ ধরে গো চল্বে আমার রামরেএ সে মায়ের হাতে আমার মনের €সই স্ুরেতে আমি শুধুই তারই সনে মনোদীক্ষা নও ম1 দেকী আমার মনে ধ্যানের ছবি গন্ধে ভর] সকল ভাবের তুই মা ভকী। মনের মাঝে রতাকরে চরণ-কমল শোভা করে চোখের 'পরে কবে তুই মা উদয় হবি। চিত্ত-পটে দিবিজাকি চিত্রটি ভোর পাকাপাকি মনের পৃজ। তুই ত মাগো জানিস্‌ সবই। অন্তরে তোর মৃতি ধরা বিশ্বডৃুবন উজল করা রূপ-মাধুরী করে কেবল অনুভবই। বীণাথানি বাজে কতই রাগ-রাগিণী একতারাতে জাগে তারই প্রতিধ্বনি । একটি স্বর. আমার তারে মন যে আমার রাখে ভরে আস্ছে ভেসে শুধুমায়ের চরণধ্বনি। বিশ্ব ব্যাকুল মার চরণে গানের অর্ঘ্য নিবেদনে একটি সবুর অধ্যরূপে দিব আনি। সীমা ছেড়ে অসীম ছেয়ে মায়ের স্বর যায়যেবয়ে সুর মিলিয়ে একতার। মোর বাজবে জানি। ৫৩ সত্যশুদ্ধি হয়রে মনের যখন ভাসে নয়নজলে তাই ত শুধাই মনরে আমার কাদবি কবে “মা” 'মা' বলে দ্বাদশদলে পেতে আসন মাকে বসাও করি যতন ধুইয়ে দিয়ে চরণ ছুটি হৃদয়গল। গঙ্জাজলে। গেলে মনের ময়ল। ধুয়ে পড়বে তুমি লুটিয়ে তু'য়ে হেরি মায়ের নিত্য মৃত্তি আপন হদি-শতদলে ৷ কে বলে মোর পাষাণী ম! দয়ার তার নেইক সীমা রেগ্ুর মতো অভাজনে স্থানদিয়েছে পদতলে । অন্তরে রাখি মাকেপৃজি মনচায় মোর যেমন ক'রে তন্ত্র জেনে সব ছেড়েছি আচার বিচার মাকে ধরে) আড়ম্বর নেই বাদ্যি বাজন একুল। পৃজি মায়ের চরণ জবার মাল] হয়নি রচন, কোথায় পাব শুন্য ঘরে । কোন্‌ বীজে ম1 হবেন থুসী মুক্তি দেবেন মুক্তকেশী দেয়নি বলে উমাশশী তাই ত গন কেঁদে মরে। একলা রেণু ভাব্‌ছে 'বসে কি হবে তার দিনের শেষে ম! ধেন পাশে দাড়ায় এসে শমন যবে তার শিয়রে । ৯ পোষ শ্যামা-সঙ্জীত-সংগ্রহ চোদ্দ পোয়া! জমিখানি বাজেয়াপ্ত ভবে আসি অস্তরে মোর টুকৃরো। ছোট তাই নিয়ে আজ হব চাষী। মন চাষীরে চাষের কাজে দিলাম আমি সময় বুঝে স্বপ্নে পাওয়া নূতন বীজে চাষ করতে ভালবাসি । ভক্তিবারি সেচন করি ফসল আমার উঠবে ভরি বুদ্ধিরে তাই রাখি প্রহরী আনন্দে মন যায়রে ভাসি । সেই আগলে ছয় ছাগলে খায় না ফসল সাঝ-সকালে মায়ের ভোগে লাগিয়ে তবে রেণুর মুখে ফুটবে হাসি। ৮ পৌষ মায়ের বর্ণ শুনিস্‌ কালি তাই ত মন মুখ ফেরালি রাঙ! মায়ের মুখের হাসি রাঙা চরণ আছে খালি । রাঙা জবা হাতে তুলে দাও দেখি মন পদ-কমলে অভয় দেবেন মাভৈঃ বলে আমার শ্যাম! মুণ্ডমালী । রাঙ] রবি রাঙা] শশী পদ নখে আছে মিশি অন্তরে মোর মাখা মসী উজল করে শশীভালী । তাই ত রেণু সকল ভূলে এ চরণে দিল তুলে সকল আশা শেষ ভরসা মুখে বলে কালী কালী । মনোদীক্ষ! ৫৫ কেনরে মন ভবে এসে কাটাও কাল রজরসে ভাবলি নারে কিহবে তোর শেষের খেলা? দিনের শেষে । ডেকেছিল যে তোমায় তারা দাওনি কেন তখন সাড়। চোখে এখন অশ্রুধারা। পথের পরে কাদ্ছ বসে । নটের খেল ধরার নাটে দিনত তোমার সুখেই কাটে তাই আলসে যাওনি বুঝি রাঙা চরণ পাবার আশে । রেণুর কথা৷ স্মরণ করি ডাকরে মন মা শঙ্করী কাল-সায়রে সে কাণগ্ডারী পার করিবে তোমায় হেসে। ২৩ আষাঢ আমি মা তোর চরণতলে মন দিয়েছি এবার ঢেলে কাজ কি আমার জবার মাল ধুপ-দীপ আর গঙ্গাজলে । ভক্তি-পুষ্প পুজার তরে সাজাই আমি থরে বিথরে তোর চরণে পাদ্যদিতে অশ্রু আমার আপনি গলে। আমার আমি দিই চরণে তে'মার অর্থ্য সংগোপনে রেণুর পূজা হবে সাঙ্গ জয় মাকালী মাকালী বলে। শ্যামা-সচশিত-সংগ্রত কলুর গরু কর্লি মাগো আমারেতুই এসংসারে চোখে দিলি মায়ার চুলি দিনেরাতে মর্ছি ঘুরে। যোগান দিতে তেলের ভবে ঘানিতে মা জুড়ি তবে মাষদি হয় নিঠুর হেন ভরস। তবে কাহার 'পরে । খরিদ করে তেল ছ'জনা জেনেও আমি তাই জানি না তোমার মায়া টানায় ঘানি তেলের যোগান ঘরে ঘরে । এদিকে মা বেগার থেটে দীনের দিন গেল কেটে কবে রেপুর ঘানি টানা শেষ হবে মা চিরতরে । ২ ভাত্র মন তুই বেড়াস্‌ ঘুরে কাজে কমে পাই নে তোরে তোরে আনি রাখব বাঁধি মাতৃ-মন্ত্রের শক্ত ডোরে | কণলী বলে অঙ্গ কালি দেখতে নারি নয়ন মেলি কালীদহের অতল তলে থাকৃব ভাবি ডুবে মরে । কার সাথে মন যুক্তি করে দূরে সরাও রামরেণুরে ( সে ষে) পায় না নাগাল ভাবৃন! বাড়ে একটু কাছে এস স'রে। অন্তরে মোর মণিকোঠায় মার চরণে মাথা লুটায় করো না ফাস এই কথাটি গোপন ক'রে রেখ তারে । ২ ভাত্র' মনোদীক্ষ ৫৭ কোথায় গেলে শান্তি পাবে মনরে তুমি তাও জান না। মিছে কর ঘোরাফেরা পুপ্যপীঠে তীর্থে সেরা শান্তিময়ী মার ঠিকানা আজও কি মন হয়নি জানা। যতেক পীঠ তীর্থ যত সবই তোমার দেহগত তীর্থ সের! বারাণসী তোমার ভাণ্ডে কি ভাবনা । ইড়া পিঙ্গলা সুযুস্পা আর রচে ত্রিবেণী জেনো যে সার জাগিয়ে কুল-কুণুলিনী ভ্রিবেপী-ম্লান কেন কর ন। তাও যদি না পাররে মন মায়ের ধ্যানে হও মগন পাবেরে মন অপার শাস্তি কর মায়ের নাম রটনা । আপন বলে অন্তরে মা যটচক্র সে নামের গুণে (৮ পরাণ খুলে ডাক দেখি মন লুকিয়ে থাকে বুঝবি তখন হৃদি কুল কুগুলিনী বিহার করেন নিত্য জানি ভেদের 'পরে সহম্ত্রারে যোগ-সাধনে কঠিন পথে রেণুর মন না যদি মাতে জাগিয়ে দেবে কৃগুলিনী ১০ শ্রাবণ তারা তার। মায়ের ধারা। সৃধাক্ষর। । চিদাকার।। ১ জান্ঠ স্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ কোন্‌ সাধে তুই মনরে আমার ছয় মনিবের সেবাদাসী দিনে রাতে মরিস্‌ খেটে আছিস্‌ যে তুই উপবাসী । দশ জনার মন-যোগাতে ডাক পড়ে তোর পথে যেতে একৃল। আমি ভোরে খুঁজি নিশীথ রাতে হয় উদাসী । সতের জনে রাজ্য গড়া, তবু যে এত ভাঙ্গা-গড়া বুঝি নে তোর কেমন ধারা ভেবে মলাম দিবানিশি । ঘরে বাইরে ছিধা দ্বন্দ সুমৃতি-কুমতি ছম্ধর সব এড়িয়ে সামনে এসে মা দিয়েছে মুখে হাসি। কেমন মেয়ে মাগো তুমি দিবানিশি বেড়াও ছুটে মন-মধুকর পায় না খুজে চরণ-পদ্ম কোথায় ফোটে । অস্ত ফুলের রূপের টানে যায় যদি-বা অন্য খানে তোমায় স্মরে আসে ফিরে নিমেষ মাঝে মোহ টুটে । মায়ের নামে সকল সাধ! কোন কাজে তয় না বাধা (ও মন ) বাধ! এলে ডাকিস্‌ মাকে মার চরণে মাথা কুটে । ভবের এই আনাগোন। জীবন-মরণ বেচাকেন।! দাও ঘৃচিয়ে চিরতরে এই মিনতি করপুটে । ২ অগ্রহায়ণ ১ পঞ্চ কর্মময়, পঞ্চ জ্ঞানেশ্ট্রিয়, পঞ্চ তন্মাত্র? বৃদ্ধি ও মন । মনোদীক্ষ। ৫৯ ভক্তের আকুতি তন্ত্র সাধনায় দেখ। যায়, সাধক ঈশ্বরকে মাতৃজ্ঞানে অন! করিয়! থাকেন। বিশ্বমাতা মহাদেবীকে সাধক আপন অন্তরে প্রতিষ্ঠিত করিয় তাহার চরণ- কমলে পৃজ নিবেদন করেন। সাধক জানেন-_ “স] বিদ্যা পরমা মুজেহেতু ভূতা সনাতনী ংসারে বন্ধহেতুশ্চ সৈব সব-স্থরেশ্বরী ।” “সেই সনাতনী পরাশক্তি ব্রন্মাবিদ্া রূপে মুক্তির কারণ এবং মায়া রূপে তিনিই একমাত্র “সব-স্বরেশ্বরী; ভগবানের পরিপূর্ণ শক্তি_িনি মহামায়া- রূপে বিশ্ব-ব্রন্দাগুকে সম্মোহিত করিয়া রাখিয়াছেন ও যিনি সৃশ্ষ্ম হইতে সুশ্মতর অবাঙ্‌মনসগোচরণ সবতন্ত্রময়ী নিত্যা, নিত্যানন্দস্বরূপা, অধ্যাত্মদীপ- রূপিণী, ত্িধাম জননী, শব্দত্রন্মস্বূপিণী মহাবিদ্যা রূপে জীবের মোহ দূর করিয়া তাহাকে পরমসিদ্ধি দান করেন, সেই মহামায়া! ও মহাত্রন্দস্বরূপিণী পরমাশক্তির উদ্বোধনই তন্ত্রের সাধন। ৷ এই পরমাত্মজ্ঞানের সাহায্যে অবিদ্যাদি সংস্কার নষ্ট হইয়া যায়, সধপ্রকার সংশয় ছিন্ন হয় অর্থাৎ তখন সাধকের জীবম্মুক্ত অবস্থা |” (সাধক কবি রামপ্রসাদ--যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত । ) মনে।দীক্ষার পর তাই সাধকের অন্তরে মায়ের জন্ত জাগে পরম আকুতি । মাতৃনামই তিনি কণ্ঠে ধারণ করিয়া “কালী” “কালী? বলিয়া মায়ের চরণ শতদলে নিজেকে সমর্পণ করিতে আকুলত প্রকাশ করেন। ভব-সংসার তাহার নিকট তুচ্ছ, মায়াময় বলিয়া প্রতিভাত হয়। তাই ভবব্যাধি দূর করিবার জন্য মায়ের চিস্তাই সাধকের একমাত্র মহোৌমধি, মন্ত্রতন্ত্র ঠিক ঠিক আচরিত না হইলেও ভক্তি-বিম্বদলে সাধক মায়ের পুজা করিতে সমর্থ । মায়ের করুণাকণা লাভের জন্য ভক্তের এই যে আকৃতি তাহাই “ভক্তের আকুতি” বিষয়ক পদে বণিত হইয়! থাকে । এই পায়ের পদে অনেক সময় সাধকের মনে সংশয় থাকে পাছে মা তাহাকে বঞ্চিত করেন, কৃপাদান হইতে বিরত থাকেন। তাই ভক্ত অনুনয়- বিনয় দ্বার! মায়ের কাছে প্রার্থনা জানায়-- ৬০ শ্াামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ “রাঙা পায়ে রাড! জব! সাজিয়ে দেব যতন ক'রে তুই যেন ম1র্দাড়িয়ে নিবি যাস্‌ নে আমার পুজা ছেড়ে” মনোঁদীক্ষার পর সাধক মায়ের কাছেই ভজন পৃজন শিক্ষা! করতে চাঁন__ “ভজন পৃজন আরাধনা এবার আমায় শিখিয়ে দে মা সার করেছি রাঙাচরণ মিছে মায়ায় ভুলবো নী।” এখানে কবি মায়ের রাতুল চরণে নিজেকে নিবেদন করিয়াছেন জাগতিক মোহমায়া ও এম্ব ত্যাগ করিয়া । তাই মায়ের কাছে নিবেদন “কৃপণ তুমি হয়ে। না মাঁ।” শ্রীপদ ভরসা কবির তাই অকপট কামনা “শেষ নিবেদন শোন ম1 আমার ওগো আমার রাজকুমারী রাজ্যধনে লোভ নেই ম! অভয়পদ চেয়ে মরি |” কারণ কবির 'ক্ষুধাতৃষ্ণ' দূর হইবে মায়ের শ্রীচরণ লাভ সম্ভব হইলে । তাহাতেই কবির পরম আনন্দ । বিশ্বচরাচরে কবি শ্যামা মায়ের পদচিহ লক্ষ্য করিতেছেন-__চন্দ্র-সুধ-তারায়-আকাশে-বাতাসে, পাখীর কণ্ঠে, নদীর কলতানে, মাতৃনাম সদাসর্বদ উচ্চারিত হইতেছে ।জ্রিধামের অধীশ্বরী মহাদেবীর রাঙা চরণ কবি আপন নয়নজলে ধৌত করিতে চান। কবির অন্তরে রহিয়াছে সেই ভক্তি-মম্র আকুতি-__ “সাধন পৃজন জানিনে মা তোরে ডাকি মামা বলে রাঙা চরণ ধুইয়ে দেব মাগে!। আমার নয়নজলে ।” ভক্তের আকুতি ৬১ এমন শুভদদিন আমার কবে বা হবে কালী কালী কালী বলে কাঙ্জ আমার ক্কুরায়ে যাবে । আখি মেলে জেগে উঠে মায়ের পায়ে পড়বে লুটে কালঘুম মোর যাবে কেটে কবে আমায় জাশিয়ে দেবে? নয়ন মৃদে বল্‌্বো তারা ছনয়নে ঝর্বে ধারা ভারা নামে হব সায়। তার। এসে ডেকে নেবে। মামাবলে ডাকৃূলেপরে লুকিয়েমাকি থাকৃতে পারে দ্যাখ দেখি মন প্রমাণ কেমন ডাকৃরে মাকে আকুল স্বরে । মায়ের পে নয়ন মজে তুলন1 নাই এ কূপের যে ধ্যান যোগেতে দেয় মাধরা ভকত জনে কৃপা করে । মুণ্ডমালী এলোকেশী হ'ল রামের সর্বনাশী দুটো কুল যে নিল গ্রাসি কোলের ছেলে ফেলে দৃরে। ভক্তি অধ্য দিয়ে পায়ে জয় মা বলে পূজবে মায়ে ছয়ট। পশু দিয়ে বলি পূজা সাঙ্গ . কর্ব ওরে। শপ আপ ৬২ হামা-সঙ্জীত-সংগ্রুহ কোথায় আছিস বল্নাশ্যামা দয়াময় মাগো মোর এত ডাকি ভুল করেছি তাই ত কালী মা মা বলে কাটে নাকি ঘুমঘোর । পাঙ্গাধারা পাপহরা আছে শিবের জটায় পরা সেই না শিব চরণতলে তাই কি এত গরব তোর । আমি মাতোর কাঙাল ছেলে কেদে বেড়াই মা মাবলে আয় মারাঙ্গা চরণ ফেলে দুখ-নিশি হবে ভোর । কাল হ'ল মোর কালী বলে ডুব দিয়ে মা কালীদহের অগাধ জঙে। আমার মনে কালী মুখে কালী দেহে কালী নামাবলী বেড়ায় ছলি ফেলে দিয়ে কালের কোলে । অন্তরেতে লুকিয়ে থেকে ভিতর বাহির নেয় মা দেখে (আমি ) পৃজি চরণ মনের সুখে তাতে মায়ের মন নাভ্বলে। বিমাতারে ভক্তের আকুতি জপে এবার জলাঞলি ডাকৃবো না আর মা মা বলি ধরবো এবার দেখবে মা রাম কেমন ছেলে । সন নেচে নেচে আয়্মাশ্ঠামা ওমা আমার মৃণ্ডমালী রাঙ্গা পায়ে দেব মা তোর রাঙ্গা! জবার এ অঞ্জলি । নেচে আয় মা তালে তালে সাথে নিয়ে তাল বেতালে থাকৃবে ভোলা পদতলে আনন্দেতে পৃজ্‌বেো! কালী । চরণ দুটি পশবার আশে নয়ন মুদে আছি বসে এবার দাড়া হয় মাঝে হেসে দিই মা করতালি । বিফল যদি হয় মা আশ। মিছ্ধে হবে ভবে আসা! চল্বে শুধু যাওয়া আসা রামে যদি যাস্‌মাছলি। ২৭ বৈশাখ অভয় দেগো মা অভয় বরাভয় তোর আপন হাতে শঙ্কাবিহীন করে দেমা মোর হৃদয় চরণপাতে । শুদ্ধসত্ব- স্বরূপিণী ভ্রিকালজ্ঞা ত্রিনয়নী সেরূপ মা কিবাঁখানি ভাব্লে রেপ্নুর মন যে মাতে। অশ্পিআর চন্দ্র-সূর্য ' তোর তেজেতে বাজায় তৃর্য তাই ত আমি ধরি ধৈষ ভয় করি নে ছলনাতে। হ্যাম!-সজী ত-সংগ্রহ সেই ভয়ে মুর্দিনেজাখি সদাইআমি চেয়েখাকি তারা-হারা হইগেো পাছে নয়ন-তার' নয়নে রাখি । মুখেবলি তারা তারা চিনি নাই মা ঞ্রুবতার। পথে এসে পথহারা পথের ধূলা কিসে ঢাকি। কবে আধার যাবে টুটে মায়ের পায়ে পড়বে লুটে সকল নেশা যাবে ছুটে চরণরে্ অঙ্গে মাথি। অস্তরে মোর গভীর কালো শুদ্ধজ্ঞানের দীপটি জ্বালো সেই আলোতে কালীর কালো দেখবো আমি মেলে জাখি । কালীর চরণ নেব চিনে শেষের দিনে যাত্রাকালে চিরতরে মৃদবো আখি জন্প মাকালী কালী বলে বালির শয্যায় অন্তর্জলে মনে মনে আন্বে। তুলে রাঙ্গাজব! বিল্বদলে অর্থ্য দিতে চরণতলে । কালী নাম স্বধাপানে ভবরোশগের অবসানে চিরশান্তি-ধাম পানে চলে যাব কুতৃহলে। ভক্তের আকুতি | ৬৫ ব. বি./শ্যামা-সঙ্গীত/০২-৫ রি কে আমার চোখে কালী মুথেকালী কেঁদেকেদে হলেমকালি দয়াময়ী নামটি ধরিস্‌্ হৃদয় আমার রাখিস্‌ খালি কালের কোলে ফেলেদিয়ে তুই বেড়াস্‌ ম। বিশ্ব ধেয়ে আমি কাদি চরণ চেয়ে লক্ষ জনম তুই মা খেলি । এ চরণে মন মজেছে নে মা আমায় কোলের কাছে পাওন। দেনা যাথাকুকনা রেখনা আর দৃরে ঠেলি কালী কালী বলে মাগো যদি আমার জীবন যায় এই মরনেই জীবন মরণ শেষ হবে তোর রাঙ্গা পায় । সাধ ছিল মা! মনে মনে শরণ নেব তোর চরণে বাধতে আমায় পার্বে নাক এ সংসারে মোহ মায়ায়। চুরাশী লাথ জন্ম শেষে মানব জন্ম লভিনু সে এ জনমেই হবে মুক্তি তব নাম মহিমায় । কোন্‌ ফুলে ম। তোরে পুজি কোন্‌ সে মন্ত্রে আরাধনা মন্ত্র পড়ে ডাকি তোরে যায় না কানে শবাসনা। কোন্‌ যন্ত্রে আবাহন ঘটে কি পটে পুজ্‌বো চরণ কোন্‌ মৃতি ক'রে স্থাপন পৃব্যব আমার মনোবাসনা । লক্ষ জনম আমার গেল তবুনা তোর দসাহ'ল এই কিআমার ভালে ছিল মাহ্‌ঃয়ে মা চেয়ে দেখ না। কবে আমার পুজা শেষে ই পাব মা চরণতলে মায়ে পোয়ে বোঝাবুঝি আরকেউযে তাজান্বেনা। শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ ধুলাখেলা খেল্তে মাগো কেন আমায় নিয়ে এলি । সেই খেলাতে অঙ্গ ক্লে গায়েআমার লাগে ধৃলি। যখন ছিল ছেলেবেল। সঙ্গী-সাথী নিয়ে মেল" করেছি মা ধূলা-খেলা এখন যে মা গেছিভুলে। যৌবনেতে হয়ে মত্ত ভোগ-সুখেতে অবিরত কাটানু কাল তোরে ভুলি তাই কি তুই চলে গেলি। এখন আমি শক্ভিহার। তৃপ্তি খুঁজে হলেম সারা মুক্তিবূপা শক্তি দিয়ে কৃপা করে নাও মা তুলি। ২ বৈশাখ ফুলশুদ্ধি, জলশুদ্ধি, আসনশুদ্ধি কিসের তরে হৃদগ্নশুদ্ধি হয় নি যে মোর পাত্‌বো আসন কেমন ক'রে আঁলোচাল আর পাকাকলা সাজিয়ে নিতে ভোগের থালা এতেই আমার গেল বেলা কি হবে আর আড়ম্বরে ৷ হৃদ্-মন্দির রইল ফাকা আবাহনে মাকে ডাকা। ব্যর্থ হ'ল মন্ত্র পড়া মাত মোর এল ন। ঘরে । মা রয়েছে সবঘটে কাজ কি আমার ঘটে পটে মৃতি একে হৃদয় তটে পৃজ্‌বো এবার পরাণ ভরে । ভক্তের আকুতি ৬ হৃদয়-স্মশানে মম আয় মা ম্যাম] থাকৃবি সুখে শ্মশান যদি বাসিস্‌ ভাল ছেড়ে আছিস্‌ কিসের দুখে । হয়ট! আছে তাল-বেতাল দিনে রাতে পাড়ছে মা গাল এমনি আমার পোড়া কপাল আসে না তোর নামটি মুখে। কুমতি স্মৃতি নিত্য সে শ্মশানে করে নৃত্য তোরই যে সঙ্গিনী তারা রামরেণর তাই তোরে ডাকে । কোথায় থাকো মাগে। কালী কাল-ভয়-নিবারণী তার! তারা বলে ডাকি তবু দেখা নাই তারিণী। সম্তানে মা না তরালে নামের মালা কে নেবে গলে ম1 নামে কলঙ্ক হ'লে ডাকৃবে কে গো মা জননী । শক্তি ত্রন্গ শাস্ত্রে বলে মোক্ষ বাধা চরণতলে ভয়ঙ্করী তুই অভয়। ছিজ রেণুর তুই শরণী । তীর্থে তীর্গে বৃথ1 খোজ! ভক্তি অখ্যে তোমার পৃঁজা জ্ঞাননেত্র দে মা খুলে হেরব ভাগে কুগুলিনী । শ্মাম1-সঙশিজ-সং গ্রহ আল্তা রাঙা পরিয়ে দেব তোরই রাঙা চরণতলে ও মা স্যাম] মনোরমা বস্‌ মা এসে হদয়দলে। হেরে মা তোর রাঙা চরণ ঘুচবে আমার সকল বাধন মনের যত ব্যাকুলত। দেব সপে চরণতলে । মাগো আমি মদে আখি তোমারই রূপ শুধু দেখি কিছুই আমার রয় ন। মনে গিয়েছি সব বিষয় ভুলে । আকাঙ্ক্ষা! মোর যত আশা এ চরণে বাধলে বাসা আমার আমি স্থান নিয়েছি কালী-কল্প তরুমূলে । ১৪ ্যষ্ঠ রাঙা মা! তোর চরণতলে রাঙা কমল দিই ম1 তুলে রাঙ। জবার মালাখানি মায়ের কণ্ঠে আপনি দুলে । রাঙা পায়ের দেখে নাচন শব সেজে শিব করলে ধারণ ঠারে ঠোরে বুঝে নে মন কি হবে আর শাস্ত্র খুলে । কমল-করে মহামায়া বরাভয় সে দেয় অভয় রামরেপু চায় পদছায়। তুমি কৃপাময়ী বলে। তব রূপে মজেছে মন তারই পানে সে অনুখন ডুবে যেতে চায় মা স্যাম! বিষয়-আশয় সকল ভূলে । ৬ আষাঢ় ভক্তের আকুতি ৬৯ ভবের খাতায় নামলিখিয়ে পাঠিয়েদিলে ইন্ুলে পড়াশুনায় মন বসে না মুক্তি দে মা যাই চলে । ধন মানের প্রোমোশনে মনত আমার নাহি টানে নীচের ক্লাসে থাকি পড়ে ব্যথা! আমার বাজে প্রাণে । নূতন পাঠ দাও ম1 যদি মন বসিবে হয়ত তাতে হাতের খড়ি বুলিয়ে দে মা! ছাত্র যে তোর পাঠশালাতে ৷ শেষ পরীক্ষায় ডিগ্রী নিয়ে তোর পাশে মা যাব চলে উচ্চ খেতাব দেখে যেন সবাই ধন্য ধন্য বলে। ১৫ ফাস্তন শেষ নিবেদন শোন্‌ মা! আমার ওগে। আমার রাজকুমারী রাজ্যধনে লোভ নেই মা অভয়পদ দে শঙ্করী। আমি মা তোর শিশুছেলে তরু আমায় নাও না কোলে দিলে আমায় দুরে ঠেলে এখন আমি কারে ধরি । যদি দিস্‌ মা ধনরতু কর্ব সদাই তারই যত্র মনের ভাব হবে অন্য উপায় বল্‌ মাকৃপা করি আমার যে ম1 সাধ মিটেছে এ চরণে মন মজেছে আর ত কিছুই চাই নে শুধুই চরণ চাহি ক্ষেমস্করী। ৭০ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ (আমি ) গান শোনাবে! নিরজনে শুন্বি মা তুই কানে কানে ছন্দ-তালের ভুলগুলি ম। ভূলে যাবি আপন গুণে। অর্থ যদি নাই বা ফুটে ভাবের বাধন যায় ম] ট্ুটে তবু জানি গানের কথ। চল্বে ধেয়ে তোমার পানে। কেউ ত আমার শোনে নি গান আমার মনে তাই অভিমান এবার তুমি শুন্বে ভেবে মন ভরেছে আমার গানে । রেণুর কণ্ঠে নেইক সুর গানের নেশায় হয়েছে চুর শুন্বে তুমি সেই আশাতে বারণ আজি নাহি মানে। ২৬ অগ্রহায়ণ রসন] যদি যায় ম। ভুলে দাও কালীনাম কর্ণমূলে ভাস্বে মোর গণ্ড দুটি হয়ত তখন নয়ন জলে । কণ্ঠ তখন বাক্যহার। নাম দিও ভাই তারা তার। নয়নে মোর বইবে ধারা চলে যাবার সময় হ'লে । পঞ্চভূতের জোট যে ফাকা | তারক ত্রন্ম বক্ষে আকা যাত্রাটি শেষ হয় মা যেন জয় দুর্গ! শ্রীতুর্গা বলে । রামরেণূর বাসনা মনে স্তব্ধ হয়ে ধ্যানাসনে এ দেহ মোর যাবে ছেড়ে তারা ব্রল্মময়ীর কোলে। 9 ভাদ্র: ভক্তের আকুতি ৭১ আমি ইতিহাস পড়বে! বলে মন করেছি এবার আর ছাড়বো না মা আদি অন্ত খুঁজে দেখেছি। সগুণ নিগুণ দেখবো কাজে তোর গুণাগুণ নিলাম বুঝে নিরাকার ব্রহ্মময়ী তুমিই সাকার তাই জেনেছি । জন্ম তোমার হয় না কু লীলার ছলে তুমি তবু সতী হয়ে উমা হয়ে জন্ম নিলে শাস্ত্রে দেখেছি । ব্রন্মময়ী তুই মা শ্যাম! জগন্মাত। হরের বাম। রামরেণু কয় জানব তোমায় এবার আমি পণ করেছি : (আমি ) গান গাই যে আপন মনে দিন কাটে সেমায়ের ধ্যানে সেই ধ্যানটি ধরে আনে মন কে আমার মার চরণে । গানগুলি মোর যায় যে ভেসে ত্রঙ্মময়ী মার উদ্দেশে মনে আশা স্রেহময়ী কর্বে গ্রহন আপন গুণে । মায়ের গানে হয়ে তন্ময় জয় ম৷ তারা বল্ব জয় জয় আনন্দে মোর ভর্বে হৃদয় বইবে ধারা ছু নয়নে । ২৮ অগ্রহায়ণ ৭২ শ্যামা-সঙ্ীত-সংগ্রহ কি দিয়ে সাজাব ম] ও রাঙা চরণতল আমি ত মা সর্হার! সার হয়েছে নয়নজল । হৃদয়ে মোর যে শতদল তাই নিবি কি বল, মা, বল কোথায় এখন পাব সাধের রক্তজবা বিজ্মদল্ । মোর অন্তরে মশিকোঠায় মানস-সাজে সাজিয়ে তোমায় হেরব মাগো মৃত্তি তোমার চিত্ত করি অচঞ্চল। ২৮ অগ্রহায়ণ বিশ্বে তোমার কতই কাজে কত জনে পেল মান আমায় তুমি কাজ দিয়েছ শুধু তোমার রচি গান। একলা আমি আপন মনে যে গান রচি সংগোপনে পুষ্প হ'য়ে তোমার পায়ে সেকি মাগো পাবে স্থবান। গানের কুসুম করি চয়ন মিশিয়ে তাহে ভক্তি-চন্দন বাসনা মা তোমার পুজ। করব সমাধান । যে কাজের ভার দিলে মোরে তাই করি ম্‌। শ্রদ্ধা ভরে জানিনে সব শান্ত্রবিধি আচার-অনুষ্ঠান। ভক্তের আকৃতি ৭৩ ৭৪ নূতন ঘরে পাত্‌বে। খেল! চলবো এবার নুতন বাটে লেনা-দেন। বেচাকেনা শেষ করেছি ভবের হাটে । লক্ষ বারের আনাগোনা কতরকম চেনাশোন। কত সাজেই সাজালি মা আমারে এই জীবন-নাটে । কুশলী মা তুই যে নটা আমি ত তোর চেল! বটি আমার কাছে জারিজবরি তোর কি মা আর খাটে ! নৃতন খেল! পাত্‌ব বলে বড়াই করি তোরই বলে তোরই খেলা খেল্বি ম] তুই বুদ্ধিতে কে তোরে আঁটে। ২৭ শ্রাবণ চোদ্দ পোয়া! জমিখানি গুরুদত্ত বীজ বুনি বিবেকে প্রহরী রাখি চাষ কর মন নিষ্ঠা-হালে। মনের সুখে ফসল বোন তছরুপাত হবে না কোনে! কালী নামের দাও রে বেড়া ভাঙ্গবে নাকো। কোন কালে । সেচ দিবি রে ভক্তিবারি সময় বুঝে যতন করি ক্ষেতে যে তোর ফল্বে সোনা কৃষি কাজে হাত পাকালে। শ্যাম-সজীত-সংগ্রহ বুক পেতে কি শিবের মত আমিকিমাশুয়েরব। আশুতোষ পরমযোশী তাই হয়েছে স্বত্যাী আমি যে মা কর্মভোশী চরণ মুল্য কোথায় পাব। রাও] ছুটি চরণ পেলে ক্ষুধা তৃষ্ণা যায় ম1 চলে আনন্দে মোর মনট দোলে সে কথা কি ভূলে ষাব। কোথার পাব শুদ্ধা-ভক্তি কিসে হবে পাপের মুক্তি তুই যদি মা দিবি শক্তি ভবেই আমি সফল হুব। তোমার সভায় পাই নি ঠাই তাই রয়েছি দুয়ার পাশে সভাশেষে পড়বে নজর একলা আছি তারই আশে । কেউ গেঁথেছে জবার মাল কেউ সাজায় ম! ভোগের থাল। ঢাকতে তে!র পথের ধলা নয়ন-জল দেব শেষে । তুই যেন মাসে পথধ”রে আস্বি যাবি বারে বারে কেউ যেন টের না পায় তোরে গানের মালা পরাই হেসে । সবার আছে কাজের ভাড়া আমি মাগো সে দল ছাড়া রেপ শুধু গানের মালা আপন মনে গাঁথে বসে। ভক্তের আকৃতি ৭৫ জবার মশল! কন্ঠে পরাই বিল্বদল চরণতলে রাঙাজবা লাজে মরে রাঙায় রাঙ। মিশবে বলে । আল্তা মাখা চরণ-রাগে নবীন আশা প্রাণে জাগে আধার হদয় রভ্ীন হবে ভাস্বে কপোল নয়ন-জলে । পৃজা আমার হয় ন। সার আখি বেয়ে বয় মা ধারা চেয়ে থাকি চরণ পানে লুকিয়ে যদি পলায় ছলে । ছ্বিজ রেণুর নেইরে আশা শুন্য ক'রে ভবের বাসা এঁ চরণে থাকৃবে পড়ে জয় কালী জয় কালী বলে। ৩০ শ্রাবণ নেচে নেচে আয় মা শ্যামা মোর হৃদয়ে স্বপন বেশে ( আমি ) নাচ-বে! তখন তালে তালে তোর সাথে মা হেসে হেসে। ব্রাঙা ছুটি চরণ ধ'রে রাখবো আমার বক্ষ 'পরে ( মোর ) নিশার স্বপন উঠবে ভরে মায়ের মধুর স্নেহরসে । জাগরণে ভাবি মাকে স্বপ্নে মায়ের হবি থাকে সুযুপ্তিতে মায়ের সাথে যাই যে মিশে অনায়াসে । ১৯ মাঘ: হ্যামা-সজ্গশত-সংগ্রহ একবার কালী বল মন-রসন। থাকবে নারে আর ভাবনা | ভবের চিন্ত! যাবে দ্বরে ভবদার। হাতে ধরে ভব-সাগর তরিয়ে দেবে ছলনাতে মন তুল না। ভবে বঙ্গ মঞ্চ মাঝে দারাস্বত যার! সাজে লাগবে না তোর শেষের কাজে সাথে তারা কেউ ষাবে না। ভেবে দ্যাখ মন কেউ কারও নয় পুত্রকন্তার কাতর বিনয় বন্ধুজনের অনুনয় সবই মিছে তাও জান না। মন্ত্র পড়ে দিবানিশি তোরে ডাকি মামা বলে সাজাতে তোর রাঙা! চরণ রাঙা জব। আনি তুলে। জানিনে তোর পৃজার্চন জপতপ আর আরাধনা কর্বি ক্ষম। শবাসনা পূজার খেলা যাই মা খেলে। ফুলগুলি ম! তোর চরণে পাই কিন ঠাই কেবাজানে গানগুলি মোর আছে ফুটে ফুল হয়ে তোর চরণশতলে । দ্বিজ রামের নেই সাধন তাই চরণে ঠাই হয় না গানের সুরে তোমার ভাষ! নেবে কি মা পৃজ। বলে। ভক্তের আকুতি ৭৭ নিচ বজ্ে বাজে তোমার ভেরী আর সহে না তাই ম1 দেরী মন জেগেছে আমার মাগো শাওন ঘন বিজলী-রাণীর তারই মাঝে তোর পপ মা উষার অরুণ মনটি আমার গানের সুরে হৃদয় পুরে বজে তোমার বাজে আমার সেই সুরেতে গান ধরেছি তোমার সভাক্স পাইনি ঠাঁই আমার কণ্ঠে দিলে মালা সম্মানে মা মায়ের স্্েহ্‌ আ'ড়ালেতে প্লাড়িয়ে থাকি কেউ ডাকেনি ঈ।ডিয়েছিলাম তোমার আদর দেখে এবার কৃপা করি করলে আদর নইলে রেণুর গানের ডালা চল্বো এবার ত্বরা করি । মেঘের কোলে ঝিলিক দোলে দেখি আমি নয়ন ভরি । কিরণ লেগে উঠে জেগে তোর নামে মা গানটি ধরি । যে সুর বাজে হৃদয় মাঝে তোর সাথে মা করে চাতুরী। ঈাড়িয়েছিলাম দুয়ার পাশে কখন তুমি আপনি হেসে। লাজে মরি শিরে ধরি তোমার যাবার পথের শেষে । করে হেলা তাই একেলা! সবাই ডাকে ভালবেসে । অভাজনে আপন গুখে কোথায়'চলে যেত ভেসে। শ্যাম1-সঙ্গাত-সংগ্রহ দিন কাটে যে আশায় আশায় আর কিছু মা রাঙা চরণ কাটে জপে শূন্য আমার বস্বে এসে বসে থাকি মাতৃহীনের তোমার কি মা রামরেশুরে সারানিশি সেই আশাতে জানলে পরে এই কি মাগো যে ডাকে মা কেঁদে ভাযায় ত।রেই দূরে অসুরদলে শক্ত সবে দেবদেবী এবার তবে জকুটিতে প্রাণ দিলে মা ভক্তের আকুতি দিন-তারিণা আসেকই। নাই মা মনে পাই যেধ্যানে জানে না মন হৎকমলে কুতুহলে পথের পানে কি বেদন। আছে জানা বলতে এসে তোমা বই চেয়ে রই । মাভৈ? মাভৈ2। তোমার রীতি ম1 মা বলে নয়ন জলে দাও ম! ঠেলে সম্ভতানে তোর নাই মা প্রাতি। চরণ পেলে মুক্তি দিলে পায় যে কৃপা এই ত তোমার হ্য় মা নীতি। করবো লড়াই ভয় নাহি পাই তোমার হাতে রূুধে আমার কে সদ্গতি । ১৫ আশ্বিন ৭৯ আমার তমা ভয্লভাঙ্গেন' শেষের দিনে কিকা হবে তাই ভেবে যে মন মানে না। আদায় তহশীল হিসাব ধরে ইরসালেতে শুন্য পড়ে জের বাকীর দায়ে পড়ে কিছু আমার আর থাকে না। মসিল দিয়ে তশীল করি তার কৈফিয়ত কঠিন ভারী পড়বে পায়ে নিরুপায় কর্তে গোসা করি মান।। ঈরাশী লক্ষ জন্ম ঘুরে দেখতে পাই নে মা তোমারে এই কিগো মায়ের রীতি বল দেখি মা দয়] করে। জম! ওয়াশীল হিসাব বাকী তাতেই নিলাম নিলে ডাকি চোদ্দ পোয়া জমিখানি কত করে রকম ফেরে। খাস তালুকে বাস বেধে খাজন। দিতে মরি কেঁদে দ্বিজ রেণুর জমিখানি ছেড়ে দাও মা ব্রন্দোত্তরে । পপ পন ৮০ শ্যামণ"সঙজ্গীত-সংগ্রহ জবা তুই আপন গুণে ঠাই পেলি আজ মার চরশে মনেরে মোর সঙ্গে নেরে গুরীর সঙ্গে গুণহীনে। রাঙা টি চরপতলে তুই দিয়েছিস্‌ হৃদয় মেলে শুধাই তোরে এমন গুণ করলি জবা বল্‌ কেমনে । তোরই মত ফুটে উঠে মায়ের পায়ে পড়বে লুটে মন কি আমার ওরে জবা হবে কি তা এ জীবনে । তোর সাধনা নেইক জানা শিখিয়ে দেরে ওরে জবা তোর সনে ভাব করে নেবে সাধ হয়েছে রেণুর মনে। ৮ ফাস্ভুন এবার আমি মনের স্বুখে গাইবে গান মা আমার গান ভালবামে আছে মনে এই অভিমান । সুরের নেশ! আমার মনে মা জাগাল সংগোপনে গান গাহিতে তাই ত এমন ব্যাকুল হল প্রাণ। আমার গানে যোগায় ভাষা শ্যাম! মা তাই করি আশা গানগুলি মোর মায়ের পায়ে অনায়াসে পাবে স্থান । ভক্তের আকুতি ৮১ ব. বি./শ্যাম1-সঙ্গীত/৩২-৬ আক মা শ্যাম। নেচে নেচে তোর নাচে যে বিশ্ব নাচে আমি মা তোর ছোট ছেলে নে মা তোর কোলের কাছে। জন্ম জন্ম মাতৃহার। ভাগ্যহত আমি তারা এবার যদি দাও ম। ধরা তবে রেপুর পরান বাচে। সাধ মিটেছে ঘুরে ঘুরে রাখিস্‌ নে ঠেলে আমায় দুরে যোগ দেব মা ভোর সে নাচে এই বাসন! মনে আছে। শিখি নাই মা তোমার পৃজ গইতে জানি তোমার গান তোমার সভায় আমায় ডেকে এইটুকু মোর দিও মান। সবাই যখন ঘুম ঘোরে আমি তখন একল। ঘরে ডাকি তোমায় আকুল স্বরে কণ্ঠে তুলি মধূর তান। এই ত আমার আরাধনা আর করিনে পূৃজা্না গানে গানে তোমার পৃজ। কন্পি আমি সমাধান । সংজিয়ে সব গানের ডালি শেষ অর্থ্টটি দেব কালী শেষ গানেতে হয় যেন ম! এ জীবনের অবসান । ৮২ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ ওশো আমার মাজননী ওমা আমার মহামায়া আর কিছু চাই নেমাগো মালি রাঙা পদছায়।। কিহবে মোর জ্ঞানাজ্ঞানে পড়ে রব চরণ-ধ্যানে ভক্তি দে মা আমায় তার। ওগো আমার মা অভয়া। ব্রক্মবাদের চাই ন। যুক্তি চাই নে মা সালোক্য-স্ক্তি ব্রন্মময়ী হৃদে বসি একটু যেন কর দয়!। সগুণ নিগু4প জানিনে ম! জননী মোর ুর্গা ক্ষম! অকৃতী সম্ভ।নে মা থাকে যেন ম্সেহমায়া । € মাশো।) পাখীরে শিখালে গান মা ম1 রবে ধরে তান সাঝ-সকালে আপন? ভুলে মধুর কণ্ঠে গাহে গান। সবজীবে ডাকে শিবে দিবানিশি ম1 মা রবে মাতৃনামের সে ধ্বনি মোর মুগ্ধ করে প্রাণ । অ আমায় শিখালে ভাষা তাই দিয়ে মা পুরাই আশা সেই ভাষাতে মালা গেঁথে তোর চরশে করি দান । পাখীর মতো! সহজ করে গান গাহিব পুলক ভরে তোমার কৃপা হলে পরে এই ত রেপুর অভিমান । ভক্তের জাকুতি ৮৩ ৮৪ ওক্কারে মা বেদান্ত তোর সাধন ভজন রাঙা চরণ মনের মত বক্ষে আমি সব অহঙ্কার (আমার) সকল কর্মে সকল ধমে সহজ হল মোহমুক্ত তোর যেস্থিতি তভ্রিশক্তি তুই মাতার।। না পায় অন্ত তাই বলেছে নিরাকারা ॥ শৈব জানে শিব-শক্তি মোক্ষবাদী মাগে মুক্তি যুক্তি সাটে দার্শনিকে যার যেমন মা আছে ধার।। সগুণ নিগুণ বিচার ছেড়ে আমি আছি চরণ ধরে তত্ববিচার করুতে শিল্পে বুথাই খেটে হলেম সারা । জানিনে মা তোরে ডাকি মামা বলে ধুইয়ে দেব মাগো আমার নয়ন-জলে। রাঙ্গা! জব! চরণতলে জবার মালা কে দোলে সাজিয়ে দেব করূৃবি ক্ষম। কাঙ্গাল বলে। রাঙ্গা মা তোর চরণ ছুটি রাঙ্গা! কমল সম ফুটি ধরবো মৃতি. আয় মারাঙ্গা চরণ ফেলে । এবার মাগে। দিলাম তুলে তোর চরণে তুমিই কর্জী জানি মনে। আমি আমারু এ মোহ খোর দিল কেটে করুণা তোর এবার মাগো বোঝাপড়া তোমার সনে। মান-অপমান লজ্জা ভয় তোরই তসব মোরকিছু নয় রামরেণু তাই মেতে আছে তোমার গানে । শ্া/মা-সলীত- সংগ্রহ সবই আমার দিগ্বমন। তাই নিবি মা পৃজ। তোমার কেড়ে নিলি মমত। নেই উপাচার যে আন্তে নারি য! এনেছে দীনের পূজা গ্রহণ তুমি হবে মাগে! মাগো আমার কাজাল করে তোর মা কোনে! কিছুর "পরে । মনের মত ভাগা হত কাঙাল ছেলে পূজার তরে। দিন-তারিণী কর্বে জানি রামরেশুর এই ভাঙ্গা ঘরে। কালীদহে ডুব দিয়ে মা শুচি হয়ে বসে আছি সাধন ভজন করতে এবার তাই ত আমি মন দিয়েছি। বিষয় মোহের ময়ল। চিটে লেগেছিল বুকে পিঠে সব গিয়েছে এখন উঠে ভগ্ন-ভাবনা সব তুলেছি । ছয়ট! ছিল কপট সঙ্গ কত রঙ্গে সাজত রঙ্গী ভুলিয়ে মোরে রাখত নিতি এবার তাদের দূর করেছি । ভক্তের আকুতি ২৯ জ্যেষ্ঠ ৮৫ তুই কির'বি বল্‌ মা আমাল্প অজানা ম! চিরদিন মোর মনে ধ্যানে কোন্‌ গুণে পাক রাতুল চরণ সাধকজনে । কোন্‌ সে মন্ত্র জপ ক'রে রাখে তার! হদে ধাঝে দেখতে পায় মা নয়ন ভরে রূপটি তোমার আপন মনে। মন্ত্রপাইনি গুরুস্থানে ভয় জাগে মা ভাই ত প্রাণে স্যাস প্রাণায়ামে হয়পি জানা শিক্ষা পাইনি যোগ সাধনে । সাধন ভজন পৃজার্চন। তাতেও রেণুর মন বসেন! “মা? মা” বলে দিন কাটে ম। নেই কিছু তার নামবিহুনে। ২৪ অগ্রহায়ণ পৃজতে চাই চরণ ছুটি সুযোগ দেমা ও অভয়া দিবানিশি রইব পড়ে দাঁও যদি মা পদছায়া। আয় মাশ্যাম! শবাসন। পৃজ্‌তে চরণ মোর বাসনা মা হয়ে সন্তানের প্রতি কেন মা তোর নেইক দয়।। আজ পেয়েছি হদে তোরে রাখব ধেঁধে ভক্তি ডোরে মনের সাধে করবপুজা জয়জননী সর্বজয়া । ১৬ মাঘ স্যামা-সজীত-দংঞ্রহ' কোন্ স্বরে মা গ্াইবো গান বীাধৃবো বীণা কোন্‌ সেতানে জানিয়ে দে গো ও মাস্ঠামা বুদ্ধি আমার নাহি জালে । শমন যখন দ্বারে এসে ধর্বে আমার শুভ্র কেশে হয়ত তখন কণ্ঠহারা চেয়ে রব চরণ পানে । হন যেন গো থাকৃতে সময় কৃপময়ীর কপার উদয় ভরিয়ে দিতে অঙ্গন তোর পারি যেন গানে গানে । হৃদয়ে তোর চরণ-ধ্বনি নিশীথরাতে আমি শুনি কেমন করে ফুটাব ম। সেই ধ্বনি মোর গানের তানে। ছ'জনায় মোরে পথদেখায়মা তাইতআমি পথভুি পথের নামে বিপথে নেয় কত রকম শোনায় বুলি। দশটা আছে নগদ মূটে ওদের সাথে তারাও জুটে সবাই মিলে ঠেলাঠেলি উড়ায় শুধু পথের ধূলি। বিশ্ব বাধা কম্নভোরে সুতোর টানে সবাই ঘোরে জ্ঞানীর কর কলুর বলদ ঘোরে শুধু চোখে ঠুলি। মনে আমার যা ছিল সাধ ওরা তাতে সাধেযেবাদ সবরক্ষা কর রক্ষা ডাকি তোমায় পরান খুলি । ভক্তের আকুতি ৮৭ গান গাই আমি নিরজজনে মা দাড়িয়ে আড়ালে শোনে। মার চরণের নূপুর ধ্বনি কর্পণে তখন বাজে শুনি আবেগ মাখা প্রাণের কথ অর্থ দিই মাএ চরণে । সুরগুলি তায় ভেসে ভেসে মার চরণের তটে এসে জানায় মনের বেদন বাণী মায়ের কাছে নিবেদনে । মা তখন গো নিশীথ রাতে লুকোডুরী খেলায় মাতে স্বপন ঘোরে এম্নি করে মায়ের খেলা আমার সনে। এই ভুবনের ঘরে ঘরে কতবার যে আসি ফিরে রাঙ। চরণ পৃজ্‌বো বলে আস্তে তয় মা বারে বারে । ধরিত্রী মার স্েহমায়। জড়িয়ে ধরে আমার কায়। তাঁরই টানে আমায় আনে বুঝি আবার এ সংসারে । পুজা সাজ হল এবার এ ভুবনে আস্ব না আব চরণতরী দিয়ে রঃমে পার কারে, দাও কাল-পাথারে । ৩১ শ্রাবণ ৮৮ শ্যামা সঙজীত-সংগ্রহ তোর পূজা মা ঘরে ঘরে মন মেতেছে আড়ম্বরে জলে-স্থলে শেফালী তার আগমনীর ভূমণ্ডলে আনন্দ আজ আছেভ'রে। যোগ দিয়ে মা আশবাহনে শারদ প্রাতে পাখীর গানে অধ্য সাজায় মাগো! তোমার পুজার তরে। কাশের হাতে চাঁমর দোলে পদ্ম ফোটে দীঘির জলে স্ুরটি ছড়ায় এই শরতের আকাশ 'পরে। সুর মিলিয়ে এ সবরেতে চিত্ত উঠক গানে মেতে রামরেণু চায় গানের অর্থ্য সাজিয়ে তোমার পৃজা করে। ১০ কাত্তিক আশায় আশায় বাসাবেধে দিনকিযাবে এম্নি হেসে শমন যেদিন ভক্তের আকৃতি আস্বে ঘরে ধর্ৰে আমার শুভ্র কেশে হয়ত সেদিন কণ্ঠহারা নয়ন বেয়ে বইবে ধারা অঙ্গে আমার জীর্ণ জর। চাইবে না কেউ ভালবেসে । সেদিন তুমি কৃপা করে চরণ রেখো মাথার 'পরে তারক-ব্রল্গ নামটি তব দিও কানে অবশেষে । রেণু তখন মুক্ত পাখী আনন্দেতে মুদবে জাখি কালী কালী কালী বলে চলে যাব নৃতন দেশে । ১০ আশ্বিন ৮৯ শিররে শমন এ বাসনা মনে জপের মালা তারক-ব্রঙ্গ তোর রঙ্গ দেখে সনে তয় মা ঠাড়াবে যখন কর্বে আমায় অন্তর্জলী সেই ক্ষণে বল্তে পাই মা কালী কালী। হাতের লেখা যাবে কেপে কণ্ঠেতে কফ বসবে চেপে পড়ে রবে সকল আশায় জলাঞ্জলি। তখন আমার চোখের 'পরে রূপটি তোমার তুলে ধরে নামটি কনে দিও পাছে যাই মা ভু ভঙ্গ দিলাম বিষয় স্বখে জলাঞ্জলি সঙ্গ সুখে আনন্দে দিই করভালি। স্বর্গ মত্য পাতাল খুঁজে শ্মশান মাঝে নয়ন বুজে তোরে আমি নিলাম বুঝে ও মান্যামা মৃণ্ডমালী। বাস্ত রেখে নান। কাজে লুকিয়ে থাক হৃদয় মাঝে সেথায় রাতুল চরণ রাজে দেখাও দেখি ও মাকালী। আমি ছিলাম তোমার ভাবে হেথায় রাখো ভবের ভাবে শেষের দিনে কিবা হবে, রক্ষা করো রক্ষাকালী। হ্যামা-সঙ্জীত-লং এহ যেদিন আমি রইব না মা এই ভবে তেমনি করে রাত পোহালে রবি আমার উঠবে নভে । হাটে মাঠে লোকের মেলা শিশুর দলে কর্বে খেলা জীবনধারা চলবে বক্সে স্তব্ধ হয়ে কেউনা রবে। ৷ 4 চল্‌বে তেম্নি সৃষ্টি প্রলয় জীবন-স্বত্যু জয়-পরাজয় কারো লাগি আটকে কিছু এমন কথা কে শুনেছে কবে। রামরেণুরে ভূলেই যদি ধরার থরের যায় মা সবে তোমার পায়ে স্থান দিও মা ভূলেই তারা থাক্‌ না তবে। শেষ বাসনা সপে দিলাম শবাসনার চরণতল্ে আনন্দে তাই আছি বসে জয় কাঙ্গমণ জয় কালী বলে। রাঙা! দুটি চরণ লাশি কত নিশি ছিলাম জাশি দিন কেটেছে আশায় আশাল় মাশিয়েছে লুকিয়ে চলে। হৃদয় আসন পেতে রাখি মামা বলে কতডাকি ছেলের ডাকে মায়ের আসন যায়নি কিশে! একটু টলে। ভক্তের আকুতি ৯১ ওরে মন তুই কেমন করে পাবিমায়ের রাড চরখ আমি ততারে পাইনি ডেকে মিথ্যে হল ভজন পৃজন। আনগোন। ভবের হাটে বুথ! আশায় দিন যে কাটে শেষ হয়েও হয় না যে শেষ ঘুরে ফিরে জীবন-মরণ । ব্রাঙা ছুটি চরণ লাশি সার! নিশি আমিজাশি কৃপাময়ীর কুপা মাগি বুঝিনে ত মায়ের ধরণ । শেষের দিনে অবহেলে শেষ কথাটি যাব ব'লে ম। কখনো নয় নিদয়া শেষ আশা সে করবে পৃরণ। ২১ আশ্বিন আমি তোমায় গান শোনাব এই বাসন। জাগে মনে হদয়-পদ্দে আপন পেতে বসিয়ে তোরে সংগোপনে। যেস্বর তোমার বাঁণার তানে স্ঞাই বাজিলে আমার গানে গানগুলি মোর ধনাহবে তোমার পায়ে নিবেদনে। গান রচি মা তোরুই তরে কত কথাই কয় অপরে আমার তাতে কিযায় আপে পশে খদি তোর শ্রবণে। আমার সুরে তোমার সুরে মেশ!মেশি কাছে দূরে যে জন বুঝে সে জন বুঝে ইঙ্গিতে রাম-রেণু ভণ্ে। ২২ আশ্বিন : স্যাম1-সঙ্গীত-সংগ্রনথ শোন্‌ গো মা শবাসনা শেষ নিবেদন জানাই তোরে শেষের দিনে শেষ কামনা । রসনা যদি যায় ম1 ভুলে নাম নিতে তোর কালী বলে বস্বি এসে হৃং-কমলে আমার মনে এই বাসনা । শুদ্ধদ্ষ্টি এ চরণে মাগি আমি সরল মনে যাবার আগে হেরি যেন মৃত্তি তোমার বিবসনা । চতুর্বর্গের আশা ছেড়ে রইবে রেণু পায়ে প'ড়ে জনম-মরণ শেষ করে দে শেষ করে দে আলাগোন!। ধনের কাঙাল নই ম] শ্যামা চরণ-ধুলা ভিক্ষা করি পাষাণ বাপের মেয়ে যে তুই কৃপণ অতি মা শঙ্করী। করুণাময়ী নামটি ধরে করুণা নাই যার অন্তরে লীলাময়ী এসব লীল। কিছুই আমি বুঝতে নারি । পাগ্‌ল1 ভোল। নেশার ঘোরে শ্মশান মশান বেড়ায় ঘৃরে সময় বূঝে চরণ ছুটি সে রয়েছে বক্ষে ধরি। দ্বিজ রেপু কাঙাল ছেলে বুক ভাসে তার নয়নজলে পদরেণু পাবার আশে কাটায় দিবা বিভাবরা। ভক্তের আকুতি ৯৩ কার ঘরে আজ গান শোনাব একতারাটি হাতে ক'রে গানের আদর করবে কে মোর সমবদার কে আছে ওরে। মায়ের নামে যে গান জাগে শুনবে যে তা অনুরাগে আমার গান যে বসে আছে পথচেয়েহায় তারই তরে। একতারার একটি তারে সব সুরতো বাজে নারে বাজে শুধু শ্যামা-সঙ্গীত তাই ত আমার হৃদয় ভরে। গান ষদি মোর কেউ না শোনে চিন্তা আমার নেই মা মনে স্বয়ং তৃমি শুনবে জানি ছেলে বলে ধৈর্য ধরে । কোন্‌ সে মন্ত্রে পৃজ্‌বোচরণ কোন্স্বরে আজ গাইব গান বল্‌ মাআমায় গোপন কথা কোন্‌ কথায় ম। পাতবি কান। কি মন্ত্রেতোর হবে বোধন কর্ব পুজার কি আয়োজন কোন্‌ অধ্য তোর চরণতলে বল্‌ মা আমি করব দান। জপ কর্ব সে কোন্‌ বীজমন্ত্ জানা আমার নেই গো। তন্ত্র কেমন জপে মন্ত্রে তব উঠবে জেগে এ প্রাণ । ২৭ শ্রাবণ ব্যামা-সজীত-সংগ্রহ বারেবারে আমিফিরে এইধরণার নাল রে পৃজার অধ্য হয়না দেওয়া তরুমাতোর চরণ 'পরে। ক্ষবার সে আসিআরষাই তোর সাথে মা তাও দেখা নাই এ দুঃখ আর কারেজানাই আমার শুধু নয়ন ঝরে। পেলে তোমার কৃপাকণ! তবেই সফল হয় সাধনা হৃং-কমলে পেতে আসন পূজা করি যতন করে। ২৭ শ্রাবণ ভবের সুখ হখের বোঝা পথের ধারে ফেলে দিয়ে মহাযাত্রা করবো ধীরে এঁ চরপের পানে চেয়ে । ভর্বে নয়ন অশ্রুনীরে চাইব না আর পিছন ফিরে কামনা মোর নেই কিছু আর তোর পাশে মা বস্বো শিয়ে । তোর বাগানের ফলে ফুলে পরাণ আমার উঠবে দুলে নন্দনেরই মধুর গন্ধে নাসা আমার যাবেছেরে। আপন ধাে হেরব তোমা আনন্দের তাই নাই মা সীমা নাচবেো আমি ভালে তালে তোরই নাম কণ্ঠে নিয়ে । ১৭ আশ্ষিন ভক্তের আকুতি ৯৫ রাঙা পায়ে রাঙ্গা জবা সাজিয়ে দেব যতন করে তুই যেন মা দিস্নাফেলে পাঁথেকে তা অনাদরে। তোরই সৃষ্টি বিশ্বভুবন যা আছে সব তোরই সেধন রাঙ্গা জবা আমার কিসে তোরিধনদি চরণ 'পরে। তোমার ফুলে তোমার পুজা আমার কিছুই নয় মা সোজা পৃূজ। কর্ছি বলে তবু বড়াই করি আঁড়ম্বরে । পা সস ভজন পৃূজন আরাধন। এবার আমায় শিখিয়ে দে না। সার করেছি রাঙ। চরণ মিছে মায়ায় আর তলব না। পাষাণ বাপ তোর তুই পাষাণী তাইত দয় হয় না জানি হৃদয় মাঝে আছিস্‌ তরু পাইনে খুঁজে তোর ঠিকান1। মন্ত্র নয় মা পাখীর বুলি তাতেই মন যে ছিল ত্লি আসল মন্ত্র সে তুই জানিস্‌ আমায় তাজান্তে দিলি না। দিন কাটে মা বড়ই দুঃখে ঘুম আসে না রাতের চোখে মনের মতন হয়নি সাধন হয়নি মা তোর আরাধনা । ৭ বৈশাখ শ্বামা-সঙীত-সং গ্রহ নেচে নেচে আয় মা স্ঠামা নেচে আয় মা তালে তালে মনকে আমার দিলীম ফেলে তোরই রাঙা চরপতলে । অভয়া তোর অভয় চরণ হৃদয়ে মোর করবো ধারণ সফল হবে জীবন-মরণ কি হবে আর অন্য ফলে। ব্রন্মময়ী তুই জননী নিত্য সতা সনাতনী বিছান ভোর আসনথানি আমার শুভ্র হংকমলে। শুভ জোষ্ঠ ডাক দেখি মন কালী বলে-_ মায়ের আমার আসন পাত হৃদয় মাঝে ছাদশদলে । মিল্বেরে তোর রাঙ1 চরণ সফল হবে জশীবন-মরূণ ভয়-ভীবনা রবে না আর পাষাণ হৃদয় যাবে গলে । কালী নামের কি মহিমা ভাষ! যে তার পায় না সীম! চতুবর্গ হয় যে লঙ্য শুধু মাত্র নামের বলে । ২৭ ভার কে বলে মোর কালী কালো রূপের ছটায় চোদ্দ ভূবন দেখি আমি আলোয় আলো! । কালো ব্ূপের নাই তুলন। মায়াঘোরে তাই ভুলো না কালোর সাথে আলোর নাচন যে হেরে তার কপাল ভাল । দেখার মতে! চোখ আছে যার সেই সে দেখে কালোর বাহার দেখে চেয়ে কালোর মাঝে অপর রূপ সব হারাল । ৪ আশ্বিন ভক্তের আকুতি ৯৫ বহ. বি./শ্যামা-সঙ্গীত/৩২-৭ জয় কালী জয় কালী বলে যদি আমার জীবন যার এই মরণেই জীবন-মরণ শেষ হবে তোর রাজ। পায় । রবে না আর বৃথা আশ! বাধবে। না আর ভবের বাস জীবন-তরী আর ত আমার ভিড্‌বে না এই কিনারায় । ধমাধম এ চরণে অর্থ্য দিয়ে মনে মনে শেষ পুজা মোর সেরে যাব কৃপাময়ী মার কৃপায়। ২০ পাশীপ শশা? 7 পাপা পি হাসিমাখা মুখটি হেরে সকল দুখ যায় মা দূরে ওগো! আমার পাগলী মেয়ে তবে কেন বেড়াও ঘুরে । যা কিছু মোর ভরসা আশা তোর চরণে ধাধ্‌লে। বাস। যেখানে তুই থাকিস্‌ মাগো পাই যেন মোর হৃদয় পুরে। আ'স্বি যাবি নাচবি তালে চরণ রেখে দ্বাদশদলে দেখবো অমি নয়ন মেলে আনন্দে মোর নয়ন ঝুরে। সহম্রারে শিব সনে মিলন তব সংগোপনে সই মিলনের সুধারলে সিক্ত কর রামরেণুরে । স্যাম1-সজীত-সংগ্রহ অনেক ভক্ত তোর চরণে শ্রদ্ধাভক্তি দেয় মা দান কতই গুণী তোরই গুণে গাইছে কত গুণগান ! কেউ সাজায় ম। অধ্-ডালা কেউ বা আনে জবার মালা আমি শুধু একলা বসে কণ্ঠে ধরি তোমার তান। ভক্তিহ্ীনের গানের কলি প্রেমের লহর দেয় মা তুলি তোরই রাঙ' চরণতলে পায় যেন মা একটু স্থান। মা আমি যেস্থপন দেখি ফুল হয়ে সে ওঠে ফুটি ( আমার) গানের ভাষা সেই ত আশ! তুমিই ভারে দেবে মান। মৃক্তি দে মা মুক্তকেশী ভবের ঘাটে আছি বসি আধার হৃদয় গগনতলে দেখবে! উদয্ন উমাশশী । ভক্তের আকুতি দিনের শেষে শেষ থেয়ায় ডাকৃবি মা তুই কবে আমায় কাণ্ডারী তুই আছিস্ হালে তুল্বি নায়ে মুচকি হাসি। সালোক])াদি চাইনে মাগে। অন্তরে মোর সদাই জাগো শেষ করে মোর যাওয়।-আসা তোমার মাঝেই যাব মিশি। ২৯ আবাঢ ৯১) ধনজন সংসারে আমায় বেধে রাখবে তারা ভুলেও ভুল করবো! না মা আমি যে মা বাধন-হারা । বারে বারে ভবে এনে ধাধবে তুমি মায়ার গুণে যারা তোমার পায়'মা কূপ! মায়ার বাধন কাটে তারা । আসা-যাওয়া বারে বারে ঘোরা-ফেরা এ সংসারে চিরতরে হোক অবসান কৃপা কর ভবদার]। অ।মি যে তোর আপন ছেলে বুক ভাসে মা নয়নজলে ম) আমায় রয়েছ ভুলে তাই ত কেঁদে হলেম সারা। পপ কেন মা তোর পাইনে দেখা এত ডাকি ম। মা! বলে মাতৃ-হারার দুঃখ দেখে পাষাণেরও অশ্রু গলে । জ্বালিয়ে আমি স্াঝের বাতি জেগে থাকি সারা রাতি আধারে তোর যাওয়া-আসা দেখা যদি পাই মাছলে। কবে তোমার সময় হবে আমায় এসে ডেকে নেবে আশায় আশায় দিন কেটেযায় পাইনে তাই চরণ-তলে। করুণাময়ী করুণাহারা দেখি নাই ম। এমন ধার। প্রারন্ধেরই ফল ভেবে মা ভাজে রেণু নয়নজলে । ১০০ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রছ আমি যখন গেক়েছি পান একলা আমার ঘরে বসি আড়ালে ম! লুকিয়ে থেকে গান শুনেছে এলো কে শী । আমি তখন নকল তুলে সরে সৃরে হৃদয় খুলে প্রকাশ করে দি মা আমার মনের যত বেদনরাশি । শানগুলি মা তোর শ্রবণে পশেছে এই জানি মনে ছেলের ব্যথা জেনে মাকি থাকতে পারে আর উদাসী । কি মন্ত্রে মা পৃজি চরণ কোন্‌ নামে মা ঘুম ভেঙ্গে তুই উঠ্‌বি জেগে গানের সরে বোধন করি বিশ্বমূলে তবু ষেতুই থাকিস্‌ ভুগে ফুল পৌছে না চরণতলে ছেলের "পরে যেমন করেই ডাকে মাকে মা সাড়া দেয় ছেলের ডাকে আমার ডভাকেও দিবি সাড়া সেই আশাতে ভক্তের আকৃতি & কাতিক : গাইব গান দিবি কান। নেই মা! টান । ধরি প্রাপ। ৫ কান্িক ১০৯ ( আমি ) মন-কুসুমে কাজ কি আমার মনে মনে উদ্বাসন সে ব্রল্মমন়ী কেমন ক'রে কে মুছাবে মন্জরতত্ত্র ১০৭ পৃজ্‌বো শ্যাম! রাঁঙ। মা তোর চরণ ধরে জবার মাল! গীথা মায়ের পুজার তরে । পুজার যত উপচার ধুপ দীপ নৈবেদ্য আর কর্বো চয়ন তোমায় দেব ভক্তি ভরে। মানস পুজা অবসানে স্তব করি মা গানে গানে হৃদয়মাঝে করব আমি যতন করে। ১৪ আস্িন তুই মা শ্যামা তাই তসকল শান্ত্রেবলে পূজ্‌বো আমি ফুল দিয়ে তোর চরণতলে । কে বিলাবে বরাভয় ঘুচাবে মোর সংশয় নয়ন আমার ভাস্বে যখন অশ্রুজলে । উদয় হও ম। মায়ের বেশে দি অঞ্জলি ভালবেসে জানিনে মা ডাকৃব শুধু মা মা বলে। স্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ পাষাণী যে নয়ন মেলে ঘটে-পটে মায়ের আমার মৃত্তি গড়ে ব্রহ্মময়ী বারই পুজা ভক্তের আকৃতি মাটি আমার দেখে নাহায় নিশীথ-রাতে কাদি যখন অভয় দিয়ে আশায় আশায় ডেকে ডেকে আমার ডাকে পৃূজবো না আর আসন পাতা হদয়মাঝে পুজা করি কি হবে মার বিশ্বরূপা বিশ্ব জানি তুই জননী শিব দুর্গা শ্ীরাধা করি নাক আর শোনো নাআর আমান কথ। সম্তানেরই কি যে বাথ! ঘুমের ঘোরে আকুল স্বরে শাস্ত করে স্পর্জ করে আমার মাথা । দিন কাটে মা ভোরে শ্যাম। দিবি সাড়া জেনে আমার বাকুলতা । ১৬ আম্মি মা! বিরাজে সর্ব ঘটে শূন্য আমার হদয়পটে | রাঙা চরণ এই আকিঞ্চন কাজ কিমোর ঘ!টে মঠে। মহামায়া? তোরই কায়া সেকথা মোর শাস্ত্রে রটে। তারা কালী বনমালী সেতোমারি পুজা বটে। ১০৩ আধারে তোর আধার হৃদয় চিরতরে চিদ-গগনে রাজার মেয়ে তিলেক দাড়া ্বাদশদলে পূজার ঘরে এই বাসনা ১০৪ যাওয়া-আসা। রাখি মেলে আধারে তোর করবে আমার দূর হবে মোর অসীম আধার তোর চরণের উঠবে জ্বলে পৃূজ্‌বে। চরণ ও মা শ্যামা ভূষণ দেব জবার মালা তোমার আসন গভীর রাতে পৃজব তোমায় কেউ র'বেনা শেষ পৃজাটি কর্তে পারি রেপুর মনে তাই ত আমার বাধবি ব'লে রাঙা চরণ হাদয় হরণ জন্ম-জন্মের গগলনতলে মানিক জ্বলে মানে আছে আকঙ্জিকে আমার শুন্য নানা জাতি দেব পাখি পৃজ্‌বো সেথা। সংশগোপনে আপন মনে রাখব দূরে যাবাবু আগে অনুরাগে পুরাও যদি মনের আশ! সেথায় বাসা । কাদা-হাসা । এই ভরসা । ২ অগ্রহায়ণ বাজ-উপচারে হৃদয় 'পৰরে। ভক্তি 5বে। ছ'জনারে। কৃপা করে। & অগ্রহায়ণ স্তাম1-সঙ্গী ৬-দংগ্রঙ্থ শবাসন। নিলাম মাশি চতুরবরগ চাইনে যেন আসন পেতে মোর সাধন। কাক্ষ জলম মৃক্তি শক্তি রেপুর হদে মনোহরণপ দোষ কারও নয়গে শ্যামা বিষয় ভোগের তৃষ্ণা মেটাই লক্ষ লক্ষ আসি যাই মা ভোগের আশা মিটলো না মা বাসনা-জাল যাব কেটে মনে আমান কোনো কিছুই শক্তের আকৃতি আছে মা ভোর চরণ ছিরে তারই লাশি আদি ফিরে । চরণতলে মনের ভূলে দ্বাদশদলে রাঙা চরণ রাখবে ধবে। চাইনে মানে! সদাই জাগে। রূপটি তোমার হেরব শুধু নয়ন ভ'রে। ১৯ অগ্রহায়ণ জড়িয়ে পড়ি আপন জালে আগুনে মা ঘৃত ঢেলে । জনম ধরে বারে বারে যাওয়া-আসা তাই তচলে। কেমন করে শিখাও মোরে থাকবে না গে আর তা হ'লে। ৯৪ অগ্রহায়ণ ১৩৩৫ সাধন-ভজল মায়ের ছেলে মাত আমায় অক্ষম যে তোরে যদি তুই ত জানিস মাকেই গালি ছেলের যাতে আশায় আছি *০৬ নেইক জানা মায়ের সাথে জড়িয়ে পড়ে যাই যে তুলে নাহি ভুলে অস্তকালে মায়ের কোলে সেই ছেলের 'পরে ভুল বুঝে মা মনের কথ রেণু যে তোর কখন কি যে পাড়ে কতু ভুল পথে মা ফিরিয়ে আন হয়গো ইষ্ট স্রান্ত ছেলের বিশেষ কৃপা অস্তকালে কর্‌বে। পুূজ। কিসের তরে বাধা আমি ল্লেহছডোরে । কর্পাকে আপন মাকে সজাগ দন্টি আমার 'পরে। ভরসা তাই পাবরে ঠাই মায়ের স্েহে অধিক ঝরে। ২২ অগ্রহায়ণ সবল করিগে। মনে মনে ভবঁল হয়গো কি কারণে । অবোধ ছেলে করে ফেলে মায়ের প্রতি অভিমানে । যদি সেযায় তোমারি দায় তাই ভাবে মা প্রতিক্ষণে । প্রতি সদাই জানি যে তাই ঠাই পাব ম। এঁ চরণে । ২৪ অগ্রহায়ণ হ্যামা-সঙজীত -সংগ্রহ তুই ষন্দি মা দীড়াস্‌ পাশে ভয্ল দেখায় মা ছয়টা চোরে অভয় দিলে আশা! আমার শেষের খেল সাঙ্গ করি তোর করুণার দিন যায় যে বক্ষ ভাসে নয়নজলে স্বপন ঘোরে ভরেছে মোর এবার যখন উড়বে পাখী কেনরে মন ভাবিস্‌ বসে আনন্দময়ী মা যে আমার পাবরে আজ যাবার পথে পারের ঘাটে ভাবনা যত মায়ের ঘরে কেউ জানে না মায়ের দেওয়া ফুরায় না মন বস্বো যখন ভয় করিনে চুরি যখন তুই অভয়া হয় বিজয়! হাতে নিয়ে মা অভাব হ'লে মোর বিফলে ঘরে পরে তোরে দেখি মনের আখি রইবি সাথে, একুল। তুই ডাক দিয়েছে চরণতরী ভয় না করি মা কাণ্ডারী ভবের বাসে কর্তে আসে । তুরুপ তাসে। সবাই হাসে। নীলাকাশে। কিসের আশে আমায় হেসে। ঠাই রেখেছে আপন পাশে । ভবের জন্য সুখের পণ্য আমার তরে মায়ের স্রেহ আপনি আসে । হাতে তুলে দিনটি গেঙ্গে চরণতলে মোরে দেবে মা! ভালবেসে । ভন্বে আকৃতি ৯০৭ পৃক্জায় বসে ডাকিতারা নয়নে তখন বয়মাধার! কখন সেজে খেলার সাথী সামনে এসে দীড়ায় তার! । তারা আমার হদয়দলে বসে থাকে ভরখ মেলে কখন দেখি নয়ন মাঝে আড়ালে থেকে দেয় মা ধরা। তারায় ভরা গগনতলে ছায়ার খেলা ধরার কোলে শশী সূ চরপতলে রূপ দেখি তার নয়নভর। । শান্তর জানে ন মায়ের ততৃ মা দিয়েছেন গোপন বিত হর্ষে মশন রেণু নিত চিত্ত চিদানন্দে সার1। ৭ মাঘ শ্যামা তুই আছিস্ব্যাপে কাঙাল মোর নয়ন ভরে শ্যামল শোভায় পাই মা তোরে ভূধর-সাগর কাল্তারে। রাঙা পায়ে ভোর ম নাচন শস্য-শীষে দেখি মাতন নদীর জলে ছেলের বোলে তোরই হাসি পাই মা ধরা। তোর চরণের আল্ত। লেগে কনক কিরণ তপন জেগে বিলায় আলো মনের সুখে এই ত্ববনের ঘরে ঘরে। শীল গগনে জ্যোতি ভর! তোর আলোর চন্দ্র তার। জোছনা বিলায় তোর চরণে এই ধরার ধুলি 'পরে। আমার আধার হাদয়তলে তোর চরণের কিরণ খেলে ভাই জানাবো দেশে দেশে মনে মনে যতন করে। ১৩ মাঘ ১০৮ ্াম1-সজীত-সংগ্রহ রজময়ী রঙ্গে নাচ খেলায় মেতে কেমন শ্যামা । শ্মশানমশান বেড়াও ঘুরে পাইলে তোর চরণ ধরে কেমনে তুই হরের ঘরে বল্গো মা হরের বাম । বরাভয় তোর করতলে (তবু) মুগুমালা গলায় দোলে উধ্বকরে খড়া খেলে বুঝতে নারি তোর মা সীমা । বিষের জ্বালায় অঙ্গ স্বলে শান্তি মেগে চরণতলে পড়ে আছে পাগলা ভোলা ভাক দেয় মা তোরে উমা । ১২ মাঘ ব্রন্মমন্রী এই কি তোর বিটার বটে । যেজন তোর ভবের ঘরে তো!র চরণ চিন্তা করে নয়ন বেয়ে বয় মা ধার! বড়ই দুখে দিনটি কাটে। যে জন দুর্গা দুগঁণ ব'লে দুখের বোঝা মাথায় তোলে দুর্গতি মা তার কপালে নিত্য কিগে এম্নি ঘটে । শমন যবে ধরবে কেশে পারের ঘাটে যাব মা আশে সেদিন তুই করুণা করে পার করিবি কিসঙ্কটে। ভক্তের আকৃতি ৯০৯ আমি কি গাইতে জানি গান মা যে আমায় গানের স্বরে ভরে দেয় মোর কান। নিশীথ রাতে একলা ঘরে পুর্জি যখন গানের স্বরে রাগ চরণ পাই মা ধরে উতল তাই আমার প্রাপ। যুগিয়ে দিলে গানের ভাষ। মেটে তাই মা মনের আশা মায়ের নামে ভৈরবীতে হিয়ার পাতে ধরি ভান । পান করে সেই গানের সুধা মিটেছে মোর মনের ক্ষুধা দূর হ'ল মোর সকল বাধা নিত্য তাই করি পান। দিনত মোর এশিয়ে এল আসে না কই দিনতারিণী ঘুমের ঘোরে একলা আমি শুনি মায়ের চরণধ্বনি। নিশীথ রাতে অন্ধকারে মা নিতেচায় কোলেকরে পাই যেতারে হৃদয় জুড়ে মনের মাঝে কানাকানি ভিতর-বাহির একাকারে মারবেমোর ভবন ভরে আনন্দে তাই নয়ন ঝরে এবার মাকে নিলাম চিনি । স্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রন্থ কালী কালী শেষের দিনের আমি যদি হাসিমুখে জনম ভরে আসি-ষাই ম! ভক্তের আকুতি বলে মাগো ভাদি আমি আখিজজে শেষ কথাটি এবার তোরে যাব বলে। অস্তিমে মা শিয়রে বসে ঈাড়াবে মোর শষ্যাপাশে বিদায় নেবে তখন হেসে ভবের খেলা সাঙ্গ হলে! মনে মনে পৃজ বো শ্যামা রাতুল ছুটি চরণ রাঙ্গ ধুইয়ে দেব এ ছুটি ম। তোরে ভুলি নয়ন মুদি খুঁজি তোরে ফিরে ফিরে কেদে মাগো বুক ভেসে যায় আমি যে মা কেমন মা তোর ছেলে ফেলে মা সেজে আছিস্‌ হৃদয়-পাল। পঙ্গাজলে। রসনা যেন নাহি তলে জয় কালী জয় কালী বলে। ২ বৈশাখ নয়ন ভ'রে পাইনে শ্যাম! দুখের আর নাই মা সীমা । মা মা বলে নয়নজলে মায়ের ছেলে খনে নেই কি হরের বাম? । স্েহের ধরণ রণে মাতন আপন সুখে কালী তারা দুর্গ ক্ষমা । সংসাজিয়ে মা সংসারে রাখুলি আমায় কারাগারে ছাদশদলে পিঞরে বাধবে। তোরে মনোরম] | + ১৬ পৌষ : ৯৩৯ কালী কল্প- তরুমূলে বীধৃবে। বাসা কাজী ব'লে ভবের ভাবনা যাবে দ্বুরে মন রবে মোর হেসে খেলে । যেদিনের তুই আকিস ছবি নাচাইতে মন তাই যেপাৰি থাকৃতে সময় ভূলনা হয় রেণুর সাথে যারে চলে । ম! দাড়িয়ে সামনে এসে ডাক দেবেরে তোরে হেসে ঠাই পাবি তুই মায়ের কাছে আদর করে মা নেবে কোলে । ফুলে ফলে আছে ভরে মাজানাল স্বপনঘোরে যাত্রা করি তাই মা ভোরে ভবের খেলা এবার ফেলে । ২৫ মাঘ ( তোর )ধাশীর সুরে মন না জাগে শুয়ে থাকি মা ঘুমের ঘোরে বজ্ে তোর বিষাণ বাজে পাই ষেনমোর কর্ণ ভরে । নিশীথ রাতে চেতনহার' যখন থাকি ও মা তারা বন্ধ দুয়ার হৃদয়-কারা আগল ভেঙ্গে বস্বি জুড়ে। রসনায় যদি নেই কামন! নামটি তোর মা শবাসনা আঘাত থেন হয় মা হানা নয়ন এখন পড়বে ঝরে । ভবে এসে খেলায় মেতে ভুল হয় যদি আমার চিতে তুই যেন ম৷ চারিভিতে সকল বাধন কাট্বি দ্বরে । ২৬ ফাল্ভন : ১৮৬ ক্যামা-সঙ্ীভ-সংগ্রহ জন্ম নিলাম আমার যবে বাধবে বাসা ব্রল্মময়ীরে আদি-যাই মা নিত্য নূতন নৃতন ক'রে উজাড় করে জাগরণ আর পরতম্ত্র ভক্তের আকুতি ব. বি./শ্যামা-সজীত1৩২-৮ ধরার কোলে ডাক পড়িবে সেদিন রেণু ছুটবে যেথা ভালবাসি পিছপা নই করুণামক্সীর ডাকৃবো বসে সেই আনন্দ ধরার জীবন বারে বারে এ ধরপীর যাব ভবের হাসিখুশি এলোকেশী মায়েক বাতা পিছন টানে করুণা ছিনে জয় কালী ভোগের লাশি নিলাম মাগি ভবের ঘরে মা আস শসা পাপ আত এ গাই মাগান মাকে চিনি যখন মন নূতন গানে দিই মাঢেলে মন রয় মার তাই দেখে মা ঘমের ঘোরে রেপুর এই জেনে মায়ের দিলাম ছেড়ে নূতন আশায় নূতন গানের হয় মা রাজী ভরে সাজি রাতুল ছুটি চরণে মিশে অলখে হাসে এ খেলা মোর পুজার মন্ত্র সাধন -তন্র শগশতলে এ খেলা ফেলে । চরণতলে। জয় কালী বলে। হেসে খেলে । ১০ পৌষ মন মাতে এ নেশাতে চরণপাতে। দিনে রাতে । মোর জীবনের এই ছায়াতে। ১০ পৌষ ৯১৩ রাজার মেয়ে তুই মাশ্যামা রেণু মাতোর কাঙাল ছেলে তাইকিতুমি দেখন৷চেয়ে বুক ভাসে মা নম়নজলে । পূজার ফুল হাতে ধরে ডাকিগো তার। আমি তোরে ভোগের থাল। থাকে পড়ে দাও না দেখা কোনও ছলে । রাত কেটে যায় বসে থাকি তোর খোজে মা আকুল আখি মনপাখী ম। বাধতে বাসা যায় ছুটে এ চরণতলে। এখনও মা আছি জেগে তোর করুণা নেব মেগে শেষের দিনে কিবা হবে যদি ধরে ছয়টা খলে। ১১ পোষ চিন্তে তোরে জনমগেল বল্মাকেন তুই জননী । দিন কাটে মা দিনেদিনে বুঝতে নারি দিন-তারিণী। তোর চরণে মহাকাল ভয় দেখায় মা তবু কাল আজও আমি ছাড়িনে হাল ভয় করিনে চোখ রাঙ্গানী। আন্লে মোরে ভবের ঘরে বাধতে মাগো কর্মডোরে ছয়জনে মা রাখে ঘেরে তোর নয়নে ত্রিনয়নী | যেমন চাও তেম্নি সাজি যাকরাও মা ভাতেই রাজী তবুছেলেকি এতই পাজি কাদতে হয় মা দিন-যামিনী | ২০ পৌষ স্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ বিষয়-মদে মতহয়ে রসনা যদি যায়রে ভুলে দিও নাম কর্ণমূলে মন তখন সকল ভুলে দেখ না মন শেষের দিনে কিবাহবে বাজি-শযায় তুই যে চেয়ে যখন শুয়ে। চরণতলে থাকৃবে ছেয়ে। ষদিগে। মোর কণ্ঠহার' বল্বি তোর] তারা তারা নয়নে মোর বইবে ধারা দৃষ্টি যদি হয়রে ফাকা শূন্য আমার হাদয়দলে সুখ চেয়ে মা করেছি ভুল দুখের বোঝ! শিরে নিতে সুখের দিনে একলা চলি দুখের দিনে আমার সাথে চাব না আর তোমার চরণ বেদনা মের ফুল হয়েমা ভক্তের আকুতি পথের সাথী মাকে পেয়ে । মার মূরতি রইবে আকা মায়ের নাম যাব গেয়ে । ২০ পৌষ দুখ দিয়েছ বারে বারে সুখ হয়ে সে আপনি ঝরে । মনোরথে আমার পথে তোমারে পাই নিবিড় করে । পিছন পানে সামনে টানে অধ্যডালি রাখে ভরে । ২৩ পৌষ রাঙাচরণ পুজ্‌বো বলে মনের সাধে ভবে আসি ছয়জনের মন্ত্রণাতে যন্ত্রণা পাই দিবানিশি । তারা বশে এনে দশজনে সুখদুখে মোর নিলকিনে তেথায় মোরে একলা জেনে গলায়টানে কালের ফাসি। উপায় এবে একটি আছে ডেকে আমায় কোলের কাছে যদি এবিপদে দাঁড়ায় পাছে মুক্তিদিতে মুক্তকেশী। ২৯ মাথ সাড়। দিবি বল্‌ মা কবে ও মাশিবে পরাণ খুলি দিবানিশি মা মা ডেকে সার হয়েছে নয়নজলই। সে যে এমন পাগলী মেয়ে মা হয়ে আমায় দেখে না চেয়ে কখন কোথা লুকিয়ে বেড়ায় আপন ছেলে রয়গে৷ ভ্বুলি আবার কখন ঘুমের ঘোরে কর বুলায় যে মোর শিয়রে তখন আমার হাতে ধরে ডেকে নেয়গো কোলে তুলি । ভক্তি-পুষ্প চয়ন করে সাজাই আমি চরণ ধরে পৃজ্জা আমার মনে মনে জয় কালী জয় কালী বলি। ২ ফাস্ভন ১১৬ হাাম।-সঙ্গীত-সংগ্রহ আমি কিতোর শপের মুড়ি ত্ৃুরিয়ে ঢেড়া পাকাও দড়ি পাক বিপাকে পাক ধরিয়ে শক্ত কর তাড়াতাড়ি । কভু আমি জলে ভিছি রোদে পুড়ি কাদায় মি আবার কখন ধাধন দিয়ে বেঁধে রাখ ভবের গাড়ী জনম-মরণ গভীর কৃপে জল আন্তে যাইম! ছুটে পাচজনের খেয়াল বশে গলায় বেধে কলসী ঘড়ি। তেল দিতে মা ধরার চাকে গুজে দাও যে তারইফ্কাকে রেণ্ুর দুঃখ মনেথাকে ভূল হয়না ও শঙ্করী । ভয় করিনে তোর বাধনে ধাধ্‌বি যদি ভবের গাছে মায়াড়ুরি পিছল হয়ে পিছনে মোর পড়ে আছে। যে আমারে বন্দী করে তার সাথে মন সন্ধি করে বাধনহার। নদীর ধারা সঙ্গী হতে আমার যাচে। ঝর] ফুলের দলগুলি হায় আমার সঙ্গ নিত্য যে চায় তাই দেব তোর রাঙা পায় যা আছে মোর ঘরের কাছে। উষ্যার আকাশ রঙ ছড়ালে। রেপুর যে তাই মন ভুলালো আল্তা রাঙা মায়ের চরণ তাই পেয়েছি মুক্ত সাঝে। ভক্তের আকৃতি একলা গরু নাইমাস্ভুড়ি কাধে জোয়াল টান্ছি গাড়ি ভবের বোঝাই টেনে মরি (কবে) পৌছাব তোর খামারবাড়ী । এইবারে কি বিদায় দেবে চরপতলে হাড় জুড়াবে ঘাস বিচালি খেয়ে মাগো শান্ত হবে আমার নাড়ী। কখন আমি কাদায় পড়ি লাঙ্গল যেমা টান্তে নারি পিঠে পড়ে পাচন-বাড়ি ডাকি তারা শঙ্করী। দিয়ে আমায় মায়ার ঠলি ঘানি গাছে যুতে দিলি মন উঠে ন। খাটায়তিলি খলখেয়েমা লেজটি নাড়ি। আবার সব বোঝা তুলে (কবে) তোর চরণে দেব ফেলে গে।-জন্ম মা খালাস হলে শেষনিঃশ্বাস দেবছাড়ি। ১৫ ফাস্ভতন কীর্তন সুর নয়নে নয়ন রাখ ও যে আমার নয়নতার। তারাহার। হয়ে মাগো! নয়নে বয় বারিধারা এ ষে পরম রতন মোর নয়নের ধন হেলাতে না হারাও মন করো নারে নয়ন ছাড়া। হারা নয়ন আজো অন্ধ দিকে দিকে বাধ। বন্ধ তবু নাসাতে ভরেছে গন্ধ তাই হয়েছি দিশেহারা । স্তামা-সঙ্জ'ত-সংগ্র (কবে) মোর গানের ডালি তোর চরণে ফুল হয়ে মা উঠবে ফুটে আশায় আশায় দিন গুণে মোর যায় মা আজো সুখে কেটে । নাথাকে মোর জবার মালা মাগো তোর কণ্ঠে দোল! গানের মালা চরণতলে পড়বে দেখিস্‌ মাথা কুটে। ণন্ধ যদি নাই বা থাকে ভক্তিচন্দন অঙ্গে মাথে তোর চরণের প্রসাদ লাশি রোজই যায় সে আপনি ছুটে । শেষ নিবেদন জানাই তোরে আদর যদি কেউনা করে ঠাই দিস্‌ মণ একটু দূরে তোরই রাঙা পদপুটে। পথে এসে মা পথ না পাই তারা তোরেই খুঁজে বেড়াই জানিনে তোর কেমন ধারা নয়নধারায় ভেসে ষাই। যত পথ আমি পেয়েছি বাকা তোর চরণের ছাপ যে আকা পথভুলেষে পথের মাঝে আমিতআর নাহি ডরাই। যখন আমি বেড়াই একা! সাথী হয়ে দাও মা দেখ নয়নপথে দিনে-রাতে তোরেই আমি মাগো পাই। পাওয়া মোর শেষ না হবে তোর চরশে মন মিশাইবে ভেদাভেদ মা ঘুচে যাবে তারই আমি করি বড়াই। ২ ফাস্ভুন ভক্তের আকুতি কি দিয়ে ভেবে ভেবে সাজাব শ্যাম। দিন কেটে যায় হৃদয়গল। তোর চরণ তুই দড়াবি পদতলে সাজাই মনের ঈাড়িয়ে তুই নিশীথ রাতে আনাগোন। সন্ধান তোর দুখ দিয়ে মা হের বোঝা তোরই রাঙ। ফুল হয়ে মা শুয়-ভ।বন। কেউ জানে ন। পরখ কর শিরে ধরে দুখের গাছে সুখের ফল চরণ ধরে তোমার দেওয়। কত কুঁড়ি মা ফুটবে যবে সুখদুখ মা তুলে দিলুম বিসর্জনে চরণ তোর হয় মা ভোর । ও ম্বাঙ্গ কত নিশি আল্তা রাগে সাজাই আগে পুরোভাগে নয়নে আধার রবে না ঘোর । রাঙা জব! মনোলোভা। নিবি শিবা কাটবে তখন মায়!-ডোর । হয় যেন তের শবাসন। ঘরের ভিতর ছয়ট] চোর। ১৬ ফাল্ভন জানি তোমায় দুখহারা তাই ডাকি ম। ভবদার]। ঝ'রে পড়ে আমার তরে গান গাই ম। তারা তার।। হখের গাছে ধরে আছে সুখের গন্ধে রবে ভর! ! তোর চরণে আপন মলে আনন্দে বয় নয়ন-ধার।। ২১ ফাস্তন স্যামা-সঙ্গশিত-সংগ্রহ কেব। দ্থিজ চণ্ডাল ম! বুঝতে নারি আমি শেষে সবই যে মা তোরই ছেলে কোলে নাও মা তুমি ছেসে। আমি শুধু তফাং করি শুচি'অশুচির ভয়ে মরি ভেদ বুদ্ধি মনে ধরি ডাকৃতে নারি ভালবেসে । তুই যে মা বিশ্ববূপে সবার মাঝে আছিস্‌ চুপে তোরে বুঝি দিলাম ঠেলে নয়ন মদে ঘরে বসে । নয়নে দেমা প্রেমের কাজল ভাঙ্গবে আমার মনের আগল সবার মাঝে তোরে পেয়ে মন ভরিবে কাছে এসে । নিরারিতিটিনরি যিকর ১৯ ফান্কন মনে মনে ডাকি শ্যাম জানে নাকেউ ঘরেপরে কি করে তৃই জান্লি মাগে। শ্মশানে তোর আসন করে। মনের মাঝে করি বরণ মন কুসুমে পৃজি চরণ হৃদয়গলা গঙ্গাজলে স্নান সারি তোর একল। ঘরে। আসন পেতে দ্বাদশদলে পাদ্য মা তোর নয়নজলে ভোগের থালা! দিই মা তৃলে সহম্রারের সৃধা ভরে । আড়ম্বরে পৃূজ্‌লে তোরে জান্বে মোর ছয়ট৷ চোরে নিশীথ রাতে স্বপন ঘোরে পৃজি রাও) চরণ ধরে। শোন্গো ম। দশতৃজ। ভুল যদি হয় মানস পূজা রেগুরে তুই দিস্‌মা সাজ! চরণতলে আটক ক'রে। ১৬ ফাস্কন ভক্তের আকৃতি ১২১ আমি দেখি আবীর গোলা আমার কি মা বিশ্বজগং রাঙা রবি জানে না মার সব দিয়ে সে এ চরণে আবার জাগে বরা পাতা ভরে ধর! আমার জরা করবে আমার তোর চরণে আমার 'আমি, নয়ন মেলে মেঘের কোলে এ চরণের রাঙা রবির পৃৰ আকাশের সুরু হয় তার শক্তি পায় সে শক্তিমায়ের আবার দেখি এঁ চরণ মায়ের ছটি স্বদিন হবে রব তুলে অন্তকালে চরণ বই সব পেয়েছে প্রাণ সপেছে নুতন তেজে সবুজ প্রাণে নতুন গানে আটকে ধরে হবে সৃদিন বাজিয়ে বীণ চরণতলে পপ এর এ ই নিত্য উষ। সন্ধ্যাকালে তোর চরণের ছাপধেমেলে। আল্তা রাগে | উদয় জাগে পুরোভাগে অর্য দিল চরপতলে । দিনের কাজে জীবনমাঝে চরণ পুজে গগপপথে যাত্রাকালে। বেলা শেষে ভালবেসে রাঙা চরণ ভুলতে নারে পড়ে ঢলে । এ চরণে ঠাই মিলিবে ঠাই পেয়ে তোর রাঙা কোলে। ১৯ ফাস্ভন তোর চরণে পড়েঢলে তাই ত উদয় উষাকালে। মরণভার। নূতন বলে । দিই নাই মার চরণতলে । দেবো হেসে নয়ন মেলে । ২০ ফাস্ভন স্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ মাহার। দুখ কেমন তুই কয় না কথা আমি কাদি শেষের দিনে মুক্তি চাই না ছ্বাদশদলে ফুলে ফলে আড়ম্বরে দেখে আমার পাষাপী মাগো ছেলে কাদে তবু মা তার ভালবেসে কেমনতর সাড়া দেয় না একলা পাশে বুঝি এ তোর পাইনে সাড়া! নয়নধারা ভবে আসি আসন পেতে স্বর্গবাসের মোক্ক ফলের পৃূজ্‌বো চরণ ছেলের হাতে আমার ম্যাম! মুখ ফিরিয়ে প্রাণ মনে আমার আমি শেষ করে মোর কমফলে ভক্তের আকুতি পাষাশেরও ডেকে নাও ন! পথে বসে নাহি আসে এ দুখ মোর মায়ের ধারা আমার তার! বুক ভেসে যায় ' বাপের ধারা তাই মা তারা মুছিয়ে দিস মা দাও ম] চরণ তাই পৃজিব নেই বাসনা নাই কামন। কাজ কি গিয়ে নেবেন পুজা দশতভ্ৃজ বেড়ানগো মা অর্থ্য ধরে দিলাম তারে ডাক দিয়েছেন তঙ্ গলে আপন ছেলে। যায় লা মলে। নয়নজলে। বিদায় কালে। ১৪ কাতিক মুক্তকেশী দিবানিশি । গয্স] কাশী। মুচকি হাসি। সবন।শী। ২৮ শ্রাবণ মুক্তি নিয়ে আস্বো যাবো নয়ন মুদে এই ভবনের এই জীবনের যখন আমি মায়াডুরি দালান কোঠা মুক্তাকাশে ভবের ঘরের কর্বে। কি মন খেলবো হেসে বিশ্ব জুড়ে ভরেছে মোর যখন থাকি তাই পৃজি মা হর্ষে ভাসি 'ঘয়ে ঘরে আসগপা-ষাওয়ার মায়ের সাথে শেষের বেলায় রব না শিবে দিয়ে আমায় পড়ে রবে ধন দৌলত জমিদারী আমি তখন দেখবো বসে চল্বেো! হেসে রবে না আর ডাকৃবো বসে এই আঙ্গিন। কোধায় রব আমার মায়ের মাকে দেখি মনের আখি মায়ের চরণ মা মা! বলে নয়নজলে মায়ের স্নেহের এই যে পাল হয় যে খেল। কেমন করে মায়ায় ঘেরা বাধতে মাগো খাট-বিছান' বালাখানা তখন আমার মুক্ত পাখী ভবের ফাঁকি ম। যে তখন আন্‌ কামন। শবাসন' তখন আবার কিসের কাজে ধরার মাঝে । দেখি রাজে। সুরটি বাজে। বলি লাজে। ৩০ কাতিক তোর এ ভবে কোথায় পাবে। কে গোছাবে। ডেকে নেবে। কে চাহ্বে। ২৮ শ্রাবৎ শ্যামা-সঙলীত-সংগ্রহ ভরসা যদি রাঙা ছুটি কেটে দিয়ে কাই রাখে মা ভাবনা কিরে করুণাময়ী গিরিদরীর সেই করুণ! সেই মেহের ধোক্াব ভোর ভক্তের আকুতি নাই বা থাকে চরণতলে পৃূজ্‌বে। ছুটি সফল হবে মায়ার বাধন লাখ জনমের মিটিয়ে নিলাম এ চরণে দান পড়েছে ছতিন নয়ে আর কি রেণু তোর করুণায় ঝর্ন! ধারায় মায়ের বুকে তোর করুণায় অঝোর ধারে চির শিশু দিন কাটে মোর ধারা পানে টাদ সৃূরযের ধোয়ায় যেমন চরণ ছুটি সব ছেড়েছি মনের আশ! হয় ষেন মোর শেষের বাসা । রাতুল চরণ জীবন-মরণ সাঙ্গ হবে কাদা-হাস]। মনের সাধ! ঘুচিয়ে বাধ! বন্ধ করে যাওয়া-আসা। পোয়া বারে। পাশা ধযে। মনের স্বখে খেল্বি পাশা । ২৪ শ্রাবণ পাষাণেরও অঙ্গ গলে মিশায় বুঝি সাগর'জলে শ্লেছের ধারা পাল্ছে ধর! গগন পবন তোরই কোলে মা মা বোলে জেগে উঠি কিরণধার' নিখিল ধরা তোরই দেওয়। নয়নজলে। ধরাাতলে। নানা ছলে। ১০ শ্রাবণ ইচ্ছা ময়ী মা রামপ্রসাদ, শ্রীরামকৃফ, বামাক্ষ)াপ। প্রভৃতি শক্তিলাধকের। ঈশ্বরকে মাতরপে পূজা করি? সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়কারিণী মহাশক্তি কালীকে সর্বমূলাধার বলিয়াছেন। সাধকের চোখে মায়ের নান! রূপ ধরা পড়িয়াছে। রবীজ্সনাথ ধাহাকে “বিচিত্ররূপিপী” বলিয়া! অভিহিত করিয়াছেন শাক্ত সাধকের। ভাহাকেই তাহার গুণ কম্ানবসারে বিভিন্নরূপে সম্বোধন করিয়়াছেন। কখনও তিনি ইচ্ছাময়ী, কখন ত্রন্মময়ী, কখন আনন্দময়ী ইত্যাদিরপে মা সাধকের দৃষ্টিতে বিরাজ করেন। সাধক কবি র্ামপ্রসাদ একটি গানে মায়ের ইচ্ছাময়ী রূপ বর্ণনা করিতে গিয়। গাহিয়ীছেন-_-“সকলই তোমারই ইচ্ছ। ইচ্ছাময়ী তার। তুমি সকলই তুমি কর মা! লোকে বলে করি আমি 1” এই বিশ্ব প্রপঞ্চ, জীবজগং সমস্তই ইচ্ছাময়ীব্র ইচ্ছায় সৃষ্ট এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, তিনি শুধু জীব-জগৎংই সৃষ্টি করেন নাই তিনি দেবতাকুলেরও অধীশ্বরী__- তাঁই তিনি 'সবশ্বরৈশ্বরী”, “সর্বকারণ কারণম্” । “ চক্দ্র-সুর্য-হুতাশন, তাহারই ইচ্ছায় নিয়ন্ত্রিত। প্রকৃতি জগতের ও জীব-জগতের সমস্ত ভূতাদি এমন কি অণু-পরমাঁণু পর্ধস্ত তাহার ইচ্ছানুসারে আবতিত হইতেছে । সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয়ের মূলে রহিয়াছে ব্রন্দশক্তি স্বরূপিণী ইচ্ছাময়ীর ইচ্ছা |. ন তত্র সৃর্যোভাতি ন চজ্্র তারকা ন মা বিদ্যুতে ভান্তি কৃতোইয়মগ্লি 21 তমেব ভাম্তমনুভাতিসবং তস্য ভাসা সবমিদং বিভাতি ॥ নীচের পংক্তিতেও ইচ্ছাময়ী বন্দশক্তিব সেই রূুপই বলিত হইয়াছে। সর্বশক্তি মূলাধারে ইচ্ছাময়ী কালীর ইচ্ছায় বিশ্বসৃ্টি হইয়্াছে__ বিশ্ব যে তোর হাতে গড়া চন্দ্র সুর্য গ্রহ তার! তোর নিয়মে আছে ধরা দেখে আমার নয়ন ঝরে । . নদ-নদী শিরি সায়রে তোরই ইচ্ছায় রাখে ধরে তোরই স্নেহের করুণা ধারা নিত্য দেখি ঝরে পড়ে । ১২৬ স্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ তোরই ইচ্ছাতে আমি কেন ইচ্ছা মকর কাউকে বদ্ধ কেউ জানে না কারো কাধে সবই ঘটে ইচ্ছাময়ী তুই মাভারা পথে বসে নয়নেবয় অঙ্জধারা। কেনকাদি মামাবলে বক্ষ ভাসে নয়ন জলে নিস্‌না কোলে ছেলে বলে মায়ের কি ম' এমনি ধার1। দিবারাতি ডাকৃছি তোরে বসেখাকি আশা ক'রে একদিন মা কি ইচ্ছ' হবে মোর হৃদয়ে দিতে ধরা। তার? তুমি ইচ্ছ। তোর কে বুঝতে পারে কর মাগো এ সংসারের কারাগারে । কারও কেটে মায়ার বাধন দান করগো আপন চরণ কখন মাগে! কৃপা তুমি কর্বে কারে । কারে বসাও রাজ্যপাটে কেউ বা দিন-মন্ভ্বর খাটে ভিক্ষার কুলি এমনি ঘটাও এ সংসারে । কেউ বা চড়ে গাড়ী ঘোড়া কারে দাও মা টাকার তোড়। আমায় দাওগে। চরণ-ছায়। তাই চাহি ম! বারে বারে। ইচ্ছামক়্ী মা ৪ মাঘ ১২৭ ইচ্ছতে তোর সেই ইচ্ছাতে ইচ্ছা ময়়ী ইচ্ছাতে তোর পুজি চরণ সেই ইচ্ছাতে ভবের হাটে শেষ করে মা বন্ধ হবে ইচ্ছাতে তোর প্রলয় লীল!। ইচ্ছাতে তোর সে ইচ্ছাতে রাঙা চরণ ইচ্ছাময়ীর বিশ্বগড়া জন্ম নিয়ে সেই সাধে মা ভবের হাটে শোধ করিতে চাওয়া পাওয়ার থাকৃবো পরে ইচ্ছাময়ীর রেণুর গানের- ঈাড়াবে তার এ ইচ্ছা! তার মাগো তারা । ভবে আসি দিবানিশি মন-উদাসী বেচাকেনা পাঁওনা-দেন। আনাগোণ| সৃষ্টি স্থিতি ঘটছে নিতি আছে ধর রেণু আসি পৃজবে বসি নয়নে বয় সৌরজগৎ ইচ্ছামক্সী তুই মা ভার! ভেবে হলাম কেন সার।। আনাগোনা বেচাকেন। কালের দেন। কালী বলে হিসাব ফেলে চরণতলে যেমন ইচ্ছ! তেমনি বইবে জীবন-ধার] । মাল পরে আখির 'পরে ইচ্ছাময়ী পূর্ণ কর বইবে ধার! ও মা তারা। ২৩ শ্রাবণ অশ্রুধার] । রব না আর চরণ ছাড়া। গুহ তার । ইচ্ছাতে মোর আমার আমি হব হারা। ১৬ ভাঙ্্র হ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ ইচ্ছাময়ী বলে জানি মাগো তোরে শাস্ত্র পড়ে কোন্‌ ইচ্ছাতে শুনি মাগো রাখ আমায় হেথায় ধারে? বিশ্ব যে তোর হাতে গড়! চত্্র সূ গ্রহ তারা তোর নিয়মে আছে ধরা দেখে আমার নয়ন ঝরে। নদ নদী সে গিরি সায়রে তোর ইচ্ছায় রাখে ধরে তোর করুণার অমর ধারা নিত্য দেখি ঝরে পড়ে। সেই করুণার একটি কণ৷ দাও যদি মা শবাসন। তোর ইচ্ছাতে রবে মাগো আমার কাঙাল হৃদয় ভ'রে। ইচ্ছা ক'রে ভবেএনে তুই আছিস্মা লুকিয়ে কোণে ইচ্ছাময়ী ছিলি তারা ছলনাময়ী ছেলের গুণে । সুখ দুঃখ জানিনে তারা তোর নামে বক্স নয়নধার। হর্ষে মন ওঠে জেগে অঞ্জলিতে তোর চরণে । নয়ন মেলে দেখি চরণ বক্ষে চাই মা করতে ধারণ করবে আমার মনোহরণ তুই যদি ম! ডাকিল্‌ চিনে । ১৮ অগ্রহায়ণ ইচ্ছাময়ী ম! ১২৯ ব.বি-/শ্ঠামা-সঙ্গীত/৩২-৯ ইচ্ছাময়ী তোর ইচ্ছায় ১৩০ মাগো তুমি বিশ্ব হাসে মামা বলে পথ চেয়ে মা কাটে কত আমি তমা পথে এসে কাটে না মোর কারে দাও মা মোর কপালে কবে দেবে মা ইচ্ছামকসী মোর কেন মা তোরে ডাকি বসে থাকি দীর্ঘ রাতি তবু তোর কর্মর্রান্ত পথ ভ্রান্ত মনের ধ্বাস্ত তরু নয়ন রাজত্ব পদ এই বিপদ অভয় পদ শুনি তারা নরনধারা। পাইনে সাড়া। চরণ ছাড়া । কাটবে রেতবর মনের ফাড়া । ৩০ ঠচত্র শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ চিন্তামণি তার। আদ্যাশক্তি ইচ্ছামক্লী। তিনি স্বকীয় ইচ্ছায় বিশ্ব-ত্রন্মাণ্ড সৃষ্টি করিলেন। তাহার ইচ্ছায় চত্দ্র, সূর্য, গ্রহ, ভারা উদয় অস্ত পালাক্রমে আপন আপন কাধে নিযুক্ত আছে। অগ্নির দাহিকাশক্তি, জলের শৈত্য গুণ তাহার মাঝেও সেই ইচ্ছাময়ীর শক্তি কাধ করিতেছে । তীরই ইচ্ছায় নিত্য সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় ঘটিত হয়। পাখীর গানে, নদীর কল-কল্লোলে, শিশুর “মা' "মা, বোলে সেই ইচ্ছাময়ী মায়ের মধুর ইচ্ছাই প্রকাশিত । সেই ইচ্ছাময়ী নিজ ইচ্ছায় লক্ষ কোটি সন্তান সৃষ্টি করিলেন। তাহাদের জন্য মায়ের দরদ কত। সেই সন্তানদের চিন্তায় তিনি সর্দ1 কাতর- কেমন করিয়1 সম্তানদের সুখী করিবেন _-কি ভাবে তাহাদিগকে আনন্দ দেওয়। যায়-_এই চিস্তায় তিনি আরও কত নূতন নৃতন উপকরণ সৃষ্টি করিলেন-__রবীন্দ্রনাথের কথায়-__- “না চাহিতে তুমি কতই করেছ দান, আকাশ আলোক তনু মন গ্রাণ ১০০০, দিনে দিনে তুমি নিতেছ আমায় সে মহাদানেরই যোগ্য করে।” এ চিস্তার জন্বই তিনি চিস্তামণি তারা । আবার সর্বশেষে তিনি এই সম্ভতানদের ছাড়িয়। থাকিতে পারেন না-আপন কোলে টানিয়া লন-_ চিরকালের জন্ব নিজ অভয় চরণে স্থান দেন। ভক্ত সাধকের সদাই চিন্তা মা যখন চিস্তামণি-_-.সকল চিন্তার সারভূতা তখন আমার মনে আর অন্য চিন্তা রহিবে কেন? তিনি হয়ত আমার জন্য পৃথক কোন চিন্তা করেন না। আমি যদি তীহার বিষয়ীভূত হইতাম, আমার মনে আর কোন চিন্তার স্থান থাকিত না । তিনি সকলের চিন্তার অতীতা, তিনি অবাঙউ্‌-মনসোগোচর] । তিনি নিরাকার! তবু তিনি সন্তানের মঙ্গলের জন্য সাকার মৃতি পরিগ্রহ করিয়াছেন-_-সেই অবস্থায় আমার জন্য কতটুকু চিস্তা করিলেন-__ “সবার চিত্ত করছো নিতি তুমি আমার চিস্তামণি তবে কেন শত চিন্তায় কাটে আমার দিন যামিনী।” আমার হৃদয় আঁধার ভরা, তুমি হৃংচিস্তামণি যদি হৃদয়ে উদয় হও ও জ্যোতির আঘাত হানিয়! আমার আধার দূর কর-_আমার জীবন সার্থক হয়-_ “হং চিন্তামশি মেয়ে হাদয় ভাবে উদয় হয়ে দাও ঘৃচিয়ে সকল আধার তোমার জ্যোতির আঘাত হানি।” তুমি চিন্তামণি যাহার জননী তাহার মনের মধ্যে অন্য চিন্তা কেন-__ষড় রিপুর চিন্তা, অন্নচিন্তা-_তোমার চিন্তায় যেন মন আচ্ছন্ন থাকে-_তৃমি আমাকে এমন চিত্ত দাও যাহাতে আমি তোমার রাতুল চরণ বক্ষে ধারণ করিয়! তোমার চিন্তায় মস্গুল থাকিতে পারি । “কেন আমার হয় ন। চিত্ত! চিন্তাস্বরূপিণী তার? 1” “ড় রিপু দেয় মা তাড়া অন্নচিস্ত) চমতকার” “চিন্তা যদি দাও গো মোরে যুগল চরণ বক্ষে ধরে সেই চিস্তয় রব পড়ে তোমার সাথে বোঝাপড়া ।” ১৩২ শ্যামা-সঙ্গীত-সং গ্রহ কেন আমার হয়না চিন্ত চিন্তাস্বরূপিণী তার অচিন্ত্য তুই প্রাতে উঠে চরণে স্থান সেই চিন্তায় তারা নামের চিন্তামণ্ি অবহেলায় এবার এসে চিন্তামশি তারা যার কাছে মা সেষে হয় সবহারা । ষড় রিপু দেয় মা তাড়া তারই চিন্তায় শিরংপীড়া ছন্নছাড়। অন্নিস্তা চমতকার] । সদাই দিলে বিষয় চিন্তে না পারি মা তোমায় চিন্তে পাইগো অজ্তে চিন্তাশেষে ভবদার1। চিন্তা যদি দাওগো মোরে যুগল চরণ বক্ষে ধরে রব প'ডে তোমার সাথে বোঝাপড়া । ৭ বৈশাখ স্বরাপানে আমি পাগল হলেম ভাল তোমার চিন্তায় দিন ত আমার কেটে গেল। তোর নামের গুণে রামকৃষঃ সবানন্দ প্রসাদ বাম! জীবমৃক্ত হলেন মাগো ব্রহ্মময়ী তুমি শ্যামা এবার তোমার চরণ ভিন্ন ভবে আসা বিফল হল ছেলের চিস্ত। করো! না মা কেমন তোমার বেভার বল। রইনু পড়ে এ সংসারের মোহ ঘোরে কৃপা ক'রে তোমার সাথে নিয়ে চল । ৮ বৈশাখ ১৩৩ ৪ত সবর চিন্তা তবে কেন দাও ঘুচিয়ে অরূপ তুমি চস্তাতীতা করছে! নিতি তুমি আমার চি্তামণি শত চিন্তায় কাটে আমার দিন-রজনী । হৃংচিজ্তামণি মেয়ে হৃদয় মাঝে উদয় হয়ে সকল আধার তোমার জ্যোতির আঘাত হানি। তোমার বাসা নয়ন-মাঝে ধ্যানে তোমার নবূপবিরাজে স্বরূপ তৃমি তোমার তত্ব নাহি জানি। শিষ স্গরূপিণী শিবা শক্তি শিবে ভেদ কিবা তুমি মাগো ব্রন্মময়ী সনাতনী । শ্যামা-সর্জীত সংগ্রহ করুণারূপিণী ম। বা করুণাময়ী মা শ্রীশ্রী চণ্তীর 'অর্গল। স্তোত্রে' মায়ের সম্বন্ধে বলা হইয়াছে “জয়বত্তী মঙ্গল! কালী ভদ্রকালী কপালিনী । দুর্গা শিবা ক্ষমাধাত্রী স্বাহা স্ব! নমোইস্ততে ॥” “হে দেবি, তুমি জয়স্ভী (জয়যুক্তা বা সর্বোৎকৃষ্টা ), মঙ্জল। ( জন্মাদি নাশিনী ), কালী (সর্বসংহারিণী ), ভদ্রকালী (মঙগলদায়িনী ), কপালিনী ( প্রলয় কালে ত্রল্গাদির কপাল হস্তে বিচরণকারিণী ), দর্গা (থ প্রাপ্য ), শিব1 ( চিতস্বরূপা ), ক্ষম] ( করুণাময়ী ), ধাত্রী বেশ্বধারিণী) স্বাহা] ( দেব- পোষিণী ), এবং স্বধা (পিতৃতোষিণী )-বূপা, তোমাকে নমস্কার করি ।” মায়ের বিচিত্র রূপ । সেই বিচিত্র রূপের অন্যতম বূপ হইতেছে তিনি সব দুঃখ বিনাশ করিয়া! দেবকুল ও বিশ্বজগ প্রতিপালন করেন পরম মমতাময়ী মাতার মতো 1 তিনি 'সর্বমঙ্গলা-মঙ্গল্যে, তিনি পরম করুণাময়ী। তাহার করুণার সীমা নাই । তাহার করুণায় জীবকূল প্রতিপালিত হইতেছে__বিশ্বব চন্দ্র সূর্য আলো দিতেছে, বৃষ্টি-বামু প্রাণের পুষ্টি করিতেছে, ফুল, ফল, শঙ্য উৎপন্ন হইতেছে । করুণরূপিণী মাত] তাহার করুণাবারিতে সমন্ত ভূতকে অভিসিঞ্চিত করিতেছেন। সাধকের প্রতিও তাহার দয়া বা করুণার অস্ত নাই। তাহার করুণাতেই সাধক সিদ্ধিলাভ করিয়।! পরাতত্বুলাভে সমর্থ । মাতৃরূপিণী করুণাময়ী ঈশ্বরের কৃপালাভের জন্যই সাঁধক প্রার্থনা জানান-__ «প্রসাদ বলে কৃপা যদি মা, হবে তোমার নিজ গুণে। আমি অন্তিম কালে জয় দুর্গা বলে স্থান পাই যেন এ চরণে ॥” আধুনিক হিন্দী শাক্ত সাহিত্যের কবি 'ভারতী-নন্দন' রামানন্দ তিয়]রা শাস্ত্রী তাহার 'পার্বভী কাব্যে, অর্চনাংশে করুণাময়ী মায়ের মহিম। কীর্তন করিয়াছেন__ “জিন কী মহিমা মেশিববনকর জীবনকা শবজাগা, জিন কী করুণা মে সত! শ্রেয় সৃজন ক মশগা ; জিন কীপ্রীতি উদার চেতনা বন জীবন মে" ছাঈ, জিন কী কৃপা অপার প্রকৃতি মে কৃতি গৌরব বন আই 1” “হার মহিমায় জীবনের শব শিব হইয়া! জাগিয় উঠিয়াছে, ফাহার করুণায় সুজনের সত্তা ও শ্রেক্প মাগিতেছি ; ধীহার প্রীতি উদার চেতন হইক্সা জীবনে ছাইয়া গিয়াছে, ধাহার কৃপা অপার প্রকৃতিতে কৃতি-গৌরব হইয়! আসিয়াছে ।” | ( শশিভৃষণ দাশগুপ্ত রচিত “ভারতের শক্তিসাধন! ও শাক্ত-সাহিত), হইতে গৃহীত ) সেই করুণাময়ী মায়ের করুণা কত-_ “মা তোমার করুণ! কত দেখি আমার ভবন ভরে যখন আমি ঘুমিয়ে থাকি তুমি জাগো মোর শিয়রে।” আবার অন্ত্র__ “করুণাময়ী মাগো তার। তোর করুণা কেমন ধারা গগন পবন নিখিলভ্ববন বীচেনা সেই করুণা ছাড়া। যেকরুণায় আন টেনে ভবের ঘরে রাখ জেনে সেই করুণার কণা দানে পর করে দাও ভবদার11” ১৩৬ শ্যামা-সঙ্জীত-সং গ্রহ ম! তোমার করুণ! কত বুঝেছি মা রীতিমত একুল্স! আমায় পাঠিয়ে ভবে কেন দিলি ওম] শিবে শেষের দিনে কিবা হবে ভেবে আমি বাকাহত। আমি মা তোর অধম ছেলে দুখের বোঝা দাও মা তুপে দেখ নাই মা কেনভ্ভুলে দ্বিজ রেপুর শক্তি কত। করুণ) সে আঘাত হেনে হয়ত আমায় কাছে টানে বৃুবিনে তাই অকারণে জাগে মনে ক্ষোভ মা যত। ১৯ অগ্রহায়ণ বারে বারে ভবে এনে আর কত দুঃখ দিবি তারা দুঃখ নয় মা করুণা তোর জেনেছি মা ভবদারা। এতদিনে জেনেছি তারা অমূল্য ধন নয়নধারা তাই দিয়ে কিনিব মাগে। নাম ব্রহ্ম হুখছর? | পাছে তোরে থাকি তলে তাই ভাসালি আখিজলে হুঃখ দিয়ে করুবি কৃপা এমনি যে তোর কৃপাধার। ১ চৈত্র করুপানূপিপী ম! বা করুণাময়ী মা ১৩৭ শুনেছি মা ভবদার] তোর করুণাক্স বিশ্বভরা ভবের জ্বালায় ভ্বলে মরি শাস্তি দাও ম! আমার তার! । ছয় আগুনের বিষম জ্বালা স্বরলি তায় মা সারাবেল। এ জ্বাল নিভ1বি কবে ঢেলে তোর মা! করণাধারা জীবন আমার শুষ্ক মরু নাইক ছায়া নাইক তরু তোর বাগিচ।য় ডাকৃবি কবে পাব বাতাস শ্রান্তিহর1। সেকানন মোর হদয় মাঝে জেনেও মাগো জানিনা যে হেথা হোথা খুঁজে মরি বৃথাই আমি দিশেহারা । ২৯ পৌষ রাঙা জবা এঁ চরণে দিতে চাই মা কালী বলে সাথে নিয়ে মহাকালে ঠাঁই দে মা চরণতলে । সাধ আছে মা মনে মনে পৃূজ্‌বো তোরে রাতে দিনে । সাঁজাব ভক্তি-চন্দনে ধুইয়ে চরণ নয়নজলে । জানিনে মা পৃজাচন। শিখি নাই তোর আরাধনা তাই বুঝিগো শবাসনা ল্রকিয়ে থাকিস নানা ছলে । করুণাময়ীর এ করুণা . পাই যদি মা একটু কণ। পূর্বে মের মন-বাসনা। হেসে খেলে যাব চলে । শ্যামা-সজীত-সংগ্রহ করুণপামাথা নামটি তোর করুণামক্লী তুই মা তারা তোরই আশিস পড়ছে বরে যেমন ঝরে করুণাধার1। নামের গুণে বিপদ কাটে ভয় করিনে ভবের ঘাটে নামের বলে হবে যে জয় সার জেনেছি ভবদার]। কর্বে কৃপা অভাজনে এই ভরস! আছে মনে অস্তকালে চরণ চিনে রেণুর কম্ম হবে সারা। ২৯ কান্তিক ( করুণামক়ী মাগো আমার ) তোর করুণা জগং জুডে দেখি আমি নয়ন ভরে মাণি তারই একটি কণ। মাগো আমি কাতর স্বরে । সূর্য চন্দ্র গ্রহ তার। তোর করুণা বিলাতে তার চল্ছে ছুটে গগনতলে লক্ষ লক্ষ বর্ষ ধরে। দ্বিজ রেণু কৃপা লাগি লক্ষ জনম আছে জাগি আসেযায় মাবারে বারে এই ভবনের খেলাঘরে । এবার তবে নিজ গুণে স্থান দিও ম1! এ চরণে শেষ করে তার আস।-যাওয়। কেটে দিয়ে মায়া ডোরে। করুণারূপির্ণী মা বা করুণামক্সী মা ১৩৯ করুণাময়ী মাগো তার। জগং জোড় করুণা সে গগন পবন নিখিল ভূবন সেই করুণায় নিত্য ভাসে । সেই করুণ। স্রোতের টানে এলাম ভবের কম্স্থানে সাধন ভজন করি তোমার চরণ দুটি পাবার আশে । এ জীবনের সরস মাটি আবাদ ক'রে পরিপাটি কালী নামের বীজটি বুনে আনন্দে দিন কাটবে চাষে । পেয়ে তোর মা করুণাধারা চাষের কাজ মোর হবে সারা তখন আমার ঘরে বসে দ্বিগণ ফসল আপনি আসে। মায়ের আমার করুণা কত শক্তি নাই সে বুঝার মত বুঝে যে জন সহজে তার মার চরণে মাথা নত। যা কিছু তোর আছে মনে সপে দে মার এ চরণে কৃপা যদি মিলে তবে কাজ গোছাবি কত শত। শুক্তির বৃকে মুক্ত ফলে খনির কোলে হীরক জ্বলে ফসল ফলে মাটির বৃকে তোর কৃপায় মা অবিরত । তোর করুণায় বারিধার! কাজল মেঘে ছড়ায় তার! আমি হই মাবাক্যহার। কৃপার কথা ভাবি যত। ১৪০ শ্যামা -সঙ্গীত-সংগ্রহ বাদল ধারায় তোর করুণা অঝোর ধারে নিত্য ঝরে সেই করুণা বইতে নিতি গিরি নদী সাগর ভরে । হ্যামা তোরই শ্যামল রূপে শস্য শ্যামল ধরার বুকে তোরই স্েহে শিশুর তরে স্তন্যসুধা গড়িয়ে পড়ে। তুই ষখন ম1 কৃপণ তারা রক্তচক্ষু নিখিল ধর! কেউ নেই মা তুমি ছাঁড়া এই ভবনের ঘরে ঘরে । কি দিয়ে মা তোরে পৃজি নয়ন জলই আমার পুঁজি ধোয়াতে তোর রাতুল চরণ তাই দেব মা আমি ধরে। ১৮ বৈশাখ করুণারূপিপী মা বা করুণামক্লী ম] ৯৪৯ কাঁলভয়-হারিণী মা শ্রীশ্রীচণ্ডীতে বল! হইয়াছে, দেবী সকল কার্ধ-কারণের কর্রী। তিনি সর্ব- শক্তিময়ী । তিনি দেবতা ও মনুষ্য জগৎকে ভয় হইতে মুক্ত করিতে সমর্থা। অশ্ব ও অসুরশক্তি বিনাশ করিয়া দেবতাদের রক্ষা! করিয়াছিলেন, তিনি তাই খর্পরধারিণী । সেই শক্তিময়ী মাতা যেন আমাদের সকল ভয় হইতে ত্রাণ করেন-__ “সর্ব স্বরূপে স্র্বেশে সবশক্তি সমন্বিতে ভয়েভান্ত্রাহি নে৷ দেবি ছুর্গে দেবি নমোস্ততে |” কালী কালকে গ্রাস করিতে সমর্থ । যিনি সাধকের কালভয় হরণ করেন, তিনি সৃতারিপী, তাই তারা । ভব সংসারের ভ্ত্রিতাপ যন্ত্রণার হাত হইতে সাধককে মুক্ত করিয়া তিনি আপন ক্রোড়ে টানিয়া লন। সম্ভানও মায়ের কোলে ফিরিয়া যাইবার জন্য ব্যাকৃূল হন। সাধক রামপ্রসাদও মাতৃক্রোড়ে সান লাভ করিয়াছেন। তাহার শেষ দিনের সঙ্গীত-_ “মুক্ত কর মা মৃক্তকেশী ভবে যন্ত্রণা পাই দিবানিশি ।” এই পদাবলী গ্রন্থে & কালভয়-হারিণী মায়ের মহিম1 কীতিত। মায়ের অপার কৃপায় 'কালের শমন' হইতে নিজেকে দূরে রাখিতে সমর্থ এই সাহস দেখা যায়। “কালী নামের কবচখানি অঙ্গে আমার আছে জানি যাত্রাকালে কালের শমন দূরে থেকে এডিয়ে চলে । কালভয় হারিণী তার! মা যে আমার ভবদণর। ভবের খেলায় শেষের দিনে আমায় এসে নেবেন কোলে ।” তাই কালভয়-হারিণী তারা-মায়ের কালীনাম জপিতে জপিতে লেখক আনন্দে কাল কাটাইতে চাহেন-_ «কালী বলে কাল কাঁটে মোর বড় আনন্দে মাশো তার! সেই আনন্দে মাকে চিনি মা ষে কালভয় হারা।” সম্তানে তরায়ে মাগো নামটি তোর হয়েছে ভার! । তোর নামেযায় ভব-বন্ধন হয় মা কালের ভয়-ভঙ্জন তারক ত্রন্দ নাম নিয়ে তাই ভক্ত সবে আত্মহার1। মায়ের নাম ঘষে শমন দমন দিবানিশি তায় করি স্মরণ এইত আমার ভজন পূজন সার জেনেছি পরাংপরা । কালভয়েকি কালীডাকি কালের ভয় আর আছে নাকি মহাকাল যার চরণতলে সেই মাকে যে আমি ডাকি। কালীর নাম স্মরণ ক'রে যাত্রা করি নিশি ভোরে ভয় ভাব্ন! গ্যাছে দূরে শাস্ত্র কথা নয় গো ফাঁকি। শেষ হবে মোর আনাগোনা ভবে জনম আর হবে না মায়ের নামে কাটবে বাধন মেই আশায় মাআমি থাকি। ৫ অগ্রহারণ কালী বলে কালফুরাবে সেই আনন্দে নয়নধার। বইবে আমার বুক ভাসায়ে রসনা মোর বল্বে তার] । দৃষ্টিহারা নয়ন যদি হেরে নারপ নিরবধি ধ্যান-নয়নে মৃত্তি তব দেখে হব আত্মহারা । আমার মনের সরসিজে পূজ্‌বে। মা তোর চরণ নিজে মানস-উপচারে পূজা, করব আমি ভবদার! আর কিছুই চাইনে মাগো নয়ন মনে নিত্য জাগে! শেষের দিনে চরণ ধ্যানে ভবের খেলা হোক মা সারা । ৬ আষাঢ় কালভয়-হারিপী মা ১৪৩ পথের কথা আবার যখন মাভৈঃ বাণী কাল থেসেন। মহাপ।পী ভূুবনভোলা যে দেখেছে সার্থক হ'ল কালীরূপে এবার যেন যখন ভাবি ইসারাতে একৃল। চলি মাযে আমার অভয়ার এ বরাভয় ঘুচায় রেণুর সব সংশয় শোনে মনে ভয় যদি পায় কালী নামের কবচখানি অঙ্গে আমার আছে জানি আমার কাছে হেরি আমি কালভয়-হ।রিণী কালী বুঝি তোমার ঠাকুরালী প্রাণ পেয়ে যায় কণামাত্র রূপ নিয়ে তোর ঘুরে বেড়াস্‌ সেই মজেছে ঠাই চেয়েছে ত্বলেছে সে জীবন-মরণ সার করেছে রঙা চরণ নয়ন মন আপনাকে সে দুর্গারূপে দশভূজা খড়গ হাতে দাও মা সাজা কাল সায়রে দাড়িয়ে আছ পেয়ে মাতোর চরণ-তরী কাল ভয়েতে তুচ্ছ করি শহ্করী আমস্তে হয় ন৷ দের মা বলে সাথে চলে। কোন ছলে। কৃতৃহলে। কৃপা-বলে। ১৬ ভাদ্র ভমগ্ডলে চরণতলে । আপনি ভোলে। চরণ মেলে । ধরাতলে। ৩০ জ্যৈষ্ঠ ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ আনন্দময়ী মা সাধককবি রামপ্রসাদ প্রেমময়ী আনন্দময়ী মায়ের কালোরপের আড়ালে আলোময় রপকে অবলোকন করিয়া মনের আনন্দে উল্লসিত হইয়া শ্ামা মায়ের মহিমা-কীর্তন করিয়াছেন। অন্তরে অনুভব করিয্লাছেন আনন্দঘন প্রেরণা । তিনি মায়ের সৃষ্ট বিশ্বজগতের 'আনন্দকাননে' বিচরণ করিতে চাহিয়াছেন-_ “মন আমার যেতে চায়গে আনন্দ কাননে বট মনোময়ী সাস্ত্বনা কেন করনা এই মনে।” শুধু বাহা-জগতের আনন্দে সাধক বিভোর নহেন, তাহার অস্তর-অন্থরে মায়ের কালে। রূপের মেঘের উদয় হইয়াছে বলিয়। তিনি শিখীর মত আনন্দ- কৌতুকে নৃত্য করিতেছেন-_তাহার মন নাচিয়া উঠিয়াছে__ “কালে মেঘ উদয় হলে! অন্তর-অন্থরে । নৃত্যুতি মানস শিখী (কৌতুক বিহরে ॥ মা শবে ঘন ঘন পার্জে ধারা ধ'রে। তাহে প্রেমানন্দ,. মন্দহাসি তড়িং শোভা ক'রে ॥7 দিকে দিকে যখন এইরূপ আনন্দের প্রবাহ চলিতেছে তখন আনন্দময্লী মায়ের পদাশ্রিত সাধক জন্ম সার্থক করিয়া তুলিয়শছেন। সাধনের মধোও সেই 'মনোরমা' শ্যামাকে সার করিয়াছেন সাধক-_ “ইড়1 পিজলা নামা, সুযুষ্না মনোরম] তার মধ্যে গাথা শ্যামা, ব্রহ্ম সনাতনী ও মা।”, 'কুল চুড়ামণি' গ্রন্থে দেবী তাই বলিয়াছেন_-“অহং প্রকৃতিরূপা চিদানন্দ- পরায়ণ]'; | মায়ের সেই আনন্দঘন মূতি দেখিয় সানন্দে মন গাহিয়া উতিষ্নাছে__ “নিত্যানন্দে চরণ দিয়ে ভূমানন্দে কাটছে বেশ আকাশ পাতাল বেড়াও ঘুরে ছড়িয়ে মা তোর এলোকেশ। সেই আনন্দের একটি কণা দাও যদি ম। শবাসনা থাকৃবেো। আমি হর্ষভরে থাকৃবে না আর ছুঃখ লেশ |” আনম্দময়ী মা ১৪৫ ধ. বি./শ্যামা-সঙ্গীত/৩২-১০ নিখিল ধরার আনন্দ আজ মনে অনুভূত, তাই মন আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়া গাকহিতেছে-__ আনন্দে আজ “আনন্দময়ী তবু কেন আনন্দে দেখি আনন্দে রেণু ১৪৬ "আনল মোর জাগেপ্রাণে সেই আনন্দ ভরে গানে নিখিল ধর মনকে আমার পৃর্ণ করে ।?, অথবা তুই মা শ্যামা আনন্দে তোর বিশ্ব হাসে দিনে-রাতে নয়নজলে বক্ষ ভাসে । আনন্দে ভর চন্দ্র তপন কিরণ বিলায় মা অনুখন নিখিল ধরা নিত্য সাজে নৃতন আশে । এ আনন্দের অংশ নিতে স্বর জেগেছে মনের পাতে তাইমা ছুটে এঠাঁইকরিবে মায়ের পাশে ।? শ্যামা-সঙজগিত-সংগ্রন আনন্দময়ী তুই মান্যামা তবু কেন মন মানেনা অন্তরে তুই বাসা বেঁধে আড়ালেতে যাও কেন মা। একুল! ঘরে নয়ন বুজে নয়ন তোমায় বেড়ায় খুজে নয়ন মাঝে তোমার আসন মন কি তার খোজ রাখে না। মনে ছিল দুর্গা স্মরি ভাসাব মোর জীর্ণ তরী কাণ্ডারী মোর তুই তারিণী তরু কেন ভয় ঘোচে না। নয়ন-হারা পাই মা তোরে তাই রেখেছি নয়ন ভ'রে নয়ন-মনের বাইরে যেতে তোমায় রেপ আর দেবে না। পপ ১ ওসপ- ফিরে চল মন আপন ঘরে সেথায় আছে জোছ্‌নারাশি হেথা জ।ধার ওঠে ভরে । কেন হেথায় সইবি হেলা সেথা নূতন পাত্‌বি খেল মায়ের আছে কতলীল। সাজিয়ে রাখেন তোরই তরে। সেথা সেই আনন্দধামে সবাই মত্ত মায়ের নামে শঙ্কা সঙ্কোচ সকল নাশি কর্বি যাত্রা যতন ক'রে । রেণুরে মন সাথে নিবি চেনা পথ তার দেখতে পাবি চিরকালের আবাসে তোর একবার গেলে ফির্বি নারে । শা পাশা আনন্দময় ম! ১৪৭ আনন্দময়শ ত্রল্মময়ীর মাযে আমার ব্রন্মানন্দে হাদয়-্পদ্মে পূজ্‌তে পাই মন.রয়েছে ধ্যানযোগে হেরি আমি নগনল মেলে মায়ের দেখা আনন্দের বান সেই আনন্দে ভবের খেল। ড।ক দিয়েছে সাজ করে ভবতারিণী আনন্দে আজ ভাবনা চিন্তা দেখবে মায়ের চরণ শোভা! তাই যদি হয় রেণুর দিন আপনি যাবে স্বখে চলে ১৪৮ আনন্দে তার ভুবন ভর! ভ'রে আছে নিখিল ধর।। আছেন বসি তাই দিবানিশি সদ] খুসী নয়ন শুধু অশ্রুঝরা । মায়ের যে দপ সে অপরূপ দেখি চেয়ে বিশ্বরূপা বিশ্বস্তরা। মেলে যবে ডাকে ভবে ভাসে রেণু মুখে নাহি বাক্যসরা ৷ ৪ ফাস্তন পাতবে ব'লে চরণ তলে । নৃতন খেলা তারই রাঙা চল্বো ছুটে গেছে টুটে কাঙাল আমার মায়ের কোলে হেসে খেলে আনন্দে মন লয়ল মেলে । তাই যে দোলে। ৭ মাঘ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রনন আনন্দ মক্সী তবু কেন সেই আনন্দ গানে গানে আনন্দময় সেই অ'নন্দে ভুমানন্দে তুই মা শ্যামা এ অভাশগার আনন্দেতে আলো করে ছড়িয়ে পড়ে সে আনন্দ রেণুর কণ্ঠে ফুটায় তারে আনন্দে তোর নয়ন-জলে চজ্ তপন বিশ্ব-ভুবন রূপে রসে শব মাঝে তাই ত বাজে চরণতলে শত | সি তাপ সপ পপ পপ পপ তোর আনন্দে তোরে ডাকি নিত্যানন্দ দুল ছলু মগ্রহয়ে মনে আশা এ আনন্দে পৌছাতে তোর চরণতলে শিবের বুকে উন্মাদিনী থাকৃবে। আমি আনন্দময় আনন্দময়ী মা চরণ দিয়ে ঈাড়িয়ে আছ সেই আনন্দের দাও যদি মা হর্ষ ভবে আনন্দমক্সরী নিরানন্দের স্বদধপ আমার দেখি আমার ও মা কালী চরণতলে আখি ঢোলে হয় যে শিব দিবানিশি যাই মা ভাসি চিরানন্দে ভূমানন্দে ছড়িয়ে দিয়ে একটি কণা! শবাশনা বিশ্ব হাসে বক্ষ ভাসে । স্পর্শে বাসে। দেবার আশে । ১০ আশ্বিন ভুবন ভরা ও মা তারা । পাগল পার । নিত্য ঘেরা । কাটছে বেশ এলোকেশ। থাকৃবে না আর দুঃখ-লেশ। মাযে আমার কি ধারিধার ত্বলে গিয়ে পাই যে রেশ। পপ টপ ১৪% ৯৫০ আনন্দময়শী মাঁগে। তার। তোর আনন্দে গগন পবন আনন্দে তোর ভোরের আলোয় আনন্দেতে তোর ছেলেরা তোর আনন্দে গন্ধ বহি তোর আনন্দে চল্ছে ধেয়ে সেই ধারাটি বইছে যেতা জান্ব যবে ভূমানন্দে নিখিল ভুবন ০ ০০ বীণার স্বরে মল্লারে যে তারই মাঝে চরণ মেলে ভৈরবী মা গানের সুরে ষট্চক্র স্বর লহরী আনন্দেতে ভেসে আসে (মোর ) মূলাধারে মণিপুরে শশী দেখি ভরা । পশু পাখী আনে ডাকি হেসে খেলে দেয় মা সাড়া। কুমুম ফোটে বাতাস ছুটে বিরামবিহীন প্রাণের ধারা । অমর মাঝে জানিনা যে হব আমি বাক্যহারা। শুভ আষাঢ় বাজে কত রাগ-রাগিণী বহে স্বুর- তরঙ্গিণী। হৃদি-পদ্ে আছেন জেগে স্বরে আমি নিলাম চিনি। আসে বেড়ে পাছে ধরে সাথে মায়ের চরণধবনি । ৯৯৭ পপ পপ হ্য।মা-সঙ্গী তসংগ্রহ একৃল! কেন মা ডেকেছে করবো সেথায় আনন্দে আজ ভবের খেলা আনন্দময়ী মা মরি ঘুরে ইসারাতে আনন্দের তাই ত আমার বেচাঁকেন। আনন্দ মোর সেই আনন্দ নিথিল ধরা আমায় নিতে মা ঈাড়িয়ে সাঙ্গ করে চল্রে মন যেতে চাই মা হাট বসেছে ডাক পড়েছে রইবো না আর জাগে প্রাণে ভরে গানে মনকে আমার সঙ্গে করে আছেন দূরে পড়ে রব আপন ঘরে এবার ফিরে । পরের দোরে। পূর্ণ করে। চরণ ধরে। ১৫৯ স্বপনচারিণী ম৷ আয়ের সঙ্গে সন্তানের নিত্য মান-অভিমাঁন আবদার চলে । সাধক সন্তান সদা- সর্দা মায়ের ক্রোড়াশ্রিত হইতে চাহেন, লীলামক়ী মায়ের লীলার মধ্যেই মাকে পাইতে চাহেন। কিন্তু মাতাঁও ছলনাময়ী- তিনি সন্তানের সঙ্গে ছলনাও কম করেন না। মায়াময় সংসারের বেড়াজালে আচ্ছন্ন হইয়। সম্ভানের। মাকে সব সময় খুঁজিয়] পান না। তাই চলে মায়ের সঙ্গে সন্তানের 'লুকোচুরি' খেলা । প্রকৃতির রাজ্যে যখন অন্ধকার ও সবাই ঘুমঘোরে আচ্ছন্ন, তখন সাধক উহার মাকে লইয়া স্বপ্ররাজ্যে এই খেল। করিতে চাহেন। স্বপ্নের মধ্যেও” কিন্তু সাধকচিত্ত সুপ্ত নহে । তাই স্বপনের মধ্যেই সাধক মায়ের পুজার আয়োজনে তৃপ্তি লাভ করেন-__ “স্বপন ঘোরে রাঙাজবা মাগো আমি নিত্য তুলি সাজাতে তোর চরণ ছুটি জয় কালী জয় কালী বলি। স্বপনে মা পুষ্পাঞ্জলি মার চরণে দিই ম। তুলি এ স্বপন যেন আর নাভাঙ্গে দেখিস্‌ গো মা মুণ্ডমালী |” শয়নে-স্বপনে-জাগরণে সদা-সর্বদ। মায়ের সান্নিধ্য লাভে সাধকচিত্ত বিভোর থাকিতে চায় । স্বপনের মাঝেও সেই অম্বতময়সী মাকে পাইয়। তৃপ্তি লাভ, পরম সন্তোষ লাভ কর যায় বলিয়। স্বপন ট্রটিতে দিতে ইচ্ছ। হয় না । সংসারী মানুষের মতই স্বপ্রভঙ্গে সব সাধ ঘৃচিয়া ষায় বলিয়। মায়ের কছে অভিযোগ-- স্বপনে দেখা দিয়ে কেন মাগো লুকোও ছলে চেনে মা হাভাকারে নয়ন মোর আর নাতি চলে। স্বপনেতে ফুল তোলা রাঙা জবায় গাথি ম!লা ১২ শ্যামা-সঙ্ীত-সংগ্রহ তোর কণ্ঠে হয়নি দোলা তাই তোভাসি জআখিজলে। হৃদয়-পাটে আসন পেতে জেগে রই মা নিশীথ রাতে আস্বি মাগো সেই নিভৃতে অর্থ্য নিতে চরণতলে । আবার কথনও স্বপ্পের মধ্যে মায়ের স্নেহ স্বুকোমল করস্পর্শে আদর পাইয়া মন উল্লসিত হয়-__ “নিশীথরাতে অন্ধকারে যখন থাকি ঘুমের ঘোরে মা যে আপন কোমল করে আমায় কত আদর করে ।” স্বপনচারিপী মা ১৫৩ স্বপনে যার গোপনে পুজি হূদয় আসন মার অধিষ্ঠান সে সবই আজ মা আসে মোর মনের কথা ঘুম ভাঙ্গিয়ে আমি শুধু রেণু তখন গতিবিধি চরণ দুটি আমি রব আর ত কেউ পেতে হবে দশেক্ত্রিয় ষড়রিপু মণিপুরে এতদিন য যা ভেবেছি তুলে দেব রাত গভীরে হয় ন! বলা পূজার ফুল পাইনে তোরে তুই কেন মা মন্ত্র তখন ধার! বয় মা কেদে কেদে এ খেলা মা জাগরণে এ চরণে ডেকো ন৷ মন সাজাই মনের আর মন রবে না দেখিবে বসাতে মায় মৌন করে খেদাও দৃরে কমতি না করেছি আর বারংবার মার চরণে হয় যে দেখা দেখি চরণ থাকে গাছে আমি কাছে এমন করে পড়ে না মনে দু নয়নে ডাকি ভোরে ভ'ঙ্গবে কবে দেখা হবে সপে দেবে তায় সদরে মতন করে। আদরে ধরে। যাবে ডরে। শ্রদ্ধাভরে । স্বপন ঘোরে নয়ন ভবরে। থাকিস্‌ দূরে । আকুল স্বরে । আপনারে । ২৬ অগ্রহায়ণ শ্বামা-সঙ্জশত-সংগ্রহ দিন কাঁটে মা রাতের বেলায় সাজাতে মার সে সব দিয়ে মাকে আমার রাজা চরণ আনন্দে মোর স্বপ্নী তবে স্থপনচারিপী ম! দিন-তারিণী মধুর তোমার স্বপন মাঝে পৃজি চরণ স্বপ্নে করি পুষ্প চয়ন মাখিয়ে তাতে রক্ত-চন্দন রাঙা চরণ বসে রেণু ধৃপ দীপ নৈবেদ্য আর অন্য যতেক উপচার হবে পৃজা আনন্দে মন মিছে ডাকি মোর সাধনার বাধ। যে তার হরের শূন্য নিশীথ রাতে স্বপন ঘোরে হাত যেন মা! বুলায় শিরে হদয় দোলে আপন হ'তে জাগরণে হদয় মাঝে যদি মায়ের চরখ রাজে সত্য হবে মাযদিরে পিস ৯ আক দস পে নামটি স্মরে যতন করে। বিজন ঘরে। শৃতাযা করে। ১৪ অগ্রহায়ণ বিজন ঘরে। বক্ষ "পরে । লয়ল ঝরে। কৃপা করে। ১৫৫ ৯১৫৬ মলে মনে জানেনা সে সাঙ্গ হ'ল অর্ধ রাতে বল্বে কথা মুক্তি নিয়ে দিনযাবে তোর পৃজে শ্যাম! মন্ত্র-তন্ত্ আসন করি পৃজে জয়- ভবের খেলা লক্ষ বার মারে পায় ঘুমের ঘোরে ভয় ভেঙ্গেছে মা দাড়িয়ে রেণুর সাথে করবি কি মন হেসে খেলে ঈাড়িয়ে আছে উজলস ক'রে দেখতে তার দেখ! দেন তিনি বল্তে নারি আবার কখন কখন আমি অর্থা সাজাই ভক্তি-পুস্প মন জানে মোর চেনে মায়ের দ্বাদশপলে কালী বলে শেষ হল মা স্বপন ঘোরে চরণ ধরে সুযোগ দেয় মা একৃল। পথে বিজয় রথে হর্ষে তখন শক্তি মায়ের কালভয় মুক্তকেশী দশ দিশি মুখের হাসি মাটি কেমন স্বাতী চরণ । জীবন-মরণ । করতে বরণ । মুদবেো নয়ন। ১৭ চৈত্র ধর্বি চরণ লারবে তখন। মনের মাঝে কর্বে বরণ । দবমের ঘোরে লাজে ডরে নেন্‌ গে দুরে করে আমার মনোহরণ। স্বপন ঘোরে থরে থরে চয়ন করে শেষ করি মোর মানস পৃজন। ১৪ চেস্তর ্যামা-সঙ্গশিত -সংগ্রহ স্বপনে চেতনে ম! তোর কণ্ঠে আস্বি মাগো স্বপনে তোর জাগরণে স্বপনচারিণী ম! দেখা দিয়ে কেন মাগো লুকোও ছলে হাহাকারে নয়ন মোর আর নাহি চলে। স্বপনেতে ফ্কুল তোলা রাঙ! জবায় গাীঁথি মালা হয়নি দোলা তাই তোভাসি আখিজলে। হৃদয়-পাটে আসন পেতে জেশেরই মা নিশীথ রাতে সেই নিভৃতে অর্থ্য নিতে চরণতলে । ২১ শ্রাবণ লুকোচুরি দেখবে কত শঙ্করী পালাস্‌ ছুটে কেমনে তোর চরণ ধরি । বুঝিনে তোর কেমন খেলা আমার ত মা গেল বেলা রঙ দুটি চরণ ভেলা দিস্‌্যদি মা তবে তরি । স্বপন মাঝে দেখ যে পাই এ ভাগ্যেরও তুলনা নাই তোরই কৃপায় হেন ভাগ্য ত। যেন মা স্মরণ করি । স্বপ্পে যি মিলে তোমায় স্বপন যেন ভেঙ্গে না যায় কিহবেমোর জাগরণে তুমি থাকলে দূরে সরি । ২৩ আশ্বিন মন্ত্র আমার মনে ভাল নিশীথ রাতে উঠে বসি রেথুর মনে স্বপন ঘোরে সাজাতে তোর সে স্বপন মোর তোর চরণের তাতেই রেণু ১৫৮ নেই মাজান। সাজাই চরণ সারাদিন মা কাজ নিয়েমা চরণধ্বনি শুনি যেন আদ্র করে শয়ন 'পরে নাই বা পেলাম নিত্য পুজা আছে জানা পাশ পিসি আপ ্পফস রাঙা জবা চরণ দুটি পুষ্পঞ্জলি দিই মা আমি আর না ভাঙ্গে স্বপনে কি মুখেতে ত! দরশ পেয়ে স্বপন ঘোরে শুনি মা তোর ভাগ্য গণি গানগা জয় কালী বলে রাঙা জবা বিল্বদলে। ছুটোছুটি হুটোপুটি শুনি তোমার কৃপা বলে ।. ঘুমের ঘোরে ডাকৃছ মোরে পাইনে দেখা নয়ন মেলে । ক্ষতি কি তায় কর্ব তোমায় দেখ! দেবে সময় হ'লে । ১৯ আশ্বিন মাগো আমি নিত্য তুলি জয় কালী জয় কালী বলি। তোর চরণে সে স্বপনে দেখিস যেন মুণ্ডমালী । মৃতি হেরি বল্তে নারি মুক হয়ে যায় বাক্যাবলী। দিনতারিণী অভয় বাণী হেসে খেলে যাবে চলি । শ্যাম!-সজীত-সতগ্রাহ নিশীথ রাতে মা যে আপন মন যে আমার জাগরণে স্বপন যদি মা ঘষে সত্য স্বপনচারিণী ম৷ অন্ধকারে কোমল করে আমার কাছে দেয় মা যেচে উঠে নেচে মায়ের লীলা দেখা দেয় মা যায় হারিয়ে মিথ্যা তবে সত্য স্বপন এপ পপিসপ্পাী শি ীশিস যখন থাকি আমায় কত একলা তখন রাঙা চরণ ধাধি তারে স্বপন মাঝে কতই সাজে মন কাদে মোর হরিষে বিষাদ রামরেণ গায় পিসী ০৮ ঘুমের ঘোরে আদর করে। ভক্তি ডোরে। বিষাদ ভরে। কেন হবে উচ্চস্বরে | ১৫০১ অন্তরবাসিনী ম৷ আমর! জগজ্জননী শ্যামা মায়ের মতি চর্মচক্ষে সন্দর্শন করি এবং ভক্তিভরে প্রণম করি । পাথিব জননীকে যেমন সাক্ষাৎরূপে লাভ করি, তেমনি জননী শ্যামাকেও সাক্ষাৎ করি । কিন্তু তাহা বাহিরে লাভ করা । সাধকের! বিশ্ব- জননীকে শুধু বাহিরেই প্রত্যক্ষ করেন, তাহ! নহে । অস্তরেও মাকে প্রতিষ্টিত করিয়া আরাধনা করেন। রামপ্রসাদ প্রমুখ সাধকের] ষট্চক্র সাধনার সঙ্গে সঙ্গে চৈতন্যরূপিণী মায়ের আরাধনা করিয়া অন্তরে ও বাহিরে সদাসর্বদা প্রত্যক্ষ করেন । সাধন প্রক্রিয়ায় মাকে হৃদয় শতদলে প্রতিষ্ঠিত করিয়! ভাহার রাঙা পায়ে ভক্তিজব অর্পণ করতঃ পরম আখনন্দ'লাভ করেন । যিনি ছিলেন নয়ন-গোচরে পরিদ্বশ্যযান, তিনিই অন্তরে বিরাজিতা জাক্তলামান। তখন অন্তর বাহিরের ভেদাভেদ লুপ্ত হুইয়] যায়, মাতৃকাদেবী সর্বব্যাপিনী হইয়াও সাধক অন্তরে একাস্তভাবে নিবাস করেন। তাই তখন চক্ষু মুদিয়াও হৃদয়ে অনুভব ও অবলোকন কর] সম্ভব হয়। কারণ তিনি তে! মনোময়ী-_ “নয়নে নয়নে পেয়েছি তোমারে রেখেছি তাই নয়ন ভরে হৃদয় মাঝে তোমার আসন সেথায় পূজি চরণধরে। দিনতিথি আর আমি না ভাবি দিবানিশি মাকে সেবি হৃদয়দলে ফুটুলে। কমল অর্থ্য দিই মা তাই যেকরে। বিশ্ব যখন ঘুমের ঘোরে আমি ডাকি মা মাস্বরে নাদ উঠেছে গম্ভীরে ষট্চক্রের ভেদটি ধরে ।” অন্তরে মাকে পাইলে তখন বাহিরে পৃজানৃষ্ঠানের প্রয়োজন হয় না। সাধক রামপ্রসাদ তাই গাহিয়াছিলেন-__ “কালী যার হদে জাগে, তর্ক তারু কোথা লাগে ।” দ্বিজ রেণুরও সেই প্রার্থনণ মায়ের দরবারে-_ “দ্বিজ রেণুর 'এই মিনতি শোন গো মা শিবসতী তুই রবি মা অন্তরে মোর যখন যেথায় হয়মাগতি। হৃদে মা তোর চরণ ধরি বাইরে যাব যাত্রা করি তুই তখন মা হাতটি ধরি এগিয়ে দিবি পথের প্রতি ! শ্য(মা-সজীত-সংগ্রহ 6 রে ১ জগাং জননী মাকে আমার বল দেখি মন কেমনে পাব দিবানিশি কেদে কেদে ম1 মা বলে ডেকে যাৰ ! বিমাতার শরণ লঃয়ে না৷ হয় কাশীবাসী হয়ে জয় ভোলানাথ শঙ্কু বলে বিশ্বনাথে পূজা দিব। তুষ্ট যদি হয় আশুতোষ শিবাণীরও হ'বে সন্তোষ শান্সবলে শিব-শক্তির নিত্যইরে মন অবিনাভাব। অস্তরেতে আছেন যিনি তারে পাবার সন্ধান তিনি যথাকালে দেবেন জানি চঞ্চলেতে কিবা লাভ । ৩ মাঘ: তারা দেখে গগনতলে নয়ন-তার। ভাসে জলে । আমার তারা হৃদয় মাঝে লুকিয়ে আছে কুতৃহলে। তার! দেখে তার? স্মরি বাসন! হয় চরণ ধরি অঞ্জলি দেয় রামরেণ যে রক্তজবা বিল্বদলে । তার] নামে নিয়ে তরী ভবসাগর যাব তরি সে ভরস। আছে আমার তার! মায়ের কৃপাবলে । ১০ আধাঢ় অস্তরবাসিনী মা ১৬১ ববি./শ্যাম1-সঙ্গীত/৩২-১১ মাগো আমি কারে ডাকি আমার কথ! কেইবা শোনে জানাবে আর কারকাছেমা শুধু আমার মনই জানে। ঘুম ভেঙে মা ভোরে উঠি কার চরণে পড়্‌বে। লুটি দিনের কম হয় মা সুর চেয়েখাকি পথের পানে । অন্তরে মোর তুই মা শ্যাম! হৃদি-পঞ্ম- মনোরম! আছে মনে এই ভরস' সাড়াদিবি আমার গানে । ২৩ শ্রাবণ কোন্‌ করণায় কর্লি মাগো বিশ্বজোড়! এই রচন]। ধর।র ধুলি শয্যা পরে আমি ছিলাম ঘুমঘোরে মনের আখি গেল খুলি নৃতন করে পাই চেতনা । গ্রহ-তার। রবি-শশী উদয়-অস্ত দিবা-নিশি তার মাঝে মা তোরই হাসি বিলায় আলোর এই ঝরণ।। সেই আলোতে চোদ্দ ভূবন উজল হ'ল গগন পবন রেণুর হাদি আধার মগন করো না মা আর ছলন]1। মহামায়া সরিয়ে মায়। দিবি আমায় মা পদছায্। বিশ্বভর! তোর করুণা পাই যেন তার একটি কণা। পপি পিসী ২ হ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ মাতোমার করুপাকত দেখিবিশ্ব- ভূবন ভরে যখন আমি ঘুমিয়ে খাকি তুমিই জাগো মোর শিয়রে । জেগেউতে কর্মব্যস্ত তাতেও তব শক্তি ন্যস্ত স্বপন মাঝে তোমার বাণী বাজে কানে মধুরস্বরে। তুমি আছ সকল কাজে বল্তে নাহি পারি লাজে নশর-সাথী পাই তোমারে সৃখবিলাস শহ্যা 'পরে। তুমিই কন্যা তুমি পুত্ত এ সংসারে যোগসূত্র আমিও তুমি যদি দেখি চরম তত্ব বিচার করে। আমি কেন ক।শীবাসী হব অন্তরে মোর ব্রন্গমক্ী উঠার চরণে শরণ লব। বরুণা অসি গঙ্গাধার! ত্রিনাড়ী মোর সরিদ্বর। দ্বাদশদলে আছে শুয়ে বিশ্বেশ্বরে দেখতে পাব। মূলাধারে সহত্রারে সহভ্রক্রোশ বিস্তারে সেথায় মায়ের ধ্যানটিধরে এবার আমি মুক্তি পাব। অন্নপূর্ণ। বিশ্বেশ্বর আজ্ঞ।চক্রে বাধেন ঘর গুপ্তপথে নিত্যমেল। দর্শন লাশি চলে যাব। ১২ শ্রাবণ অন্তরবাসিনী মা ১৬৩ আমি) নয়ন যেলে গগনতলে দেখি তার তার দেখে মাগো তার! ধন্য হল পদনখের কিরণ এসে লক্ষ তারায় আছে মিশে তাই দেখে মন আপনিহাসে নয়নে বয় উজল ধার! নয়ন-তার! । অশ্রুধারা । € আমার ) নয়নেতার গগনে তার। হৃদে তার] দিবানিশি জপি তার! চেয়ে দেখি তার? আম সবই যেমা তারারই রূপ দ্বিজ রেথুর এই মিনতি তুই রবি মা অন্তরে মোর হৃদে মা! তোর বাইরে আমি এই কামন। তোর চরণে যাদের কঠোর ধর] দিস্‌ মা তাদের কথা যাস্‌ মা ভুলে অন্ধকারে তে!র মুরতি মোর বুকে তুই আছিস্‌ বসে উজল ধার মন জাগে মোর কুতুহলে। মা ভুমণ্ডলে শর জলেস্থলে তরু তারাকি নিরাকারা । শোন্গো মা যখন যেথায় চরণ ধরি যাত্রা করি লক্ষ্য র।খিস্‌ সাধন বলে পুজার স্থলে রামরেণুর বুকের মাঝে হেরি না যে দরশনের ১৪ জ্যেষ্ঠ শিব-সতী হয় মা মতি । আমার প্রতি। কি হবে গতি । নাই শকতি। ২০ শ্রাবণ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রাহ করুণা তোর জানিনে শ্যামা তুই আছিস মোর অন্তরে যখন আমি চাই মাতভোরে দেখি মাগে। নয়ন ভরে। নদ-নদী শিরি-শিবে ভূধর-সাগর গৃহ-নীড়ে পশুপাখী বৃক্ষলতায় শিশুর মেলায় আছ ধরে। নয়ন মেলে চেয়ে থাকি দিবানিশি জুড়ায় আখি শস্যশ্যামল শ্যামা দপে ডাক দিয়েছ স্নেহের স্বরে । হর্ষে রেণুর নয়ন গলে এ দূপে মন আছে ত্বলে অঞ্জলি দেয় চরণতলে মুক্ত শিশু ভবের ঘরে । ১৬ অগ্রহায়ণ তোরে ডাকি তার! তার ম।গো কত ভালবেসে তাই হাসি তুই দিলি দেখা উদয় হয়ে হৃদাকাশে | তোর কিরদণে করুছে প্লাবন ্ অবিরত বিশ্বভূবন উজল করে দেমোর হৃদয় জ্যোতিময়ী তোর পরশে । তোর আলোকে মাগো এবার নেহারি এই জগং মাঝার দেখাবে রেণু বিশ্বজনে আনন্দেতে ঘরে বসে। ২২ অগ্রহায়ণ ০ শী শী স্স্সপীপী পপ আপ চপ অন্তরবাসিনী ম! ১৬৫ দন-তারিণী তারা এ চরণে দিনগুলি মোর আপনি এসে হয় মাহার।। হদাকাঁশে উদয় তারা তই গগনে দেখিনে তার অস্তরে মোর উজল ধার। দিনে আমি দেখি তারা । ত।রা ধ্যানে তারা জ্ঞানে তার! স্বপন জাগরণে এঁ কিরণ অঙ্গে মেখে দশদিশি মোর তারা ভর | তার' চরণ বক্ষে ধরি হৃদ্-মন্দিরে স্কাপন করি নয়ন মুদে মৃতি হেরি নয়নে বয় অজ্রধার] । ঘিজ রেণুর মনে আশ ছেড়েছি তাই পরবাস তারা নামে অভিলাষ ভিতর-বাহির আছে ধরা। ৮ শ্রাবণ যখন আমি গাইতেছিলাম একল। আমার ঘরে বসি গানে আমার সুরদিলযে আপনি শ্যাম! এলোকেশী । মায়ের বিশ্ব- বীণার তারে যে সুর সদাই ঝঙ্কারে সেই স্বরে মোর চিত্ব-বীণায় সুর বাধে কোন্‌ সুরবিলাসী । শ্যামা মাষে আর কেহ নয় মনে আমার সদাই রয় বিশ্ব গানে আমার প্রাণে তারই কৃপায় মেশামেশি । শ্যামা-স্ীত-সংগ্রুহ ৪/ ৫ (আমি )মনেমনে ডাকি তোরে শুন্লি মাতুই কেমন করে শ্মশান-মশান বেড়াস্‌ ঘুরে কত কাছে কতু দুরে । লুকিয়ে তোরে ঘরে বমি ডাকি মাগো উমাশশী জানি মনে মায়ের স্বেহু নিত্য ঝরে আমার প'বে। সত্যি ক'রে বল্‌ মা শ্যামা ও মা হর- মনোরম জদয়-পগ্মে আসন পাতা সদাই আছে তোর তরে। চিনেছি তোর রাঙা চরণ বিশ্বজনের সাধন ধন করলো রেণুর হৃদয় হরণ রূপ দেখে তার নয়ন ভরে। লক্ষ জনম সাধন ক'রে পেলাম চরণ বক্ষে ধ'রে সবাই যখন ঘুমিয়ে থাকে আমি দেখি নয়ন ভ'রে। কাঙাল আমার কালো আখি কালোর সাথে ধাধলো রাখী কাঁলোয় কালে যায়রে মিশে আনন্দে তাই নয়ন ঝ'রে। (আমি) নয়ন মুদে দেখি কালো। অন্তরে মোর বিলায় আলে। বিশ্বভুবন কালোয় কালো মনের জাধার নিল হ'রে। নয়ন মেলে দেখি চেয়ে দাড়িয়ে যে এক কালো মেয়ে নাচে তাখে তাখৈ থিয়ে আলোর মাল! গলায় পরে। অন্তরবাসিলী ম। ১৬৭ ম।র করুণার হদয়-জমিন পাক ফসল চুরি যাতে অভাজনেও কোথায় আলো কালে! নয়রে সেই আলোতে কালে আমার ফণ্তধারা করছে সরস কালী নামের ভক্তি-বারি আন্বে ঘরে খেতে পাবে না জ্ঞানের বেড়া না হয় তাই মা তুই রেণুর কিসের লাগি পায় করুণ। কোথায় আলো। কালোর আলো আধারে আমার কালোর আলে। দেখি কালী কালোরে তাই কালোর মাঝে কর্বে কি অস্তরে মোর হয়নি সে তাই বীজটি বুনে দাও সেচনে সাক্ষী আছেন ছয় ছাগলে দাও তাহলে দশজনারে শোনগে! কথা ব্যাকুলত! তাই ভেবে হই আকাশ ভর তাই আমারে হৃদয় ভরে নিত্য ঝরে াঁড়িয়ে ভূবন করিনে ভয় কালীরই জয় কালী আমায় বইছে ধারা সরুর পারা । ভবদার। দাও পাহার]। ভাবনাহার।। কালোয় কালে। পথ দেখালো । করে আলো! । বাসে ভালো। হ্যামা-সঙ্গীত-সং গ্রহ নয়ন তোমারে পায়নি খুঁজে তাই নিয়েছে নয়ন-মাঝে কাজের মাঝে চাইনি তোমারে তাইকি এলে মোর অকাজছে। বজ্জে বাজে তোমার বীণা সে সুর আমার খুবই চিনা সন্দে তারই গান জাগে যে মোর জীবনের সকাল-সাঝে। বৃথাই তোমায় খুঁজি দূরে তীর্থে পীতে আর মন্দিরে যাই ষে তলে হৃদয়মাঝে মৃতি তোমার নিত্য রাজে। তোমার চরণ নৃপুরধ্বনি উঠে মাগে। রণরণি কান পেতে তাই রেণু শোনে আনন্দ তার ধরেনাযে। শুন্য আমার হৃদয়মাঝে বস্বি এসে চরণ মেলে সেই আশাতে পাদ্য সাজাই মাগো আমার নয়নজলে। দ্বাদশদলে আসন পাতি কাটে কত মা দীর্ঘরাতি ষট্চক্র ভেদ করেমা ফুল দেব তোর চরণতলে। পরম শিবের মিলন লগ্ন হয় ন! যেন এবার বিদ্ব উদাসী মন আছে বসে দেখবে স্কুল কিন! ফলে। রেণুর সেই শুভদিনে পাই যেন তোর চরণ চিনে আড়ালে তার চল্ছে সাধন লুকিয়ে তোরই ছয়টা! খলে। অন্তরবাসিনী ম। ৯৬০) যেথা সবাই পথটি হারায় একল বসে আধার ঘরে নাইবা থাকে নাই বা পেলাম রাঙা পায়ে হৃদয় আল ঘটে পটে কাজ কি মন্ত্র অন্তরে মোর উদয় দেখে নেইয়ে অমা নিত্য উদয় তারই আলোয় উজল ধরা ৭: সেথায় আমি মার চরণ জবার মাল ভোগের থাল। তাই নিয়ে আজ মৃতিতে ছন্দেতে ভুবনভর! পৌর্ণমাসী উমাশশশী লুকিয়ে আমি পথ পেয়েছি সাজায়েছি। সব ভলেছি। রূপ চিনেছি । তাই দেখেছি । ২৩ বৈশাখ ১৩৮৪ শ্যামা সঙ্গীত, সংগ্রহ অভেদ্রূপিনী মা মা আদ্যাশক্তি ব্রন্মময়ী-_তিনি নিরাকার, শুধু সাধকের মনে আনন্দ দিবার জন্যই সাকার হইয়া! কখন ইচ্ছাময়ী, কখন করুণাময়ী, কখন সন্তানের কালভয়হারিণী, কখন ভক্ত-সাধকের চিত্তপটে অস্তরবাসিনী হইয়া বিরাজ করেন । আসলে পরমব্রঙ্গ ও প্রকৃতিরূপিণী মহাকালী সাঁকারে ভিন্ন হইয়াও কোন ভেদ নাই-পরম্পর অভেদরূপে কল্পিত । যিনি ব্রন্ম, তিনি কালী -- যিনি কালী, তিনিই ব্রঙ্ম। একালের পরম সাধক রামকৃষ্জদেবও সেই কথাই বলিয়াছেন-_যিনি ব্রন্গ, তিনিই কালী। যখন সাধকের অন্তরে বিরাজ করেন--তখন সাধকের ভেদ-বিভেদ জ্ঞান থাকে না। সবই মায়ের মূত্তি বলিয়। প্রতিভাত হয়। শাক্ত বৈষ্ণবের উপাস্য দেবতা তখন তাহার কাছে পৃথকভাবে দেখা দেন না-_তখন কৃষ্ণ, কালী এক বলিয়। কাভার মনে হয়। হিন্দু, মুসলমান, শ্রীষ্টান__প্রভৃতি যে কোন জাতি-_যে কোন ধর্ম! বলম্বী_-যে নামেই ভগবানকে ডাকৃক না কেন সবই তাহার কাছে তখন জগন্মাত।র বিভিন্নূপ। তখন কাহার হৃদি-বুন্দাবনে যেই ধাশী বাজাক না কেন, উহার মনে হয়, তাহার জগন্নাতা আজ অসি ছাড়িয়! ধাশা ধরিয়াছেন। মায়ের এই লীলা অতি গুঢ়-_ “কে আবার বজায় ধাশী আমায় হদি-বন্দাবনে তন্ময় মোর জাখির পরে কালী-কৃফের মৃতি ধরে অসি ছেড়ে বাজায় ধাশী কেই বাজানে কিকারণে।” কখন সাধকের মনে হয় শ্যাম! মাকে শ্যাম সাজায়ে দেখি আর- আল্তা মাখ| রাঙ। পায়ে সোনার নূপুর দিতে ইচ্ছ! করে-_সেই শ্যামা-শ্যামের অভেদ দেখিয়া রেণু চরণতলে শেষ আশ্রয় গ্রহণ করিবে অভেদরূপিনী মা ১৭১ “শ্যামা তোরে শ্যাম সাজায়ে দেখি আয় সোনার নূপুর পরিয়ে দেব আল্তামাখা রাঙা পায়। ৬ £6৪ মুণ্ডমাল! খুলে ফেলে বনমাল। ছুল্বে গলে সাধ্‌বে রাই চরণতলে আয় কালাষাদ ঘরে আয় ॥” “মধুর হাসি মুখটি দেখে আস্বে ঘুম রেপ্রর চোখে শ্যামা-শ্য।মের অভেদ রেখে ঘৃম যেন আর ভাঙ্গে না তায়।” যে নামেই তাহাকে ডাক হউক না কেন তাহাতেই মনস্কামন। পূর্ণ হইবে ; শ্যাম, শ্যাম বা শিব বা রাম সব নামেই মায়ের সাড়া পাওয়া যায়, অন্তে মোক্ষধাম পৌছান সম্ভব । “মন-পাখী তুই দিস্নেঞ্াকি জপরে মধুর মায়ের নাম এমন জনম আর পাবিনে পুর্বেরে তোর মনস্কাম। অনুরাগ ঈাড়ে বসি বল্বি বোল দিবানিশি ডাকরে মন উমাঁশশী হদে রাখি অবিরম। যেদিন শমন শিয়রে এসে ধর্বে তোমার শুভ্র কেশে সহায় তোমার অ।র কেহ নয় শ্যামা-শ্যাম কিশিব-রাম।? ষে নাম ধরিয়াই ডাক না মন সব নামই যে মায়ের আপন নাম-- “যে নামে খুনী ডাকরে বসি অন্তে পাবি মোক্ষধাম 1” শপ শপ সস আপ চি শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ কে আবার বাশীর সুরের সূরের নেশায় অসি ছেড়ে যেমন খুসী শ্যাম] তোরে সোনার নুপুর অভেদরূপিনী মা বাজায় ধাশী আমার হদি-বুম্দাবনে ছোয়! লেগে গন জাগে মোর মনে মনে। শুধু সবরের আনাগোন। আনকাজে আর মন বসে ন। বিভোর রেণু কান পেতে সে বাশী শোনে । তন্ময় মোর আখির 'পরে কালী কৃষ্ণের মুতি ধ'রে বাজায় ধাশী কেই বাজানে কিকারণে। মায়ের লীলা! গুঢ় অতি কত কৃষ্ণ কতু সতী করছে লীলা স্বতন্ত্র সে ত্রিভুবনে । ১১ কাঁতিক শ্যাম সাজায়ে দেখি আয় পরিয়ে দেব আল্তা মাখা রাঙা পায়। এলোকেশে শিখীচুড়া দিগন্বরীর পীত ধড়া গোপীর মন চুরি কর। দেখি তোরে কেমন মানায় । মুণ্ডমালা খুলে ফেলে বনমাল। দেব গলে সাধবে রাই চরণতলে আয় কালাটাদ ঘরে আয়। চেয়ে নিয়ে হাতের অসি ধরিয়ে দেব ব।শের ধাশী বাশীর সুরে ব্রজ গোপা আড় নয়নে ফিরে চায়। কালী কৃষ্ণ কৃষ্ণ কালী ভিন্ন আর কারে বলি শ্যামাশ্যামের এই অভেদে চরণতলে রেণু লুটায় । ১৮ কাতিক ১৩৮০ কালীপুজার রাত্রি ১৭৩ কি রূপ হেরিনু মাগো কাঙাল ছুটি নয়ন ভ'রে জীবন আমার ধন্য হ'ল আনন্দে তাই অশ্রু ঝরে। কেবলেতোর হাতে অসি আমি হেরি মোহন ধাশী কালীরপ নয় কালশশী উদয়-হাদয় ব্রজপুরে। পাইনেখুজে মুণ্ডমাল। গলে দোলে বনমাল। এলোকেশ দেখিনা আর মোহনচূড়া শোভে শিরে | হুঙ্কারেতে অসুর লয় শুনিতাইমা শাগ্রেকয় রেপ শোনে. রাধা রাধা তোমার বাশীর সাধা স্বুরে। কোন্‌ রূপে দিই অঞ্জলি ধ্যানের মন্ত্র কিবা বলি শিখেছি শুধু মামা বুলি তাই ডাকি মা অন্তরে । ১১ কাতিক মনকেনরে ভিন্নভাব কালাআর তার। কালী। কালাছিল ব্রজপুরে শিখিচুড়া শিরে ধ'রে নিজে এসে হরেরঘরে এলোকেশী মুগ্ডমালী। ছেড়ে দিয়ে মোহন বাঁশী চতুর্ভজে ধর অসি ছিন্নমুণ্ড অস্থর নাশি বরাভয় ভক্তপালী । খুলে ফেলে বনমলা গলায় দিল মুগুমাঁলা কটিতট করে আলা নব পীতবাস করাবলী । ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিম ঠামে তব লীলা ব্রজধামে প্রেম জাগে মোর মাতৃনামে তাই ছেড়েছি দলাদলি। ১৯ পৌষ শ্যাম!-সঙ্গীত-সং গ্রহ মন-পাখী তুই এমন জনম ডাকৃবি মন সহায় তোমার যখন খুসী বৈষ্ণব কি মা মা বলে মা দেখ! দিস্‌ মা অন্তরে তুই বল্তে নারি অভেদরূপিনী ফা দিস্নেফাকি জপরে মধুর মায়ের নাম আর পাবিনে পুরবেরে তোর মনস্কাম। অনুরাগ ঈাড়ে বসি বল্বি বোল দিবানিশি উমাশশী হদে রাখি অবিরাম । যেদিন শমন শিয়রে এসে ধরবে তোমার শুভ্র কেশে আর কেহ নয় শ্যামী-শ্যাম কি শিব-রাম। যে নাম ধরেই ডাঁকন! মন সবনামই যে মায়ের আপন জপরে বসি অস্তে পাবি মোক্ষধাম । ২৩ ভদ্র আমি শাক্ত জানেনামা তোর এই ভক্ত ডাকৃতে তোরে মন হয়েছে আমার রপ্ত। বসে থাকি একাসনে মারেখুজে আপন মনে নিরজনে তোর মৃরতি হৃদে উপ্ত। কখন মাঁতৃুই করালী কালী সামনে দেখি মুণ্ডমালী প্রেমময়ী কুষ্ণপ্রেম পাই মাগপ্ত। শিবরূপে তোর শিঙ্গা বাজে আমার শুস্ত হিয়ার মাঝে আমিলাজে রাম রূপেও মা তুই যেব্যাপ্ত। ৯৭৫ ধশ্বর্ষময়ী মা 'গুণত্রয় বিভাবিনী' মহামাঁয়৷ এই বিশ্বসংসার সৃষ্টি করিয়াছেন বলিয়1 নদ-নদী- গিরি-নিঝ-র, চত্দ্র-সূর্য-তারা সমস্তই তাহার এশ্বধের উপাদান স্বরূপ । তিনি 'যড়েশ্বর্ষময়ী' | তিনি দেবগণেরও উপাস্যা-_সর্বেশ্বরেশ্বরী। তাহার ভুবন ভোলান রূপের তুলনা নাই- এশ্বর্ষের অভাব নাই । সাধকের চক্ষে মায়ের ন।নাবিধ রূপ অপরূপভাবে প্রতিভাত হয়--কখনো। তিনি করুণাময়ী, কখনে। তিনি কালভয়হারিণী, আনন্দময়ী, আবার কখনে! তিনি এশ্বর্ষময়ী। ভক্ত ই্রাহার উপাসন! দ্বারা দেবীকে সন্তষ্ট কৰিলে ভূতলে অতুল পরমৈশ্বযলাভের অধিকারী হইতে পারেন। শ্রশ্রীচণ্তীতে চণ্ডিকা'র ধ্যানে পাওয়া যায় মায়ের সেই এ্বর্ষময়ী রূপের বর্ণন]__ কালীং রড়-নিবদ্ধ নৃপুর-লসং-পাদাম্থজী মিষ্টদাং কাঞ্চীরত্ব ছকুল-হাঁর ললিতাঁং নীলাং ত্রিনেত্রোজ্ঘলাম্‌। শূলাদ্যন্ত্র-সহস্্র মণ্ডিত-ভুঁজা মৃদ্বক্ত।পীন স্তনীং আবদ্ধাম্বত রশ্মি রত্রমুকুটাং বন্দে মহেশ প্রিয়াম্‌ ॥ নু ঠ গা সং ৬ মধ্যে সুধাৰি মণি মণ্ডপ রত্ুবেদী সিংহাসনোপরিগতাং পরিপীত বর্ণাম্‌। পীতান্বরাং কনকভূষণ মাল্য শোভাং দেবীং ভজামি ধৃত মৃদগর বৈরিজিহবাম্‌ ॥ আব!র মহাকালীর ধ্যানেও বল। হইয়াছে তিনি ত্রিনয়না, তিনি 'সবাজ- ভূষারৃতাম্‌ নীলাশ্ম দুতিমাষ্যপাদ দশকাম্‌। সেই সর্ধব্যাপিনী মহাকালীর এভিমা কীতনে মাকে সবত্র এ্রশ্বধময়ী পে ধরা দেয় ভক্তকবির চোখে সূর্চন্দ্র গ্রহতার। দেখি মা তোর চরণে পড়া নদনদী ঝরণা ধারা তোর চরণে গড়িয়ে পড়ে । পশুপাখী তরুলত। এ চরশে নোয়ায় মাথা আম বলে মোর বিশ্ব হাসে দেখে আমার নয়ন ঝরে। ১৭৬ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ এশ্বধময়ী বিশ্বমাতার রাঙা চরণ পদ্মের করুণা মধু পানে মন মধুপ গুঞকরিত হইয়1 গাহিয়া উঠিয্লাছে_. “পশুপার্ীর মামা গানে কি আনন্দ বয়ে আনে যোগ দিতে চাই মনে প্রাণে বসিয়ে তোরে হদে ধ'রে। এশ্বমন়ী ম! ১৭৭ ব. বি./শ্ামা-সঙ্গীত/৩২-১২ শ্যামা মায়ের বক্ষে ধরি মার চরণের সৌর জগৎ রেণু লুটাক বিশ্ব জুড়ে বৃথাই করি তোর্ই স্ততি পূজার প্রদীপ সেই পূজারই নৃত্য দেখে ব্লাড চরণ চরণ ঘিরে নাচে আজি নৃপুর হ'য়ে শস্য শ্যামল মায়ের নৃত্যে তারই তালে মায়ের কৃপা নৃত্য হেরি মায়ের পায়ে তোর পুজা মা ছুটাছুটি পাখীর গানে ফুল ফোটা এ চল্ছে নিতি লক্ষ কোটি সাজিয়ে তোমার চন্দ্রদৃষ কাননে সব নিতা ভবে পূজারী হ'তে নটরাজ পড়েছে লাজে শুয়ে আছে শ্মশান মাঝে। গ্রহতারা পাগল পার। নাচের তালে নিত্য রাজে। বসুন্ধরা গরব ভর! কেমন নিত্য নূতন সাজে । হ'লে পরে নয়ন ভ'রে ভূক্তি মুক্তি যেথা রাজে। ২০ শ্রাবণ দেখে আমার নয়ন ভরে ব্রক্মময়ীর পুজার তরে। নদীর তানে পদ্মবনে মনোহরণ মধুর স্বরে । তারার মালা যজ্ঞশাল জ্বলে বিশ্ব পুজ। ঘরে। কুসুমরাজি পূজার সাজি রেণু চলে সাহস করে। ৬ ভার শ্যামা-স্ঙ্গীত-সংগ্রহ মাণশো আমি সবুজ শোভায় ভোর চরণের ভয়ঙ্করী হেরে রেণুর রাঙা চরণ দিগন্বরীর মরনরিয়। দেখি তোরে তোরই বূপ শিশুর আধ- পাখীর কল- নূপুর ধ্বনি নদী যেথ। ছুটে চলে তুই ছাড়া মা তোরই যেরূপ বিচিত্র সে হৃদয় ভসে তোর মা দেখি রাঙ1 বসন ভোরের বাতাস তোরই পরশ তোরই কথ নীল গগনে যায় একে সে তে।রই এলোকেশের শোভায় এশ্বর্যমন্ী মা জনপদে আর কাস্তারে পত্রপুষ্প সম্ভারে। আধ বুলি কাকলি শুনি তাতে ধাধন হার। পাগল পার। এমন রূপ কে ধর্তে পারে । নিখিল ভ্ববন নিত্য নূতন আনন্দেরই বারে বারে পারাবারে। উষার কোলে কোলে দোলে । অরুণ রাঙ। অস্তাচলের বনে আনে গোপনে যায় শুনিয়ে কুতৃহলে প্রভাত রবি তোরই ছবি লক্ষ কোটি তারা জ্বলে । ৯৭৯ ৯৮০ জগন্মাত। তুই যে শ্যাম! বিশ্বব্যাপে তোর পূজা মা সাগরে তোর ঢক্কানিনাদ শিরি নদীর ঝরণা ধারা বাতাস তোমার মেঘের দলে তরজিণী ধোয়ায় চরণ পশুপাখীর আর কিছু নয় কৃপা হলেই এই পৃজাতে আমার মায়ের স্রেহের ধারা তৃষা কাতর ধরিত্রী তাই বিজলী যেন ঝল্সে উঠে বজে মায়ের শঙ্খ ধরা মায়ের ছিল ধরে মেঘের স্তব্ধ হয়ে দেখি চেয়ে বর্ষা মৃখর আকুল আজি রেণুর চিত্তে বূপ নেহারি তোর পূজাকি হয় মা ঘরে মনকে টানে আকুল করে । শঙ্খ বাজে বজমাবঝে ধাশী বাজায় মধুর সুরে । চামর দোলায় পাদ্য যোগায় আকুল কর! কলম্বরে । লানা রব তোর যেস্তব রামরেণ যোগ দিতে পারে। সপ্তমী পূজা আাবণ ধারায় পড়ছে ঝরে তৃষ্ণা মেটায় পুলক ভ'রে । মায়ের হাসি আধার নাশি আমায় আজি মুগ্ধ করে। কৃষ্জকেশ ছদ্পবেশ ছড়িয়ে আছে আকাশ 'পরে। শ্রাবণ দিনে একলা প্রাণে আনন্দ যে নাহি. ধরে। ২৬ আষাঢ়: স্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ বিশ্বরূপা ম৷ তন্ত্রে বল হইয়াছে, শক্তি ও শিব, ঈশ্বর ও ঈশ্বরী অদ্বয্ন । ঈশ্বর যখন জগতের পালয়িত্রী রূপে জগজ্জননী বিশ্বরূপা দূপ ধারণ করেন তখন তিনি শক্তি । জগংব্যাপিনী বলিয্লাই তিনি বিশ্বরূপা, তিনি “সবমৃলাধার” । জীত্রীচণ্তীতে জগজ্জননীকে তাই জগন্মৃতি, জগন্ময়ী, মহীস্থরূপা। ও বিশ্বব্ূপ1 বল] হইয়াছে । একটু চিন্তা করিলেই বুঝা যায় যে প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে ও পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম-ইতিহাসে পৃথিবী মাতৃ মৃতিরূপে পরিকল্পিত হইয়াছিল--এই পৃথিবী মূত্তিই পরবর্তীকাজে মাতৃ মৃতিতে পর্যবসিত হইয়াছে । পৃথিবীর প্রাণশক্তি ও প্রজনন শক্তির জন্য সৃষ্টি ও পালনের কারণে তিনি জগজ্জননী বিশ্বরূপা । জগৎ স্বরূপিনী পালস্সিত্রী মাতার বিশ্বরূপের বন্দনা পাওয়। যায় শ্রীত্রীচশ্তীতে-__ “বিশ্বেশ্বরী তং পরিপাসি বিশ্বং বিশ্বাত্মিক। ধারয়সীতি বিশ্বমূ । বিশ্বেশ বন্দ্যা! ভবতী ভবস্তি বিশ্বাশ্রয়। যে ত্বয্ি ভক্তি নম্রাঃ ॥” এই বিশ্বরূপণ 'ম্বন্ময়ী' কবির চোখে চিন্ময়ীবূপে ধরা দিয়াছে-_- মৃন্ময্লী তুই ধাত্রী মাগো চিন্ময়ী আজ মের নয়নে তোমার কোলে জন্ম লভি সেবি চরণ বক্ষে এনে । শ্যাম। তুমি শ্যামল রূপে আসন পাতে] ধরার বুকে টাদ সৃূরষে চরণে লুটে রেখেছে! তাই কাছেটেনে। তারার মালা গগনতলে রাতের শোভা কণ্ঠে দোলে নীল আকাশের চাদোয়াতে পেলাম তোমার হরিং বনে। অসুর দলসন মৃতিখানি কখন ছিল নাহি জানি জগন্মাত! বিশ্বরূপে খেল্ছে। খেলা আমার সনে ।” বিশ্বরূপা ম। ১৮৯ জগংব্যাপিনী মায়ের মৃতি বিশ্ব চরাচরে প্রত্যক্ষ করিয্। কবিচিত্ত অভিভূত ॥ আপনার ধ্যানে কবি তাহা অহরহ সন্দ্শন করেন। অপরূপা মায়ের চরণা শ্রিত কবি তাই ব্যক্ত করেন নিজ মনোবাসনা-- “নুপ দেখে তোর নয়ন ভরে মন ভরেনা চরণ বিনে তাই ত আশায় বসেথাকি মাগো আমি রাতে দিনে!” ১৮২ স্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ নয়নমুদে দেখি তারা ব্রন্মময়ী নিরাকার! নয়ন মেলে দেখিতারই রবরূপেবিশ্ব- ভূবন ভরা । যাহা কিছু দেখে আখি তরুলত। পশুপারথী সবার মাঝে দেখি তারা নিরাকার! সেই সাকারা । ত্রিগুণ। মা সেই নিগুএণ। ভ্রিগুণাতীতা ভক্তাধীন। ভক্তি তরে মৃতি ধরে তক্তহদে দেয় মা ধরা। ১১ আষাঢ় ফুলেও তৃমি ফলেও তুমি মৃতিতে মা নারায়ণী আমার মাঝে তোমায় প্রকাশ সেই ধনে মা আমিধনী। পৃজ্য তুমি তোমার পৃজ। পৃূজক তুমিই গেল বোঝা সবার মাঝে তুমিই আছ তত্ব কথা শানে শুনি। রক্তজবা। বিল্বদলে অধ্য দিয়ে চরণতলে নানারপে দেখে তৃমি মাগে। সবরূপা তোমায় গণি । তোমারই রূপ সবজীবে সবরূপ; তুমি শিবে কৃপা যদি কর তবে এ বোধ জাগে মা জননী । বিশ্বরূপা মা ১৮৩ বাপ দেখে তোর নয়ন ভরে মন ভরে মা চরণ চিনে তাই ত আশায় বসেথাকি মাগো আমি রাতে দিনে। যেরূপে মোর নয়ন ভর সেই রূপে তোর বিশ্ব গড়া অবাক্‌ হয়ে চেয়ে থাকি কিছু নাই ম। তোম! বিনে । ফুলেও তুমি ফলেও তুমি তুমিই ক্ষেত্র বনভৃমি তুমিই জল তুমিই বাস বোঝে নামা বুদ্ধিহীনে। পুর্ণ তৃমি বিশ্বমাঝে বিশ্বরূপ' বিশ্ব সাজে আমিও যেমা তোমারই রূপ জ্ঞানহল তোর কৃপাগুণে। ২৯ আশ্বিন ফুলগুলি মা ফোটে বনে ঝরেপড়ে আপন মনে নয়ন মুদে দেখি তারা ঠাঁই পায় মা তোর চরণে । নদীর বুকে জলের ধারা জুটে উধাও পাগল পারা তোর চরণে অঞ্জলিতে ফিরে আমে উজান টানে। গন্ধ পুষ্প দুর্বাদলে চেয়ে দেখি ভূমণ্ডলে অর্থ্য তোমার ভরে আছে লাগবে বলে পুজার ক্ষণে। জগং শিশুর মামাডাকে যেস্বর জাগে নিবিপাকে তারই সাথে সুর মেলাতে সাধজাগেমা রেণুর প্রাণে । ১৭ অগ্রহায়ণ ' ১৮৪ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রাহ ভাগ্যে আমায় বিশ্বভুড়ে তোর পরিচয় তাই জেনেছি দেখে ভাসি ফুলের গাছের তোরই শান্ত তোরই কণ্ঠ নয়ন মনে খু'জতে তোরে বিশ্বদূপা মা আন্লি ভবে তোরে হেরি কেই বা তোরে আমি নৈলে দিলাম আমি জগং জুড়ে তুই যে আমার ধ্যানযোগে গানের মালা দিইগে। আমি নয়ন জলে পাতায় পাতায় পরশখানি শিশু যখন সুধারাশি সেই ডাকেতে পশুপাখাী আমার প্রাণে বূপরাশি তোর তুই আছিস্‌ ম! মন যেন তাই আর যেন ন! শপ পপ পলাশ সাধ মিটিয়ে "মা", 'মা? ডাকি ভরেছে মোর ছুটি জাখি। চিন্তে! ভবে ও মা! শিবে এ অহংকার মনে রাখি। আসন পাতা জগল্মাতা জানার আর কিআছেবাকী চরণতলে মা মা বলে নিমেষ হারা চেয়ে থাকি। ৩১ জৈষ্ঠ: বনম্পতির ঘনছায়ায় আমার দেহে আপনি বুপায়। মা মা বোলে দেয় মাঢেলে আমার যষেমা মন ভোলায়। তরুলত। কয় ষে কথা নৃতন সুর নিত্য যোগায় সব স্থানে নিতা জানে তীর্থে তীর্থে ঘুরে বেড়ায়। ৯৮৫ দেশ বিদেশে বৃথ। ঘুরি কেন যাই মা তীথ বাটে যেথা বলে ডাকি তোরে উদয়হস্মা হৃদয় পাটে। পিতা মাতা পত্তী পুত্র তোরই যেরূপ শক্র মিত্র সব্ঘটে রূপ দেখে তোর সুখে দিন মা আমার কাটে । ভীব-অভাব নেই মা তারা নয়নে তুই নয়ন তারা তুই ছাড়া আর নেইকিছুগো সার জেনেছি ভবের হাটে। মৃন্ময়ী তুই জগদ্ধাত্রী চিন্ময়ী আজ মোর নয়নে লক্ষ কোটি সম্ভানেরে পালন করিস অন্নদানে। শ্যামল রূপে তুই মা শ্যাম! আধার রূপ! কালী ও মা চক্র সূর্য তোরই চক্ষু জেগে আছে রাত্রি দিনে। তারার মালা গগনতলে সেত তোরই কণ্ঠে দোলে মৃতিযে তোর বিশ্বরভৃবন চিনায় যারে সেই ত চিনে। বিশ্বরূপের নাই ধারণ। রেণুর শুধু এই বাসনা শিশুর কাছে মায়ের মতো থাকিস্‌ সদ? আমার মনে। & আশ্বিন ১৮৬ শ্যাম-সঙ্গীত-সংএহ মন কেনরে বিশ্ব জুড়ে গাছের পাতা বাতাসে মার রণরঙে উষার অরুণ সবই তোমার বিশ্বরূপ ম! মাকে পুজিস্‌ মায়ের মৃতি স্তন্ধ আমার মায়ের চরণ সেই ধ্বনিতে পশুপাতী নরনারীর সবই আমার অতি তুচ্ছ কর্ছে মাগো সেও ত তোমার লীলা ভেবে পড়ে খসে নৃপুর ধ্বনি বে বাজে ভয়ে কাপে মাতৃল ভীম অসুর নাশে গগনে ঘোর কালী মায়ের বর্ণছটা রাঙা আলোয় মার চরণের ব্রন্গা থেকে অবাক হয়ে বূপ-জননী একলা বসি নিরজনে দেখি আমি আপন ধ্যানে। হৃদয় মাঝে ধ্বনি বাজে মুগ্ধ চিত আপন পরে ভেদ না জানে। তরুলতা। গোপন ব্যথা মায়ের কথা বলে আমার কানে কানে। কীট পতঙ্গ কত রঙ্গ পুলক জাগে রেণুর মনে। ২৩ শ্রীবণ ভাবি আমার মা-ই বা আসে তাই যে আমার কানে পশে। হু-ভ্হ্কা'র ভ্রিসংসার অট্টছেসে। মেঘের ঘট! আলতা মেশে । পরমাণু ভাবে রেণু মন মজে তার মধুর রসে) ২৮ শ্রাবণ ১৭ ১৮৮ আমার মায়ের রূপ দেখেছিস মনরে তুই মনে মনে লক্ষ কোটি রূপ যেধরে জানিস্‌ তুই ভ্রিনয়নে। নয়টি রূপে নবতুর্গ। দশ রূপে মহাবিদ্য। লক্ষ কোটি পশুপাখী মায়ের রূপে বেড়ায় বনে। চেতন অচেতন জানিনে তারা সবার মাঝে মা ভবদারা নয়ন মেলে দেখি তারে নূতন করে মন-নয়নে। শ্যামল ধরাষ শ্যামার চরণ নীলাকাশে নীলার বরণ সফল হ'ল জীবন-মরণ আনাগোন। এই ভবনে । ১৪ আষাঢ় বিশ্বরূপা মায়ের আসন দেখি আমি বিশ্বজুড়ে ঘটে-পটে কি হয় মাপৃুজা তাতে আমার মন-ন! ভরে। অষ্ঈট সিদ্ধি যার পদতলে অষ্ট মৃত গায় সকলে শিল্পী দেখে আখি মেলে ভেবে আমার নয়ন ঝরে। রূপ যেমায়ের নয়ন ভরা রাঙা চরণ হৃদয় জোড়া কাজল কালো মেঘের কোলে এলোকেশ তার ছড়িয়ে পড়ে। চন্দ্র-সৃ্ধ হুতাশনে মায়ের আছে ত্রিনয়নে পদ-নখে অগণনে কোটি তার বিলাস করে। ধ্যানে মায়ের রূপ চিনেছি অন্তরেতে তাই পেয়েছি বাহির বিশ্বে সেই রপেমা মন ভোলাল অভয় বরে । ৯০ শামা-সঙ্জীত সংগ্রহ লীলাময়ী ম৷ বিভিন্ন তন্ত্র পুরাণ ও দর্শনে এবং বাংলা মঙ্গলকাব্যগুলিতে দেখা যায় সৃষ্টির পূর্বে সর্বত্র ছিল শুধু নিরবচ্ছিন্ন অন্ধকার আর শূন্যতা । তাহার মধ্যে বিরাজ- মান ছিলেন নিরাকার, অব্যক্ত, পরম ত্রন্দ। বঝৌদ্ধতস্ত্রে ভাহাকেই বলা হইয়াছে নিরাকার নিরন্ধন বা আদি দেব। সেই পরমব্রক্গ বা আদি দেব বা পরম পুরুষ সৃষ্টিমানসে দুই হইলেন। তাহার 'তনু হইতে হইল প্রকৃতি, । এই আদি প্রকৃতিই হইল ব্রন্গশক্তি বা আদি দেবী । ত্রন্ম, অস্থি এবং ব্রহ্মশক্তি তাহার দাহিকাশক্তি। 'ভববনমোহন মৃতি” সৃষ্টির জন্য অবির্ভৃতা হইলেন। সাংখ্যদর্শনে দেখা যায় নিগু4ণ ত্রন্ম নিজ্তিয়, সক্রিয়তার জন্যই গুণমক্সী প্রকৃতির আবির্ভাব । আদি-প্রকৃতিন্ূপে তিনি ব্রন্ষা, বিস্ু্, মহেশ্বরকে প্রসব করেন। এই ত্রিমৃত্তি আদি-প্রকৃতির সত্ব, রজঃ, তমঃ- ত্রিগুণের ব্রিবিগ্রহ। (ভারতের শক্তিসাধনা ও শাক্তসাহিত্য পৃঃ ১৪৬) তাহ] হইতেই বিশ্বপ্রপঞ্চের সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় সংঘটিত হইতেছে। বুহদারণ্যক উপনিষদেও পাওয়া যায় তিনি এক ছিলেন, ছুই হইলেন । আদি হইতেই পুরুষ ও প্রকৃতির দ্বিধাকরণ । আনন্দেচ্ছার জন্যই এই দ্বিধাকরণের প্রয়োজন ছিল । পুরুষ ও প্রকৃতির আনন্দ ভোগের ফলেই বিশ্বসৃষ্টি হইয়াছে । সৃষ্টি হইয়াছে প্রাণ ও অন্নের, দিনরাত্রি, সূর্য, চন্দ্র প্রকৃতির । এখন পুরুষ ও প্রকৃতি অভিম্ন__ দুয়ের এই আনন্দেচ্ছার নাম দেওয়া যাইতে পারে লীলা? । এই লীলার বিচিত্র বিকাশ বৈষ্বদর্শনে রাধা-কৃষ্ণের তত্ত্বে পাওয়া যায়। রাধা ও কৃষ্ণ অভিন্ন । কৃষ্ণের প্রকৃতিরূপা হলাদিনীশক্তি রাধা । শক্তিরপা রাধাকে লইয়া কৃষ্ণ লীল! করিয়াছেন। শাক্ততন্ত্রেও বলা হইয়াছে পরমাশক্তি কালী ইচ্ছাময়ী, তিনি লীলামক্সী । তাহার ইচ্ছায় এই সমস্ত সৃষ্টি । বিশ্বচরাচরে যাহা কিছু আনন্দের প্রকাশ দেখা! যায় তাহার মধ্যেই মহাশক্তির লীলাবূপ ক্রিয়াশীল । তাই মা আমাদের কখন হাসান কখন কাদান। তাহার ভুবন ভোলানো মৃত্তি ও তাহার বিচিত্র সৃষ্টির মধ্যে রহিয়াছে সেই লীলার প্রকাশ ! গুণময়ী মাতৃকাদেবী কালীর “সৃষ্টি সখের উল্লাস প্রকৃতি রাজ্যে বিভিল্লরূপে রূপায়িত। সাধক সেই লীলাময্নীর লীলা দেখিয়! আনন্দিত পুলকিত । লীলাময়শ ম1 ১৮৯ বিশ্বের রজমঞ্জে জীবকুল জীবনম্ৃত্যুর পালা-বদল করিতে করিতে আসা- যাওয়া করিতেছে । ব্রন্দে লীন হইলে বা মোক্ষলাভ হইলেও লীলা- ময়ীর ইচ্ছায় তাহ] সম্ভব হইতেছে। পাশ্চাত্যের মহাকবি শেকৃসপীয়র তাহার “ম্যাকবেথ' নাটকে এক জায়গায় বলিয়াছেন--11015 ৬০] 19 ৪ 5028৩? 21) ৮4 ৪15 0০9০1 0185615০010 8. ভব রঙ্গমঞ্চের যিনি পরিচালক ও নাট্যকার তিনি হইতেছেন স্বয়ং লীলাময়্ী, ব্রন্মস্বরূপিণী কালিকাদেবী | তাহার অঙ্গুলি সঙ্কেতেই সমস্ত কিছু চলিতেছে । মায়াময়ী ও প্রেমময়ী মায়ের লীলায় এই বিশ্ব প্রপঞ্চের সৃষ্টি, পালন ও সংহার। লীলাময়ী মায়ের সেই বিচিত্র লীলাবিলাস দেখিকয়! মনে জাগে “এই ভবেরই রঙ্গমঞ্চ কত রঙ্গ দেখাও কালী সঙ্গ সবখে আনন্দেতে দিতে চাই মা করতালি নাচ্‌বি মা তুই সকল ভূলে রেণুর হৃদয় উঠবে দুলে সকল চিন্তা দেব ফেলে মনকে রাখি এবার খালি । মাঁগে। তুই রূপে রঙে নিত্য সাজিস্‌ কত ঢঙে আমার সাথে খেলায় বসে কেন বেড়াও মুণ্ডমালী ।” কবি নজরুলও বলিয়াছেন-_ “কালো মেয়ের রূপ দেখে দেয় বুক পেতে শিব । যার হাতে মরণ বাচন ॥” অন্যত্র-_ “পগলী মেয়ে এলোকেশী নিশীখিনীর দুলিয়ে কেশ, নেচে বেড়ায় দিনের চিতায় লীলার যে তার নাইকো শেষ |” ১৯০ ্যামা-সঙ্গীভ-সংগ্রাহ অবিরাম তোর সেই খেলারই ক্লান্ত আমি ভাঙ্গবে কবে সাঙ্গ হবে ও ভাই দ্যাখ এসব আর নিগুণে তাই সঙ্গশি সাথী হয় না তুল লীলামক়ী মা চল্ছে খেল! - এই ভবনের খেলাঘরে সাথী হয়ে আসিষাই মা বারেবারে গেল বেলা ভবের থেল। আমার পালা পড়ে রব চরণ ধ'রে। জেনেছি তোর খেলার ধরণ বুড়ি ছুলে হয় না মরণ সফল হবে ধরার জীবন রাখলে মাথা চরণ 'পরে। ২০ বৈশাখ বাউল সুর সংসারে এক বসেছে বিরাট মেল কিছু নয় এক ক্ষ্যাপা মেয়ের খেলা । সেষে বাজিকরের মেয়ে ভুলিয়ে রাখে খেল্না দিয়ে সগুণ চেয়ে কেটে গেল আমার বেলা । সে মেয়ে আপনি ক্ষ্যাপা আর তার কর্তা ক্ষ্যাপ! আছে ক'জন সবইক্ষ্যাপার চেলা । বক্ষে ক্ষটাপা চরণ ধ'রে পঞ্চ মূখে নাম করে নেশার ঘোরে খুবভশিয়ার ক্ষ্যাপা ভোলা । ১৬ আষাঢ় ১৬১ ১৯৭ সাড়া তুমি দাও লা তার। ভ্বল বোঝা মোর শেষ হবে না দেখবে তুমি কেমন মাগো শিয়রে মোর আজে জাগে! কত নিশি কাটাও বসি আমি থাকি ঘুমের ঘোরে । বোধন করে ঢাকে ঢোলে ফুল দিয়ে তোর চরণ তলে নিদ্‌ হারা মোর কখন যে মা আস্ছ ভেবে আমি গাথি মায়ের আমার ছেলে তোমার কেদে মরে তোমায় পেয়ে একলা ঘরে । মা মা ধলে ডাকি শ্যাম! তুমি তখন পলাও দূরে । এবার যদি কাছে এসে সাড়া দাও মা তুমি হেসে মায়ে-পোয়ে বোঝাবুঝি দেখবে জগৎ নয়ন ভরে । আখি নিয়ে লীলাময়ী যখন থাকি নৃপুরধ্বনি যতন করে কোথায় পাব কে যোগাবে গানের মালা কখন কাছে ডাকে আমায় ছলাকলা ২৯ পৌষ সারা নিশি জেগেথাকি কাছে এসে নেবেন ডাকি। অন্য মনে বাজে কানে হাদাসনটি সাজিয়ে রাখি। জবার মালা ভোগের থাল। কণ্ঠে মাগো পর্বে নাকি । কখন দূরে মধুর স্বরে বুঝতে রেণুর নাই যে বাকী । শ্যামা-সংঙ্গীত-সংগ্রহ যতই আমি এত কি তোর খেলা শেষে আমি তখন কত রঙ্গ তোর সেরঙ্গের ষেযার আপন মোহিনী তোর লীলাময়শ মা ব. বি./শ্যামা-সঙ্গীত/৩২-১৩ পলাতে চাই খেলার নেশা দিন শেষে মা শেষ করে দে আর কিছু নয় মুক্তি নিয়ে ভর্বে হৃদয় দূর বিমানে রঙ্গময়ী সরিক আমি রঙ্গে নাচে হয় না কু কক্ষে নাচে তোর এই রঙ্গ কার সাধ্য মা শক্তি মাগো আন আমায় তেড়ে ধরে বুড়ি সেজে ধরার ঘরে । সাঝের বেল। আমার খেল। দেখি চরণ নয়ন ভ'রে। মুক্ত প্রাণে নূতন গানে চলে যাব কোন্‌ সুদূরে । অঙ্গনে তোর দেখাস্‌ এনে মন নাচে মোর তাই যে জেনে। গ্রহতারা ছন্দহার। চলে নাচের নিয়ম মেনে। ভঙ্গ ক'রে দ্বুরে সরে কাছে ধরে রাখে টেনে । ১৪ ভাদ্র: ১৯৩ লীলাময়ী বল্‌মাশিবে কেমন মা তোর সখের খেলা ভাবতে গিয়ে কোন্‌ দিকে মা শেষ হ'ল মোর সাধের বেল।। কোন্‌ খেয়ালে সৃষ্টি করে পালন কর আদর করে সংহার কর যথাকালে কর না তায় অবহেল! । নয়ন মদে তাই ম। দেখি ভরেছে মোর মনের আখি ডাক দিলে মা সঙ্গে থাকি করোনা আর আমায় হেলা । তুই বেড়াস্‌ মা বিশ্ব ঘুরে দেখতে পাস্নে এই ছেলেরে শেষের দিনে দেখিস্যেন রয়না রেণু আর-একেল। & অগ্রহায়ণ ' মন্ত্র-তন্ত্ পাইনে শ্যাম। তন্ত্রসার দোহন করি নূতন পথে আমার সাধন মাতৃতন্ত্রে মনটি ভরি । একাক্ষরী মন্ত্র নিয়ে দিনটি কেন যাবে বয়ে ভয় ভাবন। তুলে দিয়ে মার চরণে রইনু পড়ি। মায়ের বিলাস মন্ত্র মাঝে আমি দেখি সকল কাজে আমার সাথে হেসে খেলে শেষের বেলায় লুকোচুরি । সেই খেলাটি শেষ করে ম৷ কবে আমায় ডাকবে শ্যামা নূতন খেলায় দেবে আমায় নুতন করে হাতেখড়ি । ১৯৪ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহথ কোন্‌ ভাবে তুই সেইভাবে রই বক্ষ পেতে হৃদয়ন-আসন হৃং-চিত্তা- জগতজুড়ে দেখতে পাই মা নয়ন মুদে তোর অপরূপ কি মায়া মোর মহামায়া তোর সখের খেল্ন। হেথায় আসি সময় হ'লে সকল ছেড়ে দৃষ্টি ষেতোর লীলাময়ী ম। আছিস্‌ ভবে ভাব্না ভেবে পড়ে থাকি শূন্য রাখি মণিরে ডাকি লীলা ময়ী পাই না ভেবে সদাশিব যে চরণে শিবে। কবে তোর মা দয়া হবে। তোরই লীলে নয়ন মেলে ধ্যানাসনে স্বরূপ দেখে চরণে মন লাগলো চোখে মায়ার স্ববপ আমায় আবার বুঝাবি কবে। তৈরী করে কাদি হাসি যেমন নাচাও বাচিয়ে রাখ ত্বমিই আবার ঘর-দুম্নারের থাঁকে পড়ে যেতে হয় যে ভয় কিছু না তুই যে সদাই আছে জানি পাঠিয়ে দিলি নাচি গাই মা তেমনি নাচি তাই মা আছি ডেকে নেও ম! ধার ধারি না পাওনা দেন। সয় না দেরী করি তাতে থাকিস্‌ সাথে দ্বিজরেথুর স্থান কি পাবে ? ২৩ আষাঢ় ভবের ঘরে পরাণ ভরে। সোস্বাগ করে। ক্ষণেকতরে। খেলার 'পরে। ১৯৫ অভিনয় মোর সুত্রধার সে অভিনয়ের কর্ছি নিত্য দে মা ছুটি এই ভবেরই সঙ্গ সবখে সকল চিত্ত! আমার সাথে কালের ভয় চল্ছে মাগো! যেমন সাজায় যেমন চালায় যা বলায় সে রঙ্গে ফিরি নান! রূপে কখন কেদে সেই খেলা ম1 সাঙ্গ হলে নুতন সাজে রামরেণুরে রঙ্গমঞ্চ আনন্দেতে নাচ্‌বি মা] তুই রেণুর হৃদয় দেব ফেলে মাগে। তুই নিত্য সাজিস্‌ খেলায় বসে কেউ বলে ম। করুণাময়ী করিস্‌ হরণ ভবরজ মঞ্চ মাঝে সাজতে হয়গো তেমনি সাজে । তেম্নি চলি তাই যে বলি মাগো আমি সকাল সাঝে। নানা বেশে কখন হেসে আমার সকল কাজ অকাজে। পাল। এবার সাজাস্নে আর এ অভিনয় করার কাজে । ২২ আশ্বিন কত রঙ্গ দেখাও কালী দিতে চাই মা করতালি। সকল তুলে উঠবে দুলে মন্কে রাখি এবার খালি । রূপে রঙে কত ঢঙে কেন কর চতুরালি। তুই পাঁষাণী আমি জানি ক্ষেমঙ্করী তুই করাল । শ্যামা-সঙ্গীত-সং গাহ এ ধরার ফুলে ফলে মাগো তুমি: চরণ মেলে মনে মনে ভাবতে নারি কত খেল! যাও মা খেলে। সেই খেলাতে থেল্না হ'য়ে দিন কাটে মোর নেচে গেয়ে যেমন নাচাও তেম্নি নাচি থামিয়ে দিলে যাই মাচলে। বনের পশু মনে মনে তোর নামই নেয় স্মরণে পাখীর সব মধুর কণ্ঠে তোরই কথ? যায় যে বলে। বাতাসেতে যে সুর বাজে . বাজে আমার হৃদয় মাঝে সেযেতোরই আপন স্বুর মা শুনি আমি কুতৃহলে। মাটির পুত্থল আমি মাতোর রঙ দিয়েছ অঙ্গে মোর যেমন নাচাও তেম্নি নাচি দেখি তোমার খেলার জোর। মা হারা মোর দ্বখের নিশি একুলা হেথা কাদতে বসি নাই মা উদয় কালশশী আধার রাতি হয়না ভোর। আর কতদিন খেলায় মেতে রাখবি হেথা খেল্না পেতে মুক্তি পেয়ে ছুটবো কবে কাটবে আমার মায়ার ঘোর । তখন যেন চরণ তলে স্থান দিস্‌ মা ছেলে বলে শেষের দিনে নয়ন জলে রুদ্ধ হয়না দৃষ্টি মোর । ১০ আশ্বিন জলীলাময়ী মা ১৯৭ বিশ্বজুড়ে তোর্‌ চরণের ভূধর কানন শ্যাম শোভার নদ নদী এ খেল তোর লীলাময়ী জাল কেটে মা সব ছেডে ম' দিবানিশি সুযোগ নেই মা শিখিয়ে দে মা খেলাঘরে তুই আছিস্‌ মা অঙ্গনে ছাপ দেখি তায় অশোক-পলাশ রঙ্গনে। জঙ্গলে ূ চরণ মেলে সাগর জলে সেই করুণার উজান বানে। এ খেলারই খেল্না হ'য়ে আসিষাই মা তরী বেয়ে জীবন-গাঙে দিতে পাড়ি মাগে। তোর প্রেমের টানে । শেষ মাকবে আর কতদিন রাখবি ভবে শোন্‌ মাশ্যামা এবার আমার সঙ্গ নে। ১৭ চৈত্র পলাতে চাই তমি রাখ ফাদে ধরে ঘর-বিবাগী তরু কেন নয়ন ঝরে । পৃজি আমি ম1 মহামায়া তাই বুঝি মোর ভূতের কায়া বাধা আছে এ মায়েরই মায়া ভোরে । বুঝেছি মা তোমার ফাকি নান। কাজে নাও মা ডাকি দিনের বেল! পুজি চরণ রাতটি ভরে। সেই পূজা কি লাগবে মনে বল্‌ যা শ্যামা শবাসনে পরম সাধন তাই সাধিব যতন করে। ২৯ জ্যেষ্ট হ্যাম1-সজশিত. সংগ্রহ ্রন্মময়ী ম৷ মহ্থাঁশক্তি স্বরূপিনী দেবীকে চণ্তীতে বল হইয়াছে, তিনি হইতেছেন প্রধান দেবী, ব্রল্গাদির বন্দনীয়া এবং পরমেশ্বরের মহাশক্তি ( “পরাপরানাং পরমা তমেৰ পরমেশ্বরী” ) বৈষ্ণব শাস্ত্রে যেমন বলা হয় শ্রীকৃষ্ণের হল!দিনী-শক্তিই শ্রীরাধিকা ; মূলতঃ কৃষ্ণ ও রাধিক! ভিন্ন নহেন, তেমনি শাস্ত্র মতে, ব্রন্ম ও ব্রক্মশক্তি অভিন্ন-_দুই মিলিয়ে এক, একই দুই হইয়াছেন । সাধক শ্রীরামকৃষ্ণের মতে জল ও তার তরলতা, মণি ও তাহার জ্যোতি প্রভৃতি যেমন পৃথক কর যায় না, ব্রন্গ ও ব্রন্মশক্তি তেমনি আলাদ] নহে । ব্রন্দ-ইচ্ছায়-__ব্রন্মশক্তির বিকাশ । সৃষ্টির জন্যই ব্রন্গশক্তি, স্থিতির জদ্যুই ব্রক্মশক্তি, প্রলয়ের জন্যও ব্রন্ম- শক্তি প্রকটিত। তন্ত্রে অবশ্য ত্রঙ্গশক্তিকেই আদ্যাশক্তি মহামায়া বল হইয়াছে এবং সেই আদ্যাশক্তিই সমস্ত কিছুর মূলে । তিনি শিবকে আশ্রয় করিলেও তিনি স্বতন্ত্র, তিনিই 'পরমতত্ত' । তিনিই আদিতে নিরাকার! হইয়া অবস্থান করিতেন পরে সগুণ রূপ লাভ করিয়। মাতৃরূপে প্রকাশিতা। তিনিই জগতে একমাত্র, দ্বিতীয় আর কেহ নাই, অন্যান্থ দেবগণ তাহার বিভুতিম্বরূপ-- একৈবাহং জগত্যত্র দ্বিতীয়] ক মমাপর]1। পশ্যৈত] দুষ্টময্যেব বিশস্ত্ো মদ্বিভূতয়ঃ ॥ এই অদ্বিতীয়! মহাঁশক্তি হইতেছেন আদ্যাশক্তি, মহাকারল্লী, তিনিই বিভিন্ন নামে অভিহিতা-_তিনিই ব্রহ্ম, পরমাত্মা ও ভগবতী। সাধক রামপ্রসাদ তাহার শ্যাম! ম| ব| কালীকে ত্রন্মভাবে পুজা করিয়াছেন__ কালী ত্রক্দগা জেনে মরন ধর্মাধম সব ছেড়েছি ।” শ্রীরামকৃও সরল ভাষায় প্রকাশ করিয়্াছেন--“যিনি ব্রহ্ম, তিনিই কালী ।” সেই তত্বই এখানে প্রকাশিত হইয়াছে একটি গানে__ “ত্রন্দ ইচ্ছা-বিনোদিনী ব্রক্গ স্বরূপিণী তারা কেমন করে বুঝবো আমি কেমন মা! তোর সৃষ্টি ধারা । ত্র্নাঘেদিন অস্ত হয়ে নাভিপদ্সে ছিল শুয়ে সৃষ্টি স্থিতি ধ্বংসলীল! ছিল ম! তোর চরণে পড়া । ব্রহ্মময়ী মা ৯৯৯ দেবতার! সব আপতকালে তোরে পুজে মা মা বলে প্রলয় বুঝে উদর খুঁজে তোরই মাঝে হয় মা হারা। মহৎ তত্ব গুহ্যতত্ব খুজেনাপাই পরাতত্ত এ চরণে দিয়ে চিত্ত রেণু নিত্য হর্ভরা ॥” কিন্ত '্রন্গ স্বরূপিণী” শ্যামা মাকে নিরাকারা ব্ূপে পূজা করার চেস়্ে সাকারে পুজ] করিয়াই ভক্তের মনে আনন্দের আধিক্য দেখা যায়-_ “শান্্রকথ। শুনে হাসি তারা আমার নিরাকারা সে ষে মোর জননী জানি রূপে গুণে মনোহর। 1” এই “পরমার্থ পরম কারণ” ত্রল্মমকী মাকেই তিনিই সার জানিয়াছেন। এখানে সঙ্গীতের ভাষা শুধু ভাব প্রকাশের বাহন নয় শ্যাম! মায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও অন্তরের একনিষ্ঠ আকৃতি প্রকাশিত । ২০০ শ্য'মা-সঙ্গীত-সংগ্রহ প্রলক়্ে মা সৃষ্টি স্থিতি তারই ইচ্ছায় এই ভবনের সে ইচ্ছায় কবে নিগুণে তুই তোর গুণাগুণ ব্রহ্মমক্্রী মা দেব্ভার! সব চরপতালে পরত্র্ম নিলিপ্ত এই তুমি তার। পলকে ম গ্রহ-তারা আদ্যাশক্তি ইচ্ছাতে তোর জন্ম মৃত্যু রাখবি ধরে সগুপ শ্যাম! ভেবে কত জ্যোতিম্রয়ী মন আমার কালে বটে চক্র সূ তোর কি মা কৃপা যদি মাতৃরূপ। সব জীবের তাই ত শঙ্কা তোমার কোলে তাই কি হ'লে। লুকিয়েছিল ত্রন্মময় নিগুএণপ সেজে বিশ্বমাঝে কত খেলা উদয়-অস্ত আছে ব্যস্ত তাঁই কি ম। বারে বারে ভবের ঘরে তোরই রাঙ্গা যাও মা খেলে। তোমায় বলে। চরণ তলে। & আশ্বিন ব্রল্পরূপা ভাবতে নারি সাধক আছে চরণে পড়ি। তুই কি কালো জানে মা ভালো কালোয় আলে। যোগীর1 কয় শাস্ত্র ম্মরি। আর হুতাশন তিনটি নয়ন করিস তখন সেরূপ আমি দর্শন করি । বলে জানি তুই জননী নাহি গণি দৃষ্টি যে তোর সবার পরই । ০৯ ব্রহ্ম রস্ধে সহন্্রারে ব্রন্মরূপ! নৃত্য করে : হৃদয় মাঝে দ্বাদশদলে ইস্ট দেবীর মৃতি ধরে। ষট্চক্রে অন্তর ডেদি হেরি আমি নয়ন মুদি বহি বীজের ক্রোড়ে রত্র বিরাজ করেন মণিপুরে । ইড় পিঙঈ্গলারে ছাড়ি আশ্রয় করে ত্রল্গ নাড়ী আজ্ঞাচক্রে ধরব মায়ে সোহহং জ্ঞানে ধ্যানটি ধরে। ১৪ শ্রাবণ কারে ডাকিস্‌ মন কালী বলে যার রূপে বিশ্ব আলো চন্দ্র-সূর্য চরণতলে । ত্রল্মামক্ী মা যে আমার না জানি তার আকার প্রকার নিরাকারে সেই যে সাকার বেড়ায় ঘুরে কত ছলে । নিগুণে যে সগুণ শ্যাম! গুণাতীতা এ যে বাম কে জান্বে তার সৃস্স্তত্ব স্বয়ং যদি না দেয় বলে। অসীম কালো আধার ভরে অনাদি এক জ্যোতি ঝরে বিরাট সে রূপ দেবে ধর। যোগ দৃষ্টি যদি খুলে । ২০২ শ্যামা-সঙ্জীত-সংগ্রহ শাস্ত্রকথ। শুনে হাসি সেযষেমোর জননীজ্ানি নয়ন মুদে নয়ন মেলে আমার মায়ের রূপে দেখি দ্বাদশদলে মা রয়েছেন সেই মুরতি বাহিরেতে ব্রহ্মময়ী নিগুডণে ঘটে-পটে মুরতিতে পরমার্থ পরম কারণ জানেনা মন মাগে! তোমার ব্রক্মময়ীর ধরায় বিলায় সেই আলোতে উজল হ'ল সৃষ্টি-স্থিতি- চল্ছে লীলা তারই তত্ব জেনে রেণু কে বলে তুই কত বূপে রূপের মাঝে বূপাতভীতা ব্রহ্মময়়ী মা তার! আমার রূপে গুণে মাকে দেখি কূপ নিরখি গগন পবন আসন পেতে অস্তরেতে নয়ন মন নিরাকারা সগুণাপরা ভক্ত তরে ব'লে তোরে রাঙা ছুটি রূপের ঘটা আলোর ছটা রেণুর হৃদয় সংহারে তোর এ বিশ্বপর দ্বিধাহীন নিরাকার। দিস্‌ যে ধরা বলে তত্ব- নিরাকার মনোহর । বিশ্বজোড়' । একাকার । হয় সাকারা। নিলাম জেনে চরণ বিনে। সংগোপনে। তয়েছে মনে। জ্ঞানী জনে। ২৬ পৌষ ২০৩ লীলাময়ী তুমি মাগো ্রন্মস্বরূপিশী তারা কেমন করে বুঝবো তোমার অপূর্ব এই সৃষ্টিধার]। সৃষ্টিকর্ররী তুমিই সৃষ্টি যে পেল এই জ্ঞান দৃষ্টি সৃষ্টিতত্ত তারই কাছে আভাসেতে দেয় মা ধরা । শক্তিতত্ব গুহতত্ত সেই ত বুঝি পরাতত্ব তারই চিত্তে হয় স্মুরিত সদয় যারে পরাংপরা। ১৬ ভাদ্র (আমি) সকলত্বলে নয়ন মেলে ধরারপানে চেয়ে রই সবঠাই মা তুমি আছ কিছুনাইমা তৃমিবই। বিশাল ভূধর জলধি প্রাস্তর অসীম আকাশ এ চরাচর তোমার রূপে কী অপরূপ অবাক্‌ হয়ে দেখে লই। কত তারা শশী ভানু ক্ষুদ্র অগ্ু পরমাণু সেসবইযে তোরই তনু একথা আর কারে কই। অন্তরেতে অ।ছ তবু শঙ্কা মোর যায় না কত অজানা সায়রে ভাসি কেমনে মা পাব থই। ১১ পৌষ ২০৪ হ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ বেদে য! বপিতে নারে কেমন করে আন্বো ধ্যানে যার দধপে নিখিল বিশ্ব কোন্‌ প্রদীপের আলোয় ভালো নিরঞ্জনার নয়নজল কোথায় পাৰ এমন বসন বিশ্বরূ'পার প্রদক্ষিণ যে ভাবৃতে গেলে অবাক্‌ লাগে আমি জয় কালী জয় কালী বলে এ জীবনের পরম লক্ষ্য কি হবে মোর কি হবে আর মায়ের সাথে সবরূপ। মিশে যাব বাক্য সীমা ব্রন্মততৃ পেয়ে আলে। উজল হলো! নীরাজনা স্ানের তরে রাখবো ধরে চাকৃতে দেহ কেমন করে হতে পারে মুখে কথ' সপে দিলাম চতুবর্গ চতুর্বর্গে নরক স্বর্গে জলের বিন্দু ম! জননী আমিও তার ব্রক্মময়ী কাজ কি রেণুর পৃজক পূজ্যে গেছে ডুবে ভেদ ঘটা!লে চিত্ত যে তার ব্রন্গামক্সী ম। রূপ যেজানি শুধু আপন সন্ধ্য। পূজায় অভেদ যেথায় মায়ের কৃপায় পায় নাযার নিরাকার । হবে তার । দিগ্বসনার । সরেনা আর। ১৮ অগ্রহায়ণ চরণতলে যাকে বলে। যথা জলে। জখীল] ছলে । সেই অতলে । ২৩ শ্রাবণ ২০ মন্ত্রে তার। যন্ত্রে তার! তার! আমার ফুলে ফলে নয়ন মদে তাই মাদেখি তারা তখন নয়নজলে । ঘটে তার পটে তার! মৃতিতে মার রূপটি ধরা ঘরে ঘরে নৃতন রূপে আবার হৃদি- পল্মদলে | পূজতে গিয়ে বসে থাকি ভেসে যায় মা যুগল আখি কারে পৃজি কি দিয়ে বা ভেদ কোথা মা চরণতলে । কোন্‌ আশায় মাআড়ম্বরে পুজবে শ্যামা একুলা ঘরে বিশ্বজুড়ে পাইগো তারে লুকোটুরী খেলার ছলে । ১৭ বৈশাখ ব্রহ্মময়ী শ্যামা আমার ভিতর-বাহির একাকারে নয়ন মেলি সর্বভূতে রূপ দেখি তার বিশ্বজুড়ে । অস্তরে তার মৃত্তি দেখি বাহির বিশ্বে জুড়ায় আখি আনন্দে তাই চেয়ে থাকি নয়ন আমার আপনি ঝুরে। শান্তর বলে মা নিরাকার! রূপ দেখি মার ভূবন ভর! আখি মুদে শতরূপে মাকে পাই বারে বারে। পত্রপুষ্প ফলে জলে ম1 রয়েছেন চরণ মেলে সেই রূপেতে পাগল রেণু মা মা বলে ডাকে তারে। ২০৬ হ্কামা-সজীত-সংগ্র তোর রূপে মা ভুবন ভরা শান্ত্র বলে নিরাকারা বেদান্তের ইজিতে মা আমি স্তব্ধ বাক্যহার1। শ্যামল ধরায় শ্যামার চরণ করেছে মোর মনোহরণ দশদিকে ২ দশবাছ মেলি তুই আছিস মা ভবদারা। কালো মেঘে তোর ছড়িয়ে কেশ নিত্য নূতন ধরেছ বেশ শস্য শীর্ষে তোরই নাচন সাজিয়ে রাখে নিখিল ধর] । বহি আর চজ্স তপন দেখি মাতোর তিনটি নয়ন আধার হৃদয় হ'ল মগন নূপ দেখি তোর তুই সাকার! অ্রন্গময়ী মা ২০৭ মানস পুজা সাধক সবব্যাপিনী কালী মায়ের রূপ জলে, স্থলে, অস্তরীক্ষে সবত্র দেখিতে পাঁন। কিস্তু তাহাতেই তিনি সন্তষ্ট নহেন। একাস্ত আপনার করিয়। পাইতেই তাহার উল্লাস। অন্তরের মণিকোঠায় মায়ের মৃতি স্থাপন করিয়া একান্তে অনা করিতেই তাহার ভাগ লাগে । যিনি এতদিন ছিলেন বাহিরে তিনি সাধকের সাধনপ্রণালীতে অন্তরে আসিয়া সুপ্রতিষ্ঠিত হন। তখন আর “ঘটে পটে" পুজা করার প্রয়োজন হয় না, গয়াকাশী যাওয়ার-_তীর্থদর্শনের দরকার হয়না । মনোময়ী অন্তরবাসিনী মায়ের চিন্ময়ীরূপ সাধক আপন অন্তরে অবলোকন করিয়া পরম পরিতৃপ্তি লাভ করেন। মনের মধ্যেই সাধক মায়ের পৃজা সারিয়া লন । সাধক রামপ্রসাদ ষট্চক্রের সাহায্যে মায়ের সচ্চিদানন্দ মৃতি প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন। তাহার গানে তাই মানসপৃজার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপ।দিত হইয়াছে । পরবর্তাকালে তাহারই অনুসরণ লক্ষ্য করা যায়। রামপ্রসাদ ও রামকৃষ্ণ প্রমুখ সাধকেরা মাকে ব্রল্গময়ী” বলিয়। জানিয়াছিলেন এবং সেইজন্যই মানসোপচারে পুজা করিয়াছিলেন । কালো" রূপের মাঝে মায়ের 'আশ্চর্ষ কালে। বরণ সাধকের হদ্দিপদ্প আলো করিয়। থাকে । রামকুধার পত্রনবিশের একটি গানে মনোময়ী মায়ের মানসোপচারে পুজার কথ! সুন্দরভাবে বণিত হইয়াছে ।__ “হৃাংকমল-মঞ্চাসনে বসায়ে শ্যামা মায়েরে প্রেমানন্দে পদারবিন্দে পুজ মানসোপচারে । সহম্রার ছ্যতান্ততে পাদ্য দিয়ে চরণেতে . পৃজ যথা বিধিমতে অধ্য দিয়ে মনেরে |” ইত্যাদি এখনে 'যথাবিধি মতে' বলিতে সাধন পদ্ধতির কথাই বল। হইয়াছে । এই পূজাই মানসপৃজা, তাহাতে বাহা অনুষ্ঠানের দরকার হয় না। তত্ত্রে আছে__ “সহম্রার পদ্ম হইতে চ্যুত অন্বতই সেখানে পাদ্য, আচমন, স্রানাদির জল, ষট্চক্রের মধো প্রথম পঞ্চচক্রে অবস্থিত পঞ্চভৃত__তত্বের মধ্যে ক্ষিতিতত্বই ২০৮ শ্যামা-সঙ্গী ত-সংগ্রহ গন্ধ, তেজদীপ, মরুৎ ধুপ, এইবূপই অন্যান্য সব উপচার । এখানে অনাহতই ঘণ্টা! বামুতত্বই চামর ।” €( ভারতের শক্তিসাধন। ও শাক্ত সাহিত্য )-_-শশিভৃষণ দাসগুপ্ত__ পৃঃ ২৭২) রামপ্রসাদ তাই গাহিয়াছেন-_ হৃদকমলমঞ্জে দোলে করালবদনী (শ্যামা )। মন-পবনে দুলাইছে দ্িবসরজনী €(ওম1)। ইত্যাদি । এই পদাবলীর গানেও সেই সুরই ধ্বনিত হয়-- “€ আমি ) মনে মনে পুজবো শ্যামা লুকিয়ে আমার পঞ্চজনে হৃদয়পদ্মে পাতি আসন বস্বি মা তুই সংগোপনে ।” একাস্ত সংগোপনে মানসোপচারে মায়ের পৃজা্চনা করার বাসন? “মানস- পূজা'র অন্য গানেও দেখা যায়-__ “তোর পুজা কি ঢাকে ঢোলে হয় মা! এত গগগোলে অন্তর-বাসিনী শ্যাম" অন্তরে আছ চরণ মেলে। হৃদয়মাঝে পেতে আসন সেথায় পৃজি রাঙা চরণ সার্থক আমার জীবন-মরণ কাজ কি আমার ফুলে ফলে । মন দিয়ে ম! প্রতিমা গড়ি ডাকি তারা শহ্রী তারই অভঙ্প বাণী স্মরি হৃদয় আমার আপনি দুলে ।” মানস পৃজা ১০৯ ব. বি-/শ্্যামা-সঙ্গীত/৩২-১৪ অন্যত্র__ “আমার হদি-পদ্মাসনে চিত্ত-হৃদে ফুটুলো কমল হৃদয়-গলা দেব মায়ের ধন্য হবে রেণুর জীবন বিরজা ম। বিরাজ করে পুজ্‌বো তোরে চে উপচারে । গঙ্গা জলে পদ-কমলে পৃজা করি হর্ষ ভরে 1” এই পুজাতে ভক্তের জীবন ধন্য, তীর্থে যাওয়ার প্রয়োজন নাই, মায়ের শ্রীচরণই সর্বতীর্থ সার-__ “কাজ কি রেথুর গিয়ে কাশী মার চরণে ভীর্থরাশি, গয়া গঙ্গা বারাণসী ।+, স্ামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ আমার হৃদি- পদ্মাসনে বিরজ মা বিরাজ করে চিত্-হ্ুদে ফুটুলো কমল পৃজ্‌বো তারে সে উপচারে। হর্দয় গল! গঙ্গাজল করবে ধৌত চরণ কমল সহত্রারে বর্ছে স্ুধ। অর্থ্য ডালি পূর্ণ করে। ভক্তি-পুষ্প চয়ন করি এনেছি এ অন্তর ভরি নৈবেদ্য মোর আপনারে দেব মায়ের চরণে ধরে। অনাহত ঘণ্টাধ্বনি বামুরে মার চামর জানি ব্যোমরূপী মহাছত্র হের মায়ের শোভে শিরে। পৃর্থীজাত গান্ধচন্দন ধৃূপদীপমোর প্রণমন ধন্য হবে রেথুর জীবন পুজা! করি হর্ষ ভরে । আমি মা তোর চরণতলে মন দিয়েছি এবার ঢেলে কাজ কি আমার জবার মাল! ধুপদীপআর গঙ্জাজলে। ভক্তি-পুষ্প পূজার তরে সাজাই আমি থরেখরে তোর চরণের পাদ্যদিতে নয়ন বারি আপনি গলে । সহম্রারে ঝর্বে সৃধা তাই যে তোর মিটবে ক্ষুধা তার তুলনায় কিআছেম। সাজিয়েদিতে ভোগের থালে। নৈবেদ্য তোর শ্রীচরণে আমার “আমি' দিব এনে রেণুর মন তাই মানাচে জয় কালী জয় কালী বলে। ৩ আষাঢ় মানস পৃজা ২৯৯ বন্ধ নয়ন খুলে দে ম! দেখি চরণ নয়ন ভরে রাঙ্গা জবায় রাঙ্গা চরণ সাজাই মনের মতন করে। কৃপা তুই করিস্‌ যদি | দেখবো রূপ নিরবধি সেসুখের আর নাই অবধি ছাড়বে নামা তিলেক তরে। খুজতে তোরে তীর্থ ঘাটে বসেছিলাম শ্মশান বাটে বাহির পানে দি ছিল পাইনি দেখ! যুগান্তর । ফিরে এসে অস্তরেতে দেখা! পেলাম এক নিভ্‌তে পৃজবে রে নিশীথ রাতে মনের সাথে সন্ধি করে। ৪ ভাদ্র রন্ধ্রে বন্ধে কালীর দাগ অঙ্গে আমার আছে মিশি সেই কালীর কালিমাতে দাগ ধরেছে মনে মসী। (আমার ) চোখে কালী মুখে কালী মনে মনে জপি কালী ধ্যান নয়নে এ চরণে চেয়ে থাকি দিবানিশি । সপ্তলক্ষ লোমকুপে কালীর বীজ আছে চুপে নয়নজলে অক্কুরিত ভর্বে ডালি ঘরে বসি। তোর নামেতে কর্ণভর। রসন। তাই বাক্যহার। জ্ঞানের বোঝ ফেলে দিয়ে রূপ সায়রে নিত্য ভাসি । ২১২ হ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ বসনভূষণ নেই মা বলে পালিয়ে গেলি গোসা করে বাজার মেয়ে তোরে ডেকে পাইনে সাড়া আমার ঘরে। হৃদয়-রাজ্য দেব ছেড়ে বস্বি মা তুই আসন গেড়ে দিবানিশি পূজ্‌বে বসি ভক্তি-পুষ্প চয়ন করে। মানস পুজার উপচারে পৃূজ্‌বো রাঙা চরণ ধরে ঘাদশদঙে রাজ্যপাটে দেখবে রেণু নয়ন ভরে । যে উপচার তোর মা রুচি তাই দিয়ে মা হব শুচি আনন্দে মন উঠবে গেয়ে নয়নে তাই অশ্রু ঝরে । বন্দি তোরে মাশে শ্যামা আসন পেতে হদয়দলে রাঙা চরণ ধুইয়ে দেবে নয়ন গলা অশ্রজলে অস্তরেতে দ্বাদশদলে সেথায় ফোটে ভক্তি-কমল তাই দিয়ে মা সাজাই আমি রাঙা ছুটি চরণতলে । মানস পূজায় ভক্তি ভোরে বাধবো চরণ বক্ষে ধরে সেই আশাতে নয়ন ঝরে লুকিয়ে আমার ছয়টা খলে। সাধন আমার অন্য পথে কাদতে হয় মা দিনে রাতে দেখবে! তোরে কেমন করে পলাস্‌ ছলে। এবার আমি ৩ আষাঢ় আপ পাল পপি কাপ ৯০ ২১৩ মানস পৃজা মন্ত্র আমি ধ্যানে আমি মনযেমায়ের পরাতক্ মা দাড়িয়ে তবের ঘরে মনে মনে এবারে মা এব।র তার! যা ছিল মোর পাইনে তার! “মা” চিনেছি মায়ের রূপে সেই মুরতি চরণে পড়া কোন্‌ বীজে মা কোন্‌ যন্ত্রে হয়নি স্মরণ হৃদয়দলে আমি পুজি অসি হাতে জন্ম নিলাম পৃজি শ্যাম! লাখ জনমে এঁ চরণে সুযোগ দিয়ে শেষ হল মার নাম রেখেছি স্মরণ করি ধরার ঘাঁটে আমার তমা পাওনা দেনা তন্ত্রসারের গ্রন্থ খুঁজে মায়ের নামে নয়ন বুজে । নয়ন ভর! মনে গড়া কাল কাটে মোর মাকে পূজে। করবো সাধন মিল্বে চরণ কেবল পেলাম মনে বুঝে । আসন পেতে রাত নিভ্‌তে রিপুদলে তাড়ায় যুঝে। ৬ আষাঢ় ভবতারিণপী পূজবো! ব'লে মন-কুসুমে চরণতলে । জম্লো আশা বাধবো বাস। আসন পাতে হদয়দলে। লুকে চুরি বক্ষে ধরি মন যে আমার এশিয়ে চলে । আনাগোন। আর হবে না দিলাম মায়ের হাতে তুলে । ৩০ পৌষ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ লোক দেখানে' তাই পুজি মোর হদয়মাঝে নিশীথ রাতে তোর চরণে হৃদয়-আসন সেই আনন্দে স্বাধিষ্ঠানে হূদয় আমার মানস পৃজ। মায়ের পূজায় মায়ের চরণ আমার ঘরে আরতিতে মণিদীপে জাগরণে বিশ্বজগং ধোয়াই চরণ মনের মাঝে মন ভরেছে অর্থ) দিয়ে পেতে রাখি আজিকে মোর কুল-কুণুলিনী ভক্তি-পুষ্প মণিপুরে সহলআারে পান করি তাই উঠবে ভ'রে মন আমার একৃল।! আমার দীপ জ্বলে ন! মন ভরে ন! নীরাজন। মার রূপে ভরা দেখি গড়। একলা বসি ফুটেছে ফুল গন্ধে অতুল দেখি আমি রাঙা চরণ মন উঠেছে জাশিয়ে দিয়ে হাতে নিয়ে দেখবো তারে সুধা ঝরে পরাণ ভরে দেখিস্‌ চেয়ে ৯ সস ৯ এ এল সি শা আসেফিরে আধার ঘরে। স্বপনগোরে। অশ্রনীরে নয়ন ভরে। ১৯ ফাস্তন পাব বলে আপনি ছুলে। আখি মেলে কুতৃহলে। ২১৫ আমার হৃদয় বীপার তারে সুর উঠেছে কি বঙ্কারে উদার] মুদারা তার! ধরে তার জগে সপ্ত সুরে । আমার নীরব সৃরসাধনা মাবিনে আর কেউজানেন। সেই ত আমার পৃজার্চনা ডাক দেয় মা রাত গভীরে । বীণায় আমার যেসুর বাজে অর্থ কিছুই জানি না যে চিত্ত শুধুই তারি টানে যায় ভরে মা কোন্‌ গভীরে । ২৭ শ্রাবণ কাজ কি আমার সন্ধা পূজা পুজি যেমার রাঙ্গা পায় সন্ধ্যা] সেথ। বন্ধ হয়ে মার চরণে শরণ চায়। এ রূপেষে হয়ে মগন বাঞ্চা করে মায়ের চরণ কোতুকে তা হেরি আমি ত্রিসন্ধ্যা তার বন্দনা গায়। পুজ্‌বে। না আর ঘটে-পটে মা বিরাজে সর্বঘটে বুকে বাজে চরণধ্বনি সাই আমার কানে যায় । দ্বিজরেণ আছে ভাবে নুতন ভাবে পৃজবে শিবে মন্ত্রতন্ত্র সাধন যন্ত্র ও দিকে মন নাহি ধায়। ২১৬ হ্যামা-সঙ্জীত-সংগ্রহ যখন আমি পুজায় বসি ডাকি আমার মুস্তকেশী লুকিয়ে থেকে আড়ালেতে সাড়াদেয় মা মুচকি হাসি । ঘটপট আর মৃতি ফেলে ভাসি আমি নয়নজলে স্থান পেয়ে মার চরণতলে মন আমার হয় উদাসী। ভাবনা ছেড়ে চরণ ধরে আনন্দেতে মনটি ভ'রে দেখি তখন বিশ্বজুড়ে চরণ মেলে এলে।কেশী । তাই ছেড়ে মা ভবেরক্কাল। বসে থাকি আমি একুলা চরণতলে লয়ে ভোল! যদি আসে উমাশশী | ১৮ চৈত্র যখন পৃজি ফুলে ফলে মুচকি হেসে যায় মাচলে তখন ভাসি নয়নজলে মা আমারে নেয়গো তুলে । আরতি দীপ মিথ্যে জালা মিথ্যে আমার ভোগের থাল! অঞ্জলি মোর যায় মাভেসে পাইনেখুজে চরণপতঙে। যখন আমার ধ্যানে বসি মা আমার সমুখে আসি কূপ ধ'রে মোর মন মিলিয়ে দেখি আমি নয়ন মেলে । হৃদয়মাঝে পেতে আসন মনে মনে পৃজি চরণ আড়ম্বরে কোন্‌ প্রয়োজন মারে পাই খেলার ছলে । মহানবমী মানস পৃজা ২১৭ (আমি) মনের পাতায় কালির দাগে বসে বসে আক কষেছি যোগ-বিয়োগে খাত] সেরে পুরণ হরণ শেষ করেছি। একাক্ষরী মন্ত্র জপে মন আমার আছে ব্যাপে সংধন যজ্ঞের কর্ম যোশে বুড়ি ছুয়ে আজ বসেছি। দিতে কাজের মন্ত্রণ। উকি মারে ছয়টি জনা বাদ দিয়ে আজ এই আসরে তাদের আমি তুলে ধরেছি । রেণুর মান সমান ক'রে সমীকরণ পাতি ধীরে নামের বর্গ চতুবর্গ ফল যে আমি হাতে পেয়েছি ॥ আমার মায়ের চরণ দুটি সাজাই আমি মনে মনে যখন আমি খুঁজি তারে পাই মা আমার হৃদয় কোণে। জলে স্থলে তৃমগ্ডলে মা রয়েছেন চরণ মেলে দেখি আমি নয়ন ভরে কাঙাল আমার মন-নয়নে। রাঙগ। জবায় রাঙা চরণ সাজাই আমি মনের মতন আ'ল্তা রাঙ' দেই মা গুলে নয়ন মেলে এ চরণে । এই পুজা মোর মনে মনে শেষ হয় মা শুভখনে তার খবর কেউনা গণে লুকিয়ে রাখি ছয়টা জনে। পশ শশা াশিী্পি্পািীাশিীশপাশিাসিপশসপপিপিসী শ্যামা-সঙ্জীত-সংগ্রন্থ মনে মনে হৃদয়মাঝে সেই কথা মোর অন্তরে মোর পূজা নেন মা চিন্তে তোরে পুজবো স্যাম) মায়ের আসন কেন পৃজি আর ম! বিরাজে শাস্ত্রে রটে বাদ্যি বাজন কি হবে মন্ত্র মাত-তন্ত্র নয়ন-বারি ধোয়াই চরণ শঙ্করী জনম গেল তুমি গৌরী শিব জায় এই ভবনের নয়নে তোর হৃদয়ে সেই নয়ন মুদে (মোর ) মনের পুজা মানস পৃজা চল্ছে মাগো সাঙ্গ হয় না বস্বি মা তুই অর্থ্য দেব এ পূজা আর মন চায় মোর কাজ কি আমার ঘটে পটে সর্ব ঘটে আমি দেখি ঢাকে তোলে কণ্ঠে নিলে পৃজি তাই মা পাদ্য করি বক্ষে ধরি রেণুর মনের বল্‌ ম। কেন শিরির ঘরে শিবের বরে দ্বারে দ্বারে জগন্মাতা রূপটি মাখ। মৃতি আকা! তাই দেখি মা নয়নম।ঝে »*নে মনে নিশি দিনে সেই পূজা ম! যে প্রকারে আড়ম্বরে । লয়ন ভরে সেই আচারে। গুণ বিচারে । ৪ অগ্রায়ণ চজ্্রাননে। নিলাম চিনে । মন-লয়নে। বসিয়ে হদি-পল্মাসনে । চরণ মেলে থালে থালে জানবে না কেউ মাগে। আমার তোম। বিনে । ১ মায়ের নামে নয়ন ঝরে মৃতিতে ভার হাদয় ভরে কণ্ঠে এনে দিবানিশি তাই তনাম রাখি ধরে । গানের মালা রাখি গেঁথে সাজাই চরণ দিনে রেতে নিড়তে গান গাই গোপনে গান শোনেন মা একলা ঘরে । আমার সেই গোপন বাপ হল যে আজ কানাকানি লোকে বুঝি নিল জানি মায়ের স্েহ আমার পরে । ধন্য জীবন “রেখর' ভবে আর ফিবা মন ভাবনা রবে জীবন মরণ একণকারে মারে পৃজি অন্তরে । ১৬ পৌষ নন্দনেরই গন্ধ ঘ্রাণে মন জাগে মোর আপন মনে ধরার ঘরে জেগে থাকি স্বর্গ সুখের স্পর্শনে সেথায় আমার মায়ের ঘরে ডাক এসেছে পুজার তরে ভক্তি-পুষ্প চয়ন করি মিশায়ে প্রেম-চন্দনে । মাতৃ নামের ছন্দে মেতে বন্দনা গাই নিশীথ রেতে সন্ধানে তার পুলক জাগে আকুল হিয়ার কম্পনে। চিত্ত চিদানন্দে ভরা ডাকি তার! £খহর। আপনাকে মোর শেষ নিবেদন ব্রিনয়নীর এ চরণে । ১১ কাতিক ২২০ শ্যামা-সজীত-সংগ্রহ (আমি )উধন পেয়েছি মনের মতন আমার মায়ের সফল হ'ল ভবে আসা সফল আমার কাজ কি জবা বিশ্বদলে কি হবে অন্য ফুশফলে ধ্যানে আমি পাইযেমাকে যখনমূদি তুইযদিমা পথভ্ভুলে আসিস্‌ হেথা নাচের তালে (আমি )তাল দেবমা করতালে সামনে এসে ভোলারে তুই আন্বি সাথে রইবি আমার নয়ন পথে তখন যেন মনোরথে পাই যেন মা তোর পচ আর বা পা ৭৯ জা. নয়ন মেলে দেখবে তোরে বস্বি ম]! তুই পুজ্‌বো রাতুল চরণ দু'ট মন্ত্র জয়- ধুইয়ে দেব পদকমলে নয়ন গল। অশ্রজলে ভক্তিপুস্প চয়ন করি অধ্য দেব ম্মশান মশান বেড়াও ঘুরে পাইনে মা তোর চরণ ধরে আশায় আশায় দিন কেটে যায় দীনের দিন অন্তরে তোর চরণ ছাপে অঞ্জলি দিই নিশি ব্যাপে ভয়ে আমর মন যষেকাপে মল যদি তোর আস মানস পুজা রাও] চরণ জীবন মরণ । ছুটি নয়ন। দাড়াও যখন দরশলন । হাদকমলে কালী বলে। থালে থালে। যায় বিফলে । নাহি টলে। ২২৯ ( আমি) মনে মনে হৃদয়পদ্মে পৃজ্‌বো শ্যামা পাতি আসন কখন দেখি এক সাথে মা আমায় নিয়ে বেড়ায় তেড়ে মনেহয় মা একথা মোর তোর পুজার স্ন্ময়ী তের সাড়া দেয় মন ডাক পড়েছে আমার জানা ২২২ শয়নে তাই সকল ভূলে দেয় না ফাকি এম্নি করে চল্ছে খেলা মনই জানে আসনে বমি মুতিথান। তোর পৃজ। মা দেখি আমি একই সুরে পশু-পাখী গান ধরেছে আমার ঘরে শিখি নাই ম! পাতি নাই মা একটি তস্ত্ লুকিয়ে আমার বস্বি ম! তুই ছয়ট। চোরে যুক্তি করে শাস্তি পাইন! একলা থাকি তোরে ডাঁকি সাঁড় দেবে রাতে দিনে মায়ের সনে খেলার ছলে মন্ত্র পড়ে চিন্ময়ী সে বিশ্বজুড়ে নয়ন ভ'রে তখন পৃজি নর-বানরে মা ম। স্বরে ধ্যানে বমি তন্ত্র-মন্ত্র কালী-যন্ত্র মন নয় মা'র হা ও পঞ্চজনে সংগোপনে । জাগরণে । আমার ধ্যানে। চায় চরণে । ৪ কান্তিক ডাকি তার! দেয় মা সাড়া। ভবদারা । নূতন ধারা । চরণ ছাড় । শ্যামা-সঙ্গীত-সং গ্রহ বনের ফুলে পৃজতে গিয়ে মন-কুসুমে পৃজ্‌বো শ্যামা ভক্তি-চন্দন অঞ্জলি দি চল্বে পৃজা। দিনেরাতে তখন রেণু ডাকৃবে শ্যামা ভয় ভেঙ্গে তার শেষ বিপদে ঘর-ছাড়! মোর মন্টারে তুই রাঙ1 চরণ প্রেমের ফাঁসে মনে হয় মা জন্ম-জন্ম দেখবো উদয় দ্বাগশদলে পৃজি চরণ মন্‌ রবে তাই মানস পৃজা মন চলেযায় বনে বলে অর্থ্য দেব এ চরণে । মাখিয়ে ফুলে চরণমূলে জান্বে না কেউ অন্যজনে। নয়ন মৃদে জন্মদে মানস পৃজা মনে মনে । ১০ অগ্রহায়ণ বাধ্‌লি মাগো কেমন কবে পড়লো হবাধ। মায়া ডেোরে। ভবে আসি রইব বসি উম1শশী আধার জদয় গগন 'পরে। আসন পাতি দিবা রাতি হর্মে মাতি যটচক্ত শোধন করে। ২২৪ মন্দিরে আর হৃদয় দুয়ার পুজবো বসে তাই ত মোর পৃজি তখন স্বপন ঘোরে সাজাতে মার যদি কখন লুকিয়ে আমার এ ঘুম যেন কাজ কি আছে আছে খোলা ্লাদশদলে মা রয়েছেন এক নিভৃতে অন্তরে মোর লীলার ছলে মন-উদাসী গানের ধ)ানে উদয় দেখি সার! নিশি রাঙা জব চরণ ছুটি পথের পাশে মা মা বলে পথের পাশে মানস পূজা চলে আমার অন্যজনে মার চরণের মন তখন মোর আর ন। ভাঙ্গে পূজার ফুল মা হাতে করে সেথায় পৃজি চরণ ধরে। আসন পেতে হর্ষে মেতে আনন্দে তাই নয়ন ঝরে। এলোকেশী আছেন বসি পরবাসী ভবের ঘরে । একলা বসি উমাশশী জানে নাকেউ ঘরে পরে। ২৪ ভাদ্র নিত্য আমি আনিতুলে জয় কালী জয় কালী বলে। দাড়িয়ে থাকি তারে ডাকি দেখা দেয় সে মনের ভূলে। মনে মনে গোপনে ভক্তি-চন্দন মাখিয়ে ফুলে । আল্তা রঙে আপনি রাঙে ঈাড়িয়ে ভব- নদীর কৃূলে। শ্যামা-সঙগীত-সংগ্রহ সাধন শক্তি সাধক ষট্চক্র ভেদ করিয়া মানসপৃজার দ্বারা মায়ের অনুগ্রহ লাভে সমর্থ হন। সেখানে তাহার ঘটে পটের বালাই নাই । পুজারাধনার পর মাতৃমন্ত্রে দীক্ষিত সাধক সাধনশক্তি লাভ করিয়া! ধন্য হন। তখন তাহার আর কোন অভিযোগ নাই। সাধনায় সিদ্ধি লাভ করিতে গেলে মৃলাধার, স্থাধিষ্ঠীন, মশিপুর, অনাহত, বিস্টদ্ধ এবং আন্ঞাচক্র ভেদ করিয়া সহত্রার মধ্যে কুলকুণুডলিনীবে্টিত চৈতন্যময়ী দেবীর সৌন্দর্যসায়রে অবগাহন করিতে হয়--তাহাতেই সাধকের সিদ্ধির আনন্দ । এই সচ্চিদানন্দমন়্ী অবাঙমনসোগোচর সত্য স্বরূপিনী শক্তি দেবী শ্যামা মায়ের সঙ্গে সাযুজ্য লাভ করিয়া সাধক পরমানন্দ লাভ করেন। ইহাই তাহার সাধনশক্তি । রামপ্রসাদ, রামকৃষ্ণ প্রমুখ সাধকেরা সেইভাবেই সাধনশক্তি লাভে সমর্থ হন। সাধনশক্তি লাভের জন্য কিভাবে ষট্চক্র ভেদ করিতে হয় তাহ সাধক কবিদের গানে পাওয়া যায় । এই প্রসঙ্গে মহামায়া তত্বট সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করিয়াছেন শ্রদ্ধেয় শশিভৃষণ দাসগুণ্ড মহাশয় তাহার “ভারতের শক্তিসাধনা ও শাক্তসাকিত)' গ্রস্থে--“যে শক্তি জড় প্রকৃতির মধ্য দিয়! আমাদিগকে ধাধিতেছে সেই হইল মায়া; কিন্তু এই শক্তির আর একটি বাপ আছে, সেরূপ যে ভগবদ্‌ ইচ্ছান্ুপে কাজ করিতেছে, সেই ভগবদ্‌ ইচ্ছাঁরূপে ক্রিয়াশক্তিই হইল মহামায়া । মহামায়। বাধেন না, মুক্তি দেল। মায়।কে ত্যাগেই আমাদের সাধনার সম্পৃর্ণত" নয়, মায়াকে সরাইয়! সেখানে মহামায়ার প্রতিষ্॥__ এখানেই সাধনার সম্পৃর্ণত1।” তাহার জন্য মানসপৃজাই যথার্থ পৃজ1। তাহার ফলেই মাকে সাধকসম্তান আপন অন্তরে স্থায়ীভাবে ধরিয়। রাখিতে পারেন ও সাধনশক্তি লাভে সমর্থ হন । “সাধনশক্তি' বিষয়ক গানে সেই কথাই বলা হইয়াছে “তন্ত্রসার দোহন করে সাধনতত্ব পেয়ে গেছি আর কি আমার ভাবনা! আছে পৃজ হোম সব ছেড়েছি। সুহুষ্নার পথ ধরে ষট্চক্র ভেদ করে কুণগুলিনীর সাথে ষাব সেই আনন্দে মজে আছি। সাধন শক্তি ২২৫ ব. বি./শ্যাম1-সলগীত/৩২-১৫ মূলাধারে জেগে উঠে স্বাধিষ্ঠানের গ্রস্থি টুটে মণিপুরে যাব চলে সেই আশাতে সব ভুলেছি। অনাহত তার পরে সে বিশুদ্ধাখ্য ছাড়িয়ে শেষে পৌছে যাৰ আজ্ঞাচক্রে মায়ের সাথে তাই ভেবেছি । পেরিয়ে গিয়ে দ্বৈতসীম। আমায় নিয়ে যায় যেন ম! সহত্রারে শিব-সকাশে কাতর প্রাণে তাই যেযাচি।” সাধন ফল প্রত্যাশী ভক্তের মুখে অন্যত্র বাহির হয়__ “রেণু এখন দিন পেয়েছে তার সাধন-তরুর ফুল ফুটেছে ফলের আর নেইক দেরী দেখবো তোরে হদে পূরে।” ২২৬ শ্যামী-সঙ্জীত-সংগ্রহ মামাবলে তোরেডাকি বেলাশেষে আর কতকাল দিয়েঞফ্াকি শ্মশান-মশান হৃদয়-আসন শৃন্ত আছে বস্বি মা তুই মনের কাছে ধর্বে তোমার লুকোচুরি নয়ন-মনে আমায় এবার না ডাকিলে প্রাণ যাবে মা অবহেলে কণ্ঠমালায় পর্বি গেঁথে আমার মুণ্ড স্নেহ-ধারা পাষাণ প্রাণে ফল্তধারা আন্বে টেনে রেণু তোর মা কেমন ছেলে দেখবি এবার শ € ওরে শমন) কণ্ঠ চেপে ধর্বি বলে আনন্দময়ী: মা ষে আমার তোরে ভয় ব্থাই আমি বৃথাই আমার জীবন গেল কালেরে ভয় বসে আছি কালের রাজা মহাকালে মাতৃনামের কণ্ঠে শক্তি সেই ভরসায় নাম করি মা সাধন শক্তি আনন্দে তুই সেকথা কি কর্ব যদি কালী বলি মায়ের চরণ দেখাবে বলে কালীর ছেলে মার চরণ সুধা পানে দ্বিগুণ আনে ভয় ভাবনা আয় মা ঘরে বেড়াবি ঘুরে । যুক্তি করে। হাতে ধরে। লয়ন ভতবে। এলি তেড়ে মনে পড়ে। আশ। করে। ঙ বক্ষে ধরে। সকল ছেড়ে ২৭ আমি যখন ওয়-ভাবন। ছয় জনারে শুনেছে মা পেয়েছে তে ভক্তি দিয়ে নিত্য রবে নাচে কেমন সেদিন যেন ২২৮ থাকি বসে সকল ভুলে দশজনে মা জোট বেঁধেছে দিল তেড়ে যারা আমার ভাকে তার শহ্রী দ্বিজ রামের বিলাবে সে করুণা ধনে পৃূজ্‌বেো না মা আনাগোনা শেষের দিনে তই যেন হয় ঘুমিয়ে পড়ি দেখবে জগং মায়ের আদর তালে তালে রেণুর সেই আস্ৰি মা তুই ত্রিভুবনে ঠাই করে মা আমার পাশে যাত্রা করি সেই সাহসে। মুক্তি করে ভবের ঘরে আজকে আমার সবাই বশে । ছিল অরি হাতটি ধরি আমায় কত ভালবাসে । এ শুভদিনে বিশ্বজনে তাই ত মন হর্ষে ভাসে । ৮ অগ্রহায়ণ আস্বি মা তোর বাধ। মা তুই ক।লী বলে মায়ের কোলে দামাল ছেলে নয়ন মেলে পেয়ে ছেলে মন বাধা তার শুভদিনে পথটি চিনে আর তোরে কেউ রাখে না ধরে। ছেলের তরে ম্সেহডোরে। ০যমল করে। মনের জোরে। ১০ অগ্রহায়ণ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ পুজা পেয়ে ডাকৃবো না আর পাওলা-দেনার তাই পলালে ফলের আর ভবের খেল! তবু কেন দেখবো এবার বুঝে নেবে পারে যাব সাধন শক্কি লোভ বেড়েছে আবাহনে আমার জন্য বুঝে নেব হিসাব দেখে হৃদয়ে রেখে জপ করেছি মুচকি হাসি রেণু এখন (তার) সাধন-তরুর নেইক দেরী শেষ করেছি মনের তুলে শেষ কামনা বস্‌্বো আমার কিবা ক'রে লক্ষবার কেন পাঠায় তারে ধরে মন দিয়েছি সেই সে অমর অবহেলে ঘরে বেড়াও ধানের মন্ত্রে করলে কত মনোমত নেব এবার মৃক্তকেশী দিবানিশি ধাড়িয়ে আমি দিন পেয়েছে ফুল ফুটেছে দেখাবো তোরে নাই মা আমার রাঙা চরণ চরণে দিয়ে বুড়ি ছুয়ে মুক্তকেশী ভবের দোরে আমায় তেড়ে মআাবলে আর চরণতলে সাধন বলে আর্‌ ত ভবে হরে ঘরে পৃজার তরে। খাতা সেরে। দেখি দৃরে। দে পরে 1 ২৩ আবণ আর কামন। ব্রয় বাসনা । শবাসনা। ছাড়বোলা। আস্বনা। ২২৯ আমি চরণ-ধনের অধিকারী কোন্‌ সাহসে রায় দিয়েছে তবে কেন আমি মামলা! মার আদি-অস্ত সবকালে এ চরণে ত!ইত আমার ২৩০ আগলে রাখে আমার সাচ্চা হকের জিনিস বংশীধরী মায়ের ধন দয় ভাগের নিরুপায় রাঙা ছুটি শব মেজে শিব দায়ের করে খুঁজতে গিয়ে ম। বিরাজে তাই তমায়ের কখন বা হয় বসে একুলা মহাকাশে ঘটাকাশের মিশে রব তন্-মন্ত্র মায়ের নামে হল চেনা পাগল ভোল! সওয়াল সেরে শেব কেড়ে করে নেব সম্ভানে পায় আছে দার পথে পথে চরণ তরে আছে পড়ে করুবেো তারে ত্রিপুরারী । ডিক্রীজারী । আমি ঘুরি । পথ ভিখারী । যায় যে ঘটে শাস্ত্রে রটে। প্রাণাস্ত মোর সত্য কথা! পাইগেো সাড়া] চরণ ধরা সামনে রেখে মিল্বে যে দিন হবে সুদিন ফিরব না আর ভবের মঠে। সব ছেড়েছি জেগে আছি মা ও বুঝেছে ঘটে-পটে। ছেলে বটে । সস ০০ পপ আস লস শ্যামা-সঙ্গখত-সংগ্রহ কোন্‌ স্বষোগে কর্ম ডোরে মাহয়েম! দেখবে আজ নেংট। মায়ের করুণ! তোর রাজার মেয়ে কোন্টি আমার তোর চরণে সাধন শক্তি লুকিয়ে মাগো বাধ আমায় ভবের ঘরে পড়ে আছি খোজ রাখ ন। দেখবো বাধন ছেলের কাছে জগতবাসী ছেলে হ'য়ে আছে যত আমি মনে মনে করলে এনে এলো কেশী পাইনে আমি ডেকে আমায় আসল গেছ যেমন রাখ রেএ ভবের তুলে দেবে শ্মশান-মশান বেড়াও ঘুরে ধাধৃবো তোমায় ভক্তিডোরে । মায়ার ঘোরে একল' দূরে আছে কোথায় ছেলে পড়ে। শক্ত কার মায়ের হার তারা আমার যাবে হেরে। ১৫ অগ্রহায়ণ কিসে আর আমি ডরাই করিস্‌ নে মা আর সে বড়াই। গৃহবাঁসী মন-উদাসী নৃতন কিছু দেখে যাই। মায়ের স্লেহ নেয়নি কেহ আমি ত আজ ভেবেনা পাই। তেম্নি রবে কিছু না লবে শেষের কথা তোরে জানাই। ২৩৯ নাম-মহিমা তন্ত্রে বলা হইয়াছে, “গুরু কৃপাহি কেবলম্‌্” । গুরুর মধ্য দিয়! ইফ্টলীভ সম্ভব । তাহার জন্য প্রয়োজন সদাসবদ। ইম্টনাম জপ করা, ধ্যান কর] | কলিমুগে নামই সারবস্ত”। সেই নামের কৃপায় সাধক ভবমুক্তি লাভ করে । মধ্য- যুগের দিব্যোম্মাদ শ্রীচৈতম্য মহাপ্রভু আমাদের সেই নামের মহিমা দেখাইয়া শিয়াছেন। তাহার উপদেশ ছিল--অবিরত নামাম্বত পান কর এবং ঈশ্বর শ্রীকৃষ্ণের সাধনায় রত হও । শাক্ত-সাধক রামপ্রসাদও সেই শিক্ষাই আমাদের দিয়া গিয়াছেন। মাতৃনামের ডিঙায় চাপিয়। ভবসিন্ধ পারের মন্ত্র তিনি দিয়াছেন। কালী নাম জপিতে জপিতে তিনি হইতেন বিভে'র চিত্ত এবং এই মাতৃনামেই তিনি পরমতত্ব লাভ করিয়াছিলেন। তিনি আপন সাধন- জীবনের মধ্যে প্রতিফলিত করিয়াছিলেন-__-নামের মহিমা অপার । সাধন- শক্তির পর সাধকের কণ্ঠে 'মা' “মা? ডাক ছাড়া অন্থ কোনো নাম নাই-_ম। ছাড়া সাধক অন্য কিছু ভাবিতে পারেন না । জীবন-সায়াহে সাধক নামের ভেলায় ভবমিন্ধু পার হইতে চান-_ “মায়ের নাম লইতে অলস হইও না (রসনায় যা হবার হবে) দুঃখ পেয়েছ ( আমার মনরে ) মা আরো পাবে এহিকের স্বখ হলে। না বলে কি ঢেউ দেখে নাও ড্ুবাবে ? রেখো রেখো সে নাম সদা সযতনে [নিওরে নিওবে নাম শয়নে-স্থপনে । সচেতনে থেক (মনরে আমার ) কালী বলে ডেক, এ দেহ ত্যজিবে যবে ।” তিনি মায়ের নাম ভরসা করিয়া_-মায়ের শ্রীচরণে প্রাণত্যাগ করিিতেও প্রস্তুত ছিলেন । এই পদাবলীতেও সেই 'নাম-মহিমা” অভিবাক্ত । মাত-নামেই কবিচিত্ত আত্মবিভোর-_ ১৩২ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ “মধুমাখ। মায়ের নামে ডাকি তাই মা 'মা? “মা বলে। মায়ের নামে কণ্ঠ ভরা নামটি মায়ের অধুক্ষর। নতুনকরে মাকে যেপাই মাতৃনামের মধু বোজে।” রবীন্দ্রনাথ বাঙলার বধূর কথা বলিতে গিয়া! বলিয়াছিজেন-__ “মা! বলিতে প্রপ করে আনচান চোখে আসে জল ভয়ে? এই পদাবলীতে 'নাম-মহিমা'র সঙ্গীতে "মা? মাঃ ডাকে সেই নয়নাশ্রপাতের ছবিটি মূর্ত হইয়া উঠিয়াছে _ “মা পেয়েছি নামের মাঝে নাম করে মা তোরে পূজে নয়ন গল অশ্রুজলে বক্ষ আমার যায় রে ভাসি।” নামের এতই মহিমা যে সেই নামকে নিজ কঠ্ে জপমালার স্থায় ধারণ করিয়। জীবনকে আলোকিত করিতে সক্ষম-- “নাই মা আমার জপমণল। সন্ধ্যাপৃজা দীপ জ্বাল। আয়ের নামে হৃদয় আল! নাম জপি তাই শুভক্ষলে।', নাম-মহিমা ২৩৩ দেখি মাকে আসন দিয়ে জগন্মাত৷ বেড়ায় আমার ডাকি তারে আমি নয়নে দিবানিশি চেয়ে দেখি রে আজ মিটিয়ে নিল কোন সন্দহ শয়ণ-তরে হদয় মাঝে অমি যখন রাঙা চরণ নাহি আর কালী বলে কাল কাটে মোর নামে মা তোর অম্বত ঢাল' জীবন্মৃত ছিল।ম মাগে। নামের মৃধা নামের গুণে যেগান আজি তারে যদি পরাণ ভরে নয়নে বয় বিশ্ব ঘুরে কাছে দূরে সাড়। দেয় মা নয়নে রাখি মুদে আখি মন নয় মা'র বাইরে অন্ধ ছিধা ছন্দ আপনাতে সে দিন যায় সুখে পান করি ম! ধর।র ঘরে আমি পড়ে পানে আমার পরাণে সর বিশ্বজুডে উঠল ভরে আমার গানে ধরতে পারি ডাকি ভার! অজ্ুধার। ভবদারা | চরণ ছাড়ী। আপনি হার] । ১৪ অগ্রহায়ণ, দিন-তান্িণী তাই যেজানি। দিল আনি । ভাগ্য মালি। 5 অগ্রহায়ণ শ্যামা-সঙ্গী ত-সংগ্রহ এমন মধুর নামটি কোথায় বল্‌ মা পেলি আমার তারা নামের গুণে মোর নয়নে দিবানিশি বয় মা ধার!। ভবের ভাবনা যায় মাদূরে কত শাস্তি হৃদয়পুরে নামের গুণে নয়ন ভরে দেখি চরণ ভবদার!। মামা বলে যখন ডাকি সাড়া দেয় মা হাদে থাকি তখন সখের আরকিবাকী মানয়মোর তিলেক ছাড়া। হৃদি-পদ্ে আসন পেতে আগলে র।খি চারিভিতে নামের ধধন স্বীকার করে সাকার হয় নিরাকার । ২১ অগ্রহায়ণ দরগা নামে দুগ্গতি যায় হুর্গ1 দুর্গা বলি তায় তাই ত আমি নুর্গা ডাকি এ দ্ুর্গমে সেই ত উপায় সম্মুখে মা তুফান ভারী তরু আখি ভরসা করি দুর্গা নামে ভাসাই তরী যাবেপারে সেই আশায়। ঈশান কোণে মেঘ জমেছে ঈশ।নীকে মন ডেকেছে বিষাণ বাজে শুনিকানে অভয়বাণী' সেথায় পাই। দশভুজা দশ দিকে ব্যাপে আছেন দুর্গা রূপে শ্যামল ধরায় পুজি চরণ সকল ত্বলে নিরালায় । নাম-মহিমা ২৩৫ যখন ডাকি তারা তারা নয়নে মোর বয় মাধারা কণ্ঠ বেয়ে স্বর উঠে মা উদারা-মুদার তারা । দেখিরেণুর হৃদাকাশে মায়ের রূপটি নিত্য ভাসে উজল হয়ে বিলায় আলো। তারা আমার কৃপাধারা। পাষাণী মা তোরে বলে দোষ দেয় গো ভক্তদলে শুনে ভাসি নয়নজলে চেনে নামা ভবদার1। করুণাময়ীর করুণা হলে ভক্ত হৃদয় শতদলে আপনি এসে দেয় সে ধরা ভেবে রেণু বাক্যহার1। দুখ দিয়েছ তাই কি শ্যামা ভুল্তে পারি মাগে। আমি হুঃখহার। নামটি তব দিবানিশি তোমায় নমি। সুখ দুঃখ জানি তারা তোর চরণে হয়মা হারা হাসিমুখে বইব সে-সব তুই তজানিস্ অভ্তধামী। তোরই রাঙা চরণ চেয়ে সুখ দুঃখ মা যাইযেবয়ে তোর নামেতে কর দিলাম £খ সুখের সালতামামি । সপ ৯৯? শসা, শ্যাম!-সজীত-সংগ্রহ কালী নাম তৃঞ্চ! কাটে খেলাঘরে “মা' “মম ভবের ভাবন। এত ডাকি ভাবন! মোর বড় আনন্দে জগতবাসী কেউ ভাসে যে নাম মহিমা সৃধারাশি বিষয়ক্ষুধা দেয় মা নাশি ভবের ঘাটে বশমানে মা ছয়টা! দাসী। আসা-যাওয়ার সাধ মেটে ম। মন চায় শুধু চরণ রাঙা আসন ক'রে আমি যে মা স্বর্গবাসী। নামের গুণে নিশি-দিনে হর্ষ জাগে হেথায় মনে ডেকে দিবানিশি রামরেণুর যে মন-উদাসী । নামের মালা কণ্ঠে ধরি দিনের খেয়া সাঙ্গ করি দিলাম ছাড়ি ভাবতে পারি এই তকাশী। 5 অগ্রহায়ণ মা মা বলি মাযদি মোর কাছে না আসে কোথা মাগো মাতৃনাম কণ্ঠে ভাসে । যেই নাম সেই যে কালী রসন। তায় মা মা বলি পথে চলি মনে হয় ম! ঠাড়িয়ে পাশে। নামের ভুরি বেধে রেখে “ম1 আন্বো আমি ডেকে দেখবে চোখে মন মোর তীর্থবাসে । ছ্বিজরেণু ধ্যানে জানি জ।নাল এই সজ্যবাণী নয়নজলে আবার কেউ দাড়িয়ে হাসে। ১৬ অগ্রহায়ণ ২৩৭ স্বপন ঘোরে সার ভেবে মা মা পেয়েছি নাম জপি তাঁই আনন্দে মোর সংসারে যে তাই ত মায়ের অস্তরে মোর ভক্তি-পুম্পে ভক্তজনের নামের অন্তর কালী বলে নামের গুশে নাম পেয়েছি মনে মলে নামের মাঝে সকাল-স্।ঝে অশ্রু ঝরে ছুখ নানা দেখা পাই না নামের মালায় পূজবো শ্য।মা মনোরম! সার করেছি শপ সপ আচ তত পপ প্পও পা এপ শা শী ৩৩ কাল কাটে মোর প্রেমানন্দে (আমি ) বোধন করি ১৩৮ জয় কালী কতই ডাকি নয়ন মেলে লুকিয়ে বেড়ায় অন্তরে মার চরণ-চিহ এমন দিন নামের সাথে রেণু তখন তাই জপি মা দিবানিশি মুখে আমার ফুটলো হাসি। বক্ষ আমার যায়রে ভাসি । মাকে পাই একল' আদি । আর সবেতে মন-উদাসী । ৪ মাঘ বড় অ!নন্দে মাগো তার। নয়ন বেয়ে বইছে ধার । ফুলে ফলে জয় কালী বলে মা মা বলে তখন কেন পাইনে সাড়া । খুজে মরি মা শঙ্করী তবু ভেবে হই যেসার]।। কবে হবে মা! দ্দাড়াবে নয়ন মুদে দেখবে কেমন ভবদারা। ২৩ আশ্বিন: স্যা!মা-সঙ্জীত-সংগ্রহ কালী বলে দেই আনন্দে তোরে যদি এঁ অস্বত- বারে বারে এই জীবনেই ব্রক্মরূপ। কেউ বলে সে চিদানন্দময়ী হরদিপদ্গে নাম-মহিম' মাকে ডেকে দিবানিশি মোর হঃখ সুখ সব ভূলালে! দিন কাটে মা আমার ধর নামের মাঝেমা মার মুরতি দিনে-রাতে বাস্ত থাকি চিনি না আর নাপ।ই শ্যাম। রসপানে পথে চেন। আনাগোনা সতী-উম হরের বামা তার। উদয় হবে ধার! বয় মা আমার চোখে ভূলেছি আমি জের দুঃখে। আধার আলো কালীর কালে? আশম্বার ভালো নাম রসে ডুবে থেকে । সুখে ভরা দেয়গে ধরা হদে ভরা! দেখি আমি লুকিয়ে রেখে। মনে মনে আরাধনে অন্য ধনে মা রয়েছে আসন জেকে। ৮ আষাঢ আমি ত তোর নাম চিনেছি ক্ষুধা-তৃষ্চ। সব ভ্বলেছি । এমন মরণ আর হবেন! এবার আমি শেষ করেছি । নাম ব্রহ্গে ডাকি শ্যাম। আমি ত মা মা ভেবেছি । রংমের কণ্ঠে হও মা ভারা তাই ত আশায় বসে আছি। ১৯ পৌষ ৩৬ আনন্দে আজ ধরিতান মা! মারবে গাই মাগান মায়ের আমার নামের গুণে শীতল হ'ল আমার প্রাণ। নাম ডাকি মার তারা তার। নয়নে মোর বয় মা ধারা সেই আনন্দে বিশ্বভর] শুনি আমার পেতে কান। নদ-নদী আম পাগলপার। অ।নন্দে বয় ঝরণ ধার ধ্বনি ওঠে মধুক্ষর। মিলিয়ে আমার মনের তান। সেই স্বরে মোর বিশ্বডৃবন মাতৃনামে আছে মগন এই ত আমার পুণ্য লগন আপনারে তাই করি দান। ৩০ চৈত্র ২৪০ শ্যামা-সঙজীত-সংগ্রই চরণতীর্থ জীবনের শেষ প্রান্তে পৌছিয়া সাধক তাহার ধ্যান জ্ঞান হিসাবে মায়ের অপার' করুণার পরিচয়ে পরম আনন্দময়ী ব্রন্মময়ী, মায়ের নাম জপ করিতে থাকেন । নাম জপিতে জপিতে বিশ্বময় কালীরূপ লক্ষ্য করেন। তখন কালীর কাল রূপের মধ্যে আপন অন্তরে এক অপরূপ আলো! সন্দর্শন করেন। মনে হয় “অপর জন্ম হর! জননী” ভব সংসারে একমাত্র ভরসা । তাই মায়ের অভয় - চরণ স্মরণ করিয়া আপনাকে সবতীর্থসার মায়ের চরণতীর্থে নিজেকে সমপণ করেন। সাধক রামপ্রসাদ তাই গাহিয়াছেন-_ “অপার সংসার নাহি পারাপার । ভরসা শ্রীপদ, সঙ্গের সম্পদ, বিপদে তারিপী, করগে! নিস্তার ॥ থে দেখি তরজ অগাধ বারি, ভয়ে কাপে অঙ্গ ডুবে বা মরি তার কৃপা করি, কিস্কর তোমারি, দিয়ে চরণ তরি, রাখ এইবার ॥ তাই নামাম্ৃত পান করিতে করিতে রামপ্রসাদ শ্রীপদ ধান করিতে থাকেন-_ “কালী কালী বল রসনা । কর পদ ধ্যান, নামাম্বত পান, যদি পেতে ভ্রাণ থাকে বাসনা ॥” তিনি 'অতি মৃঢ়মতি 'ভকতি স্ততি' জানেন না “দ্বিজ রামপ্রসাদের নতি, চরণতলে রেখ রে।” এই ব্রন্মময়ী মায়ের রাঙা শ্রীচরণের প্রত্যাশায় পরমেশ্বর শিব আপন বক্ষে ধারণ করিয়া ধন্য হইয়াছেন। কাজেই রামপ্রসাদও সেই মরণজয়ী “অভয় চরণে'র কথাই স্মরণ করিয়াছেন-_ “কালে! পরে কালীপদ সে পদ হদে ভাবিয়ে মায়ের অভয় চরণ যে করে ম্মরণ কি করে তার মরণ ভয়ে |” আমার জীবনের সকল হিসাব-নিকাশ মায়ের শ্রীচরণে সমর্পণ করিতে চাই । আমার ভরসা শুধু এ “অভয় চরণ”_ চরণতীর্থ ২৪১ ব. বি./শ্যাম1-সঙ্গীত/৩২-১৩৬ “তোর চরণে করব নতি এই তো! আমি সার বুঝেছি । গা ড় গা রা সকল হিসাব শেষে কালী তোর চরণে দেব ডালি প্রারন্ধ আর প্রাক্তনে মিলিয়ে এবার শেষ করেছি ॥” এ রাঙা চরণতীর্ঘ ছাড়া অন্য কোথাও যাইতে চাহে না--পরম ভরসা কালীর চরণে আশ্রয় লইয়া পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণই একমাত্র বাসনা । এখানে বৈষ্ণব পদাবলীর কৃষ্ণগত প্রাণ। রাধিকার আত্মসমর্পণের সঙ্গে অনেকখানি মিল খুঁজিয়! পাওয়া যায়। দাসী হইয়! শ্রীরাধিক? যেমন প্রাণবল্লভ শ্রীকৃষ্ণের চরণে নিশ্চিত প্রবেশ করিতে চান_ সেইরূপ সম্পূর্ণভাবে নিজেকে কালীরচরণে সমর্পণ করিতে চাওয়ার দৃষ্টাস্ত নিয়ের এই পদটির মধ্যে পাওয়া যায়-_ “মন আমার জানে না ম৷ তোর রাঙ। দুটি চরণ বই। শুন্ব বলে চরণধ্বনি নিশীথ রাতে প্রহর গশি পথ পানে মা চেয়ে চেয়ে কান পেতে ম শুয়ে রই। ঘুম ভেঙ্গে মা জেগে উঠি মার চরণে পড়তে লুটি খুজে ফিরি দিগৃ্বিদিকে ভাবি আমার শ্যামা কই। যবে মাগো ধানে বসি দেখবে আমার উমাশশী এ অতলের ভাবনা ত্বুলে পাব মাগো আমি থই।” «আর কোন সাধ নাই মা অ।মার সবই মা তোর চরণতলে চা চি ্ীঁ আর কেন মা ভেবে মরি এবার আমি যাত্রা করি চরণতীর্থে রব পড়ি কর্বি ক্ষমা অবোধ বলে ।” ২৪২ শ্যামা-সঙ্গীত -সংগ্রুহ সখ-দুখ জানিনে শ্যামা লাভালাভ ভাল-মন্দ পিপীলিকা ক্ষীরোদ সাগর তোর চরণে ভবের ঘরে মিথ্যে শুধু গুটিপোকার সকল হিসাব তোর চরণে প্রারন্ধ সঞ্চিতরে আর কোন সাধ নাই মা আমার রাজ । পায়ে রাঙ্গ। জবা রক্ত-চন্দন মাখিয়ে জবা রাঙা পায়ে সাজে কিব! তাই ভকি মা রাত্রি-দিবা হৃদয়-অ[সন পেতে রাখি জ্বালাই যুগল নয়ন বাতি পথ চেয়ে যায় সারারাতি আর কেন মা ভেবে মরি এবার আমি যাত্রা করি চরণতীর্থে রব পড়ি চরণতীর্থ তোর নামে ম মজে গেছি এ চরণে সপে দিছি। আমার মতি হয় মা গতি করবো নতি এই ত আমি সার বুঝেছি । নিকেশখানা আনাগোন। জাল যে বোনা এবার আমি জের দেখেছি । শেষে কালী দেব ডালি এবার তুলি সব মিলিয়ে শেষ করেছি । সবই মা তোযর় চরণতলে আপন হাতে দেবতৃলে। কাছে আয় মা চরণ ফেলে। তুই কি তনু থাকৃবি তলে কর্বি ক্ষম। অবোধ বলে । ২৪৩ কালী মায়ের পদতলে জয় কালী জয় কালী বলে কি হবে মোর কি হবে ম] মাতৃন।ম অনুরাগে অনাহতে হেরব তোমায় কেউ যেন না চায় ফিরে সমুখে মোর দ্ুষ্টি আমার নয়ন মাঝে ধ্যানাসনে আমার ) মন্ত্রে তারা যন্ত্রে তার। তার।র চরণ চাই মাআমি সবাই কাপে কালের ত্রাসে সেদিন যেন পাই মা পাশে যেদিন শমন ধর্বে কেশে পরপারের পিছল পথে মুক্তকেশী থাকৃবি সাথে আমি যে মা সকল ছেড়ে অজপা মোর যেন আমার যাগষোগে পৃজাভোগে যেন আমার ইম্টাসনে সংগোপনে এমনি করে না দাও দেখ। রবে ফাকা তোর চরণে তারা আমার মোর হৃদয়ের এসে আমার ঠাই নিয়েছি যেন ফুরায় জীবন যায় । দিন ফুরায়। পেতে চাই । ম।গি তাই। মনের ধ্যানে গোপনস্থালে। এ অঙ্গনে। এ চরুণে। শ্যমা-সজীত-সংগ্রহ মন আমার পথপানে মা খুঁজে ফিরি ছেরে তোমায় কামনা মোর এবার আমার উকি মারে ধুইয়ে দিই ম! রাতুল চরণ চরণতীর্থ জানে নামা ভোর শুনবো বলে নিশীথ রাতে চেয়ে চেয়ে ঘুম ভেঙ্গে মা তোর চরণে দিগৃবিদিকে শুধু বসে দৃষ্টিবন্ধ অস্তরেতে শেষ করেছি দিনের শেষে রাঙা চরণ নূতন আশা একে একে সাধ যায় মা ফুল দিই গে! পথের ধুলা তুই যদি মা দিস্‌ মা দেখা রাখি ধরে রাঙা দুটি চরণ বই। চরণধবনি প্রহর গুণি কান পেতেগো শুয়ে রই। জেগে উঠি পড়তে লুটি কইগো আমার শ্যামা কই। ধ্যানাসনে এ চরণে এ যেআমার শ্যাম! এ 1 চলে যাব হেসে খেলে ভবের সাধের খেলা ফেলে। আমায় ডাকে মনে থাকে বাস। খোজে চরণ-তলে। এ চরণে নিশি-দিনে নয়ন গল: অশ্রুজলে | পথ ভূলে ছেলে বলে শূন্য আমার হৃদয়দলে । ২১ পৌষ ২6৫ ২৪৬ কাজ কি আমার গিয়ে কাশী মার চরণে তীর্থর1শি গয়া গঙ্গ1 বারাঁণসী | মায়ের রাঙা চরণতঙগে মনরে তুমি দাও না ঢেলে স্র্গ-মর্তা-পাতাল ভূলে হবেন এসে মা পরবাসী । সাজ-সজ্জা-আড়ম্বরে পৃূজতে গিয়ে পাই না তোরে কোথায় গিয়ে পলায় দূরে আপন মনে মুচ্‌কি হাসি। যখন আমি ধ্যানে বসি দেখি মায়ের মুখে হাসি উদয় রাতুল চরণ মেলে হৃদাকাশে উমাশশী তখন আমি অর্থ্য তুলে দিইগো রাঙা চরণতলে ম] দেখে তাই নয়ন মেলে সুখে কাটে দিবানিশি । ২৯ মাঘ শ্যামা-সঙ্গীত-সংগ্রহ পরিশিঃ ফুজ্রা মা তোর মহিম! ফুল্লরা মা সিদ্ধপীতে জড়িয়ে আছে শিলাময়ী জননী তোর দর্শনেষে পরাণ নাচে। সতীদেহের ংশ পাতে ফুল্পরা পীঠ জানি তাতে অপূর্ব সে মাহাতআ্্য তার শক্তি সাধক জনের কাছে। শিবাভোগ আর পুজাবলি যে দেখেছে সে সকলি সকল সাধন গেছে ভুলি থাকৃতে সেচায় তোরই পাছে। কত সাধক সিদ্ধি পেল সিদ্ধপীঠ মা তাই সেছল সে সাধনার খানিক পরশ তোরপায়েমা রেণু যাচে। ০০০০ আস ও পলাশ তি ৪ শত এএপ্লাি | পগ লা শি ভারাপীঠের ভারা মা শ্শানবাসিনী তার? শ্বশানে দিন কেমন কাটে তাই দেখতে এলাম মাগে। তারাপীঠের নদীতটে । বশিষ্ঠ পৃজিতা তারা বামাক্ষেপায় দিলে ধর! স্থান-মাহাত্ম্য জানি মাতোর আমার ভাগ্যে যদি ঘটে। মহাপীঠে কর্তে সাধন গোপনে চায় আমারও মন পারিনে তাই বেদন! পাই এমনি কপাল আমার বটে। মধ্য নিশায় শ্মশান মাঝে তোর চরণের ধ্বনি রাজে সেই ধ্বনি মোর বুকে বাজে ধন্য লাম তারাপীঠে। ২৩ বৈশাখ সপ পপর এ এসএ সস ০৮ সস পরিশিষ্ট ২৪৭ মান্দকেম্বরা মা দক্ষরাজার নন্দিনীগে নন্দীপুরে লীলায় মেতে ধাধলে বাসা নদীতটে নন্দিকেশ্বর শিবের সাথে । ময়ুরাক্ষীর মহাপীঠে পঞ্চবটার বৃক্ষবাটে নন্দিনীর পাষাণ পাটে জীলাময়ী দিনেরাতে । লক্ষ জনের নাও মা পৃজা লুকিয়ে বসি দশভুজ। নির্জনে মা বৃক্ষমূলে আসন তোমার রাখ পেতে । রাঙা জবা সিদুর গুলে অধ্্য দিয়ে হাতে তুলে কাল সায়রের এড়িয়ে কূলে পুূজবে রে আস্তে যেতে । ২৩ বৈশাখ কঙ্কালী ম। জয় ম। কালী কঙ্কালীগে আসন তোমার শ্াশানঘাটে উত্তরে বয় কোপাই নদী বিরাজ কর পূর্বতটে | ঈশান দেবের বিষাণধবনি মধা নিশায় আমি শুনি গুপ্ত আছ কুণ্ড মাঝে ব্যাপ্ত চাই মা হৃদয়পটে । বীর ভূমির প্রান্ত দেশে কঙ্কাল তোর পড়লে। খসে সভীদেহের অংশ নিয়ে দেবগর্ভার দিনটি কাটে। রুকু সাথে তোর মা লাল! কুণ্ড মাঝে চলছে খেলা ২৪৮ শ্যামা-সঙ্সীত-দংগ্রহ আমার ষেমা গেল বেলা দিও চরণ এই লাটে। পুজা! ভোগ আর বলিদানে আনন্দ তোর অঙ্গনে চৈত্র শেষে মহামেল। নয়ন ভরে দেখি মাঠে লক্ষ সাধক আছে আজও মাগে মা তোর পদরজঃ রামরেণুও তাই মাগেমা সাধক নয় সে ছেলে বটে। বক্রেখর অস্টাবক্ত সাধন করে বক্তনাথে রাখেন ধরে মহিষম্দিনী ফিতাই আসন কর যুক্তি করে। পতিনিন্দায় অঙ্গম্বলে দ্রবময়ী মা উষ্ণ জলে সপ্তকুণ্ড সাক্ষ্য দিলে সতী দেহের মনটি ভরে। মধ্য নিশায় চরণধবনি করণে আজও দেয় মা আনি শ্মশান মাঝে দিনটি গণি শ্বশান চিতার ভস্ম ঝেড়ে। সাধকজনের পদরজঃ সেথায় মিশে নিত্য আজে! আমার মনের মনসিজ তাই-ত ফেলে দিলাম দুরে। পরিশিষ্ট ২৪৯ কার ললাটের কালানলে বিশ্ুচক্তরে সেই পুরাতন নুতন বেশে ললাটেশ্বরী ম! ঈশ্বরী মা ধ্যানে মগন ললাট পোড়া মোর কাছে মা পাষাণী তুই শিলা স্তুপে ঘৃমিয়ে আছিস বড়ই চুপে সতীর নঙা পড়লো ভূমে ভৈরবে তার সাথী করে কালিকা পীঠ ধরার ঘরে স্মৃতি ধরে নলহাটা নাম যোগেশে তুই নিবি সাথে দাড়া রেণুর নয়ন পথে দেখবে! হেসে পৃজবো মায়ে সা পাপী শসাসপসীসসপ শিলায় বসে আয়মা হেসে। হেথায় এসে। আছে মিশে। ভালবেসে । --প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য বিদ্যার অপূর্ব সমন্বয় শ্রীরামরেণ মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে সংঘটিত হইয়াছে । আধ্যাত্মিক সম্পদে আজ তিনি সম্বন্ধ । তাহার রচিত শ্যামা-সঙ্গীত শ্রবণ করিয়া তৃপ্তি লাভ করিলাম । *-" মুখোপাধ্যায় মহাশয় জগদস্বার সম্পূর্ণ প্রসাদ লাভ করিয়াছেন । তাহার কৃপায় তাহার কবিত্বশক্তি স্বতংস্ফুর্ত হইয়! শ্যাঁমা-সঙ্গীতের মধ্যে পূর্ণ প্রকাশ দেখিয়। মুগ্ধ হইলাম ।...আমি সত্য সত্যই আনন্দ লাভ করিলাম । আমার বিশ্বাস আমার দ্যায্স অনেকেই ইহা লাভ করিয়া! চরিতার্থ হইবেন। কবি সমস্ত বাসন জগদন্বার চরণে বিসর্জন দিতে চান। কিন্তু আমার বাসনা যে তাহার অপরোক্ষানুভূতির রসাম্বাদ আরও অনেকে লাভ করিবে । ইহাদের সংখ্যা হয়ত অধিক না হইতে পারে; কিন্তু তাহারাই 15935 €01)7151-এর ভাষায় 9৪10 01 005 1258101) 1 ইহার] আছেন বলিয়। জনসমাজ শীর্ণ-বিশীর্ণ হয় নাই । আমি কবির দীর্ঘ-জীবন কামন। করি জগতের স্বার্থে । তাহার সাধন তাহার রচনার মধ্যেই মুঠ বিগ্রহরূপে প্রকাশ পাইয়াছে ও প্রকাশ পাইবে । প্রফেসর সাতকড়ি মুখোপাধ্যায় এম.এ. পি.এইচতডি., ডি.লিট , বিদ্যাভারতীী সিদ্ধান্ত-আচার --“কবিভাগুলি সুন্সিখিত, মিলের পারিপাট্য, ভাষার মাধুধ্য, ভাবের চমতকারিত!, ছন্দের স্বাচ্ছন্দ্য গতি কবিতাগুলিকে সম্বন্ধ করিয়াছে ।'.-.---. আমি কবিকে রামপ্রসাদের গোষীত্বৃক্ত তাহারই পদাঙ্ক অনুসরণকারশ একজন লেখক বলিয়। মনে করিলাম । শ্রীহরেক্ণ মুখোপাধ্যাক্স ভি. লিট.. সাহিতারত মায়ের অনস্ত রূপ। ভক্ত সাধক কবি, তাই নানা ছন্দে নানাভাবে ভার মহিম1 কীর্তন করেন। তাহাকে কখনও দেখেন করুণাময়ী দূপে, কখনও বা আনন্দময়ী রূপে । কখনও মা কবির চোখে দেখা দেন স্বপনচারিণী বূপে, আবার কখনও বা কালভয়হারিণী দূপে। এছাড়1! তিনি ব্রহ্গময়ী, লীলাময়ীী, এরশ্বর্যযময়ী রূপে তো প্রকট হনই। প্রত্যেকটি রূপের আস্বাদ স্বতন্ত্র, তাই সেখানে কবির ভাবও বিচিত্র ছন্দে উদ্বেল হইয়া উঠে । *-***, এই মাতৃভাবে মুখরিত সভার পদাবলী__ তাই এত হৃদয়গ্রাহী ও » স্পর্শ হইয়াছে । আশ] করি শাক্তপদাবলীর প্রবহমান ধারায় শ্রীরামরেণ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের এই নবতর ধারাটির সংযোজন বাংলার ভক্তি-সাহিত)কে সম্বন্ধ ও স্পষ্ট করিবে এবং শোৌড়জন মাজেই ইহ1 পাঠ করিয়া 'আনন্দে করিবে পান সবধা নিরবধি? । শ্রীগোবিন্দগোপাল মুখোপাধ্যায় এম. এ., পি. এইচ. ডি., সাংখ্যতীর্থ পরম শ্রদ্ধেয় পণ্ডিত শ্রীরামরেপু মুখোপাধ্যায় বিরচিত শাক্ত পদাবলী পা করে বিশেষ তৃপ্তি লাভ করেছি । তিনি একাধারে প্রখ্যাত পণ্ডিত ও প্রকৃষ্ট ভক্ত। জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয়ে তার যে জীবন-শতদলটি পুর্ণ বিকশিত হয়ে উঠেছে, ভাই তিনি পরমাজননীর শ্রীপাদপদ্মে অধ্্যরূপে অর্পণ করেছেন । রমা চৌইুরী এম.এ. পি.এইচ,ডি. (অক্সফোর্ড ) --"ভক্তিরসকে অবলম্বন করেই গীতিকবিতা 'পদ” এর মর্যাদা লাভ করে। সেদিক থেকে দেখলে শ্রীযুক্ত মুখোপাধ্যায় রচিত শাক্তর্দীতি কবিতাসমূহ নিঃসন্দেহে শাক্ত-পদাবলীর পর্যায়ভৃক্তির যোগ্য । শাক্তপদ রচনায় তিনি শুধু প্রচলিত রস-পধায় অনুসরণ করেই ক্ষান্ত হননি, নিজেও নতুন কয়েকটি রস-পর্যায় সৃষ্টি করেছেন । যেমন স্বপনচারিণী মা, আনন্দময়ী মা, অস্তরবাসিনী মা, অভেদবূপিপী মা, এশ্বরমক্সী মা ইত্যাদি | **.-. শ্রীশ্রীমায়ের চরণে প্রার্থনা জানাই, তিনি যেন নীরোগ, দীর্ঘায়ু লান্ভ করে এমনিভাবে মাতৃ-সাধনায় নিরত থেকে বাংল! সাহিত্যের ভাণ্ডার উত্তরোত্তর সম্বদ্ধ করে তুলতে পারেন। ডাঃ শিবদাস চক্রবর্তাঁ, এম.এ.ঃ পি.এইচ.ডি., কাব্যতীর্থ, সাহিত্য তীর্থ ১৪ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলঙ্ক'রিক ভানুদত্ত তার রস-তরজিনী গ্রন্থে লেছেন-_ ভাবনায় পদে যস্ত বুধেনানন্ত বুদ্ধিন! ভাব্যতে গাঢ় সংস্কারৈশ্চিতে ভাবঃ স.কথ;)তে। সেই ভাবটি থাকে রসের সঙ্গে জড়াজড়ি হয়ে পরস্পরাকৃতি--সিছ্িরিভয়ে। রসভাবয়োঃ। শ্রীরামরেণু মুখোপাধ্যায় মহাশয় তেমনি রস-সম্পুক্ত ভাবময় কাব্যধারার আম্বাদ আমাদিকে দিয়েছেন। কাব্যগুল্সি সাবয়ব কন্তরী আর রস তার নিরবয়ব গন্ধের মতই বিস্তার করেছেন। জীকষ্ণ চৈতন্য শাস্ত্রী, আয়ূর্বেদাচ!রষ, কাব্য ব্যাকরণ পুরাণ সাংখ্য বেদাজ্ততীর্থ শ্যামা মায়ের অনন্তমহ্থিমা, অপরূপরূপ। মায়ের ভীষণত্বের সহিত মাতৃত্বের ংমিশ্রণে অপূর্ব মাধুষ শ্রীরামরেণ মুখোপাধ্যায়ের ভক্ত-হৃদয়কে মৃগ্ধ করিয়াছে । দেবীর বিভিন্ন দ্ধপ সাধক কবির মনকে কখন আনন্দিত ও কখনও বিস্মিত করিয়াছে । দেবীর অলৌকিক সৌন্দর্য ও অনন্ত মহিমা আপন অন্তরে স্থান দিয়! মানসচক্ষে অবলোকন করেন আর ভাব-রাজ্যের এই বিভিন্ন অবস্থায় সাধন সঙ্গীতের বিভিন্ন ধার! প্রবর্তন করিয়া চলিতেছেন। তাহার এই সঙ্গীতগুলি ক্রমশঃ অধিকতর ভক্তিরসে সঞ্জীবিত, পরিপুষ্ট ও সংবধিত হইয়া নিত্য প্রসার লাভে বঙ্গসাহিত্যকে উত্তরোত্তর সুসম্বদ্ধ করিয়া ভক্ত বাঙ্গালীর হয়ে মাতৃপ্রেমের নূতন জোয়ার ও ভক্তিরসের প্লাবন আনিয়া দিক। ভ্রীসত্যরঞ্জন চট্রোপাধ্যায়, এম.এ., বি.টি.